Author : Premesha Saha

Originally Published Hindustan Times Published on Oct 24, 2022 Commentaries 9 Days ago
রাজনৈতিক দুর্নীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ক্ষতিকর
রাজনৈতিক দুর্নীতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ক্ষতিকর

সম্প্রতি, ২০২২ সালের আগস্টে, মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ১মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (১এমডিবি) রাষ্ট্রীয় তহবিলের বেনিয়ম সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁর চূড়ান্ত আপিল খারিজ হওয়ার পর ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে শুরু করেছেন। সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সাজা বহাল রেখেছিল। এই ঘটনাটি ফের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক স্তরে দুর্নীতির গল্প ছড়িয়ে দিয়েছে, যা দক্ষিণ–পূর্ব  এশিয়ার দেশগুলিতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে। ১এমডিবি ছিল একটি উন্নয়ন তহবিল, এবং নাজিব ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরেপরেই এটি তৈরি করেছিলেন। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন যে তহবিল থেকে কমপক্ষে ৪.‌৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নাজিবের সহযোগীরা চুরি এবং পাচার করেছিলেন। ১এমডিবি–র প্রাক্তন ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে অবৈধভাবে ৯.‌৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নেওয়ার জন্য দুর্নীতির সাতটি অভিযোগে নাজিবকে ২০২০ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মালয়েশিয়ার নটিংহাম ইউনিভার্সিটির ব্রিজেট ওয়েলশের মতো দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তটির, যা এই বিশেষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অনেক মামলার মধ্যে প্রথম, এভাবে একটি  নির্দিষ্ট দিকে পৌঁছনো মালয়েশিয়ার আইনের শাসনের, এবং মালয়েশিয়ায় আইনের শাসনের দাবি জোরদার হওয়ার প্রমাণ।”

এমন ধারণা রয়েছে যে মালয়েশিয়ায় দুর্নীতি বেড়েছে, বিশেষ করে ১এমডিবি এবং অন্য সাম্প্রতিক বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলি প্রকাশ্যে আসার পর। সামগ্রিকভাবে, বিশ্বব্যাঙ্কের পদক্ষেপগুলি ইঙ্গিত করে যে মালয়েশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে না–থাকলেও এখনও ব্যাপক দুর্নীতির শিকার, যা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে অনেক উন্নতি প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ফ্রি জোন প্রকল্প সংক্রান্ত পোর্ট ক্লাং অথরিটি, ইসলামিক পিলগ্রিমস ফান্ড বোর্ড (তাবুং হাজি), সাবাহ ওয়াটার ডিপার্টমেন্ট, ফেডারেল ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ফেলডা), পেনাং সমুদ্র-তলদেশে সুড়ঙ্গ নির্মাণের ক্ষেত্রে পেনাং রাজ্য সরকার। তবে এই ধরনের মামলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১এমডিবি। এই কেলেঙ্কারিগুলিতে ঘুষ, তছরুপ, অর্থ পাচার, প্রতারণামূলক লেনদেন এবং ব্যাপক স্বজনবাদ (‌ক্রোনিজম)‌ জড়িত রয়েছে, এবং প্রায়শই কেলেঙ্কারির পরিমাণ ১ বিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি।

মালয়েশিয়ার নটিংহাম ইউনিভার্সিটির ব্রিজেট ওয়েলশের মতো দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তটির, যা এই বিশেষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অনেক মামলার মধ্যে প্রথম, এভাবে একটি  নির্দিষ্ট দিকে পৌঁছনো মালয়েশিয়ার আইনের শাসনের, এবং মালয়েশিয়ায় আইনের শাসনের দাবি জোরদার হওয়ার প্রমাণ।”

কিন্তু সেই সঙ্গে এই সব দুর্নীতিমূলক কাজকর্ম কমানোর জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যান্টি করাপশন এজেন্সি (এ সি এ)‌–কে ২০০৯ সালে একটি সরকারি সংস্থা থেকে একটি কমিশনে রূপান্তরিত করে নাম দেওয়া হয়েছিল‌ মালয়েশিয়ান অ্যান্টি করাপশান কমিশন (এম এ সি সি)‌। দুর্নীতি দমন সংস্থাটিকে অধিকতর স্বাধীনতা ও তদন্তের ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে এম এ সি সি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংস্থাটি নথি ও সাক্ষীকে সুরক্ষিত করতে পারে, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে পারে, এবং এমন সংস্কারের প্রস্তাব করতে পারে যা অযৌক্তিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলিকে রক্ষা করবে। ২০০৯ সালে সংঘটিত সংস্কারগুলি আংশিকভাবে সরকারের সামগ্রিক গুণমান, পরিষেবা সরবরাহের স্তর, লাল ফিতের সমস্যা এবং দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার অভাব নিয়ে জনসাধারণ এবং সুশীল সমাজের ক্রমবর্ধমান হতাশার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এসেছিল। কিন্তু, নীতি বা বাস্তবায়নের ফাঁক সহ বিভিন্ন কারণে এই সংস্কারগুলির বেশিরভাগই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাগুলি ২০১৮ সালে পাকাতান হারাপান সরকারের নির্বাচিত হওয়ার ফলে বড় ধরনের উৎসাহ পেয়েছিল, কারণ তারা ক্ষমতায় এসেছিল একটি পরিচ্ছন্ন, দায়বদ্ধ ও স্বচ্ছ শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, যা ১এমডিবি কেলেঙ্কারির পর সাধারণ মানুষের মনে ভাল অনুরণিত হয়েছিল। প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি ছিল দুর্নীতি দমনের বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটির (জে কে কে এম এ আর) সচিবালয় হিসেবে ন্যাশনাল সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স, ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড অ্যান্টি–করাপশন (জি আই এ সি সি) তৈরি করা, যা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করবে। জি আই এ সি সি অন্যান্য সংস্থা এবং বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে ন্যাশনাল অ্যান্টি–করাপশন প্ল্যান (এন এ পি সি) প্রণয়ন ও চালু করেছে, এবং বর্তমানে এর বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করছে। প্রধান এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি হিসাবে রয়ে গেছে মালয়েশিয়ান অ্যান্টি–করাপশন কমিশন (এম এ সি সি), এবং এই দুটি একসঙ্গে দেশের প্রধান দুটি দুর্নীতিদমন সংস্থা হিসাবে কাজ করে। যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার সুস্পষ্ট প্রভাব পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং সততা প্রচার করা মালয়েশিয়ায় একটি মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। হিসাব অনুযায়ী দুর্নীতির জন্য মালয়েশিয়াকে বছরে ১০ বিলিয়ন আর এম পর্যন্ত মূল্য দিতে হয়, যা ২.‌৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারর সমান। হিসাব অনুযায়ী এটি মালয়েশিয়ার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জি ডি পি) ২% পর্যন্ত যায়।

কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে,‘‌‘‌শাসন, দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সূচক ও র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু সংস্কার ও অন্যান্য চলতি প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়ার উন্নতি হয়েছে।’‌’‌ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টি আই) করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সি পি আই)–এর র‌্যাঙ্কিং ২০১৮ সালে ৬১তম থেকে ২০১৯ সালে ৫১তম হয়েছে। এডলম্যান ব্যারোমিটার অন ট্রাস্ট ইন গভর্নমেন্ট অনুযায়ী মালয়েশিয়া ২০১৭ সালের ৪০ পয়েন্ট থেকে ২০ পয়েন্ট বেড়ে ২০১৮ সালে ৬০ পয়েন্টে পৌঁছেছে। ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ই আই ইউ) মালয়েশিয়াকে ২০২০ সালে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদের উন্নতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতির স্কোর দিয়েছে। দেশটি গণতন্ত্র সূচকে ১০–এর মধ্যে ৯.১৭ পেয়েছে। ২০১৮ সালে দেশটি মাত্র ৭.৭৫ স্কোর করেছিল। তবে অ্যান্টি–ব্রাইবারি অ্যান্টি–করাপশন সেন্টার ফর এক্সিলেন্স–এর প্রতিবেদন বলছে, “ডেটা দেখায় যে মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ৬৬% এরও বেশি মানুষের বিশ্বাস যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বা সততার স্তরে কোনও উন্নতি হয়নি।’‌’‌ পুলিশের মধ্যে দুর্নীতির সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গিয়েছে;‌ তারপরে আছে অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি, যেমন শুল্ক বিভাগ এবং সড়ক ও পরিবহণ। উপরন্তু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টি আই)–এর ডেটাও নিশ্চিত করে যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুর্নীতি বেড়েছে;‌ মালয়েশিয়া ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৩তম অবস্থান থেকে ৬২তম অবস্থানে নেমে এসেছে৷ ২০২০ সালে, প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্স (পি ডব্লিউ সি) অনুসারে, মালয়েশিয়ার সংস্থাগুলিতে চারটি সবচেয়ে বিঘ্নকারী জালিয়াতির অভিজ্ঞতা ছিল সম্পদ আত্মসাৎ করা, ঘুষ ও দুর্নীতি, গ্রাহক জালিয়াতি এবং সাইবার অপরাধ। এগুলি ছিল মালয়েশিয়ার সমস্ত অর্থনৈতিক অপরাধের ৭০%‌।

যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার সুস্পষ্ট প্রভাব পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং সততা প্রচার করা মালয়েশিয়ায় একটি মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।

যদিও এটা স্পষ্ট যে দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে, তবে তা এখনও একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসাবে থেকে গিয়েছে। এর বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া আছে। দুর্নীতির মাত্রা ঊর্ধ্বেই থেকেছে, এবং দুর্নীতি দমন কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে এম এ সি সি–র কার্যকারিতা অন্তর্ভুক্ত, যার লক্ষ্য উচ্চ স্তরের দুর্নীতির তদন্ত করা।

মালয়েশিয়া ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলিও দুর্নীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ১০ জনের মধ্যে ৮ জনেরও বেশি ইন্দোনেশিয়ান বলেছেন যে দেশের সরকারের মধ্যে এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দুর্নীতি ব্যাপক। ইন্দোনেশিয়ার এক সময়ের শক্তিশালী করাপশন ইর‌্যাডিকেশন কমিশন (কে পি কে) এখন একটি প্রতিবন্ধী সরকারি সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০২০ সমীক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার ফলাফল এই ইঙ্গিত দেয় যে কে পি কে–র কর্মক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে। বেশিরভাগ তদন্তই নতুন নয়, এবং সেগুলি দ্রুত বা কার্যকরভাবে অগ্রসরও হচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়া করাপশন ওয়াচ (আই সি ডব্লিউ) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইন্দোনেশিয়া (টি আই আই) ২০২০ সালের জুনে প্রকাশিত কে পি কে–র পারফরম্যান্সের উপর তাদের যৌথ প্রতিবেদনে লিখেছিল, “কে পি কে তার সবচেয়ে খারাপ দিনে প্রবেশ করছে। দেশের দুটি শীর্ষ দুর্নীতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা করাপশন ইর‌্যাডিকেশন কমিশন (কেপিকে)–এর নতুন নেতৃত্বকে ২০২০ সালের প্রথমার্ধে পারফরম্যান্সের জন্য লাল দাগ দিয়েছে, এবং তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে অপরাধের বিরুদ্ধে দুর্বল প্রয়োগ এবং কমিশনকে জড়িয়ে অনেক বিতর্কের কথা।’‌’‌ অতএব, যা দেখা যায় তা হল দুর্নীতি রয়েছে রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে, এবং কিছু দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশে কখনও কখনও এমনকি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলিতেও, যা প্রতিকারমূলক প্রচেষ্টার প্রক্রিয়াটিকে কঠিন করে তোলে। মালয়েশিয়ায় কখনও কখনও বলা হয়েছে যে নির্দিষ্ট সরকারের অধীনে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলি দক্ষ ছিল না। যদি এই সংস্থাগুলির কাজ তেমন সন্তোষজনক না হওয়ার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করা হয়, তবে প্রশ্ন উঠবে যে এই সংস্থাগুলিকে দায়বদ্ধ করার জন্য অন্য কী কী উপায় ভাবা যেতে পারে। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার সময় আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য কি প্রাথমিক পর্যায়ে আদালতকে আনা উচিত?‌ এমন কি দাবি করা উচিত যে শীর্ষ নেতৃত্বের পরিবর্তে এই সংস্থাগুলিকে সরাসরি আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হবে? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিবের মামলায় হাইকোর্ট এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় কিছু ইতিবাচক আলো ফেলেছে, এবং অনেকেই একে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখছেন। সমাজে দুর্নীতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে আছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হওয়া, আয়ের বৈষম্য বৃদ্ধি এবং সরকার ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থার অভাব তৈরি করা। সুতরাং, দুর্নীতি মোকাবিলা করার প্রয়োজন আছে, কারণ তা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে উপকৃত করবে।


এই ভাষ্যটি প্রথমে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’–এ প্রকাশিত হয়েছিল।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.