Published on Aug 12, 2024 Updated 21 Hours ago
হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশকে ভারতের কাছের বন্ধু বলে মনে হয় না লেখক: আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি

বাংলাদেশে চাকরির কোটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে যা শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত দেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পরিণতি ডেকে আনে। গত মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভটি ১৫ জুলাই সহিংস রূপ ধারণ করে, যখন হাসিনার আওয়ামী লীগের সমর্থকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং সরকার কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার, কারফিউ আরোপ, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং গুলি করার নির্দেশ দেয়। বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) এবং জামাত-ই-ইসলামিও (জেইআই) আন্দোলনে যোগ দিতে তৎপর হয়ে ওঠে, যা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

৫ অগস্ট পর্যন্ত এ হেন ঘটনাপ্রবাহে ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং শতাধিক আহত হন। একই দিনে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকায় মিছিল করে এগিয়ে গেলে সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত দেশের ‘দায়িত্ব’ গ্রহণ করে এবং হাসিনা পদত্যাগ করেন।

একটি অন্তর্বর্তী সরকার এর মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হলেও দেশের ভবিষ্যৎ এখনও দোদুল্যমান এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মোটেই ভাল খবর নয়।

হাসিনার সাফল্যের গল্প

হাসিনার বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছে। দেশটি গত এক দশকে গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৬% বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং দেশটির দারিদ্র্য ২০০৮ সালে ১২% থেকে কমে ২০২২ সালে ৫%-এ নেমে এসেছে। দেশের জিডিপি ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আশা করা হয়েছিল, এই ধারা বজায় রাখলে ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে দেশটির উত্তরণ ঘটবে।

বাংলাদেশ রাইফেলসের ২০০৯ সালের বিদ্রোহ দমন করে হাসিনা দেশে ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং এই জাতীয় বাহিনীকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ করেছিলেন।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে কিছুটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও এসেছে। বাংলাদেশ রাইফেলসের ২০০৯ সালের বিদ্রোহ দমন করে হাসিনা দেশে ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং এই জাতীয় বাহিনীকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ করেছিলেন। তিনি দেশের বাহ্যিক আচরণে ধারাবাহিকতা এবং সুনিশ্চয়তা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন, বিশেষ করে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’… এ হেন বিদেশনীতি বজায় রেখে চলেছিলেন হাসিনা, যা পশ্চিমী বিশ্ব, ভারত, রাশিয়া, চিন ও জাপান থেকে বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল।

হাসিনার সফল বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক ছিল ভারতের আস্থা অর্জন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা। হাসিনা ভারতের সেই তিনটি রেড লাইনকে সম্মান করেন, যা পূর্ববর্তী বিএনপি ও জেইআই সরকার একাধিক বার লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে হিন্দু সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা, বাংলাদেশ থেকে ভারতকে লক্ষ্যবস্তুকারী চরমপন্থী ও উত্তর-পূর্বের জঙ্গিদের দমন করা এবং পাকিস্তান ও চিনের মতো শত্রু দেশগুলির সঙ্গে জড়িত থাকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা সংবেদনশীলতা ও উদ্বেগকে সম্মান করা ছিল অন্তর্ভুক্ত।

এই দৃঢ় সম্পর্কের অধীনে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ২০০৭ সালের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে এবং পরের বছর পর্যন্ত নয়াদিল্লি ঢাকাকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রেডিট লাইন বা ঋণ প্রদানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিল।

পরিবহণের কথা মাথায় রেখে রেললাইন পুনরায় খুলে দেওয়া, বন্দরে প্রবেশাধিকার দেওয়া এবং ডিজেল সরবরাহ পাইপলাইন নির্মাণের দরুন সংযোগও অগ্রাধিকার পেয়েছে। উভয় দেশই তাদের সামুদ্রিক বিরোধের সমাধান করেছে এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের স্বর্ণযুগের’ সূচনা করে।

ভারতের সংযোগ প্রয়াস

উল্লেখযোগ্য ভাবে, হাসিনার প্রতি নয়াদিল্লির আস্থা ভারতকে তার নিজস্ব ভূখণ্ডের মাধ্যমে আঞ্চলিক সমন্বিতকরণ এবং সংযোগের প্রচারে উৎসাহিত করেছে, যে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা দীর্ঘদিন যাবৎ আহ্বান জানিয়ে আসছিল। দু’টি কারণে এমনটা করা হয়েছিল: এক, এটি ভারতের প্রতিবেশীদের একে অপরের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে এবং দুই, এটি দিল্লিকে প্রতিবেশের দেশগুলিতে চিনা উপস্থিতি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করবে।

ঢাকার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটিকে নেপাল ও ভুটানের মতো দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির জন্য একটি আকর্ষণীয় বাজার করে তুলেছে। নেপাল ও ভুটান দুই দেশেরই প্রচুর জ্বালানির সম্ভাবনা রয়েছে, এমনকি তাদের কাছে বৈদেশিক ভাণ্ডার খুব কম এবং দেশ দু’টি স্থলবেষ্টিত ও ভারতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। জ্বালানি আমদানি, পণ্য রফতানি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এই দেশগুলির দিকে তাকিয়ে আছে।

ফলস্বরূপ, ২০২২ সালে ভারত নেপাল এবং ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি ট্রাকগুলিতে বিনামূল্যে পরিবহণের প্রস্তাব দিয়েছিল, যদিও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জুন মাসে নয়াদিল্লি এবং ঢাকা একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে, যা বাংলাদেশ রেলওয়েকে ভারতীয় রেললাইন ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে পৌঁছতে সক্ষম করেছে। বাংলাদেশ নিজেই ভুটানকে তার ভূখণ্ডে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে, যা ভারতের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হলে ভুটানের গেলেফু বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।

জ্বালানি আমদানি, পণ্য রফতানি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এই দেশগুলির দিকে তাকিয়ে আছে।

এ দিকে ভারত সম্প্রতি নেপাল ও ভুটান থেকে ভারতীয় শক্তি গ্রিড এবং ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বাণিজ্য সহজতর করতে সম্মত হয়েছে।

এই সমস্ত চুক্তি নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশকে একে অপরের সম্পদ ব্যবহার করতে, বাণিজ্যের অংশ হয়ে উঠতে এবং সময় ও খরচ উভয়ই হ্রাস করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সব চুক্তিই চিনের উপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করবে।

ভারত বা তার প্রতিবেশীদের জন্য কোন সুখবর নয়

যাই হোক, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এই অগ্রগতিকে বিশ বাঁও জলে ফেলেছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এবং বিশদে বললে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সংযোগের উন্নতির জন্য দুই দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রেও এখন নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে।

প্রথমত, দেশের বিরোধী দল বিএনপি এবং জামাত দেশে বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে একটি পুনরুজ্জীবন দেখছে। উভয় পক্ষই চিরাচরিত ভাবে পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে এবং ক্রমাগত ভারতের বিপদসীমা লঙ্ঘন করেছে। গত এক দশকে এই দুই দল এমনকি হাসিনাকে সমর্থন করার বিষয়ে দিল্লিকে অভিযুক্ত করে ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় আবেগ বৃদ্ধি করেছে। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিএনপি, জেইআই এবং হেফাজত-এ-ইসলামের মতো কট্টরপন্থী সহযোগী সংগঠনগুলির বিক্ষোভ, বিএনপি নেতাদের দ্বারা সমর্থিত সাম্প্রতিক ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার এবং রেল সংযোগের বিষয়ে সমঝোতাপত্রের সমালোচনা আসলে ভারতের উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের বিরোধীদের অব্যাহত সন্দেহকেই দর্শায়।

অতি সম্প্রতি, বাংলাদেশের এই দুই দলের কর্মী ও সমর্থকরা নরসিংদী কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় ৮০০ বন্দিকে মুক্ত করেছে, যাদের মধ্যে কয়েক জন ছিল প্রশিক্ষিত জঙ্গি। হাসিনার পদত্যাগের পর পরই এই দুই দল দেশের হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু করে তোলে। এই ঘটনাপ্রবাহ শুধুমাত্র দিল্লির সংবেদনশীলতার জন্য বিরোধীদের উদ্বেগের অভাবকেই দর্শায় না, বরং দেশত্যাগের ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের প্রতি দিল্লির সংশয়কেও তুলে ধরে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর হাসিনার সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক বিদ্যমান ঘটনাবলি নিয়ে দিল্লির নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগকেও প্রকাশ্যে এনেছে।

রমবর্ধমান অবিশ্বাস

দ্বিতীয়ত, হাসিনার বিরোধিতাকারী ছাত্র এবং বিক্ষোভকারীরা প্রায়শই ভারতকে হাসিনার শাসনকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। এই আলোচনা ও আখ্যান কতটা বাড়তে থাকবে তা অবশ্য নির্ভর করে বিদ্যমান ঘটনাপ্রবাহের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়ার উপর। প্রকৃতপক্ষে, বেশ কয়েকজন কর্মী ইতিমধ্যেই অভিযোগ করছেন যে, ভারত তাদের ‘কঠোর জয়ী স্বাধীনতা’ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তার সৈন্য মোতায়েন করবে। এই ধরনের অবিশ্বাস যে কোনও সরকারের পক্ষে ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততাকে আরও গভীর করে তোলার কাজটিকে কঠিন করে তুলতে বাধ্য।

আজ সারা দেশে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় বিক্ষুব্ধ জনগণ জড়িত থাকায় কেউ কেউ সামরিক প্রশাসনের বিষয়ে উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তৃতীয়ত, সেনাবাহিনী দেশের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ গঠনের প্রথম দিকের ইতিহাস বিবেচনা করে। আজ সারা দেশে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় বিক্ষুব্ধ জনগণ জড়িত থাকায় কেউ কেউ সামরিক প্রশাসনের বিষয়ে উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই ক্ষোভ ও হতাশা অব্যাহত থাকলে তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং সংযোগ প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করবে। এ হেন অস্থিতিশীলতার প্রভাব ভারতের উপরেও পড়তে পারে।

সেনাবাহিনীর লক্ষ্য হল বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যাই হোক, ৫ অগস্টের এই ধরনের আলোচনায় ছাত্র সংগঠন এবং জেইআর, এইচআই এবং বিএনপি-র সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগকে বৈঠকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি দিল্লির জন্য খুব একটা স্বস্তিকর নয়। বিএনপি সুপ্রিমো এবং হাসিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াকে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি, সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী সরকারের দিকনির্দেশনা, গঠন এবং অভিপ্রায় নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।

দিল্লির জন্য একটি ধাক্কা

হাসিনার পদত্যাগ সম্ভবত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নয়াদিল্লির জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত ধাক্কা। তার সরকারের অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতি ভারতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলেছে এবং এটিকে আঞ্চলিক সংযোগ ও সমন্বিতকরণের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ফলে আজ এই সবই ঝুঁকির মুখে। এর অর্থ এই নয় যে, দিল্লির পক্ষে একটি নতুন শাসনের সঙ্গে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করা সম্পূর্ণ রূপে অসম্ভব হবে। তবে এই জাতীয় যে কোনও উদ্যোগই কঠিন হবে। কারণ এর জন্য বিশ্বাস তৈরি করা এবং একে অপরের বিপদসীমাকে সম্মান করা প্রয়োজন। দুই দেশের ইতিহাস ও রাজনীতির দিকে নজর রাখলে বোঝা যাবে, এটি মোটেও সহজ কাজ নয়।

তত দিন পর্যন্ত নয়াদিল্লি এবং এর প্রতিবেশীদের ঢাকার দিক থেকে কোনও সুসংবাদ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় এনডিটিভি-তে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.