-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
আফগান শরণার্থীরা ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ মার্কিন ত্রাণ হ্রাস ও বিধিনিষেধমূলক নীতি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান ভয়াবহ সঙ্কটের উপর আরও চাপ তৈরি করছে।
২০২১ সালের অগস্ট মাসে তালিবানদের হাতে কাবুলের পতনের দরুন আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এক নাটকীয় বাঁকবদল সূচিত হয়, যা শতাব্দীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কটের সূত্রপাত করে। লক্ষ লক্ষ আফগান নির্যাতন ও অর্থনৈতিক অবস্থার পতনের ভয়ে পাকিস্তান ও ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে যেতে শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত কারণগুলির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অভাবের দরুন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রায় ২২.৯ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন, যা ২০২০ সালের ৯.৪ মিলিয়ন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও এই সঙ্কটের প্রভাব শরণার্থীদের ঊর্ধ্বে উঠেও বিস্তৃত এবং তা আঞ্চলিক গতিশীলতাকে পুনর্গঠন করে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বা ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করে।
সাম্প্রতিক এই বৃদ্ধি দেশগুলির ভঙ্গুর অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থাকে মারাত্মক ভাবে চাপে ফেলেছে, যা ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ভারাক্রান্ত।
প্রতিবেশী দেশগুলির উপর চাপ
আফগানদের ব্যাপক প্রত্যাবাসন পাকিস্তান ও ইরানের উপর অভূতপূর্ব চাপ সৃষ্টি করেছে, যেখানে বর্তমানে ৫০ লক্ষেরও বেশি আফগান শরণার্থী বাস করেন। কয়েক দশক ধরে সংঘাতের কারণে এই দেশগুলি চিরাচরিত ভাবে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক এই বৃদ্ধি দেশগুলির ভঙ্গুর অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থাকে মারাত্মক ভাবে চাপে ফেলেছে, যা ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের দ্বারা ভারাক্রান্ত। আর্থিক চাপ ও কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে ইরান ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ২০ লক্ষ আফগানকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কমপক্ষে ৮০০,০০০ আফগানকে বহিষ্কার করেছে। এই দুই দেশ ছাড়াও আফগান শরণার্থীদের ছোট ছোট দল তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও অন্যান্য দেশে আশ্রয় চেয়েছে। তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ইউরোপে আফগান নাগরিকদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আসলে দর্শায় যে, আফগানরা নিজেদের মাতৃভূমির বাইরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা খুঁজছে বলে অভিবাসনের ধরনও বদলাচ্ছে।
দেশ |
আফগান শরণার্থীদের আনুমানিক সংখ্যা |
মূল্যায়ন |
ইরান |
৩.৮ মিলিয়ন |
|
পাকিস্তান |
১.৩৫ মিলিয়ন |
নিবন্ধিত শরণার্থী এবং অনিবন্ধিত আফগান উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে |
ইউরোপ |
৩৫০০০০ |
|
উজবেকিস্তান |
১৩০০০ |
|
তাজিকিস্তান |
৬০০০ |
উৎস: লেখকের সঙ্কলন
পাকিস্তানে প্রায় ১.৩৫ মিলিয়ন আফগান মূলত খাইবার পাখতুনখোয়া (৫৪ শতাংশ) ও বেলুচিস্তান (২৪ শতাংশ) প্রদেশে অবস্থান করছেন, যেখানে তাঁরা গ্রেফতার, বলপূর্বক স্থানান্তর ও ব্যাপক হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন। পাকিস্তান সরকার ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এই শহরগুলি থেকে অতিরিক্ত ৪০,০০০ আফগানকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। কারণ এই সঙ্কট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ও আফগান শরণার্থী সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সীমিত সম্পদের মধ্যে ব্যবধান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবনতিশীল সম্পর্কের মাঝেই আফগান শরণার্থীরা দাবার ঘুঁটি হয়ে উঠছেন। বিষয়টি পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি দ্বারা প্রমাণিত, যার মধ্যে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) কর্মকাণ্ডের জন্য তালিবানকে দায়ী করা ও আফগান শরণার্থীদের প্রতি দুর্ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, কোভিড-১৯ মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের পাশাপাশি ইরানের শরণার্থীদের নিজের দেশের অর্থনীতিতে সমন্বিত করা ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতাকে মারাত্মক ভাবে বাধা দান করেছে।
ইরানও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন, যেখানে লক্ষ লক্ষ আফগান শরণার্থী এখন সে দেশে বসবাস করছেন। আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও ইরানে ক্রমবর্ধমান আফগান-বিরোধী মনোভাব অভিবাসীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনাগুলিকে উস্কে দিয়েছে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, কোভিড-১৯ মহামারীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের পাশাপাশি ইরানের শরণার্থীদের নিজের দেশের অর্থনীতিতে সমন্বিত করা ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের ক্ষমতাকে মারাত্মক ভাবে বাধা দান করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ইরানকে তার আতিথেয়তার ঐতিহ্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। কারণ অনেক শিবিরে সীমিত খাবার ও জল প্রদান করে আফগানদের সঙ্গে ‘অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে’। নিরাপত্তাহীনতা ও ক্ষয়িষ্ণু অধিকারের জালে আটকে থাকা আফগান শরণার্থীরা মরিয়া হয়ে উঠলেও এ হেন পরিস্থিতিতে তাঁদের তালিবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
মার্কিন নীতি পরিবর্তনের প্রভাব
আফগানিস্তানের বিদ্যমান মানবিক জরুরি অবস্থা খারাপতর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তমান অবস্থান। তালিবানদের ক্ষমতা দখলের আগে আফগান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল ছিল এবং আফগান সরকারের ব্যয়ের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মার্কিন অনুদান দ্বারা বহন করা হত। ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে ১০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করে, যে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যক্রম, নিরাপত্তা বাহিনী ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে চালিত হয়। তবে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার এবং পরবর্তী কালে ২০২১ সালের অগস্ট মাসে আফগান সরকারের পতনের ফলে মার্কিন বিদেশনীতিতে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আসে। তালিবানদের ক্ষমতায় ফিরে আসার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সম্পদ আটক করে এবং উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপক ভাবে হ্রাস করে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় থেকে আফগানিস্তানে ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে ২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশেষ ভাবে মানবিক ও উন্নয়ন ত্রাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
তালিবানদের ক্ষমতা দখলের আগে আফগান সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল ছিল এবং আফগান সরকারের ব্যয়ের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মার্কিন অনুদান দ্বারা বহন করা হত।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের দরুন আফগান শরণার্থীদের সমস্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর শপথ গ্রহণের দিনে ট্রাম্প অভিবাসন ও শরণার্থী নীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে এমন একাধিক কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন বৈদেশিক ত্রাণ স্থগিত করা ও ইউএস রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রাম (ইউএসআরএপি) স্থগিত করা। তাঁর কার্যনির্বাহী আদেশ ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য পুনর্মূল্যায়ন ও পুনর্গঠন’-এর আওতায় বিদেশি সংস্থাগুলিকে সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এটি বিশ্ব শান্তিকে অস্থিতিশীল করে তোলে, যদিও এই যুক্তির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দর্শাতে পারেনি। এই পদক্ষেপগুলির দরুন কার্যকর ভাবে আফগানদের জন্য বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) কর্মসূচিটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যা শরণার্থীদের ও বিদেশি ত্রাণ প্রচেষ্টাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করেছে। যুদ্ধের সময় মার্কিন সামরিক বাহিনী বা সরকারের সঙ্গে কর্মরত আফগানদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথ প্রদানের উদ্দেশ্যে আফগান এসআইভি কর্মসূচিটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে এই কর্মসূচিটি আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব ও স্থগিতাদেশের ফলে জর্জরিত। তাই অনেক যোগ্য আফগান আটকা পড়েছেন ও অরক্ষিত হয়ে পড়েছেন। ভিসার অত্যধিক চাহিদা ইতিমধ্যেই ধীর ব্যবস্থাকে আরও চাপে ফেলেছে, যা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য অসুবিধাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এ ছাড়াও ট্রাম্পের কার্যনির্বাহী আদেশ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণমূলক কর্মসূচির পুনর্গঠনে শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয়টিকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে, অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যাপ্ত সম্পদের অভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের প্রাথমিক পথ হিসেবে কাজ করতে সক্ষম ইউএসআরএপি-কে কার্যকর ভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সেই হাজার হাজার আফগান মিত্রদের জন্য নিরাপদ বিকল্পও সীমিত হয়ে পড়েছে, যাঁরা সরাসরি মার্কিন বাহিনী ও কর্তব্যরত সৈন্যদের পরিবারকে সক্রিয় ভাবে সহায়তা করেছিলেন। এই নীতি পরিবর্তনের ফলে অরক্ষিত আফগানের পুনর্বাসনের জন্য কোনও কার্যকর বিকল্প নেই, যার ফলে তাঁরা প্রতিবেশী দেশগুলিতে বা আফগানিস্তানের মধ্যেই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ২০,০০০ আফগান বর্তমানে ইউএসআরএপি-র মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য পাকিস্তানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রাক্তন আফগান কূটনীতিক ওমর সামাদ উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন সংস্থাগুলি আফগান শরণার্থীদের জন্য ছাড়ের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে পারে। তবে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ইউএসআরএপি-র স্থগিতাদেশ অন্যান্য দেশেও নেতিবাচক সঙ্কেত পাঠিয়েছে, যা আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সুযোগ প্রদান থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের প্রাথমিক পথ হিসেবে কাজ করতে সক্ষম ইউএসআরএপি-কে কার্যকর ভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সেই হাজার হাজার আফগান মিত্রদের জন্য নিরাপদ বিকল্পও সীমিত হয়ে পড়েছে, যাঁরা সরাসরি মার্কিন বাহিনী ও কর্তব্যরত সৈন্যদের পরিবারকে সক্রিয় ভাবে সহায়তা করেছিলেন।
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) চিরাচরিত ভাবে আফগানিস্তানে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী একটি প্রধান সংস্থা। তবে ইউএসএআইডি-র তহবিলে উল্লেখযোগ্য হ্রাসের ফলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচি হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাস আফগান জনসংখ্যার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে, গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি পাওয়ার সুযোগ হ্রাস করেছে এবং ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। ইউএসএআইডি-র তহবিল হ্রাস স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দিয়েছে, যা আফগান সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতাকে আরও নড়বড়ে করে দিয়েছে।
আগামিদিনের পথ
ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা— যা ইউএসএআইডি-তে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁট ও বিধিনিষেধমূলক অভিবাসন ব্যবস্থা দ্বারা চিহ্নিত — বর্তমান মানবিক জরুরি অবস্থার জন্য মঞ্চ তৈরি করতে সাহায্য করেছে। এই নীতিগুলি আফগান শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ক্ষমতা হ্রাস করেছে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের সুযোগ সীমিত করেছে। এই সব কিছুই সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে, দাতাদের ক্লান্তি তহবিলের তীব্র ঘাটতির দিকে পরিচালিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য আফগানিস্তানের মৌলিক মানবিক চাহিদা বার্ষিক ২.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৫ সালের হিউম্যানিটেরিয়ান নিড ও রেসপন্স প্ল্যান বা মানবিক চাহিদা ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (এইচএনআরপি) ১.৬৮ কোটি মানুষের উদ্দেশ্যে লক্ষ্যে কাজ করেছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রয়োজনীয় তহবিলের ১২ শতাংশেরও কম পাওয়া গিয়েছে। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক প্রচেষ্টায় তার সম্পৃক্ততা হ্রাস করছে, তাই আফগান শরণার্থীদের পরিচালনার বোঝা সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার আয়োজক দেশগুলির উপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করবে।
এই সঙ্কট মোকাবিলায় একটি পুনর্নবীকরণক্ষম ও সমন্বিত বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। বর্ধিত মানবিক সহায়তার পাশাপাশি আয়োজক দেশগুলির জন্য বৃহত্তর সহায়তা ও বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের প্রচেষ্টা ছাড়া পরিস্থিতির কেবল অবনতিই ঘটবে, যার পরিণতি আফগান শরণার্থী ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা… উভয়ের জন্যই ভয়াবহ হবে। তালিবানদের প্রত্যাবর্তনের সাড়ে তিন বছর পরও আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনও মতেই এই পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করতে পারে না।
মালাইকা থাপার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
শিবম শেখাওয়াত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Mallaika Thapar is a Research Intern at the Observer Research Foundation ...
Read More +Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...
Read More +