Author : Vivek Mishra

Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 16, 2022 Updated 5 Days ago

ইউক্রেন সংকট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জগুলি বাইডেন প্রশাসনের উপর বিশাল চাপ তৈরি করছে।

ইউক্রেন সংকট:‌ বাইডেনের ঘরোয়া রাজনীতির উপর প্রভাবের মূল্যায়ন

Source Image: US Embassy Kyiv Ukraine — Flickr

ইউক্রেন সংকট:‌ বাইডেনের ঘরোয়া রাজনীতির উপর প্রভাবের মূল্যায়ন

চলতি ইউক্রেন সংকট এবং তাতে সামরিক ভাবে জড়িত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত আগ্রহ ওয়াশিংটনের জন্য আফগানিস্তানের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার অনুভূতি তৈরি করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ যখন আরও জটিল পর্বে প্রবেশ করেছে, অসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, সংঘাত বাড়ছে, এবং রাশিয়া পারমাণবিক প্রস্তুতির কথা বলে রাখছে, সেই সময় মার্কিন ভূমিকা নিয়ে সে দেশের ভেতরে এবং বাইরে বিতর্ক চলছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড সাধারণ ভাবে আমেরিকানদের পুতিনের সক্রিয়তার সম্মিলিত নিন্দায় ঐক্যবদ্ধ করেছে, এবং সংকটের সময় কিছু ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানকেও একত্র করেছে। তবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্যে পুতিনের প্রশংসা রিপাবলিকান পার্টির মূলগত দ্বিধাকে সামনে নিয়ে এসেছে:‌ ট্রাম্প কি দলের জন্য ভাল না খারাপ? ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন – যাকে আগ্রাসী যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে — তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বেই আবেগজনিত সমর্থন তৈরি হয়েছে৷ আফগানিস্তানে দীর্ঘায়িত সেনা উপস্থিতি, বা মার্কিন করদাতাদের খরচে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও একটি দেশে নিরাপত্তা দেওয়ার চেয়ে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবেগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হল রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্কটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুক্ত থাকা এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সৃষ্ট ক্ষয়ের পরে ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাইডেন প্রশাসনের ঘোষিত কৌশলগত উদ্দেশ্য।

আফগানিস্তানে দীর্ঘায়িত সৈন্য উপস্থিতি, বা মার্কিন করদাতাদের খরচে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও একটি দেশে নিরাপত্তা দেওয়ার চেয়ে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবেগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ করেছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য বিভিন্ন বিশ্ব নেতাদের আহ্বানের ব্যাখ্যা ও তার পরিণতির মূল্যায়ন ওয়াশিংটন করেছে তার নিজের মতো করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাশিয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক উপহাস থেকে শুরু করে পরিষেবা ও পণ্য বয়কটের মতো বিভিন্ন রূপ নিয়েছে। উটার গভর্নর স্পেন্সার জে কক্স উটার ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যালকোহলিক বেভারেজ কন্ট্রোলকে ‘‌রাশিয়ায় উৎপাদিত ও রুশ ব্র্যান্ডের সমস্ত পণ্য সব দোকানের তাক থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে’‌ একজিকিউটিভ অর্ডার জারি করেছেন৷ অনুরূপ পদক্ষেপ করে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সব রেস্তোরাঁ, বার ও খুচরা বিক্রেতাদের রুশ পণ্য সরিয়ে দিতে বলেছেন। আরকানস’র সেনেটর টম কটন এই মনোভাবের প্রতিধ্বনি করেছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের গভর্নর ক্রিস সুনুনু, একজন রিপাবলিকান, অনুরূপ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। কিছু ডেমোক্র্যাটও এই বয়কটের দলে যোগ দিয়েছেন। ভার্জিনিয়া স্টেট সেনেটের একজন শীর্ষ ডেমোক্র্যাট এল লুইস লুকাস ‘‌সমস্ত রুশ ভোদকা এবং অন্য যে কোনও রুশ পণ্য অপসারণের’‌ আহ্বান জানিয়েছেন৷ এই ধরনের প্রতিক্রিয়াগুলি নির্ভর করে ব্যবসায়িক ও সরকারি ক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিশোধমূলক মনোভাব ক্রমান্বয়ে কতটা দানা বাঁধছে তার উপর। কানাডার অন্টারিও, ম্যানিটোবা নিউ ব্রান্সউইক, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও নিউফাউন্ডল্যান্ড তাদের সব দোকান থেকে রুশ পণ্য নিষিদ্ধ করতে ব্যবস্থা নিয়েছে।

 রাজনৈতিক স্তরে ইউক্রেনীয় সংকট শুধু ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যেই নয়, বরং রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেও রাজনৈতিক দলাদলি আরও বেশি করে সামনে এনেছে। যদিও টেক্সাসের মতো কিছু রিপাবলিকান রাজ্য রুশ পণ্যের সম্মিলিত বয়কটকে সমর্থন করেছে, রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ট্রাম্পের দক্ষিণপন্থী উপদল কিন্তু পুতিনকে ব্যক্তি হিসেবে পছন্দ করার ও তাঁর নীতির প্রতি দুর্বলতার প্রমাণ দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে ট্রাম্পের বাগ্মিতার উপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে নতুন রাজনৈতিক দক্ষিণপন্থার উত্থান হয়েছে, তা গণতন্ত্রবিরোধী রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং স্বৈরাচারী নেতাদের উজ্জ্বল আলোয় তুলে ধরে। যেমন, সাম্প্রতিক ইতিহাসে দেখা গেছে মার্কিন দক্ষিণপন্থীরা তাঁদের পরিবর্তিত বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংস্কৃতি যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান বিভাজন উস্কে দিয়েছেন। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে জিওপি–র রিপাবলিকান ও নির্দলদের ৬২ শতাংশ পুতিনকে বাইডেনের চেয়ে ‘‌শক্তিশালী নেতা’‌ বলে মনে করেন। ট্রাম্প নিজেই পুতিনকে ‘‌স্যাভি’‌ বলে প্রশংসা করেছেন, যা রিপাবলিকান পার্টিকে ট্রাম্পের মূল সমর্থনগোষ্ঠী ও যারা জিওপি–কে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায় তাদের মধ্যে বিভক্ত করেছে। যাই হোক, ট্রাম্প তাঁর দলে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকলেও ডেমোক্র্যাটরা এখন এই ঘটনা থেকে ভরসা পাচ্ছেন যে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে পারে।

পৃথিবী জুড়ে দ্রুত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন, যা অতিমারির কারণে জটিলতর হয়েছে, আমেরিকার আন্তর্জাতিক অভিযান ও সামরিক হস্তক্ষেপকে সীমিত করেছে।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ব্যর্থতার পর ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনীয় সঙ্কটের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া দ্বিতীয়বার বৈশ্বিক সংকটের ক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত ভাবে শক্তিশালী মার্কিন প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হল। পৃথিবী জুড়ে দ্রুত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন, যা অতিমারির কারণে জটিলতর হয়েছে, আমেরিকার আন্তর্জাতিক অভিযান ও সামরিক হস্তক্ষেপকে সীমিত করেছে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে ওয়াশিংটনের আপেক্ষিক অবক্ষয়, তাদের সম্পদের উপর চাপ, এবং বিশ্ব পুলিশের ভূমিকা নিতে রাজনৈতিক আগ্রহ কমে যাওয়া কথা। যে হেতু এই পরিবর্তনগুলি দ্রুত এসেছে, তাই ওয়াশিংটনের কাছ থেকে প্রত্যাশা এখনও সমানুপাতে কমেনি, এবং তার ফলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক ভূমিকা উভয় ক্ষেত্রেই অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে।

ভিতরের দিকে তাকানোর প্রবণতা, যা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বর্ণনের মধ্যে দিয়ে সামনে উঠে এসেছে, একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে অভ্যন্তরীণ ভাবে খুবই গুরুত্ব পায়। তবে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা বা বিদেশে তার প্রভাবের ক্ষেত্রে বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে, যেমন বাস্তবে তেমনই ধারণার ক্ষেত্রে। এই ধরনের জটিলতার কিছুটা আমেরিকানদের এখনকার মনোভাবের মূল্যায়নের মধ্যে প্রতিফলিত হয়, বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা দেখিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সময়  জো বাইডেনের বিদেশ নীতিতে আমেরিকানদের বিশ্বাস কমে গেছে। মাত্র ৩৬ শতাংশ আমেরিকান ইউক্রেন সঙ্কট মোকাবিলায় বাইডেনের কাজকর্ম অনুমোদন করেছেন, এবং ৫৫ শতাংশ করেননি। আরও খারাপ, তাঁর অর্থনীতি পরিচালনার অনুমোদনের হার এখন ৩৭ শতাংশ, যা গত বছরের ৫৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে। বাইডেনের অনুমোদনের রেটিংয়ে এই নিম্নগামী প্রবণতা আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁর সম্ভাবনার পক্ষে শুভ বার্তা নয়। প্রেসিডেন্ট পদে থাকার ৪০১ দিনের মধ্যে এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট–‌পরবর্তী ইতিহাসে অনুমোদনের দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ রেটিং। বাইডেনের রাজনৈতিক সাফল্যকে প্রভাবিত করে এমন সাম্প্রতিক কারণগুলির মধ্যে একটি হল ইউক্রেনীয় সঙ্কট। অন্যগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা, আফগানিস্তান সংকট, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বিরাট আকারে ভোটাধিকার আইন পাস করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রচেষ্টা। রিপাবলিকানদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটে বাইডেনের প্রতিক্রিয়াকে অনুমোদন করেননি, আর ৫৩ শতাংশ নির্দল ও ৩১ শতাংশ ডেমোক্র্যাটের মনোভাবও ছিল একই রকম।

বাইডেন কি স্রোতের মুখ ঘোরাতে পারবেন?

এই অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও কেউ কেউ মনে করেন যে বাইডেন নিজের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ইউক্রেনীয় সংকট এমন একটি মুহূর্ত হতে পারে যা বাইডেন প্রেসিডেন্সি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করবে। এই প্রতিক্রিয়া যদিও জনপ্রিয় ধারণার সঙ্গে সামরিক ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ না–হতেও পারে, তা হলেও বাইডেনের পক্ষে যা রাজনৈতিক ভাবে সহায়ক হতে পারে তা হল ইউক্রেনে তাঁর সহায়তা, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ইউরোপীয় মিত্র ও অংশীদারদের প্রতি তাঁর অবিচ্ছিন্ন সমর্থনের বার্তা। ইউক্রেনকে বাইডেনের ৬০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত — প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের জন্য ৩৫ কোটি, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য অতিরিক্ত ২৫ কোটি ডলার — ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর প্রশাসনের নেতৃত্বে রাশিয়ার উপর এক অভূতপূর্ব ‘ভয়ঙ্কর মূল্য’ চাপানোর সিদ্ধান্ত শুধু ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্কই নয়, ইইউ এবং নেটোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রেও দৃষ্টান্তমূলক হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়া ব্লক হিসেবে ইইউ-এর সঙ্গে, এবং তার পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপের ছোট ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে, বাইডেন প্রশাসনের যোগাযোগ ইউক্রেন-পরবর্তী সময়ে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এ ভাবে সম্ভবত ইইউ-মার্কিন সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা হবে।

ইউক্রেনকে বাইডেনের ৬০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত — প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের জন্য ৩৫ কোটি, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য অতিরিক্ত ২৫ কোটি ডলার — ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের মনোনয়নে বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে গভীর ভাবে বিভক্ত কংগ্রেসের ক্ষেত্রে যে ভাবে সমস্যায় পড়ছিল, ইউক্রেনীয় সংকট তার বিকল্প একটি পথ বেছে নিতে বাধ্য করল। আফগানিস্তানের ব্যর্থতার পরে এটি দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত যখন বাইডেন প্রেসিডেন্সির রাজনৈতিক গতিপথ প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণের বাইরের একটি বড় বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সংকটের ফলে পুনঃনির্দেশিত হল। মনোনিবেশের মূল পরিধির এই পরিবর্তন ১ মার্চ তাঁর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণেও প্রতিফলিত হয়েছে।

তবে, দেশের ভেতরে বাইডেনের চ্যালেঞ্জগুলি বিদেশ নীতির বাইরের বিষয়। অতিমারিজনিত বিধিনিষেধ লাঘব করার জন্য গভর্নরদের তীব্র চাপের মুখোমুখি হওয়ার পরে বাইডেন এখনও জমে–থাকা ক্রোধের মুখোমুখি হচ্ছেন। কানাডার পিপলস কনভয়–এর অনুকরণে ট্রাকারদের বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসি-র দিকে রওনা হয়। তাদের দাবির মধ্যে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা অতিমারি-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য যে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন তার অবসান। বাইডেন তাঁর ঘরোয়া চ্যালেঞ্জগুলির পাশাপাশি আরও একটি মেগা আন্তর্জাতিক সংকট কী ভাবে মোকাবিলা করেন তা পর্যবেক্ষণ করাও বেশ আকর্ষণীয় ঘটনা হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.