Author : Ankita Dutta

Published on Jun 08, 2023 Updated 0 Hours ago

সামগ্রিকভাবে ইইউ এবং ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলির চিনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এমন এক বৈপরীত্য দেখায় যা জোড়া দেওয়া কঠিন হবে

অনৈক্যের প্রকাশ: ম্যাক্রোঁ ও ফন ডের লেইনের চিন সফরের মূল্যায়ন

স্থগিত বিনিয়োগ চুক্তি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাজারে প্রবেশ নিয়ে মতবিরোধ ও ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের নিন্দা করতে বেজিংয়ের অনিচ্ছা– এমন সব ঘটনা নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে বছরের পর বছর ইউরোপের সম্পর্ক জটিল হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চিন সফর করলেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এই যৌথ সফরের উদ্দেশ্য ছিল চিনের সামনে ইউরোপীয় ঐক্যকে তুলে ধরা। যাই হোক, সফরটির বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তা এ কথাই তুলে ধরে যে বেজিংয়ের প্রতি ইউরোপের নীতি সামগ্রিক নয়। এই নিবন্ধটি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্টের চিন সফরের মূল্যায়ন।

সফরের মূল্যায়ন

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সফরের অ্যাজেন্ডার মধ্যে ছিল ইউক্রেনে সংঘাত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বেজিংয়ের সঙ্গে তার বাণিজ্য ঘাটতি কমানো (‌যা ২০২১ সালে প্রায় ৩৯.৬ বিলিয়ন ইউরো ছিল)‌ এবং চিনের সঙ্গে বৃহত্তর ইইউ সম্পর্ক। তাঁর সফরের আগে ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস ও চাইনিজ ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, যাতে মার্কিন ডলারকে এড়িয়ে সাংহাই পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস এক্সচেঞ্জ–ভিত্তিক লেনদেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত পর্যায়ে চিনা ইউয়ান ব্যবহার করে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রয় চূড়ান্ত করা হয়েছিল

ফ্রান্স ও চিনের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে ৫জি প্রযুক্তি–সহ অংশীদারির কিছু অতি–গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।

সফরের সময় ফ্রান্স ও চিনের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে আছে ১৬০টি এয়ারবাস প্লেন বিক্রির পাশাপাশি চিনে এয়ারবাসের দ্বারা একটি নতুন অ্যাসেম্বলি লাইন খোলা, যাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান বাজারে এর ক্ষমতা দ্বিগুণ করা যায়। ফরাসি রাষ্ট্রীয় পরিষেবা ইডিএফ–ও চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে তার চুক্তি নবীকৃত করেছে, যার মধ্যে চিনের এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি অফ–শোর উইন্ড ফার্ম নির্মাণের চুক্তি এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়ন, নির্মাণ ও পরিচালনাও অন্তর্ভুক্ত। ফ্রান্স ও চিনের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে ৫জি প্রযুক্তি–সহ অংশীদারির কিছু অতি–গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতে চিনা সংস্থাগুলিকে ইউরোপের মূল প্রযুক্তি পরিকাঠামো থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, ফ্রান্স ‘‌চিনা সংস্থার লাইসেন্সের আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যায্য ও অ–বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়ে যেতে’‌ সম্মত হয়েছে।

চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর চাপের বিপরীতে কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডের লেইনের বেজিংয়ের প্রতি বার্তাটি খুব স্পষ্ট ছিল:‌ তিনি জানান ইইউ ‘‌তার বাণিজ্য সম্পর্ককে ঝুঁকিমুক্ত করতে’‌ চেয়েছিল, তবে ‘বিযুক্তিকরণ একটি কার্যকর বা পছন্দসই কৌশল ছিল না’‌। তাঁর সফরের আগে একটি বক্তৃতায় তিনি চিন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে স্পষ্ট নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তুলে ধরে বলেছিলেন, চিন তার অর্থনৈতিক ও বাজারের শক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে ‘‌চিনকে বিশ্বের উপর কম নির্ভরশীল এবং বিশ্বকে চিনের উপর আরও বেশি নির্ভরশীল’‌ করে তুলতে চাইছে। তিনি প্রেসিডেন্ট শি–র সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময় এই বার্তাটির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। তিনি চিনের অন্যায্য অনুশীলন ও চিনা বাজারে অসম প্রবেশাধিকারের উল্লেখ করেছিলেন, এবং বলেছিলেন বিশেষত উদীয়মান প্রযুক্তিতে চিনের উপর নির্ভরশীলতার প্রসঙ্গে ইইউ আরও সতর্ক হয়ে উঠছে।

যদিও সফরের প্রাপ্তি ফ্রান্স ও চিনের মধ্যে অর্থনৈতিক চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, দুটি মূল বিষয় গুরুত্ব পায়, যেখানে মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল। প্রথমটি ইউক্রেন ও রাশিয়া সংক্রান্ত। ম্যাক্রোঁ ও ফন ডের লেইন উভয়েরই মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি ছিল ইউক্রেনের সংঘাতে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে চিনকে উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ চিনের ১২ দফা প্রস্তাবের কথা উল্লেখ  করে বলেছিলেন যে বেজিং ইউক্রেনে শান্তির পথ খোঁজার ক্ষেত্রে ‘প্রধান ভূমিকা’‌ পালন করতে পারে;‌ কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি এ বিষয়ে কম আশাবাদী ছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘‌‘‌পুতিনের যুদ্ধ নিয়ে চিন যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকবে তা ইইউ–চিন সম্পর্কের ভবিষ্যতে একটি নির্ধারক ফ্যাক্টর হবে।” চিন এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানালেও রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকার করেছে। এটি রুশ হাইড্রোকার্বনের বৃহত্তম ক্রেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, এবং ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের সময়ে চিন তাদের ‘‌সম্পর্ককে আরও গভীর করার’‌ উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল।

ম্যাক্রোঁ ও ফন ডের লেইন উভয়েরই মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি ছিল ইউক্রেনের সংঘাতে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে চিনকে উৎসাহিত করা।

এই সফরের পরিণতির মধ্যে ইউক্রেনের শুধু একটি সংক্ষিপ্ত উল্লেখ রয়েছে, যেখানে ফরাসি ও চিনা প্রেসিডেন্টদের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার কোনও উল্লেখ না–করে বলা হয়েছে যে উভয় পক্ষই ‘‌ইউক্রেনে শান্তি পুনরুদ্ধারের সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে’‌। তবে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট তাঁর সফরের শেষে নিজের বিবৃতিতে বলেছিলেন যে ইইউ প্রত্যাশা করে যে ‘‌চিন তার ভূমিকা পালন করবে এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রচার করবে’‌। তিনি চিনকে ‘‌প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাশিয়ার কাছে কোনও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ না–করার’‌ জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ অন্যথায় সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। সংক্ষেপে, উভয় নেতাই ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিষয়ে বেজিংয়ের কাছ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট জিনপিং–এর তরফে  আলোচনার জন্য কোনও সময়সীমা অনির্ধারিত রেখে শুধু ‘‌সঠিক পরিস্থিতি ও সময়ে’‌ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা ব্যতীত কিছুই পাননি।

তাইওয়ানের ইস্যুটি একদিকে ইইউ–চিন এবং অন্যদিকে ফ্রান্স ও তার মিত্রদের মধ্যে মতভেদের একটি ক্ষেত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়। প্রেসিডেন্ট ফন ডের লেইন স্পষ্ট করেছেন যে তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ, এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থায় কোনও একতরফা পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য হবে না। যাই হোক, এই বৈঠক সম্পর্কে চিনের প্রতিক্রিয়ায় জোর দিয়ে বলা হয়েছিল যে, ‘‌যদি কেউ আশা করে যে চিন আপস করবে এবং তাইওয়ান প্রশ্নে নতিস্বীকার করবে, তবে তারা একটি দুরাশার স্বপ্ন দেখছে’‌, এবং সেইসঙ্গেই একে চিনের মূল স্বার্থ বলে তাদের দাবির পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল।

যাই হোক, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সেই বিবৃতিটি সম্পর্কে ফ্রান্সের মিত্রেরা প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‌‘‌ইউরোপীয়দের যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দরকার… তাইওয়ান নিয়ে [একটি সংকট] ত্বরান্বিত করা কি আমাদের স্বার্থে? না। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল এমন মনে করা যে আমাদের ইউরোপীয়দের অবশ্যই এই বিষয়ে অনুসরণকারী হতে হবে এবং মার্কিন অ্যাজেন্ডা ও চিনের অত্যধিক প্রতিক্রিয়া থেকে আমাদের ইঙ্গিত গ্রহণ করতে হবে।’‌’‌ তিনি আরও বলেছিলেন, তাইওয়ান ‘আমাদের সংকট নয়’‌, এবং ইউরোপের উচিত এটি থেকে দূরে থাকা এবং ‘আমেরিকার অনুসারী’‌ না–হওয়া। এটি শুধু তাইওয়ান সম্পর্কে ইইউ কমিশনারের বিবৃতির বিরোধিতা করেনি, এটি ইইউ–এর সঙ্গে ফরাসি অবস্থান সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তদুপরি, তাঁর মন্তব্যটি এমন সময়ে করা হয়েছিল যখন চিন তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করার তোড়জোড় করছিল। যাই হোক, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার মন্তব্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতাবস্থার জন্য ফরাসি সমর্থনে কোনও পরিবর্তন হয়নি, এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার প্রতি ফরাসি দায়বদ্ধতা হিসাবে এই অঞ্চলে তার নৌ–যানের যাত্রার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি, এবং কীভাবে ইইউ সামগ্রিকভাবে চিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায়, সেই সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য এই সফরটি তুলে ধরেছে।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এমন বিবৃতি দিলেন যা উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলল, এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ন্যাটোর মস্তিষ্কের মৃত্যুর বিষয়ে তাঁর ২০১৯ সালের মন্তব্য   এখানে প্রাসঙ্গিক। কেউ ভাল করে অনুধাবন করলে বুঝতে পারবেন অন্তর্নিহিত বার্তাটি ততটা মার্কিন নীতির সমালোচনা সম্পর্কিত নয়, যতটা ইউরোপীয়দের সক্ষমতা ও শক্তি বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাপী ভূ–রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য নিজস্ব কৌশল ও আগ্রহকে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। কিন্তু বিবৃতিটির সময় এবং সে সম্পর্কে জনমানসে ধারণা সহায়ক ছিল না।

অনৈক্যের প্রকাশ

বিগত কয়েক বছরে ইউরোপ চিনের ভূ–অর্থনৈতিক ও ভূ–রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে সংশয়বাদী হয়ে উঠেছে; তারা কোভিড–১৯ অতিমা্রি মোকাবিলা, হংকং ও জিনজিয়াং–এ চিনের ক্রিয়াকলাপ, বিশ্বব্যাপী দেশটির জবরদস্তিমূলক অবস্থান, এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় সংস্থা ও রাজনীতিবিদের উপর চিনা নিষেধাজ্ঞার মতো বিভিন্ন বিষয়ে বেজিংয়ের সমালোচনা করেছে। যাই হোক, এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিভিন্ন ধরনের জাতীয় স্বার্থের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে চিন সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ও বিস্তৃত নীতি প্রণয়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই যৌথ সফর একসুরে কথা বলে বার্তা দেওয়ার পরিবর্তে এই দ্বিধাগুলিকেই তুলে ধরেছে। প্রাথমিকভাবে এর কারণ, এই সফরটি ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডের লেইনের নেতৃত্বে একটি দৃঢ় ইইউ–র দিকে ইঙ্গিত করলেও তার অর্থ যে ঐক্যবদ্ধ ইইউ নয় তা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর দৃষ্টিভঙ্গিতেই দৃশ্যমান ছিল।

কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি, এবং কীভাবে ইইউ সামগ্রিকভাবে চিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চায়, সেই সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য এই সফরটি তুলে ধরেছে। এই সফর থেকে এটা স্পষ্ট যে, ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর পাশাপাশি চ্যান্সেলর স্কোলজের বেজিং সফরের সময় ইউক্রেন নিয়ে গঠনমূলক ফলাফল সীমিত হলেও এই সফরগুলি চিনকে নিশ্চিত করেছে যে ইউরোপীয়  ইউনিয়নের দুটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি বরাবরের মতোই ইইউ–এর অবস্থান নির্বিশেষে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, কারণ প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের বেজিংয়ের সঙ্গে নিজস্ব অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই চিনের প্রতি একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে পৌঁছনোর জন্য ইইউ–কে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলির জাতীয় স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে — যা লিথুয়ানিয়া ‌ও অন্য বাল্টিক দেশগুলিতে দৃশ্যমান কট্টরপন্থী নীতি থেকে জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো সদস্য রাষ্ট্রগুলির সমঝোতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পর্যন্ত প্রসারিত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.