Published on Oct 05, 2023 Updated 0 Hours ago

শীতলকরণ এবং অন্যান্য শক্তি পরিষেবার জন্য দরিদ্র জনগণের শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি কি তাদের একটি উষ্ণ বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে, না বিশ্বকে উষ্ণতর করায় অবদান রাখবে?

ভারতে এয়ার–কন্ডিশনার ব্যবহার: বিশ্বের উষ্ণ‌তা বৃদ্ধির কারণ না সমাধান?

এই নিবন্ধটি ‘‌কম্প্রিহেনসিভ এনার্জি মনিটর: ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য ওয়র্ল্ড’‌ সিরিজের অংশ


শীতকালে উষ্ণ ও গ্রীষ্মে ঠাণ্ডা থাকা শুধু আরামের বিষয় নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। ভারতে বার্ষিক কমপক্ষে ২০০০ মানুষের মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসাবে তাপ পীড়ন (‌হিট স্ট্রেস)–কে দায়ী‌ করা হয়। জনসংখ্যা, নগরায়ণ, আয় ও গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ভারতে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে তাপ পীড়নজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার সংখ্যা তুলনায় কম হয়েছে। যাই হোক, এসিগুলি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করে এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) ব্যবহার করে যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাথমিক কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমনে অবদান রাখে। এই দ্বন্দ্বটি জলবায়ু সম্পর্কিত সবচেয়ে মৌলিক ও বিতর্কিত চ্যালেঞ্জকে তুলে ধরে: শীতলকরণ এবং অন্যান্য শক্তি পরিষেবার জন্য দরিদ্র জনগণের শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি কি তাদের একটি উষ্ণ বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে, না বিশ্বকে উষ্ণতর করায় অবদান রাখবে? অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংক্রান্ত লেখালিখিতে বারবার যা হলা হচ্ছে তা হল দক্ষ শীতলকরণ প্রযুক্তি জিএইচজি নির্গমন না–বাড়িয়ে এসির ব্যবহার বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।

স্টাইলাইজড ঘটনা
২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী বাসগৃহ এসির মালিকানা প্রায় ২.২ বিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ২০১০ সালের এসি–ব্যবহারকারী পরিবারের অনুপাত প্রায় ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২১ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মোট এসি বসানোর ৬৮ শতাংশের জন্য পরিবারগুলির অবদান রয়েছে। ২০২০–২১ সালে স্পেস কুলিং এনার্জি খরচ (এসি, ফ্যান, কুলার ইত্যাদির শক্তি খরচ সহ) ৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্য যে কোনও বিল্ডিং অ্যান্ড ইউজ এনার্জির বৃদ্ধির চেয়ে বেশি। স্পেস কুলিং এনার্জি খরচ ১৯৯০ সালের থেকে তিনগুণ বেড়েছে এবং ২০০০ সালের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী, এসি প্রতি বছর ২০০০ টেরাওয়াট ঘণ্টার (টিডব্লিউএইচ) বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, যা ২০২১ সালে ভারতের উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের চেয়ে বেশি এবং সেই বছর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৭ শতাংশ। স্পেস কুলিং থেকে সিওটু (কার্বন ডাইঅক্সাইড) নির্গমন ১৯৯০ সাল থেকে তিনগুণ বেড়ে ১ জিটিসিওটু (গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড) হয়েছে, যা জাপানের মোট সিওটু নির্গমনের সমতুল্য। অনুমান অনুসারে ভবিষ্যতে তাপমাত্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির ফলে স্পেস কুলিংয়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

চিন বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ  রুম এসি উৎপাদন করে, যা বিশ্বব্যাপী স্থাপিত শীতলকরণ ক্ষমতার প্রায় ২২ শতাংশ। ২০০০ সাল থেকে এসি বিক্রয় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং তা বিশ্বব্যাপী বিক্রয়ের প্রায় ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। চিন গত দুই দশকে বিল্ডিংগুলি শীতল করার জন্য শক্তির চাহিদায় বিশ্বব্যাপী দ্রুততম বৃদ্ধি দেখেছে:‌ ২০০০ সাল থেকে বছরে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অতিমা্রির আগে প্রায় ৪০০ টেরাওয়াট–ঘণ্টা (টিড্বলিউএইচ) বিদ্যুৎ খরচে পৌঁছেছে। তবে গত দশকে চিনে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ইউনিট বিক্রি হলেও ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় এসি–র আপেক্ষিক  চাহিদা আরও দ্রুত বেড়েছে, ভারতে ১৫ শতাংশের বেশি এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ শতাংশ হারে বার্ষিক গড় ইনস্টলেশন বৃদ্ধি পেয়েছে। চিন ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে স্পেস কুলিংয়ের জন্য শক্তির ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির জন্য অবদান রাখবে বলে অনুমান করা হয়েছে। তবে, ভারত এখনও তার জনগণকে তাপের পীড়ন থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে চিনের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে ভারতে তাপ পীড়নের এক্সপোজার ১০০ শতাংশ, যেখানে চিনে তা ২০ শতাংশের কম ।

গবেষকেরা এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে এখন থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র রুম এসি–র অবদান হবে ১৩০ জিটিসিওটু। এটি বিশ্বের অবশিষ্ট ‘‌কার্বন বাজেটের ’‌ (বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রাক–শিল্প স্তরের ২˚ সেন্টিগ্রেডের উপরের মধ্যে বেঁধে রাখার জন্য আমরা সর্বাধিক যে পরিমাণ সিওটু নির্গত করতে পারি) ২০–৪০ শতাংশ খরচ করে দেওয়ার জন্য দায়ী হবে। বিশ্বের অনেক অংশে গত কয়েক বছরে রেকর্ড–উচ্চ তাপমাত্রার অভিজ্ঞতা হয়েছে, এবং ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী শীতল ডিগ্রি দিনের গড় সংখ্যা বা কুলিং ডিগ্রি ডে’‌জ (সিডিডি), একটি দিনের গড় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের যত সংখ্যক ডিগ্রি উপরে থাকে) ছিল ২০০০ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।


‌সূত্র: এমওইএফঅ্যান্ডসিসি, ২০১৮। ইন্ডিয়া কুলিং অ্যাকশন প্ল্যান (‌খসড়া)‌

স্পেস কুলিংয়ের বৈষম্য

বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত দরিদ্রতম দেশগুলির কাছে স্পেস কুলিংয়ের প্রযুক্তির সর্বনিম্ন অংশীদারিত্ব থাকায় বিশ্বজুড়ে স্পেস কুলিংয়ের সুযোগের ক্ষেত্রে বিশাল বৈষম্য রয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশের মধ্যে যে সমস্ত দেশে প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে, তাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের কাছে একটি এসি ইউনিট রয়েছে। ভারত, যেখানে ৩০০০–এরও বেশি সিডিডি আছে, স্পেস কুলিংয়ের জন্য সেখানে মাত্র ৭০ কিলোওয়াট ঘণ্টা (কেডব্লিউএইচ) খরচ হয়;‌ অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়াতে ৮০০ কেড্বলিউএইচ খরচ হয়, যদিও যেখানে মাত্র ৭৫৯ সিডিডি আছে। এই বৈষম্য মূলত ভারতে এসি ব্যবহার সাশ্রয়ী না–হওয়ার কারণে। বর্তমানে, ১০ শতাংশেরও কম ভারতীয় পরিবারের এসি রয়েছে, তবে চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। অধ্যয়নগুলি দেখায় যে সম্পদ ও এসি ব্যবহারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জলবায়ু ও এসি ব্যবহারের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের চেয়ে শক্তিশালী।


সূত্র: দ্য ফিউচার অফ এয়ার-কন্ডিশনিং, এক্সিকিউটিভ ব্রিফিং, এনারড‌আটা, ২০১৯

দক্ষতা

বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গেসঙ্গে ভারতে এবং অন্যত্র এসি ব্যবহার বিলাসিতা থেকে প্রয়োজনীয়তা হয়ে উঠতে পারে। স্পেস কুলিংয়ের প্রয়োজনীয়তার বেশিরভাগ বিশদ বিশ্লেষণ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে প্রযুক্তিই এসি সিস্টেমের দক্ষতা উন্নত করে বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ফলস্বরূপ জিএইচজি নির্গমনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার সমাধান এনে দিতে পারে। ভারতীয় বাজারের খরচ–সংবেদনশীল প্রকৃতির কারণে ভারতে এসি–র গড় কার্যক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলির অনেকগুলি পরামর্শের মধ্যে আছে এসি–র জন্য কঠোর দক্ষতার মান প্রয়োগ করা এবং দক্ষ এসি কেনার প্রণোদনা দেওয়া৷ উন্নত বিল্ডিং ডিজাইন, বর্ধিত পুনর্নবীকরণযোগ্য সংযুক্তি এবং স্মার্ট কন্ট্রোল হল অন্যান্য ব্যবস্থা, যা স্পেস কুলিংয়ে শক্তি ব্যবহার ও নির্গমন কমাতে পারে, এবং সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ক্ষমতা সংযোজন সীমিত করতে পারে।

অন্য সমাধানগুলি যা সাধারণত সুপারিশ করা হয় সেগুলি হল ন্যূনতম শক্তি কর্মক্ষমতা মান এমনভাবে বৃদ্ধি করা যাতে তা সর্বোত্তম শ্রেণীর এসি–র কাছাকাছি হয়, যেগুলি সাধারণত বাজারের আদর্শের তুলনায় দ্বিগুণ দক্ষ। সরকারি ক্রয় সংস্থা এবং বড় বেসরকারি ক্ষেত্রের ক্রেতারা (যেমন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার) যদি বাজারের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখান এবং অতি–দক্ষ এসিগুলির জন্য বাল্ক প্রকিউরমেন্ট প্রোগ্রামের আকারে তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে কাজে লাগান, তবে তা হবে একটি কার্যকর সমাধান। সহজ অর্থায়ন সমাধানগুলি মানুষকে আরও দক্ষ এসি কিনতে উৎসাহিত করতে পারে। সম্মুখদৃষ্টিসম্পন্ন বিতরণ সংস্থাগুলি (ডিসকম) ‘অন–বিল’ অর্থায়ন প্রদান করতে পারে, যা ভোক্তাদের তাদের বিদ্যুৎ বিল এবং কিস্তিতে শক্তি–দক্ষ যন্ত্রপাতিগুলির জন্য অর্থ প্রদান করার সুযোগ দিয়ে তাদের কার্যকরভাবে প্রথম দিন থেকেই নগদ সঞ্চয় উপলব্ধি করতে সক্ষম করে৷

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে বেশিরভাগ এসি ইউনিটের কেন্দ্রস্থলে থাকা কম্প্রেসার প্রযুক্তি তার তাত্ত্বিক সর্বাধিক দক্ষতার মাত্র ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে (বেশিরভাগ এসি ইউনিটে ছয়–আট শতাংশ)। এটি সৌর প্যানেলের, যা তাদের তাত্ত্বিক দক্ষতার সম্ভাবনার ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, এবং এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড)–র, যা তার তাত্ত্বিক দক্ষতার ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে, তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। যেহেতু ভোক্তারা মূল্য, ব্র্যান্ড, ও দেখতে কেমন সেই বিষয়গুলিকে অন্য যে কোনও কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন, এবং নিয়ামকেরা দক্ষতার মানগুলির উপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়, তাই এসি নির্মাতারা সাধারণত গবেষণা ও উন্নয়নের চেয়ে বিজ্ঞাপন ও নান্দনিকতার জন্য বেশি ব্যয় করে।

ইস্যু
এমনকি তাত্ত্বিকভাবে সমস্ত সম্ভাব্য দক্ষতা অর্জন করা গেলেও এসি–র ব্যবহার ধনী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী শ্রেণির বিশেষাধিকার হিসাবেই থাকবে। ভারতে জনসংখ্যার সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশের  জনপ্রতি কার্বন নির্গমন হল ০.৯ টন সিওটু সমতুল্য (টিসিওটু–ইকিউ), মধ্যবর্তী ৪০ শতাংশের জন্য ১.২ টিসিওটু–ইকিউ , আর শীর্ষ ১০ শতাংশের জন্য ৯.৬ টিসিওটু–ইকিউ। ভারতের একটি সাধারণ ধনী পরিবারের অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের তুলনায় একটি এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, এবং তা শীর্ষ ১০ শতাংশের সিওটু নির্গমনের একটি বড় অংশের জন্য দায়ী৷ এর অর্থ হল দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি, যারা সিওটু নির্গমনে (এসি ও অন্যান্য শক্তিনিবিড় ডিভাইস থেকে) নগণ্য অবদান রাখে, তারা সম্ভবত তাপের পীড়নে সবচেয়ে বেশি ভোগে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বৃহত্তর চ্যালেঞ্জের একটি ক্ষুদ্রমাত্রিক প্রতিফলন: ধনীরা কার্বন গ্রহণ করে এবং নির্গত করে এবং দরিদ্ররা অস্বস্তি ও পরিণতি ভোগ করে।

হোমার সিম্পসন অ্যালকোহলের প্রসঙ্গে যেমন বলেছেন (জীবনের সমস্যার কারণ এবং সমাধান উভয় হিসাবে), এসি ব্যবহার উষ্ণতা বৃদ্ধির একটি কারণ এবং সমাধান উভয়ই হতে পারে। ধনীরা সমস্যা বাড়াতেই থাকবে, এবং তারাই সমাধানগুলি উৎপাদন ও ব্যবহার করবে।


সূত্র: দ্য ফিউচার অফ এয়ার কন্ডিশনিং, এক্সিকিউটিভ ব্রিফিং, এনারডেটা, ‌২০১৯


লিডিয়া পাওয়েল অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডিস্টিংগুইশড ফেলো।

অখিলেশ সতী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন প্রোগ্রাম ম্যানেজার।

বিনোদ কুমার তোমর অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Akhilesh Sati

Akhilesh Sati

Akhilesh Sati is a Programme Manager working under ORFs Energy Initiative for more than fifteen years. With Statistics as academic background his core area of ...

Read More +
Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar, Assistant Manager, Energy and Climate Change Content Development of the Energy News Monitor Energy and Climate Change. Member of the Energy News Monitor production ...

Read More +
Lydia Powell

Lydia Powell

Ms Powell has been with the ORF Centre for Resources Management for over eight years working on policy issues in Energy and Climate Change. Her ...

Read More +