Author : Debosmita Sarkar

Published on Feb 06, 2025 Updated 0 Hours ago

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬ মধ্যবিত্ত উপভোক্তাদের সমর্থন করার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ করেছে, কিন্তু তা করেছে একটি দুর্বল করভিত্তির মূল্যে

‘মধ্যবিত্ত’দের জন্য একটি বাজেট: বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক বিচক্ষণতার মধ্যে পুনরায় ভারসাম্য আনা

অভ্যন্তরীণ উপভোগ দীর্ঘকাল ধরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে, এবং জিডিপিতে প্রায় ৫৭ থেকে ৬০ শতাংশ অবদান রেখেছে। ঐতিহাসিকভাবে, ক্রমবর্ধমান আয়, নগরায়ণ ও জনসংখ্যাগত কাঠামোর পরিবর্তনগুলি অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চালিত করেছে, আর সেইসঙ্গে ভারতের বৃদ্ধির কৌশলের একটি মূল স্তম্ভ হিসাবে উপভোগকে আরও শক্তপোক্ত করছে। যাই হোক, সাম্প্রতিক সময়ে চাপের লক্ষণগুলি আবির্ভূত হয়েছে, যা ব্যক্তিগত চূড়ান্ত উপভোগ বৃদ্ধি এবং প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হারের মধ্যে পার্থক্যের দিকে চালিত করেছে। প্রাথমিকভাবে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য এবং মধ্যবিত্তের উপর অসম করের বোঝা, উভয়ই ভোগের বৃদ্ধিকে মন্থর করেছে। যেহেতু কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬ ব্যক্তিগত আয়করের উল্লেখযোগ্য হ্রাসের মাধ্যমে এই চাপগুলি কিছুটা উপশম করার চেষ্টা করছে, তাই বৃদ্ধির লক্ষ্যসমূহ, অন্তর্ভুক্তি ও রাজস্ব বিচক্ষণতার ভারসাম্য নিয়ে  উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

মধ্যবিত্তের উপর করের বোঝা: বৃদ্ধির একটি বাধা
 
ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে
৮০০ মিলিয়নে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে, বিবেচনানির্ভর (‌ডিসক্রিশনারি)‌ ব্যয়ের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন করে। তবুও, এই অংশটি একটি ধারাবাহিক করের বোঝার সম্মুখীন হয়েছে — প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শুল্ক যেমন জিএসটি, জ্বালানি শুল্ক এবং অন্যান্য উপভোগ-ভিত্তিক কর— যা খরচযোগ্য আয় হ্রাস করে। ধারাবাহিকভাবে বাজেটে ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও প্রকৃত মজুরির স্থবিরতা এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্রয়ক্ষমতাকে সীমিত করে চলেছে


বিপরীতে, ধনী ও অতি-ধনীদের এমপিসি কম, এবং তাঁদের অতিরিক্ত আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গার্হস্থ্য খরচের পরিবর্তে সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও বিদেশি সম্পত্তির দিকে চলে যায়।



বিপরীতে, ভারতের অতি-ধনীরা বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম প্রত্যক্ষ কর দিয়ে থাকেন। অনেক উন্নত অর্থনীতির বিপরীতে, যেগুলি প্রগতিশীল সম্পদ কর, মূলধন লাভ সারচার্জ বা উত্তরাধিকার কর প্রয়োগ করে, ভারতের করব্যবস্থা পরোক্ষ করের উপর
অত্যন্ত বেশি নির্ভরশীল, যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলিকে অসমভাবে প্রভাবিত করে। ধনীদের উপর লক্ষ্যযুক্ত করের অনুপস্থিতির অর্থই হল আর্থিক দৃঢ়ীকরণের প্রচেষ্টাগুলি মূলত উপভোগের উচ্চতর প্রান্তিক প্রবণতা (এমপিসি)-‌সম্পন্ন মধ্যবিত্তের উপর নির্ভরশীল, এবং তার ফলে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।

এমপিসি-‌র ধারণা কর, আয় বণ্টন ও উপভোগ বৃদ্ধির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রদান করে। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির সর্বোচ্চ এমপিসি রয়েছে, যার অর্থ হল তাদের অতিরিক্ত আয়ের বেশিরভাগই অত্যাবশ্যক সামগ্রীতে ব্যয় করা হয়, যা কিনা শক্তিশালী চাহিদা-পার্শ্বের প্রতিক্রিয়া (‌ডিম্যান্ড-‌সাইড এফেক্ট)‌ তৈরি করে। যাই হোক, এই বিভাগের অন্তর্গত ভারতীয় জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দারিদ্র্যের শিকার, এবং তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সামাজিক সুরক্ষার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে মধ্যবিত্তদের এমপিসি যদিও দরিদ্রদের তুলনায় কিছুটা কম, তবুও তাঁদের আয়ের বেশির ভাগই খরচের দিকে যায়, বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট, অটোমোবাইল ও হোয়াইট গুডস-এর মতো বিবেচনানির্ভর খাতে। বিপরীতে, ধনী ও অতি-ধনীদের এমপিসি কম, এবং তাঁদের অতিরিক্ত আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গার্হস্থ্য খরচের পরিবর্তে সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও বিদেশি সম্পত্তির দিকে চলে যায়। যদিও ধনীদের জন্য বিনিয়োগ প্রণোদনা মূলধন সৃষ্টিকে উদ্দীপিত করতে পারে, তারা স্বল্পমেয়াদি চাহিদাকে চালিত করতে খুব কম অবদান রাখে। তদুপরি, সামগ্রিকভাবে সক্ষমতার ব্যবহার (‌ক্যাপাসিটি ইউটিলাইজেশন)‌
৭৫ শতাংশের কাছাকাছি স্থির থাকায়, এই পরিবারগুলির জন্য আরও বিনিয়োগের খুব কম প্রণোদনা থাকে বা কোনও প্রণোদনাই থাকে না।


এই ভারসাম্যহীনতা একটি প্যারাডক্স তৈরি করে। যদিও মধ্যবিত্তের জন্য করছাড় চাহিদা বাড়াতে পারে, এটি বিকল্প রাজস্ব উৎস দ্বারা পূরণ না-‌করা হলে তা রাজস্ব ঘাটতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীগুলির জন্য প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে, ভারতের উপভোগ-চালিত বৃদ্ধির পথ এই কাঠামোগত চাহিদার দুর্বলতার ক্ষেত্রে অরক্ষিত থেকে যায়।

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬: কর কমানো এবং আর্থিক বিনিময়যোগ্যতা

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬ মধ্যবিত্তের জন্য যথেষ্ট করছাড় দিয়েছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা খরচযোগ্য আয়কে উন্নত করার এবং উপভোগকে উদ্দীপিত করার জন্য ভাবা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল নতুন করব্যবস্থার অধীনে জিরো ট্যাক্স স্ল্যাব ৭ লক্ষ ভারতীয় রুপি থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষে নিয়ে যাওয়া। বেতনভোগী করদাতাদের ৭৫,০০০ ভারতীয় রুপি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের কারণে কার্যকরভাবে ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে না ৷ অতিরিক্তভাবে, সংশোধিত স্ল্যাবগুলি নিশ্চিত করে যে ১২ লক্ষ ভারতীয় রুপি পর্যন্ত উপার্জনকারীদের কোনও কর দিতে হবে না, এবং ১৮ লক্ষ ভারতীয় রুপি ও ২৫ লক্ষ ভারতীয় রুপি উপার্জনকারীরা বার্ষিক ৭০,০০০ এবং ১.১ লক্ষের স্বতন্ত্র করহ্রাস দেখতে পাচ্ছেন৷



সঙ্কুচিত করভিত্তির সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি কিন্তু উচ্চতর ঋণ গ্রহণ বা ব্যয় হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।  



যদিও এই করছাঁটগুলি সামগ্রিক পরিবারের উপভোগ খরচ বাড়ানোর সঙ্গে সারিবদ্ধ, একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে গিয়েছে: উচ্চ আয়ের উপার্জনকারীদের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণমূলক করবৃদ্ধি হয়নি। ২৪ লক্ষ টাকার উপরে উপার্জনকারী ব্যক্তিদের উপর ৩০ শতাংশ কর অব্যাহত আছে, যা আগের বছরের মতোই আছে এবং কোনও অতিরিক্ত সম্পদ কর, উত্তরাধিকার কর, বা মূলধনী লাভের বিধান ছাড়াই৷ ফলস্বরূপ, সরকার প্রত্যক্ষ কররাজস্ব থেকে ১ লক্ষ কোটি ভারতীয় রুপি এবং পরোক্ষ কর সংস্কার থেকে ২,৬০০ কোটি ভারতীয় রুপি হারাতে চলেছে, যা আর্থিক চাপকে তীব্র করবে৷

বাজেট বাজি ধরেছে যে, মধ্যবিত্তের মধ্যে খরচযোগ্য আয়বৃদ্ধি উচ্চতর ব্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে, বিশেষ করে আবাসন, ভোগ্যপণ্য ও অটোমোবাইলের মতো সহায়ক শিল্পে। যাই হোক, এটি অনুমান করে যে অতিরিক্ত আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সঞ্চয় করার পরিবর্তে ব্যয় করা হবে, একটি ধারণা যা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে অনিশ্চিত। অধিকন্তু, আর্থিক ঘাটতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য জিডিপির ৪.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে (২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত অনুমানের চেয়ে ৪০ বেসিস পয়েন্ট কম)। এর জন্য কঠোর রাজস্ব শৃঙ্খলার প্রয়োজন হবে। সঙ্কুচিত করভিত্তির সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি কিন্তু উচ্চতর ঋণ গ্রহণ বা ব্যয় হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।

সমাজকল্যাণ কি লুকনো খরচ হবে?

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে ব্যয়বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, রাজস্ব পূরণের অভাব দীর্ঘমেয়াদি তহবিল স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। বেশ কিছু
মূল কল্যাণ ও পরিকাঠামো কর্মসূচি সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে পারে। রাস্তার বিক্রেতাদের জন্য বর্ধিত ঋণসীমাসহ একটি পুনর্গঠিত পিএম স্বনিধি প্রকল্প অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রের জীবিকা-‌কর্মসূচিগুলির জন্য সরকারি তহবিল প্রসারিত করেছে। উপরন্তু, গিগ কর্মীদের জন্য একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প প্রায় ১ কোটি প্ল্যাটফর্ম-ভিত্তিক কর্মীদের ই-শ্রম নিবন্ধন এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান করবে। যাই হোক, কররাজস্ব হ্রাসের মধ্যে এই কর্মসূচিগুলি টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জিং প্রমাণিত হতে পারে, যা সম্ভাব্য আয়তন হ্রাস করতে বাধ্য করতে পারে।


বাজেটের একটি বড় প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে জেলা হাসপাতালে ২০০টি ডে কেয়ার ক্যান্সার সেন্টার স্থাপন এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৭৫,০০০ আসন তৈরির একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে মেডিকেল কলেজগুলিতে ১০,০০০  আসন যোগ করা। যদিও এই উদ্যোগগুলি মানবপুঁজি উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের বাস্তবায়ন স্থিতিশীল রাজস্ব সম্পদের উপর নির্ভর করে। রাজস্বের সীমাবদ্ধতা দেখা দিলে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যয় বিলম্ব বা কাটছাঁটের মুখোমুখি হতে পারে।

বাজেটে মূলধনী ব্যয়ের জন্য রাজ্যগুলিকে সুদমুক্ত ঋণ হিসাবে ১.৫ লক্ষ কোটি ভারতীয় রুপি, এবং উন্নত জল ও স্যানিটেশন-‌সহ শহর পুনর্নবীকরণ প্রকল্পগুলি চালানোর জন্য ১ লক্ষ কোটি ভারতীয় রুপির আরবান চ্যালেঞ্জ ফান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এই প্রোগ্রামগুলি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার জন্য অত্যাবশ্যক, কিন্তু বিঘ্ন এড়াতে অনুমানযোগ্য রাজস্ব প্রবাহের প্রয়োজন। সরকার কর রাজস্ব খাতে ১.০২৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ছেড়ে দেওয়ার পর, এই উদ্যোগগুলির অর্থায়ন কিন্তু ক্রমবর্ধমান করভিত্তি এবং ১.১ হারে কর উচ্ছ্বাসের (‌ট্যাক্স বাওয়েন্সি)‌ মতো রক্ষণশীল
অনুমান বাস্তবায়িত না-‌হলে কঠিন হয়ে উঠতে পারে। নতুন রাজস্ব উৎসের অনুপস্থিতিতে, ভারত আর্থিক দৃঢ়ীকরণ ও সামাজিক বিনিয়োগের মধ্যে একটি নীতিগত বিনিময়ের (‌ট্রেড অফ)‌ সম্মুখীন হতে পারে।


প্রগতিশীল করব্যবস্থা আর্থিক মায়োপিয়া ছাড়াই বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাবে

যদিও মধ্যবিত্তের জন্য করছাড় সু-উদ্দেশ্যযুক্ত, অতি-ধনীদের উপর লক্ষ্যযুক্ত কর না-‌চাপানোয় এই কৌশলটির স্থায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ থেকে গিয়েছে । অর্থনৈতিক সমতা অক্ষুণ্ণ রেখে আর্থিক চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কয়েকটি বিকল্প নীতির অনুসন্ধান করা যেতে পারে।

অতি উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের উপর সারচার্জ: অনেক উন্নত অর্থনীতি একটি নির্দিষ্ট ‌সীমা অতিক্রম করলে বার্ষিক আয়ের উপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রয়োগ করে। ভারতে অনুরূপ কাঠামো মধ্যবিত্তের উপভোগের ক্ষতি না করে রাজস্ব ক্ষতি পূরণ করতে পারে।

মূলধনী লাভ ও উত্তরাধিকার কর: একটি প্রগতিশীল করব্যবস্থায় উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ এবং অনুমানমূলক মূলধনী লাভের উপর কর বসানোর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা হাই-নেট-ওয়র্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে ন্যায্য অবদান নিশ্চিত করে।

কর ফাঁকিগুলি বন্ধ করা এবং অনুবর্তিতা জোরদার করা: কর আদায়ে অনুবর্তিতা বৃদ্ধি, ফাঁকি হ্রাস, এবং কর্পোরেট করছাড়কে আরও যুক্তিযুক্ত করা হলে তা রাজস্ব ঘাটতি প্রসারিত না-‌করে রাজস্ব সংগ্রহকে উন্নত করতে পারে।


একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির প্রয়োগ করে যার মধ্যে অতি-উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের লক্ষ্যবস্তু করের অন্তর্ভুক্ত, ভারত নিশ্চিত করতে পারে যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত, টেকসই এবং আর্থিকভাবে দায়ী থাকবে।



কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-২৬ মধ্যবিত্ত উপভোক্তাদের সমর্থন করার জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ করেছে, কিন্তু তা করেছে একটি দুর্বল করভিত্তির মূল্যে। উচ্চ-আয়ের গোষ্ঠীর উপর ক্ষতিপূরণমূলক করের অনুপস্থিতি আর্থিক চাপকে বাড়িয়ে তোলে, এবং গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও পরিকাঠামোগত বিনিয়োগের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। যদিও তাৎক্ষণিক উপভোগজনিত লাভ স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক গতি প্রদান করতে পারে, দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধি ও রাজস্ব স্থিতিস্থাপকতার জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত কর-কাঠামো প্রয়োজন। একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির প্রয়োগ করে, যার মধ্যে অতি-উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের উপর লক্ষ্যযুক্ত কর অন্তর্ভুক্ত, ভারত নিশ্চিত করতে পারে যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং আর্থিকভাবে দায়িত্বশীল থাকবে।



দেবস্মিতা সরকার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির একজন সহযোগী ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.