-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতে যানবাহন থেকে নির্গমন দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিএএফই নীতিমালা কি বৈদ্যুতিক যানবাহনের সঙ্গে জৈব জ্বালানিকে সমন্বিত করে গতিশীলতার জন্য একটি স্থিতিশীল ও কম কার্বন-নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে?
ভারতের পরিবহণ খাত দেশের মোট কার্বন ডাই অক্সাইড (সিও২) নির্গমনে প্রায় ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। ২০১১ সালে ভারতের নাগরিক জনসংখ্যা ২৮২ মিলিয়ন থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ৫৯ কোটিতে পৌঁছনোর প্রত্যাশার পাশাপাশি সামঞ্জস্য রেখে মোটরগাড়ির চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে। ২০২০ সালে প্রায় ৬০ মিলিয়ন গাড়ির সংখ্যা ২০৪০ সালের মধ্যে ২৩৫ মিলিয়নে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ২৬২ মিলিয়নে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, পরিবহণ খাত থেকে সিও২ নির্গমন বার্ষিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা এই খাতের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকেই দর্শায়।
ভারতের জ্বালানি উৎপাদন ধীরে ধীরে দূষণহীন শক্তির উৎসে রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) বৃদ্ধির পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি সিও২ নির্গমন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ হাইব্রিড অ্যান্ড ইলেকট্রিক ভেহিকলস-এর (এফএএমই) মতো সহায়ক নীতিগুলি বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রয়ে চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
ভারতের শক্তি উৎপাদন ধীরে ধীরে দূষণহীন শক্তির উৎসে রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) বৃদ্ধির পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানি সিও২ নির্গমন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বোপরি, হাইড্রোজেন, বিশেষ করে গ্রিন বা দূষণহীন হাইড্রোজেন একটি প্রতিশ্রুতিময় বিকল্প জ্বালানি হয়ে উঠেছে। ভারতের ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশন (এনএইচএম) হাইড্রোজেন উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা আরও কমিয়ে আনে।
ইথানল, বায়োডিজেল ও কমপ্রেসড বায়োগ্যাস-সহ (সিবিজি) বায়োফুয়েল বা জৈব জ্বালানি পরিবহণ খাতের কার্বন পদচিহ্ন কমানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচির লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণ অর্জন করা। ২০২২-২৩ সালে ভারতের ১৭ বিলিয়ন লিটার ইথানল-মিশ্রণ ক্ষমতা প্রায় ১০.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন নেট সিও২ নির্গমন কমিয়েছে। উপরন্তু, এই উদ্যোগটি পেট্রোলিয়াম আমদানির উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস করেছে, যা ২৪৩ বিলিয়ন টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।
সব ধরনের যানবাহনের জন্য কর্পোরেট অ্যাভারেজ ফুয়েল ইকোনমি (সিএএফই) নীতিমালার মতো জ্বালানি দক্ষতার গুণমান, গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমনকে আরও কমিয়ে দেয়, জ্বালানির খরচ হ্রাস করে এবং জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনৈতিক লাভ প্রদান করে। এগুলি বিকল্প জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সমন্বিতকরণকে উৎসাহিত করে এবং পরিবহণ খাতকে কার্বনমুক্ত করে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতাকে চালিত করে।
সিএএফই নিয়মাবলি:
সিএএফই নিয়মগুলি সবরকম যানবাহনের সিও২ নির্গমনের জন্য মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের (ওইএম) নিয়ন্ত্রণ করে এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ও কম দূষণকারী যানবাহনকে উৎসাহিত করে। সমস্ত বার্ষিক যানবাহন বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই নিয়মগুলি গড় জ্বালানি খরচ (লিটার/১০০ কিলোমিটার) এবং সিও২ নির্গমন (গ্রাম/কিমি) পরিমাপ করে। জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ও ব্যাটারি ইভি (বিইভি), প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইভি (পিএইচইভি) এবং হাইব্রিড ইভি-র (এইচইভি) মতো বিকল্প জ্বালানিব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্মাতাদের ‘সুপার ক্রেডিট’ দিয়েও পুরস্কৃত করে।
ভারত ২০১৭-১৮ সালে সিএএফই নিয়ম (পর্যায় ১) বাস্তবায়ন করে এবং ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কঠোর নিয়মাবলি (পর্যায় ২) চালু করে। প্রাথমিক ভাবে যাত্রীবাহী গাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে সিএএফই নিয়মগুলি ধীরে ধীরে পরে ভারী ওজন, হালকা ওজন ও বাণিজ্যিক যানবাহনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সারণি ১-এ যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য সিএএফই ১ এবং ২ নিয়মগুলির একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করা হয়েছে:
সারণি ১: সিএএফই নিয়ম ১ এবং ২-এর সারসংক্ষেপ
পরামিতি |
সিএএফই ১ |
সিএএফই ২ |
কার্যকরী বর্ষ |
২০১৭-১৮ থেকে |
২০২২-২৩ থেকে |
গড় কার্ব ওয়েট (কেজি) |
১,০৩৭ |
১,০৮২ |
জ্বালানি ব্যবহার (লিটার/১০০ কিমি) |
<৫.৫ |
<৪.৭৮ |
গড় সিও২ নির্গমন (গ্রাম সিও২/কিমি) |
<১৩০ |
<১১৩ |
উৎস: উর্জা দক্ষতা ইনফরমেশন টুল
সিএএফই নীতিমালার সুপার ক্রেডিটগুলি ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল (এফসিইভি) এবং ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকল-কে (বিইভি) ৩-এর গুণক, প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকল-কে (পিএইচইভি) ২.৫-এর গুণক এবং হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকল-কে (এইচইভি) ২-এর গুণক প্রদান করে কম-নির্গমন প্রযুক্তিগুলি ব্যবহারে উৎসাহিত করে। এই ব্যবস্থাটি প্রতিটি বিক্রয়কে সিও২ গণনায় একাধিক ক্রেডিট অর্জন করতে সাহায্য করে। এই নীতিমালার অধীনে রিজেনারেটিভ ব্রেকিং, স্টার্ট-স্টপ ব্যবস্থা এবং উন্নত ট্রান্সমিশন প্রযুক্তির জন্য ০.৯৮-এর হ্রাস ধ্রুবক প্রদান করা হয় এবং যানবাহনগুলির সিও২ নির্গমন কমিয়ে দেয় ও নির্মাতাদের দূষণহীন প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করে।
মূল অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতায় ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি (বিইই) গড় সিও২ নির্গমনকে যথাক্রমে ৯১.৭ গ্রাম/কিমি এবং ৭০গ্রাম/কিমিতে আরও কমিয়ে আনার জন্য নতুন মানদণ্ড অর্থাৎ সিএএফই ৩ (২০২৭-২০৩২) এবং সিএএফই ৪ (২০৩৩-২০৩৭) প্রস্তাব করেছে। সারণি ২ ও ৩-এ গাড়ির ধরন এবং সিও২ হ্রাসকারী প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে সিএএফই ৩ ও ৪-এর সংশোধিত নির্গমন ক্রেডিট তুলে ধরা হয়েছে:
সারণি ২: গাড়ির ধরন এবং সিও২ হ্রাসকারী প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে সিএএফই ৩ এবং ৪-এর সুপার ক্রেডিট ব্যবস্থা
ক্রমিক |
গাড়ির ধরন |
সুপার ক্রেডিটের জন্য বিদ্যমান ভলিউম ডেরোগেশন ফ্যাক্টর |
সিএএফই ৩ |
সিএএফই ৪ |
|
|
|
২০২৭-২০৩২ |
২০৩৩-২০৩৭ |
১ |
এফসিইভি[১] |
৩ |
৫ |
৪ |
২ |
বিইভি[২] |
৩ |
৪ |
৪ |
৩ |
পিএইচইভি (ন্যূনতম ৭ কিলোওয়াটের ব্যাটারি প্যাক)[৩] |
২.৫ |
২ |
১.৫ |
৪ |
ভারী ওজনের এইচইভি[৪] |
২ |
১.২ |
১ |
উৎস: বিইই
সারণি ৩: সিও২ হ্রাসকারী প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে সিএএফই ৩ এবং ৪-এর সুপার ক্রেডিট ব্যবস্থা
ক্রমিক |
সিও২ হ্রাসকারী প্রযুক্তি |
বিদ্যমান ক্রেডিট |
সিএএফই ৩ |
সিএএফই ৪ |
|
|
|
২০২৭-২০৩২ |
২০৩৩-২০৩৭ |
১ |
ইথানল* |
প্রযোজ্য নয় |
০.৯৫* |
০.৯৫* |
২ |
রিজেনারেটিভ ব্রেকিং |
০.৯৮ |
০.৯৯ |
১ |
৩ |
স্টার্ট/স্টপ |
০.৯৮ |
০.৯৯ |
১ |
৪ |
ছয় বা তার বেশি গিয়ার |
০.৯৮ |
০.৯৯ |
১ |
*বিইই-আইআইপি গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে |
উৎস: বিইই
সিএএফই নিয়ম ও জৈব জ্বালানি
সিএএফই ৩ এবং ৪ এফসিইভি-এর জন্য সুপার ক্রেডিট ৩ থেকে ৫ এবং বিইভি-র জন্য ৩ থেকে ৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে পরিবহণ খাতকে কার্বনমুক্ত করার উদ্দেশ্যে হাইড্রোজেন জ্বালানি কোষ এবং সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জ্বালানি ব্যবস্থা গ্রহণের উপর জোর দেয়। যাই হোক, কার্বন নির্গমন হ্রাস করার বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিইভিগুলিকে প্রদেয় অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থা ও জৈব জ্বালানির সীমিত স্বীকৃতি সিএএফই নিয়মগুলির কার্যকারিতাকে সীমাবদ্ধ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পেট্রোলে ইথানল মিশ্রণ ২০২২-২৩ ইথানল সরবরাহ বছরে (ইএসওয়াই) ১২.০৬ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ ইএসওয়াই-তে প্রায় ১৪.৬০ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত এক দশক ধরে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-এর (এইচপিসিএল) মতো সরকারি তেল বিপণন সংস্থাগুলি (ওএমসি) ইথানল মিশ্রণে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যার ফলে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১,০৮৬.৫৫ বিলিয়ন ভারতীয় টাকার উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে।
ইথানলের অন্তর্ভুক্তি পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির প্রতি সমর্থনকে দর্শালেও তা কার্যকর করা আসলে বিইই এবং ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্টিভিটি (আইআইপি) দ্বারা বিদ্যমান গবেষণার ফলাফলের উপর নির্ভর করে। উপরন্তু, নীতিমালার অবমূল্যায়ন সংক্রান্ত ধ্রুবক সারণিতে ইথানল মিশ্রণের মাত্রা নির্দিষ্ট করা হয়নি, যা পরিবহণ খাতকে কার্বনমুক্ত করার জন্য, গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চালিত করার জন্য এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেমনটা ২০২০-২০২৫ সালের রোডম্যাপ ফর ইথানল ব্লেন্ডিং ইন ইন্ডিয়া এবং ২০১৮ সালের ন্যাশনাল পলিসি অন বায়োফুয়েলস-এ দর্শানো হয়েছে। বেসরকারি খাতের জ্ঞান এবং দক্ষতা কাজে লাগানো অর্থাৎ পিআরএজে ইন্ডাস্ট্রিজ এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে, উন্নত জৈব জ্বালানি ও সিবিজি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ওএমসি-র বিদ্যমান উদ্যোগগুলিকে পরিপূরক করে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ন্যাশনাল বায়ো ফুয়েলস কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এনবিসিসি) সম্প্রতি সিএনজি ও পাইপড ন্যাচরাল গ্যাসের (পিএনজি) সঙ্গে সিবিজি-র পর্যায়ক্রমে মিশ্রণ অনুমোদন করেছে, যার ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ হেন মিশ্রণ বাধ্যতামূলক হবে।
সর্বোপরি, কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাস-এর (সিএনজি) তুলনায় সিবিজি-র নেতিবাচক কার্বন তীব্রতা বেশি এবং সাস্টেনেবল অল্টারনেটিভ টুওয়ার্ডস অ্যাফোর্ডেবল ট্রান্সপোর্টেশন (এসএটিএটি) উদ্যোগের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য থাকা সত্ত্বেও নিয়মগুলি সিবিজি-এর সম্ভাব্যতা বিবেচনা করে না। ন্যাশনাল বায়ো ফুয়েলস কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এনবিসিসি) সম্প্রতি সিএনজি ও পাইপড ন্যাচরাল গ্যাসের (পিএনজি) সঙ্গে সিবিজি-র পর্যায়ক্রমে মিশ্রণ অনুমোদন করেছে, যার ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে এ হেন মিশ্রণ বাধ্যতামূলক হবে। অতএব, প্রস্তাবিত সিএএফই ৩ ও ৪ নিয়মাবলি থেকে সিবিজি-কে বাদ দেওয়ার দরুন জাতীয় কার্বনমুক্তকরণ কৌশল বা ন্যাশনাল ডিকার্বনাইজেশন স্ট্র্যাটেজিতে এই উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন প্রযুক্তিকে সমন্বিত করার সুযোগকে হাতছাড়া করে।
একই ভাবে, অবমূল্যায়ন সংক্রান্ত ধ্রুবক সারণিতে ডিজেলে বায়োবুটানল মিশ্রণের বিষয়টিকেও বিবেচনা করা উচিত, যা দ্রুত জিএইচজি নির্গমন হ্রাসকে চালিত করতে পারে। হাইড্রোজেন শুধুমাত্র এফসিইভি-র জন্যই স্বীকৃত। অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিনগুলিতে নীল ও সবুজ হাইড্রোজেনের মতো অন্যান্য হাইড্রোজেন রূপের সম্ভাবনা অনুসন্ধানেরও দাবি রাখে। এগুলির অন্তর্ভুক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫ এমএমটি সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন সংক্রান্ত এনএইচএম-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সম্ভাব্য ভাবে বার্ষিক ৫০ এমএমটি সিও২ নির্গমন হ্রাস করবে।
আগামিদিনের পথ
সব ধরনের প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি সুনিশ্চিত করতে এবং তাদের সম্ভাব্য সুবিধাগুলি মূল্যায়ন করার জন্য সিএএফই নীতিমালার একটি কঠোর বিশ্লেষণ অপরিহার্য। এই অগ্রগতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করলে সব ধরনের প্রযুক্তির জন্যই সমান সুযোগ তৈরি হবে। জৈব জ্বালানি, মিশ্র প্রযুক্তি এবং বিকল্প জ্বালানি-সহ বিভিন্ন কার্বনমুক্তকরণের পথ গ্রহণ করে এ হেন একটি সামগ্রিক পদ্ধতি ভারতের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণ ও একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[১] হাইড্রোজেন এফসিইভিগুলি গ্যাসীয় হাইড্রোজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে জ্বালানি কোষ ব্যবহার করে, যা পরে গাড়ির বৈদ্যুতিক মোটরকে শক্তি প্রদানের জন্য একটি ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করা হয়।
[২] বিইভি শুধুমাত্র একটি বৈদ্যুতিক জ্বালানি ব্যবস্থা দ্বারা চালিত হয়।
[৩] পিএইচইভি বা রেঞ্জ এক্সটেন্ডেড ইলেকট্রিক ভেহিকলস (আরইইভি) হল এমন ধরনের শক্তিশালী এইচইভি যা ‘রিচার্জেবল এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম’-এর (আরইইএসএস) ‘অফ ভেহিকল চার্জিং’ (ওভিসি) প্রদান করে।
[৪] শক্তিশালী এইচইভিগুলিতে একটি ‘স্টপ-স্টার্ট’ ব্যবস্থা, ‘ইলেকট্রিক রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম’ এবং ‘মোটর ড্রাইভ’ (যা মোটরটিকে একটি স্থির অবস্থা থেকে গাড়িকে চালিত করতে পারে) থাকে।
[৫] শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে উল্লিখিত।
[৬] ওয়েল-টু-হুইল (ডব্লিউটুডব্লিউ) উৎপাদন, পরিবহণ, রূপান্তর ও বণ্টন থেকে গাড়ির মাধ্যমে দহন করা জ্বালানির মূল্য-শৃঙ্খল জুড়ে সিও২ নির্গমন উৎপন্ন হয়। এগুলি ওয়েল-টু-ট্যাঙ্ক (ডব্লিউটিটি) এবং ট্যাঙ্ক-টু-হুইল (টিটিডব্লিউ) নির্গমনে বিভক্ত করা যেতে পারে।
নন্দন দাউড়া অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আর্বান স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr Nandan H Dawda is a Fellow with the Urban Studies programme at the Observer Research Foundation. He has a bachelor's degree in Civil Engineering and ...
Read More +