১৫ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আধার বর্তমানে ভারতে পরিচয় যাচাইকরণের ভিত্তি হয়ে উঠেছে। নানাবিধ দুর্নীতি বন্ধ করতে এবং জনসেবা প্রদানকে আরও দক্ষ করে তুলতে আধারের সুবিধার প্রতি সরকারের বিশ্বাস দৃঢ়তর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আধারের ব্যবহার দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। আধার ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্বাস্থ্য-ইতিবাচক অনুশীলনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রচারে উত্সাহ দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দেয়, অবশ্যই বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য, যাঁরা প্রায়শই দুর্ভাগ্যবশত এটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সময় বা উত্সাহের অভাব বোধ করে থাকেন।
জনস্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে সরকার বিভিন্ন জনস্বাস্থ্যমূলক প্রচারের সঙ্গে আধারকে ক্রমবর্ধমান হারে সংযুক্ত করেছে:
শর্তাধীন নগদ স্থানান্তর
প্রাথমিক বাস্তবায়নে ‘কন্ডিশনাল ক্যাশ ট্রান্সফার স্কিম’ বা ‘শর্তাধীন নগদ স্থানান্তর প্রকল্প’ রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য-ইতিবাচক অনুশীলনের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। এটি দরিদ্রদের মধ্যে গুরুতর খরচ (কাজের অনুপস্থিতি, আর্থিক বোঝা) কমিয়ে তাঁদের মধ্যে অনুশীলনের অভ্যাসের উন্নতি ঘটাবে। পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন স্কিমে আধার-লিঙ্কযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বা সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর (ডিবিটি) প্রবর্তন ছিল একটি প্রাথমিক পরীক্ষা, যার লক্ষ্য হল সুবিধাভোগীরা মধ্যস্বত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ভর্তুকির সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থ যাতে পেতে সক্ষম হন, সে কথা সুনিশ্চিত করা। একটি জনস্বাস্থ্য প্রকল্প হিসাবে পুষ্টিকর খাবারের লভ্যতাকে কোনও ভাবেই অবমূল্যায়ন করা যায় না। যদিও কিছু মানুষ যুক্তি দর্শিয়েছেন যে, আধার-ডিবিটি পরিচয় জালিয়াতি হ্রাস করতে সক্ষম হলেও কতটা পরিমাণ জালিয়াতি হ্রাস করবে, তা স্পষ্ট নয়।
আধার ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্বাস্থ্য-ইতিবাচক অনুশীলনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রচারে উত্সাহ দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ করে দেয়, অবশ্যই বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য, যাঁরা প্রায়শই দুর্ভাগ্যবশত এটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সময় বা উত্সাহের অভাব বোধ করে থাকেন।
এই প্রেক্ষিতে ব্যবস্থার আরও সম্প্রসারণের মধ্যে রয়েছে জননী সুরক্ষা যোজনা, যা গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতাল বা সেই রকম প্রতিষ্ঠানে প্রসবের জন্য আধার-ডিবিটি অর্থ পাওয়ার অনুমতি প্রদান করে, যাতে বাড়িতে প্রসব করানর ঘটনা কমিয়ে মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করা যায়। একই ভাবে যক্ষ্মারোগীদের জন্য আধার-ডিবিটি চিকিৎসা ও খাবারের খরচ প্রদান করে চিকিৎসা এবং বেঁচে থাকার মানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পগুলিতে একটি পছন্দের পরিচয় প্রমাণ হিসাবে আধার
সম্প্রতি আধার সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যসেবা রেকর্ডগুলিকে পরিচয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং সেগুলিকে ট্র্যাক করার কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এটি বিস্তৃত আয়ুষ্মান ভারত পিএম-জেএওয়াই স্বাস্থ্যবিমার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যা সুবিধাভোগীদের বার্ষিক পরিবার পিছু হাসপাতালে ভর্তি, পরীক্ষানিরীক্ষা ও ওষুধ কেনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করে। এই প্রকল্পের আওতায় আয়ুষ্মান ভারত কার্ড তৈরি করতে এবং এই সুবিধাগুলি গ্রহণ করতে অবশ্যই আধার ই-কেওয়াইসি প্রয়োজন।
পরবর্তী কালে, কোভিড-১৯ টিকার জন্য কো-উইন নামের মাধ্যমটিতে একটি স্বীকৃত পরিচয় প্রমাণ হিসাবে আধার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের জন্য নতুন ইউ-উইন মাধ্যমটিকে অনুপ্রাণিত করেছে। এ ছাড়াও ডিজাইন করা হচ্ছে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন (এবিডিএম)(১) যার লক্ষ্য হল চিকিৎসকের রিপোর্ট, পরীক্ষানিরীক্ষার ফলাফল, প্রেসক্রিপশন এবং সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য একত্রে আনা, লভ্যতাকে সহজতর করার জন্য প্রসারিত মঞ্চের নির্মাণ। এর পাশাপাশি দুটি স্বীকৃত পরিচয়পত্রের মধ্যে যে কোনও একটি হিসেবে আধার ব্যবহার করা হয়।
যাই হোক, এই প্রকল্পগুলির প্রতিটি বিচ্ছিন্ন ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মনে করা হত এবং জনস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধমূলক প্রচারের জন্য একটি সাধারণ সংযোগ হিসাবে আধার ব্যবহারের সুবিধাগুলিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। সংযুক্ত তথ্যভাণ্ডারের সুবিধা গ্রহণ করে সরকার স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণের প্রচার করতে পারে এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা-সম্পর্কিত খরচও কমাতে পারে।
আধার সংযোগের সঙ্গে স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা
এটি অর্জন করতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিচয়ের জন্য আধার পছন্দের পরিচয় যাচাইকরণ পদ্ধতি হওয়া উচিত। তারপর এটিকে সর্বজনীন টিকাদান, অসংক্রামক রোগের জন্য জাতীয় কর্মসূচি, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, পিএম-জেএওয়াই, জন ঔষধি প্রকল্প(২) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত।
বিভিন্ন প্রকল্প এবং তাদের তথ্যভাণ্ডারগুলিকে সংযুক্ত করার ফলে সরকারকে একটি ব্যক্তি কী ভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারেন, সে সম্পর্কে আরও সামগ্রিক ধারণা প্রদানে সাহায্য দেয়। সরকার বর্তমানে সহজেই প্রকল্প গ্রহণের নির্দিষ্ট প্রবণতা বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অঞ্চল এবং এমনকি স্বতন্ত্র স্তর পর্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ করতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, এটি এখন নিশ্চিত করা যেতে পারে যে, একজন ব্যক্তি - যিনি পিএম-জেএওয়াই প্রকল্প ব্যবহার করেন - জন ঔষধি প্রকল্পের সুবিধাগুলি পান না। বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে (ওয়ার্ড, অঞ্চল, রাজ্য) এই ধরনের ভারসাম্যহীনতা এবং প্রবণতাগুলিকে শনাক্ত করা বিভিন্ন প্রকল্পগুলির কার্যকারিতা এবং আরও দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে কার্যকর অন্তর্দৃষ্টি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। ঠিকানা এবং মোবাইলের মতো আধার সংক্রান্ত বিশদ তথ্যগুলি রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির জন্য একটি সূচনাবিন্দু প্রদান করতে পারে, যাতে সরকার অনুন্নত সম্প্রদায়ের কাছে এই সুবিধাগুলি পৌঁছে দিতে পারে।
এরপর, আধার সংক্রান্ত তথ্য একটি পয়েন্ট-ভিত্তিক প্রণোদনা ব্যবস্থার মাধ্যমে জনসাধারণের আচরণ পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে প্রতিটি স্বাস্থ্য-ইতিবাচক কাজের জন্য পয়েন্ট পান এবং আরও বেশি স্বাস্থ্য-ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ারও সুযোগ পান। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যে ব্যক্তিরা সুপারিশকৃত প্রাপ্তবয়স্ক টিকা গ্রহণ করেন, প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন (যেমন ফাইলেরিয়াসিস নিয়ন্ত্রণ বা টিবি পজিটিভ হলে টিবি নিয়ন্ত্রণ মেনে চলার টিকা) এবং অসংক্রামক রোগের জন্য সুপারিশকৃত পর্যায়ক্রমিক স্ক্রিনিং (যেমন সার্ভিকাল ক্যান্সার বা উচ্চ রক্তচাপ স্ক্রিনিং) করেন, তাঁরা বেশি পয়েন্ট পান। এই পয়েন্টগুলি শুধুমাত্র স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণকে উন্নীত করার জন্য কিছু খেলার ছলে পয়েন্ট বৃদ্ধির সুবিধাই করে দেয় না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, সমাজের প্রতিটি অংশের জন্য সুবিধার প্রবিধান বাস্তবায়নেও সহায়তা করে।
আয়করদাতাদের জন্য - যাঁদের বেশি পয়েন্ট রয়েছে তাঁরা তাঁদের করের বোঝার তুলনায় তুলনামূলক ভাবে বেশি ছাড় পাবেন - যা সরাসরি অনেক করদাতার উপর আরোপিত স্বাস্থ্যমূলক কর থেকে নিষ্কৃতি দেবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি রাজস্বের অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি এড়াতে ছাড়ের শতাংশ (আয়) প্রগতিশীল হবে। কারণ ধনী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণ অন্বেষণের জন্য কম আর্থিক চাপের প্রয়োজন হয়।
উপায়-নির্ভর প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগীদের জন্য অনুরূপ একগুচ্ছ প্রণোদনা অর্থাৎ জন ঔষধি (জেনেরিক ওষুধ), পিএম-জেএওয়াই স্কিম এবং অন্য সরকারি প্রকল্পগুলিতে উচ্চ পরিমাণে ভর্তুকি পাওয়ার সুযোগ প্রদান করে। প্রদত্ত আধার-ডিবিটি সুবিধা ছাড়াও এই সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের পিতামাতার এই ধরনের পদক্ষেপ চাইল্ড পার্সোনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) অ্যাকাউন্টের পয়েন্ট-লিঙ্কযুক্ত লাভজনক টপ-আপ পেতে সাহায্য করতে পারে, যা এমনটা করার জন্য তাঁদের দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করে, বিশেষ করে সমাজের দরিদ্র অংশগুলির জন্য।
এই ভাবে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য কার্যকলাপের ফলে উত্পাদিত ইতিবাচক বাহ্যিকতাগুলি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের প্রত্যক্ষ সুবিধার ঊর্ধ্বে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করবে। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত, সংযোজন পদ্ধতিতে টুকরো টুকরো ভাবে সুযোগ পাওয়ার পরিবর্তে বিদ্যমান সংযোগের স্বল্পব্যবহৃত ক্ষমতাকে পুঁজি করে সরকার ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণের দিকে চালিত করতে পারে। স্কুলে মিড-ডে মিল স্কিমের মতো প্রকল্প বা বিহারের ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে সাইকেল প্রদানের মতো মডেল ভারতীয় প্রেক্ষাপটে প্রদর্শনযোগ্য সাফল্য পেয়েছে, যা শিক্ষাগত ফলাফল এবং তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফলকেই দর্শায়।
সীমাবদ্ধতার নিয়ন্ত্রণ
বরাবরের মতো এই জাতীয় নীতিগুলির নিজস্ব সীমাবদ্ধতা থাকে যা যথাযথ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
প্রথমত, খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তির (সম্ভবত গ্রামীণ দরিদ্র) এখনও আধার শনাক্তকরণের অভাব থাকতে পারে, যখন অন্যদের কাছে আধার থাকলেও ব্যক্তিগত পছন্দের জন্য তা বাইরে প্রকাশ করে না। তাঁরাও যাতে বৈষম্যের শিকার না হন, সে কথা সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আধারবিহীন ব্যক্তিদের কোনও কর আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রণোদনামূলক মডেলকে আধারবিহীন ব্যক্তিদেরও নিবন্ধন করা জরুরি। এর ফলে আরও বেশি মানুষের কাছে এ হেন সুবিধা উপলব্ধ হবে।
দ্বিতীয়ত, ব্যবস্থাটি আরও বেশি করে তথ্য সংযুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে হবে। এই ধরনের সংযোগের একটি দ্বৈত প্রকৃতি রয়েছে: এক দিকে, এটি প্রতারণার সুযোগ বৃদ্ধি করে। কিন্তু বিপরীতে সরকারের পক্ষে বিচ্ছিন্ন ভাবে পর্যবেক্ষিত প্রকল্পগুলির তুলনায় অস্বাভাবিক আচরণ ও প্রকল্প ব্যবহারের ধরনগুলি শনাক্ত করার কাজটি সহজ করে তোলে। পিএম-জেএওয়াই প্রকল্পের সাম্প্রতিক অপব্যবহারগুলি যে ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে, তার কথা মাথায় রাখলে আধারের প্রতারণামূলক ব্যবহার রোধ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিন্যাসের স্বীকৃতি-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সাধনীর প্রয়োজন হবে।
নিখুঁত না হলেও আধার ভারতে প্রকল্পগুলির বণ্টন এবং বাস্তবায়নের জন্য রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করেছে।
তৃতীয়ত, স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির জন্য আধারভিত্তিক সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া চালু করার সময় সরকারকে অবশ্যই বিচক্ষণ হতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু এইচআইভি/এডস রোগী গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ভয়ে নিজেদের আধার প্রকাশ না করায় তাঁরা জাতীয় এডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি থেকে বাদ পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে সুবিধাগুলি স্পষ্ট হলেও বাস্তবায়নকে সতর্কতার সঙ্গেই বিবেচনা করা উচিত এবং প্রয়োজনে ধীরে ধীরে রোগীদের বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছ থেকে সুসংহত যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং উদ্বেগ কমানোর জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
উপসংহার
নিখুঁত না হলেও আধার ভারতে প্রকল্পগুলির বণ্টন এবং বাস্তবায়নের জন্য রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করেছে। যাই হোক, স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান বিচ্ছিন্ন বাস্তবায়নমূলক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব থাকলেও সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে আরও সমন্বিত পদ্ধতির পাশাপাশি ভারতকে একটি সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য এবং রোগ-প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যনীতির দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে, যেখানে ব্যক্তিদের, বিশেষ করে দরিদ্র সম্প্রদায়কে যতটা বেশি সম্ভব স্বাস্থ্য-ইতিবাচক আচরণ অর্জনের দিকে চালিত করা যায়। এ সবই তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সমাজ ও সরকারকে সাহায্য করবে।
১) দ্রষ্টব্য- উপরোক্ত প্রকল্পগুলি একটি সম্পূর্ণ তালিকা নয় এবং একাধিক প্রকল্পে আধারের বিকল্পগুলি গ্রহণ করা হয়।
২) লক্ষ্যণীয় যে, পরিচয়ের অন্যান্য মাধ্যমও ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও পরিচয় যাচাইকরণের কাজকে সহজ এবং আরও নির্ভরযোগ্য করে তোলার কারণে আধারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পুলকিত আথভলে সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস স্নাতক ছাত্র।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.