Author : Don McLain Gill

Published on Jun 13, 2024 Updated 0 Hours ago

আসিয়ান ইন্দো-প্যাসিফিক প্রসঙ্গে একটি অপরিহার্য শক্তি হলেও ক্ষমতার রাজনীতির ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার কারণে এই অঞ্চলে উদীয়মান নিরাপত্তা পরিবর্তনের উপর আসিয়ান-এর প্রভাব প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আসিয়ান-এর ক্রমবর্ধমান দ্বিধা

ইন্দো-প্যাসিফিক নির্মাণের উত্থান এক দিকে শক্তি প্রতিযোগিতার তীব্রতা এবং অন্য দিকে অর্থনৈতিক সংযোগের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্মিলিত হয়েছে। এই ধরনের অশান্ত গতিশীলতা এই অঞ্চলের মধ্যম ও ক্ষুদ্র শক্তিগুলিকে আরও ক্ষমতা রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন লাভের জন্য কঠোর সংগ্রাম করতে বাধ্য করেছে। আঞ্চলিক শক্তিগুলির মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন অ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এই কৌশলগত দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

১৯৬৭ সালে আসিয়ান সৃষ্টির প্রাথমিক অনুঘটক ছিল সমন্বিত করা নয়, বরং ঠান্ডা লড়াইয়ের শক্তির গতিশীলতা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে সাম্যবাদের বিস্তারের মধ্যে এই জোটের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখা ও স্থিতিস্থাপকতা সুনিশ্চিত করা। যাই হোক, পূর্ববর্তী সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি এবং আসিয়ান-এর সদস্যপদ সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে শতাব্দী জুড়ে প্রত্যক্ষ করা হয়েছে যে, কী ভাবে ঐকমত্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অনানুষ্ঠানিক কূটনীতি, অ-হস্তক্ষেপ, সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ব্লকের কেন্দ্রীয়তা সংরক্ষণের মতো আসিয়ান-কেন্দ্রিক নিয়মগুলিকে প্রচার করে সমগ্র এশিয়া জুড়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি হিসাবে কাজ করার জন্য ব্লকটি সম্প্রদায়-নির্মাণে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে। এই ভাবে আসিয়ান-এর নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াগুলির সম্প্রসারণ এবং ট্রিটি অফ অ্যামিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন-এর (টিএসি) প্রতি প্রধান শক্তিগুলির ক্রমবর্ধমান আনুগত্য এমন একটি সময়ে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্বার্থের দেশগুলির জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাঠামো প্রদান করেছে, যখন উদীয়মান শক্তিগুলির মধ্যে অবিশ্বাস বিরাজ করছিল।

 

১৯৬৭ সালে আসিয়ান সৃষ্টির প্রাথমিক অনুঘটক ছিল সমন্বিত করা নয়, বরং ঠান্ডা লড়াইয়ের শক্তির গতিশীলতা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে সাম্যবাদের বিস্তারের মধ্যে এই জোটের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখা ও স্থিতিস্থাপকতা সুনিশ্চিত করা।

 

চিনা দৃঢ়তা বৃদ্ধি: ভূ-রাজনৈতিক চ্যালঞ্জের মাঝে পথ খুঁজে নেওয়া

পরবর্তী কালে সমসাময়িক ইন্দো-প্যাসিফিক ভূ-রাজনীতির প্রতিযোগিতামূলক প্রকৃতির কারণে এই আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাগুলির ভিত্তি নানাবিধ চাপের সম্মুখীন হয়েছে। বেশ কিছু কাঠামোগত কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিযোগিতা আসিয়ান সদস্য দেশগুলির উপর অব্যবহিত তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভৌগোলিক ভাবে মার্কিন প্রভাবের চিরাচরিত বলয় এবং চিনা শক্তির উদীয়মান অবস্থানের সংযোগস্থলে অবস্থিত। ২০০৮ সাল থেকে চিন দক্ষিণ চিন সাগরে তার সম্প্রসারণবাদী স্বার্থের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা স্থাপত্যের বিরুদ্ধে তার উস্কানি বাড়িয়ে চলেছে। এটি তার কম শক্তিশালী প্রতিবেশীদের সার্বভৌমত্ব সার্বভৌম অধিকারের মূল্যে বিতর্কিত সামুদ্রিক অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্য ভূগোলকে ক্রমশ পরিবর্তন করে চলেছেএই ভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এটি অনিবার্য ভাবে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ সম্প্রসারণবাদী আঞ্চলিক স্বার্থ ঠেকাতে মার্কিন প্রতিক্রিয়াকে অনুঘটক করে তুলেছে। এই প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও তাকে সুরক্ষিত করতে কোয়াড অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন (ইউকে) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপাক্ষিক জোট অউকাস-এর মতো সমমনস্ক গণতন্ত্রের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রসার ঘটিয়েছে। যাই হোক, এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং এটি বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিকের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য একটি হটস্পট তৈরি করেছে।

এটি আসিয়ান-এর জন্য দুটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, আসিয়ান-এর বহির্মুখী দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বাহ্যিক শক্তির অস্থিরতার মধ্যে স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন-চিন শক্তি প্রতিযোগিতার দ্বারা উদ্ভূত একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক কৌশলগত পরিবেশের মধ্যে আসিয়ান দেশগুলি নিজেদের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থগুলি অনুসরণ করেছে এবং নিজেদের সুরক্ষিত থাকা রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কথা লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, কী ভাবে আসিয়ান বিভিন্ন হুমকি ধারণা, স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতা-সহ গতিশীল দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, যার ফলে শক্তির প্রতিযোগিতায় নানাবিধ প্রতিক্রিয়া উঠে আসে। এই অঞ্চলে চিনা আধিপত্যের সম্ভাব্য ভারসাম্য হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিকে স্বাগত জানানো হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যভিত্তিক বৈদেশিক নীতির কারণে এবং ভৌগোলিক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূরে অবস্থিত হওয়ায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থেকেছে।

 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভৌগোলিক ভাবে মার্কিন প্রভাবের চিরাচরিত বলয় এবং চিনা শক্তির উদীয়মান অবস্থানের সংযোগস্থলে অবস্থিত।

 

অধিকন্তু, এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের সামরিক প্রাধান্য অনস্বীকার্য হলেও চিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের প্রভাব আরও গভীর করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে চিন আসিয়ান-এর শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে নিজের ভূমিকাকে শক্তিশালী করেছে। সর্বোপরি বেজিং হল কম্বোডিয়া লাওসের উন্নয়ন সহায়তার প্রধান উৎস, অন্য দিকে ইন্দোনেশিয়া হল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সুবিধাভোগী। তদুপরি, মায়ানমারে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে চিন তার স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং এই অঞ্চলে পূর্বের ভূ-কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতার কারণে তার প্রভাবকে শক্তিশালী করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে।

তাই যখন বেজিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, তখন আসিয়ান দেশগুলি তাদের কার্যকলাপগুলি ব্লক রাজনীতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ… এ হেন ভুল ধারণা এড়াতে স্পষ্টতই চিনের বিরুদ্ধে পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকছে। কারণ কোনও দেশই চিনের ভৌগোলিক নৈকট্যের সুবিধা ও দক্ষিণ চিন সাগর গ্রে-জোন কার্যকলাপ চালানো এবং অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ করার কলঙ্কিত চিনা ইতিহাস ভুলে যায়নি। এমনকি ভিয়েতনাম অতি সম্প্রতি ফিলিপাইনের মতো দেশগুলির জন্য - যারা বিতর্কিত সামুদ্রিক অঞ্চলে চিনা একতরফাবাদের বিরুদ্ধে তাদের বিরোধিতা সম্পর্কে যথেষ্ট সরব ছিল - হ্যানয় এবং ম্যানিলা মার্কিন-চিন শক্তি প্রতিযোগিতা বিপরীতে একটি প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রাখার জন্য বিচক্ষণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

 

আসিয়ান-এর বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস: চ্যালেঞ্জের মুখে আঞ্চলিক নেতৃত্ব এবং ঐক্য

যেহেতু আসিয়ান দেশগুলি রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে এবং মার্কিন-চিন শক্তি প্রতিযোগিতার তীব্রতার মধ্যে বেঁচে থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, তাই তাদের পক্ষে অস্বীকার করার কৌশল আরও কার্যকর ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যাবশ্যক হবে, যা তাৎক্ষণিক বৃহৎ শক্তিগুলিকে আঞ্চলিক বিষয়ে একচেটিয়া অধিকার অর্জন থেকে বাধা দেয়। অঞ্চলের দেশগুলি কৌশলগত বাফার হিসাবে কাজ করার জন্য অন্যান্য প্রধান শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর জন্য অংশীদার বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন-চিন কৌশলগত প্রতিযোগিতার ছায়ার পরিবর্তে স্বাধীন শক্তি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয় হেন উদীয়মান শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির বিদেশনীতি পুনর্নির্মাণের গুরুতর প্রয়োজন হবে সেই অনুসারে, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এবং ভারত, ফ্রান্স এবং জাপানের মতো অন্য ইন্দো-প্যাসিফিক শক্তিগুলির মধ্যে এই বিষয়ে ইতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে

 

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াগুলির দীর্ঘমেয়াদি  সাফল্য ব্লকের সংহতি বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এর আলোচক অংশীদারদের ক্ষমতার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।

 

দ্বিতীয়ত, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্তির মেরুকরণ যেমন গভীরতর হচ্ছে, তেমনই আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার স্থিতিস্থাপকতা এবং কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রান্তিক হয়ে ওঠার ঝুঁকি উপলব্ধি করে আসিয়ান অবশেষে ২০১৯ সালে আসিয়ান আউটলুক অন ইন্দো-প্যাসিফিক (এওআইপি) গ্রহণ করে আঞ্চলিক বহুপাক্ষিকতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আসিয়ান-এর নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলির অব্যাহত গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। যাই হোক, আসিয়ান-এর কৌশলগত অভিধানে ইন্দো-প্যাসিফিককে অন্তর্ভুক্ত করা ব্লকের জন্য সঠিক অভিমুখে একটি পদক্ষেপ হলেও বাস্তবে এওআইপি কার্যকর করার ক্ষেত্রে এর অসুবিধা আরও উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াগুলির দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য ব্লকের সংহতি বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এর আলোচক অংশীদারদের ক্ষমতার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।

আসিয়ান রিজিওনাল ফোরাম (এআরএফ) এবং ইস্ট এশিয়া সামিট-এর (ইএএস) মতো প্রতিষ্ঠানগুলি সমসাময়িক ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য প্রাসঙ্গিক উপায় হয়ে উঠলেও এই অঞ্চলে শক্তির মেরুকরণের গতিশীলতা সম্ভাব্য বিশ্বাসযোগ্যতার সমস্যাগুলিকে অস্বীকার করার কাজটিকে কঠিন করে তুলেছেএটি মূলত আসিয়ান-এর অভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধতার কারণে, বিশেষ করে মায়ানমার এবং দক্ষিণ চিন সাগরে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণে বাধা দেয়। এটি নতুন না হলেও এর সদস্যদের বিভিন্ন স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে সমস্ত বৃহৎ শক্তিকে নিযুক্ত রাখার জন্য আসিয়ান-এর পক্ষে বর্তমানে নানাবিধ ঝুঁকি বিদ্যমান।

 

তাই, আসিয়ান ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক একটি অপরিহার্য শক্তি হলেও ক্ষমতার রাজনীতির প্রতি ব্লকের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার কারণে এবং এর সদস্যদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও সংহতির প্রয়োজনের কারণে এই অঞ্চলে উদীয়মান নিরাপত্তা পরিবর্তনের উপর এর প্রভাব প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অতএব, উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে আসিয়ান-এর কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক সংস্কার বিবেচনা করা আবশ্যক। একই সময়ে, এর সদস্যদের অবশ্যই বৃহত্তর কৌশলগত নমনীয়তা সুনিশ্চিত করতে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ বিদেশনীতি অনুসরণ করতে হবে।

 


ডন ম্যাকলেন গিল ফিলিপিন্সভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ক বিশ্লেষক, লেখক এবং দে লা সাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Don McLain Gill

Don McLain Gill

Don McLain Gill is a Philippines-based geopolitical analyst author and lecturer at the Department of International Studies De La Salle University (DLSU). ...

Read More +