Published on Dec 14, 2024 Updated 0 Hours ago

রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বর্তমান চিন-রাশিয়া কোস্ট গার্ড মহড়া এবং তাদের আর্কটিক টহল এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভাগ করা কৌশলের অংশ।

চিন ও রাশিয়ার মধ্যে আর্কটিক অঞ্চলে একটি বিকাশমান অংশীদারি

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ চিনা উপকূলরক্ষী জাহাজ ও রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের বর্ডার সার্ভিস জাহাজ রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কাছে পিটার দ্য গ্রেট উপসাগরে 'প্যাসিফিক প্যাট্রোল ২০২৪' নামে যৌথ নৌ-‌মহড়া পরিচালনা করে। পাঁচ দিনের অনুশীলনের পর, উভয় ফ্লোটিলা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, বেরিং সাগর, চুকচি সাগর ও আর্কটিক (‌উত্তর মেরু)‌ মহাসাগরে ৩৫ দিন টহল দিয়ে তাদের মিশন প্রসারিত করে। এর আগে, সহযোগিতার অনুরূপ উদাহরণ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেখা গিয়েছিল, যখন চারটি চিনা ও রাশিয়ান কৌশলগত বোমারু বিমান আলাস্কার কাছে টহল দিয়েছিল, যার জন্য মার্কিন বিমান তাদের বাধা দিতে আকাশে উড়েছিল।


যদিও রাশিয়া ও চিন প্রায়শই প্রশান্ত মহাসাগর বা সংলগ্ন সমুদ্রে যৌথ সামরিক মহড়া করেছে, আর্কটিকের এই সাম্প্রতিক টহলগুলি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি স্বতন্ত্র পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। 



যদিও রাশিয়া ও চিন প্রায়শই প্রশান্ত মহাসাগর বা সংলগ্ন সমুদ্রে যৌথ সামরিক মহড়া করেছে, আর্কটিকের এই সাম্প্রতিক টহলগুলি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি স্বতন্ত্র পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। আর্কটিক রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত অগ্রাধিকার, যেখানে চিনের প্রাথমিক আগ্রহ প্রশান্ত মহাসাগরে এবং একটি গৌণ মনোযোগ রয়েছে আর্কটিকের উপর। অতএব, এই গবেষণাপত্রটি রাশিয়ার সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং আর্কটিকে উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করার জন্য চিনের বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলি অনুসন্ধান করে।

আর্কটিক এবং এর রুশ সংযোগ

জারদের আমল থেকে আর্কটিক রাশিয়ার জাতীয় চেতনায় গভীরভাবে গ্রথিত রয়েছে, এবং এটি ঠান্ডা যুদ্ধের সময় মহাশক্তিগুলির মধ্যে একটি কৌশলগত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। যাই হোক, একবার ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হলে, উভয় মহাশক্তি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়া, নতুন বাণিজ্য পথ খোলা, এবং এই অঞ্চলে তেল, গ্যাস ও খনিজের সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদ, আর সেই সঙ্গে পর্যটন ও জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা চিন ও অন্য নন-আর্কটিক রাষ্ট্রগুলিসহ বিশ্বব্যাপী আর্কটিক নিয়ে আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করেছে।

২০০৭ সালে, ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি (ইউএনক্লজ)  তার দাবি প্রত্যাখ্যান করার পর, নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চিহ্নিত করার জন্য রাশিয়া একটি পারমাণবিক আইসব্রেকার ও দুটি মিনি-সাবমেরিন পাঠিয়েছিল এবং লোমনোসভ রিজে আর্কটিক সমুদ্রতটে একটি
টাইটানিয়াম রাশিয়ান পতাকা লাগিয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল নিজের ১.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক অঞ্চল চিহ্নিত করা। তারপরে, রাশিয়া তার আর্কটিক অঞ্চলের উন্নয়নে এবং এই অঞ্চলের উপর সার্বভৌমত্ব জাহির করতে, তার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে, এবং একটি বৃহৎ শক্তি হিসাবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য, উত্তর সাগর রুট খোলার দিকে মনোনিবেশ করেছে


পুনরায় তৈরি করা যৌথ কৌশলগত কমান্ড উত্তর রাশিয়ার আর্কটিক বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে রয়েছে মেরু ট্যাঙ্ক, বোরি-শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিন, কৌশলগত বোমারু বিমান, গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধজাহাজ এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনী।



তার উপর, রাশিয়া ২০০৭ সাল থেকে আর্কটিকে তার
নৌ, সামরিক এবং বাণিজ্যিক উপস্থিতি যথেষ্ট জোরদার করেছে। পুনরায় তৈরি করা যৌথ কৌশলগত কমান্ড উত্তর রাশিয়ার আর্কটিক বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে রয়েছে মেরু ট্যাঙ্ক, বোরি-শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিন, কৌশলগত বোমারু বিমান, গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধজাহাজ এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনী। রাশিয়ার কাছে বিশ্বের বৃহত্তম আইসব্রেকার বহর রয়েছে, বিশেষ করে আর্কটিকা-শ্রেণির জাহাজ। এই  সামরিক সক্ষমতা ৫৪৫টি সামরিক সুবিধাসহ বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি, ভাসমান  পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস রিগ, শক্তি টার্মিনাল, এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুট দ্বারা সমর্থিত। এই দুটি শিপিং রুট হল উত্তর সাগর রুট, যা সুয়েজ খালের তুলনায় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে দূরত্বকে কমিয়ে দেয় (২০,০০০ কিমি-‌র জায়গায় ১৩,০০০ কিমি), এবং উত্তর-পশ্চিম প্যাসেজ। তবে উভয় রুটে নেভিগেশন একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার প্রথম-প্রবর্তক সুবিধা এবং এর ভৌগোলিক নৈকট্য আর্কটিকের কাছাকাছি আধিপত্য অর্জনে সহায়তা করেছে, যদিও পশ্চিমী শক্তিগুলি সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করছে।


ন্যাটো ও আর্কটিক-‌এর পুনরায় সামরিকীকরণ

যদিও রাশিয়ার আর্কটিকে পতাকা রাখা পশ্চিমে উদ্বেগ তৈরি করেছে, অভ্যন্তরীণ বিভেদের কারণে, বিশেষ করে কানাডা ও আইসল্যান্ডের মধ্যে, একটি যৌথ প্রতিক্রিয়া তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। যাই হোক, বছরের পর বছর ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো আরও সক্রিয় পন্থা গ্রহণ করেছে। ২০২২ সালে এবং আবার ২০২৪ সালে মার্কিন সরকার এই অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করার জন্য তার মিত্রদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তার স্বার্থগুলিকে আরও ভালভাবে রক্ষা করার জন্য নিজের
আর্কটিক কৌশল উন্নত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলাস্কায় পাঁচটি এবং গ্রিনল্যান্ডে একটি সামরিক ঘাঁটি পুনর্গঠিত করেছে, উন্নত যোদ্ধা এবং বিমান পরিবহণ সম্পদ মোতায়েন করেছে, এবং তার ১১ তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনকে পুনর্নির্মাণ করেছে। উপরন্তু, ইউএস কংগ্রেস আর্কটিক সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ বিল পাস করেছে এবং উত্তরে মার্কিন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি বাজেট তৈরি করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলাস্কায় পাঁচটি এবং গ্রিনল্যান্ডে একটি সামরিক ঘাঁটি পুনর্গঠিত করেছে, উন্নত যোদ্ধা এবং বিমান পরিবহণ সম্পদ মোতায়েন করেছে, এবং তার ১১ তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনকে পুনর্নির্মাণ করেছে।



অন্য ন্যাটো সদস্যরা এই প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছে। যুক্তরাজ্য (‌ইউকে)‌ একাধিক
আর্কটিক নীতি কাঠামোর বাস্তবায়ন করেছে এবং কমান্ডো সেনা তৈরি করেছে, আর ফ্রান্সের ২০৩০ সালের জন্য মেরু কৌশল হিসাবে তার সাবমেরিন ও জাহাজগুলি আর্কটিক পরিদর্শন করেছে। আর্কটিকে তাদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নর্ডিক দেশগুলো তাদের নৌ ও সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

পাশাপাশি, ন্যাটো সদস্যরা
কোল্ড রেসপন্স ২০২২, ইমিডিয়েট রেসপন্স ২০২৪, আর্কটিক এজ ২০২৪, আইস ক্যাম্প ২০২৪ এবং নর্ডিক রেসপন্স ২০২৪-‌সহ আর্কটিকে একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে৷ রাশিয়া ও চিন এই ঘটনাগুলিকে এই অঞ্চলে ন্যাটোর বিশ্বাসযোগ্যতা ও সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসাবে দেখে ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে আর্কটিক

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, রাশিয়া বাদে আর্কটিক কাউন্সিলের সাত সদস্য রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা করে এবং কাউন্সিলে রাশিয়ার চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যান করে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে। রাশিয়া, প্রতিক্রিয়া হিসাবে, নর্দার্ন ডাইমেনশন ও
ব্যারেন্টস সি ইউরো-আর্কটিক কাউন্সিল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আর্কটিকের যৌথ ব্যবস্থাপনার সমস্ত উপায়কে অকার্যকর করে তোলে। বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক প্রকল্পে বিনিয়োগ, শিপিং রুট, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং নিরাপত্তা ও জরুরি প্রতিক্রিয়া সহযোগিতা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক প্রকল্পে বিনিয়োগ, শিপিং রুট, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং নিরাপত্তা ও জরুরি প্রতিক্রিয়া সহযোগিতা সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



আর্কটিক পরিচালনব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে যাওয়ার ফলে রাশিয়া ও পশ্চিমী শক্তি উভয়ই আধিপত্যের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই অঞ্চলের সামরিকীকরণকে প্ররোচিত করেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রবেশ যথাক্রমে আর্কটিকের তিনটি প্রধান ব্লকের মধ্যে — মার্কিন ব্লক, রাশিয়ান ব্লক ও নিরপেক্ষ নর্ডিক ব্লক — ভারসাম্য বদলে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নর্ডিক ব্লকের একীভূতকরণ আর্কটিক অঞ্চলে ন্যাটোর আধিপত্য শক্তিশালী করেছে, এবং রাশিয়ার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে এখন এই অঞ্চলে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে চিনের সঙ্গে সারিবদ্ধ হচ্ছে। এছাড়াও, আর্কটিক শাসন থেকে রাশিয়াকে বাদ দিয়ে একটি ‘নর্ডিক+’ মডেল প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা রাশিয়াকে বিকল্প ব্যবস্থাপনা মডেল তৈরি করতে এবং পশ্চিমী উদ্দেশ্যগুলিকে ব্যাহত করতে চিনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আর্কটিক অঞ্চলে চিনের স্বার্থ

চিন ২০১৩ সালে আর্কটিক কাউন্সিলে একটি পর্যবেক্ষক হয়ে ওঠে এবং এই অঞ্চল থেকে ৯০০ মাইল দূরে থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একটি 'নিকট-আর্কটিক রাষ্ট্র' বলে মনে করে। সেই সঙ্গেই চিন
আর্কটিকের পরিচালনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আঞ্চলিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, এবং এর সামরিকীকরণের বিরোধিতা করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে।

যাই হোক, চিন তার আর্কটিক কৌশলে
চারটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমত, দেশটিকে একটি বৈধ আর্কটিক শক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দেশটিকে অবশ্যই রাশিয়া এবং অন্য আর্কটিক দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার উপায় খুঁজে পেতে হবে। তৃতীয়ত, আর্কটিক বিষয়ে চিনের অতি-‌আগ্রাসন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ তৈরি করবে। অবশেষে, রাশিয়ার সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব মার্কিন-চিন উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এই দ্বন্দ্বগুলি চিনের কাছে জটিল চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে, যা তারা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে আগ্রহী। এই বিষয়টি এই অঞ্চলে তার সতর্কতার কারণ ব্যাখ্যা করে।


আর্কটিক চিনের জন্য মূল্যবান, কারণ সেখানে জ্বালানি আমদানিতে বিনিয়োগ এবং তা সুরক্ষিত করা দ্রুততর ও সস্তা হবে, এবং এর মালাক্কা দ্বিধা দূর করবে।



তবুও, আর্কটিক চিনের জন্য মূল্যবান, কারণ সেখানে জ্বালানি আমদানিতে বিনিয়োগ এবং তা সুরক্ষিত করা দ্রুততর ও সস্তা হবে, এবং এর
মালাক্কা দ্বিধা দূর করবে
। উপরন্তু, আর্কটিক শিপিং রুট বিকাশের জন্য যথেষ্ট বিনিয়োগ প্রয়োজন। প্রত্যাশিত হিসাবে, রাশিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে রুট খোলা ও রক্ষণাবেক্ষণে চিনা বিনিয়োগ এবং সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে। চিনও 'আইস সিল্ক রোড'-এর ব্যানারে একে তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

উপসংহার

জারুবিনো বন্দর, আরখানগেলস্ক গভীর-জল বন্দর, এবং সম্ভবত সাইবেরিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে আরখানগেলস্ককে সংযোগকারী একটি রেলপথের মতো প্রকল্পগুলি-‌সহ আর্কটিক অঞ্চলে যথেষ্ট চিনা উন্নয়ন প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে। তার বিনিয়োগ, শক্তি সম্পদ এবং শিপিং রুট রক্ষা করার জন্য চিন রাশিয়ার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে তার সামরিক সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি করেছে। ভস্টক ২০১৮ অনুশীলনটি রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন অভিযানে প্রথম বড় আকারের চিনা অংশগ্রহণকে চিহ্নিত করেছিল, এবং তারপর থেকে বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিসরজুড়ে যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে।

রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বর্তমান চিন-রাশিয়া কোস্ট গার্ড মহড়া এবং তাদের আর্কটিক টহলও এই অনুশীলন সিরিজের একটি অংশ, যেখানে উভয় দেশ এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সহযোগিতা করেছে এবং কৌশল ভাগ করেছে। তবুও, চিন ইচ্ছাকৃতভাবে আর্কটিকের সামরিকীকরণে তার আগ্রহকে সীমিত রেখেছে, এবং তার উপকূলরক্ষীদের দ্বারা আইন প্রয়োগকারী টহলের মাধ্যমে একটি নিম্ন মাপের উপস্থিতি রাখার পথ বেছে নিয়েছে। রাশিয়ার জন্য চিন আর্কটিক অঞ্চলে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ কিন্তু বিপদের কারণ হবে না এমন এক জুনিয়র অংশীদার হিসাবে কাজ করে, যা এর প্রাধান্য এবং আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ না করেই মূল প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাদের যৌথ সামরিক মহড়া ও কৌশলগত বোমারু বিমান টহল তাদের বর্তমান পারস্পরিক স্বার্থকে উপকৃত ও পূরিত করে।



অতুল কুমার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো

সায়ন্তন হালদার ওআরএফ-‌এর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন গবেষণা সহকারী

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Atul Kumar

Atul Kumar

Atul Kumar is a Fellow in Strategic Studies Programme at ORF. His research focuses on national security issues in Asia, China's expeditionary military capabilities, military ...

Read More +
Sayantan Haldar

Sayantan Haldar

Sayantan Haldar is a Research Assistant at ORF’s Strategic Studies Programme. At ORF, Sayantan’s research focuses on Maritime Studies. He is interested in questions of ...

Read More +