Author : Del Titus Bawuah

Published on Mar 30, 2025 Updated 0 Hours ago

আফ্রিকা যখন তার ডিজিটাল রূপান্তর অব্যাহত রাখছে, তখন ডিজিটাল পাওয়ার হাউস হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

সাব-সাহারান আফ্রিকায় ডিজিটাল উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা: সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পথ

সাব-সাহারান আফ্রিকা দ্রুত ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই অঞ্চলের গতিশীল স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্র ক্রমাগত ফিনটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক, এডটেক এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্রমবর্ধমান ক্রিপ্টো ও ব্লকচেন ক্ষেত্রের মতো শিল্পগুলিকে রূপান্তরিত করছে। তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান মোবাইল সংখ্যা এবং ডিজিটাল আর্থিক সমাধানের জন্য ক্রমবর্ধমান ক্ষুধা এই উদ্ভাবনের তরঙ্গ উদ্দীপিত করছে। তবে, অপ্রতুল পরিকাঠামো, মূলধনের সীমিত প্রাপ্তিযোগ্যতা, নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তা এবং দক্ষতার ঘাটতির মতো চ্যালেঞ্জগুলি বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ডিজিটাল উদ্ভাবনের পূর্ণ সম্ভাবনার উন্মোচন এবং আফ্রিকায় একটি শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কৌশলগত সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


ডিজিটাল উদ্ভাবনের পূর্ণ সম্ভাবনার উন্মোচন এবং আফ্রিকায় একটি শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কৌশলগত সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



সাব-সাহারান আফ্রিকার টেক বাস্তুতন্ত্রের বৃদ্ধির গতিপথ

সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোক্তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করায় এই অঞ্চলের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত হচ্ছে। গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)-‌এর বক্তব্য অনুসারে, এই অঞ্চলের
৩০ কোটিরও বেশি মানুষ এখন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যে সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ভূচিত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্ভাবনে অনুঘটকের কাজ করছে:

১। ফিনটেক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিপ্লব আনছে: ফিনটেক স্টার্টআপগুলি আফ্রিকার ডিজিটাল বিপ্লবের অগ্রভাগে রয়েছে, এবং ব্যাঙ্কিং সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিক পরিষেবা প্রদানের জন্য মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
ফ্লাটারওয়েভ, চিপার ক্যাশ এবং এম-পেসা-র মতো কোম্পানিগুলি ডিজিটাল পেমেন্ট সলিউশন, মোবাইল ওয়ালেট এবং আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রেরণ পরিষেবা প্রদান করে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কিং মডেলগুলিকে অতিক্রম করছে। ২০২২ সালে, ফিনটেক আফ্রিকান স্টার্টআপগুলিতে সমস্ত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের ৩৯ শতাংশেরও বেশি আকর্ষণ করেছে , যা এই খাতের বৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রদর্শন করে।

২। হেলথটেক এবং এডটেক সামাজিক ব্যবধান পূরণ করছে
হেলথটেক স্টার্টআপগুলি এখন টেলিমেডিসিন, মোবাইল ডায়াগনস্টিকস ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে বিপ্লব আনছে। উদাহরণস্বরূপ,
হিলিয়াম হেলথ ও ৫৪জিন মিলে মেডিকেল রেকর্ড সিস্টেম ও জেনোমিক গবেষণাকে রূপান্তরিত করছে। একইভাবে, ইউলেসন ও এনেজা এজুকেশন-‌এর মতো এডটেক প্ল্যাটফর্মগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের ডিজিটাল বিষয়বস্তু শেখার সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগকে গণতান্ত্রিক করছে। এডটেক শিক্ষায় বিপ্লব আনছে, এবং শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, শিক্ষকদের উন্নতির জন্যও সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করছে।

৩। কৃষি প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি
আফ্রিকার অধিকাংশ অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসাবে এখনও রয়ে গিয়েছে কৃষি।
টুইগা ফুডস ও ফার্মক্রাউডির মতো কৃষি প্রযুক্তির স্টার্টআপগুলি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুগম করা, এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য বাজারের সুযোগ উন্নত করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ব্লকচেন ও ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করছে।


ইউলেসন ও এনেজা এজুকেশন-‌এর মতো এডটেক প্ল্যাটফর্মগুলি সাশ্রয়ী মূল্যের ডিজিটাল বিষয়বস্তু শেখার সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগকে গণতান্ত্রিক করছে।



আফ্রিকার উদীয়মান ক্রিপ্টো শিল্প

সাহারান আফ্রিকার সবচেয়ে গতিশীল এবং দ্রুত বিকশিত ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেন শিল্প। অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, এবং অর্থপ্রেরণ সমাধানের উচ্চ চাহিদার কারণে আফ্রিকা বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী স্থানে রয়েছে।
চেন্যালিসিসের মতে, আফ্রিকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ সালের মধ্যে ১,২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ক্রিপ্টো অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এই বিস্ফোরক বৃদ্ধি মহাদেশ জুড়ে আর্থিক বাস্তুতন্ত্রকে পুনর্গঠন করছে, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে:

১। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং রেমিট্যান্সের সমাধান হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার, যা প্রায়শই আফ্রিকার অনেক দেশে প্রাপ্তিযোগ্য নয় বা অবিশ্বস্ত, তার বিকল্প প্রদান করছে।
ইয়েলো কার্ড ও বিটপেসার-‌এর মতো স্টার্টআপগুলি ঐতিহ্যবাহী অর্থ প্রেরণ পরিষেবার বিপরীতে কম ফি এবং দ্রুত লেনদেনের সময় সহ আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রদান এবং দেশে অর্থপ্রেরণ সক্ষম করে।

২। ডিফাই এবং সম্পদ সৃষ্টির সুযোগ
বিকেন্দ্রীভূত অর্থপ্রদান (ডিফাই) সম্পদ উৎপাদন এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণ অর্জন করছে। ব্যাম্বু ও
চিপার ক্যাশের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি আফ্রিকানদের ক্রিপ্টো ব্যবহার করে বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়। উপরন্তু, বিকেন্দ্রীভূত ঋণ প্ল্যাটফর্মগুলি ঐতিহ্যবাহী আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বাদ থেকে যাওয়া মানুষের জন্য ঋণের সুযোগ প্রদান করছে।

৩। টোকেনাইজেশন এবং ডিজিটাল সম্পদ উদ্ভাবন
রিয়েল এস্টেট এবং পণ্য সহ সম্পদের টোকেনাইজেশন একটি কার্যকর বিনিয়োগের পথ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। নাইজেরিয়ান স্টার্টআপ
জেন্ড ফাইন্যান্স-‌এর মতো প্রকল্পগুলি বিকেন্দ্রীভূত ক্রেডিট ইউনিয়ন তৈরি করছে, যা ব্যবহারকারীদের মুদ্রার অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য স্থিতিশীল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সঞ্চয় করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

৪। নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জ
দ্রুত বৃদ্ধি সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রক অনিশ্চয়তা আফ্রিকার ক্রিপ্টো শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। অসঙ্গতিপূর্ণ নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং ব্যাঙ্কিং বিধিনিষেধ উদ্ভাবন ও গ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, নাইজেরিয়া ও কেনিয়া ক্রিপ্টো লেনদেনের উপর ব্যাঙ্কিং বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অন্যান্য দেশ আরও প্রগতিশীল নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি তৈরি করছে।


ব্যাম্বু ও চিপার ক্যাশের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি আফ্রিকানদের ক্রিপ্টো ব্যবহার করে বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়।



বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জগুলি

যদিও সাব-সাহারান আফ্রিকার প্রযুক্তিগত বাস্তুতন্ত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, তবুও বেশ কয়েকটি বাধা মোকাবিলা করতে হবে:

১। মূলধনের প্রাপ্তিযোগ্যতা
তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপগুলি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। যদিও ২০২২ সালে আফ্রিকার প্রযুক্তিগত স্টার্টআপগুলিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ
৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে, এই তহবিলের বেশিরভাগই কয়েকটি দেশে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল, যার ফলে অনেক উদীয়মান বাজার সুবিধাবঞ্চিত ছিল।

২। পরিকাঠামোগত ঘাটতি
ব্রডব্যান্ড সংযোগ, ডেটা সেন্টার ও পেমেন্ট গেটওয়ে-‌সহ নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পরিকাঠামোর অভাব গোটা অঞ্চলজুড়ে ডিজিটাল ব্যবসার আয়তন ব্যাহত করে।

৩। নিয়ন্ত্রক এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতা
অসঙ্গত নিয়ন্ত্রক কাঠামো, আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতা, এবং সহায়ক নীতির অনুপস্থিতির কারণে স্টার্টআপ ও বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে উদীয়মান ক্রিপ্টো ক্ষেত্রে।

৪। দক্ষতার ঘাটতি এবং প্রতিভা ধরে রাখা
সফটওয়্যার উন্নয়ন, ব্লকচেন প্রযুক্তি, ডেটা সায়েন্স ও ডিজিটাল মার্কেটিং-এ  প্রতিভার ঘাটতি-‌সহ ডিজিটাল দক্ষতার ঘাটতি ক্রমবর্ধমান। তার উপর, আফ্রিকার স্টার্টআপগুলি প্রতিভা ধরে রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, কারণ দক্ষ পেশাদারেরা প্রায়শই বিদেশে আরও ভাল সুযোগ খোঁজেন।

সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পথ

এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং আফ্রিকার ডিজিটাল অর্থনীতির সম্ভাবনা উন্মোচন করতে, কৌশলগত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্যকর সহযোগিতার কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল:

১। ডিজিটাল পরিকাঠামো বিনিয়োগ
সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রের খেলোয়াড়রা ইন্টারনেট সংযোগ, ডেটা সেন্টার এবং ব্লকচেন নোড-‌সহ ডিজিটাল পরিকাঠামোতে সহ-বিনিয়োগের জন্য সহযোগিতা করতে পারে। কর ছাড়, ভর্তুকি ও নিয়ন্ত্রক সহায়তার মতো সরকারি ক্ষেত্রের প্রণোদনা বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে।

২। অর্থ ও বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগগুলি মিশ্র অর্থায়ন মডেলের মাধ্যমে তহবিলের ব্যবধান পূরণ করতে পারে, যা সরকারি অনুদান এবং বেসরকারি উদ্যোগের মূলধনকে একত্রিত করে। উপরন্তু, সরকার ব্লকচেন ডিফাই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য ক্রিপ্টো-বান্ধব নিয়মকানুন প্রচার করতে পারে।

৩। নীতিগত সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রক সংস্কার
সরকারি-বেসরকারি সংলাপ নিয়ন্ত্রক সংস্কারকে সহজতর করে স্টার্টআপগুলির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ডিজিটাল পেমেন্ট নিয়মকানুনকে মানসম্মত করা, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা করা, এবং ডেটা গোপনীয়তা আইন প্রয়োগ করা আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য।

৪। ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি
ডিজিটাল সাক্ষরতা, প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তা কর্মসূচি প্রচারের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব দক্ষতার ঘাটতি পূরণ করতে পারে। গুগল, মাইক্রোসফট ও বিন্যান্সের মতো কোম্পানিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা ব্লকচেন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থায়নে সার্টিফিকেশন এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে।

৫। উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং ক্রিপ্টো ইনকিউবেটর
সরকারগুলি বেসরকারি উদ্যোগগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে উদ্ভাবন কেন্দ্র ও ক্রিপ্টো ইনকিউবেটর স্থাপন করতে পারে, যা পরামর্শ, নেটওয়ার্কিং ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সুযোগ প্রদান করবে। এই কেন্দ্রগুলি ব্লকচেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নীতি উন্নয়নের জন্য স্যান্ডবক্স হিসাবে কাজ করতে পারে।


ডিজিটাল পেমেন্ট নিয়মকানুনকে মানসম্মত করা, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা করা, এবং ডেটা গোপনীয়তা আইন প্রয়োগ করা আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য।



কেস স্টাডি: সফল সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ

১।
ব্লকচেন হাব, কেনিয়া: কেনিয়ার সরকার এবং বেসরকারি ব্লকচেন কোম্পানিগুলির মধ্যে সহযোগিতার জন্য ব্লকচেন হাব হল একটি উদ্ভাবনী কেন্দ্র, যা ব্লকচেন শিক্ষা, গবেষণা এবং স্টার্টআপ ইনকিউবেশন প্রচার করে। এটি ডিজিটাল সম্পদের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো সম্পর্কেও পরামর্শ দেয়।

২। নাইজেরিয়ান এসইসি-‌র নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স

নাইজেরিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ফিনটেক এবং ক্রিপ্টো স্টার্টআপগুলির জন্য একটি নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স চালু করেছে, যা কোম্পানিগুলিকে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের অধীনে উদ্ভাবনী পণ্য পরীক্ষা করতে সক্ষম করেছে। এই উদ্যোগটি ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করার সাথে সাথে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।

উপসংহার

সাব-‌সাহারান আফ্রিকা একটি ডিজিটাল বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে, এবং এর ডিজিটাল উদ্ভাবন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নেতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এই সম্ভাবনাকে উন্মোচন করার জন্য কৌশলগত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রয়োজন, যা পরিকাঠামোগত ঘাটতি, নিয়ন্ত্রক সীমাবদ্ধতা এবং তহবিল সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে।


সাব-‌সাহারান আফ্রিকা একটি ডিজিটাল বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে, এবং এর ডিজিটাল উদ্ভাবন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নেতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



ডিজিটাল পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, মূলধনের প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি, এবং ডিজিটাল প্রতিভার লালন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া, প্রগতিশীল নীতি এবং সহযোগিতামূলক বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিপ্টো শিল্পের বৃদ্ধিকে সমর্থন করা আফ্রিকাকে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রভাগে স্থান করে দেবে।

আফ্রিকা তার ডিজিটাল রূপান্তর অব্যাহত রাখার সাথে সাথে, ডিজিটাল পাওয়ার হাউস হয়ে ওঠার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল ও ক্রিপ্টো ভবিষ্যৎ গঠনে সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে এখনই পদক্ষেপ করার সময়।



ডেল টাইটাস বাউয়া যুক্তরাজ্যের ফিউচার ফরোয়ার্ড-‌এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.