Published on Apr 23, 2024 Updated 0 Hours ago

সোমালিল্যান্ড এবং ইথিওপিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক চুক্তিটি ইতিমধ্যে হর্ন অফ আফ্রিকাতে এই বছরের অস্বস্তিকর আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের কাঠামো নির্ধারণ করেছে

সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে ইথিওপিয়ার বন্দর চুক্তি এবং তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের মূল্যায়ন

হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালটি শুরু হয়েছিল। বছরের প্রথম দিনে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সোমালিয়ার একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মুসে বিহি আবদির সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিটি ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত দেশ ইথিওপিয়াকে লোহিত সাগরে সরাসরি বাণিজ্যিক ও সামরিক প্রবেশাধিকার দেবে। চুক্তি অনুসারে, সোমালিল্যান্ড এডেন উপসাগরে সোমালিল্যান্ডের উপকূলরেখার ২০ কিলোমিটার দূরে ইথিওপিয়ার কাছে অবস্থিত একটি সামরিক বন্দরকে ৫০ বছরের জন্য ইজারা দিতে সম্মত হয়েছে এর বিনিময়ে, সোমালিল্যান্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃত হবে এবং ইথিওপিয়ার ফ্ল্যাগশিপ বিমান ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের অংশীদারিত্ব অর্জন করবে। এর ফলে সোমালিল্যান্ডকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী আফ্রিকার প্রথম দেশ হয়ে ওঠে ইথিওপিয়া এবং তাইওয়ানের পরে সোমালিল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে ওঠে, যেটি একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল এবং যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।

 

লোহিত সাগরে প্রবেশের জন্য ইথিওপিয়ার অনুসন্ধান

প্রাথমিক ভাবে, চুক্তিটিকে কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে, যা অবিলম্বে সমুদ্রে প্রবেশের জন্য ইথিওপিয়ার দীর্ঘস্থায়ী চাহিদা পূরণ করেছে। ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতার পর থেকে লোহিত সাগরের একটি বন্দর জিবুতি ইথিওপিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথ হিসাবে কাজ করে। যাই হোক, জিবুতি বন্দর মূল্য বাবদ ইথিওপিয়ার কাছ থেকে বার্ষিক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করে, যা ইথিওপিয়াকে প্রতিবেশী ইরিত্রিয়া, সুদান, সোমালিল্যান্ড এবং কেনিয়ার অন্যান্য বিকল্প অন্বেষণ করতে প্ররোচিত করে। ইরিত্রিয়ার বন্দরগুলিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার করার পদক্ষেপ হিসাবে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালের শান্তি চুক্তিকে ইথিওপিয়া আশাবাদের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে। সোমালিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল্লাহি মোহাম্মদের সঙ্গে ইথিওপিয়ার চারটি সোমালিয়ান সমুদ্রবন্দরে যৌথ ভাবে বিনিয়োগ করার কথা ছিল২০২৩ সালের অগস্ট মাসে ইথিওপিয়ার পরিবহণ ও লজিস্টিক মন্ত্রী আলেমু সিমে কেনিয়ার লামু বন্দরও পরিদর্শন করেন। যাই হোক, ইথিওপিয়ার এই বন্দরগুলির কোনওটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।

 

ইরিত্রিয়ার বন্দরগুলিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার করার পদক্ষেপ হিসাবে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালের শান্তি চুক্তিকে ইথিওপিয়া আশাবাদের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।

 

প্রকৃতপক্ষে, ইথিওপিয়া ২০০৫ সাল থেকে বারবেরা পোর্ট সুদানের দিকে নজর রেখেছে। যাই হোক, ইথিওপিয়ার লজিস্টিক সমস্যা এবং সোমালিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা-সহ বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতার কারণে জিবুতি থেকে সম্পূর্ণ স্থানান্তর হয়ে ওঠেনি। এমিরেটস লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ইথিওপিয়া ২০১৮ সালে বারবেরা বন্দরে ১৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করে। সেই সময়ে সোমালিয়া চুক্তিটিকে অবৈধ বলে যথেচ্ছ নিন্দা করেছিল। যাই হোক, ইথিওপিয়া তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তার অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেয়।

২০২৩ সালে এই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়, যখন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, তাঁর স্থলবেষ্টিত দেশকে আনুমানিক ১২০ মিলিয়ন ইথিওপিয়ানদের ‘ভৌগোলিক কারাগারসম পরিসর’-এর বাধা অতিক্রম করতে হবে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, লোহিত সাগরে প্রবেশাধিকার একটি অস্তিত্বগত সমস্যা, তিনি এটিকে তৃতীয় শতাব্দীর আকসুম রাজত্বের সঙ্গে জনসংখ্যাগত ভাবে তুলনা করেন। আবি আহমেদ তাঁর বক্তৃতায় যুদ্ধের কথা উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলেও ইরিত্রিয়ার লোহিত সাগর বন্দরগুলিতে ইথিওপিয়ার আঞ্চলিক দাবিকে সমর্থন করে তাঁর অপ্রীতিকর বক্তৃতাগুলি আরও সংঘাতের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিল। বর্তমানে যেহেতু ইথিওপিয়া কূটনৈতিক ভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে, তাই অল্প সময়ের মধ্যে আর কটি ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া যুদ্ধের সম্ভাবনা আপাতত খারিজ করা যেতে পারে।

 

এমিরেটস লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ইথিওপিয়া ২০১৮ সালে বারবেরা বন্দরে ১৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণ করে।

 

তা সত্ত্বেও, এই চুক্তি কোনভাবেই এই অঞ্চলে শান্তির জন্য অনুঘটক নয়। বরং তার পরিবর্তে, চুক্তিটি ইতিমধ্যে অস্থিতিশীল অঞ্চলে অনিশ্চয়তার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেছে। সোমালিয়া এটিকে তার সার্বভৌমত্বের সক্রিয় লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং ইথিওপিয়া থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেসর্বোপরি ৬ জানুয়ারি সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ চুক্তি বাতিল করে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট ইথিওপিয়া ও সোমালিল্যান্ডকেও চুক্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। যাই হোক, সোমালিল্যান্ড বা ইথিওপিয়া কেউই ঐতিহাসিক চুক্তিটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত নয়।

 

চুক্তির সম্ভাব্য প্রভাব

সোমালিল্যান্ড সোমালিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৯১ সালে সোমালিল্যান্ড একটি রক্তক্ষয়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগ্রামের পর তার প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করে এবং সেই সংগ্রামে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিবেশী সোমালিয়াকে গ্রাস করতে থাকা গৃহযুদ্ধের সম্পূর্ণ বিপরীতে সোমালিল্যান্ডে আপেক্ষিক স্থিতিশীলতা বজায় ছিল এবং এটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় ধরে রাখতে পেরেছিল। ফ্রিডম হাউসের মতে, কেনিয়া সোমালিল্যান্ড পূর্ব আফ্রিকার শুধু মাত্র দুই দেশ, যারা রাজনৈতিক অধিকার নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে স্বাধীন। তা সত্ত্বেও সোমালিল্যান্ড সরকারি ভাবে কোনও দেশ দ্বারা স্বীকৃত নয়।

প্রকৃতপক্ষে, হর্ন অফ আফ্রিকার প্রায়শই উপেক্ষিত এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল, যখন তাইওয়ান ২০২০ সালে সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের আকস্মিক ঘোষণা করেছিল। সর্বোপরি, সোমালিল্যান্ড ইথিওপিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ কারণ এটি একটি ৮৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূলরেখা রয়েছে, যা কৌশলগত ভাবে এডেন উপসাগরে অবস্থিত। এটি জলদস্যুতার সমস্যা থেকে মুক্ত এবং বাব আল-মান্দেব প্রণালীর প্রবেশদ্বারকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এই চোকপয়েন্টটিকে বিশ্ব বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করে থাকে।

 

হর্ন অফ আফ্রিকার প্রায়শই উপেক্ষিত এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল, যখন তাইওয়ান ২০২০ সালে সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের আকস্মিক ঘোষণা করেছিল।

 

চুক্তিটি পারস্পরিক ভাবে উপকারী বলে মনে হচ্ছে। চুক্তির অধীনে, ইথিওপিয়া একটি সামরিক ঘাঁটি একটি বাণিজ্যিক সামুদ্রিক অঞ্চল স্থাপন করবে এবং এর বিনিময়ে সোমালিল্যান্ডের সঙ্গে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেবে। সন্ত্রাসবাদ ও জলদস্যুতার ব্যাপকতা এই অঞ্চলকে অরক্ষিত করে তুলেছে। সর্বোপরি, হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ইরায়েলের আগ্রাসী অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় লোহিত সাগরের উপর জাহাজে হামলা শুরু করেছে। বাব আল-মান্দেব প্রণালীর কৌশলগত তাৎপর্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তির ফলে লোহিত সাগর অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

লোহিত সাগরে ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েন

চুক্তিটি অবশ্যই ইথিওপিয়া সোমালিল্যান্ড উভয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক-সহ লোহিত সাগর অঞ্চলের একটি প্রধান শক্তি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে (ইউএই) উপকৃত করবে২০১৬ সালে সোমালিল্যান্ডের সরকার বারবেরা বন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য দুবাইভিত্তিক পোর্ট অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে একটি ৩০ বছরের ছাড়পত্র চুক্তি স্বাক্ষর করে। উপরন্তু, আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এডিএফডি) হল বারবেরা করিডোরের জন্য প্রধান তহবিল প্রদানকারীদের মধ্যে অন্যতম, যা সোমালিল্যান্ডকে ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বারবেরা করিডোরকে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করার বিষয়টিকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক বাঁকবদলকারী বিন্দু হিসাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সম্ভবত চুক্তির পক্ষে একটি প্রভাবশালী অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।

যাই হোক, চুক্তিটিকে একটি ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বিপজ্জনক ক্ষেত্র বলে মনে করা হচ্ছে, যা একাধিক অংশীদারের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, এর উপকূলের কাছে একটি ইথিওপিয়ান নৌবহর বহাল করার বিষয়টি ইরিত্রিয়ার জন্য খুব উদ্বেগজনক। জিবুতিও এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হবে নাকারণ চুক্তিটির ফলে দেশটির উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি ঘটবে। চুক্তিটি সম্ভবত সৌদি আরব এবং মিশরকেও বিরক্ত করবে কারণ এটি লোহিত সাগর নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে তাদের চেয়ে খানিকটা হলেও এগিয়ে দেবে।

বিশেষ করে তাইওয়ান সোমালিল্যান্ডের নৈকট্য থেকে এই অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহ ইতিমধ্যেই চিনকে বিরক্ত করেছে। তাইওয়ান ২০২০ সালের গস্ট মাসে সোমালিল্যান্ডের রাজধানী হারগেইসায় তার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং সোমালিল্যান্ড পরের মাসে তাইপেইতে একটি প্রতিনিধি কার্যালয়ের সূচনা করে। আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, সোমালিল্যান্ডের লাস আনোদ অঞ্চলে সাম্প্রতিক অস্থিরতা আফ্রিকায় চিনের প্রথম প্রক্সি যুদ্ধকেই দর্শায়চিন ইতিমধ্যেই হর্ন অফ আফ্রিকার বিশেষ দূত হিসেবে জু বিংকে নিয়োগ করেছে এবং চুক্তির বিরুদ্ধে এই নিয়োগ কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

চুক্তিটি সম্ভবত সৌদি আরব এবং মিশরকেও বিরক্ত করবে কারণ এটি লোহিত সাগর নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে তাদের চেয়ে খানিকটা হলেও এগিয়ে দেবে।

 

সর্বোপরি, এই চুক্তিটি শত্রুতা সামরিক সংঘর্ষের দীর্ঘ ইতিহাস-সহ দুটি দেশ ইথিওপিয়া সোমালিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ককে বিপন্ন করে তুলেছে। ইথিওপিয়ার সোমালি অঞ্চল ওগাডেন ১৯৬০ সালে সোমালিয়ার স্বাধীনতা থেকে ঠান্ডা লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অঞ্চল ছিল। এই সময়ে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা না থাকলেও সোমালিয়া হস্তক্ষেপের জন্য ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে।

প্রকৃতপক্ষে, চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস), ব্রিটেন (ইউকে), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এবং আরব লি সকলেই ইথিওপিয়াকে চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেএর পাশাপাশি মতভেদ নিরসনে গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে। তা সত্ত্বেও, ইথিওপিয়া সোমালিল্যান্ড এই নানাবিধ সমালোচনায় অবিচলিত রয়েছে এবং চুক্তিটিতে অটল থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

 

অঞ্চলের জন্য এক অনিশ্চিত ২০২৪

ভূখণ্ডবেষ্টিত ইথিওপিয়ার লোহিত সাগরের সমস্যাটি আসলে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে তার ২০ বছর ব্যাপী সীমান্ত যুদ্ধের সময়কাল থেকে হয়ে আসছে২০০০ সালে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা অব্যাহত ছিল এবং ইথিওপিয়া আর কখনও মাসাওয়া আসাব বন্দর ব্যবহার করতে পারেনি। এই চুক্তির মাধ্যমে ইথিওপিয়া সফল ভাবে সমুদ্রে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে সমুদ্রবন্দরগুলিতে তার লভ্যতাকে বৈচিত্র্যময় করতে সক্ষম হয়েছে। চুক্তির বিশদ আগামী সময়ের ফলো-আপ বৈঠকের সময় চূড়ান্ত করা হলেও ঘোষণাটি ইতিমধ্যে হর্ন অফ আফ্রিকা এই বছরের চাপানউতোরময় আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের কাঠামো নির্ধারণ করেছে।

 


সমীর ভট্টাচার্য বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.