Expert Speak Raisina Debates
Published on Sep 06, 2022 Updated 28 Days ago

চিন কলম্বোর বাধ্যবাধকতাকে ব্যবহার করেছে ভারত ও বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য —সাহায্য করুক বা না-করুক বেজিং এখনও শ্রীলঙ্কায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব বজায় রেখেছে, এবং সে ভারতকে নিজের উঠোনেই চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

চিন হাম্বানটোটায় পৌঁছে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কি শ্রীলঙ্কায় সহায়তা অব্যাহত রাখা উচিত?
চিন হাম্বানটোটায় পৌঁছে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কি শ্রীলঙ্কায় সহায়তা অব্যাহত রাখা উচিত?

অবশেষে ১৬ আগস্ট একটি চিনা নৌযান ইউয়ান ওয়াং–৫ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করেছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্স পরিচালিত এই ‘‌গবেষণা জাহাজ’‌ উপগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত তথ্য নিরীক্ষণ/সংগ্রহ করতে পারে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথও ট্র্যাক করতে পারে। এই বিষয়টি সঙ্কটবিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় ভারতের সহায়তা, ভারতের প্রতি কলম্বোর কৃতজ্ঞতার অভাব, এবং এই অঞ্চলে চিনের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তবে এই অঞ্চলের অভ্যন্তরে এবং এর বাইরেও চিনের প্রতীকী ও কৌশলগত বার্তার মোকাবিলা করা ছাড়া ভারতের সামনে খুব কম বিকল্প রয়েছে।

নানা বৈপরীত্যের গল্প

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নোঙরের পর্ব শুরু হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক ১২ জুলাই চিনা জাহাজটিকে আসতে দিতে সম্মত হয়েছিল। সে দেশের প্রেসিডেন্ট তার আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রক অবশ্য জনসমক্ষে এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে। যাই হোক, জুলাইয়ের শেষের দিকে এটি নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল যে জাহাজটি ১১–১৭ আগস্ট হাম্বানটোটায় ‘‌পুনঃপূরণ’‌–এর (‌রিপ্লেনিশমেন্ট)‌ উদ্দেশ্যে নোঙর করে থাকবে এবং এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। তবে জাহাজটির ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলি ট্র্যাক ও জরিপ করার সম্ভাবনা বিবেচনা করে নয়াদিল্লি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে

শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী কম্বোডিয়ায় তাঁর ভারতীয় ও চিনা সমকক্ষদের সঙ্গে দেখা করেন এবং উভয়ের কাছ থেকে আরও সহায়তার মৌখিক নিশ্চয়তা পান। সম্ভবত চিন এই বৈঠকে ইউয়ান ওয়াং–৫ নোঙর করানোর নিশ্চয়তা দাবি করে এবং ভারত তা আটকাতে বলে।

৪ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী কম্বোডিয়ায় তাঁর ভারতীয়  চিনা সমকক্ষদের সঙ্গে দেখা করেন এবং উভয়ের কাছ থেকে আরও সহায়তার মৌখিক নিশ্চয়তা পান। সম্ভবত চিন এই বৈঠকে ইউয়ান ওয়াং–৫ নোঙর করানোর নিশ্চয়তা দাবি করে এবং ভারত তা আটকাতে বলে। এরপরই শ্রীলঙ্কা সরকার পরবর্তী বিবেচনা শেষ না–হওয়া পর্যন্ত জাহাজ আসা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চিনকে অনুরোধ করে।

এই ঘটনার পরে চিন পরোক্ষভাবে ভারতকে তার স্বাভাবিক বিনিময় ও বৈধ সামুদ্রিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত না–করার জন্য আহ্বান জানায়। চিনা দূতাবাসও শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক চেয়েছিল, এবং বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেওছিল। এই বৈঠকগুলির পর চিন ১৬–২২ আগস্ট নোঙর করার নতুন তারিখ পেয়েছিল। শ্রীলঙ্কা তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করে এবং শ্রীলঙ্কার জলসীমায় জাহাজের জন্য গবেষণা কার্যক্রমের সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করে এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি সাজায়।

চিনের কৌশলগত ও প্রতীকী বার্তা

মনে হচ্ছে জাহাজটিকে নোঙর করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে চিনের চাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চিনের এই আগ্রহ তিনটি সম্ভাব্য কারণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

প্রথমত, চিন জানায় যে শ্রীলঙ্কায় তাদের জাহাজ পুনঃপূরণ করবে এবং জ্বালানি নেবে। কিন্তু, সেই ক্ষেত্রে, পুনঃপূরণের জন্য শ্রীলঙ্কা একটি আদর্শ গন্তব্য হওয়া উচিত নয়;‌ তার কারণ হল সেখানকার ক্রমাগত খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতি এবং আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি।  অন্য কথায়, শ্রীলঙ্কায় পুনঃপূরণ করা প্রধান উদ্দেশ্য বলে মনে হয় না, কারণ তা বেজিংয়ের জন্য একটি ব্যয়বহুল ব্যাপার হিসেবে প্রমাণিত হবে। অথচ সহজে এর সস্তা বিকল্প পাওয়া যেত।

শ্রীলঙ্কার সংকটে বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল নিষ্ক্রিয় (লেখচিত্র ১ দেখুন)। তারা তাদের স্বার্থ আরও ভাল করে পূরণের আশায় কলম্বোর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আর্থিক সহায়তা ও ঋণ পুনর্গঠনের অনুরোধে এখনও সাড়া দেয়নি।

দ্বিতীয়ত, গবেষণা/জরিপ করা এবং মহাসাগর ব্যবহার করে মহাকাশ সম্পর্কিত কাজের জন্য বেজিংয়ের আগ্রহ বাড়ছে। কাজেই নোঙর করা প্রকৃতপক্ষে চিনের গবেষণার উদ্দেশ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা হতে পারে। কিন্তু এখানেও একটা বৈপরীত্য আছে। যদিও শ্রীলঙ্কা গবেষণার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, চিন কিন্তু বলে রেখেছে যে নোঙর করা তার সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রমের একটি অংশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিধিনিষেধের লক্ষ্য হয়ে থাকতে পারে ভারতকে সন্তুষ্ট করা এবং তার নিরাপত্তা উদ্বেগ শান্ত করা।

যদিও প্রথম দুটি ব্যাখ্যা কিছুটা যুক্তিসঙ্গত, তবু সেগুলি জাহাজটি নোঙর করার জন্য চিনের তীব্র উৎসাহকে ন্যায্যতা দেয় না। এমন একটি ব্যাখ্যা বরং যুক্তিযুক্ত হতে পারে যা সূক্ষ্ম, তবে আরও প্রতীকী এবং কৌশলগত।

ঐতিহ্যগতভাবে, শ্রীলঙ্কার সংকটে বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল নিষ্ক্রিয় (লেখচিত্র ১ দেখুন)। তারা তাদের স্বার্থ আরও ভাল করে পূরণের আশায় কলম্বোর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আর্থিক সহায়তা ও ঋণ পুনর্গঠনের অনুরোধে এখনও সাড়া দেয়নি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা ত্বরান্বিত করার জন্য চিনের প্রচেষ্টা এমন আরও একটি উদাহরণ। এই প্রসঙ্গে ‘‌গুপ্তচর জাহাজ’‌–এর আসাকে আলাদাভাবে দেখা উচিত নয়।

চিন কলম্বোর বাধ্যবাধকতাকে ব্যবহার করেছে ভারত ও বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য — সাহায্য করুক বা না-করুক বেজিং এখনও শ্রীলঙ্কায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব বজায় রেখেছে, এবং সে ভারতকে নিজের উঠোনেই চ্যালেঞ্জ করতে পারে। এটি এমন একটা বিষয় যা বিশ্বকে দেখানোর জন্য চিনকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলে থাকতে পারে, কারণ তাইওয়ানের সঙ্গে তার উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চিন সম্ভবত ভবিষ্যতে কোনও সহায়তার নিশ্চয়তা না–দিয়েই শ্রীলঙ্কাকে বাধ্য করবে চিনের স্বার্থের অনুকূল কাজ করিয়ে নিতে। চিন উপলব্ধি করেছে যে প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে তাঁর রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য রাজাপক্ষের অনুগতদের উপর নির্ভর করবেন, এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য চিনা স্বার্থের প্রতিও সংবেদনশীল থাকবেন। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্টের পার্লামেন্ট সদস্যরা জাহাজটিকে নোঙর করতে দেওয়ার জন্য লবি করেছিলেন, এবং তাঁরা জাহাজটিকে স্বাগত জানান। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বেজিং তার এলিট–ক্যাপচার নেটওয়ার্কগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করছে।

ভারত: কূটনৈতিক ব্যর্থতা থেকে অনেক দূরে?

চিনা পদ্ধতির বিপরীতে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া শ্রীলঙ্কার মানবিক চাহিদা এবং তার স্বার্থভিত্তিক। ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করেছে, এবং ভারত আশা করে যে দ্বীপরাষ্ট্রটির সরকার তার স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতাকে সম্মান করবে। ভারত সহায়তা দিচ্ছে মুদ্রা অদলবদল (‌কারেন্সি সোয়াপ)‌, অনুদান, ক্রেডিট লাইন, মানবিক সরবরাহ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের আকারে (লেখচিত্র ১ দেখুন)।

চুক্তিতে বলা হয়েছে যে ভারত দুটি ডর্নিয়ার বিমান তৈরি করে শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেবে, এবং তার মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে একটি বিমান এবং একটি প্রশিক্ষণ দল ধার দেবে।

বিনিময়ে, শ্রীলঙ্কা জাফনা উপদ্বীপে চিনা প্রকল্পগুলি বাতিল করে এবং জ্বালানি খাতে ভারতের বিনিয়োগ, ফ্রি–ফ্লোটিং ডক ফেসিলিটি, ডর্নিয়ার বিমান ও একটি মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (এম আর সি সি) মতো বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রতিদান দিয়েছে। এই এম আর সি সি–র একটি সাব–ইউনিট চিন পরিচালিত হাম্বানটোটা বন্দরেও স্থাপন করা হবে।

লেখচিত্র ১:‌ শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা
Should India Continue Its Assistance To Sri Lanka

ইউয়ান ওয়াং–৫ নোঙর পর্ব দুই দেশের মধ্যে এই বোঝাপড়াকে বদলে দিতে পারে। এটি হাম্বানটোটা বন্দরের সম্ভাব্য অপব্যবহার, ভারত মহাসাগরে চিনের কু–অভিপ্রায়, এবং শ্রীলঙ্কার চিনপন্থী ঝোঁকের আশঙ্কাকে আরও জোরদার করেছে। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে নিম্নলিখিত তিনটি কারণে একে সম্পূর্ণ কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসাবে দেখা উচিত নয়।

প্রথমত, চিনের বিপরীতে, ভারতের সামনে শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। নয়াদিল্লির কৌশলগত এবং ভৌগোলিক বাধ্যবাধকতাগুলি তাকে এই বিকল্প দেয় না যে সে শ্রীলঙ্কাকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ডুবে যেতে দেখেও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। এটি এমন একটি বিকল্প, বা বিশেষ সুযোগ, যা বেজিং উপভোগ করে। শ্রীলঙ্কার প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি মূলত জনকেন্দ্রিক। ভারত গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধারের উপর জোর দিয়েছে, এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নির্বিশেষে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

দ্বিতীয়ত, পূর্বের সহায়তা থেকে নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কায় কিছু উল্লেখযোগ্য লাভ তুলতে পেরেছে। এমন একটি উদাহরণ হল ডর্নিয়ার বিমান চুক্তি, যা থেকে ভারত প্রভাবের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছে যে ভারত দুটি ডর্নিয়ার বিমান তৈরি করে শ্রীলঙ্কাকে উপহার দেবে, এবং তার মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে একটি বিমান এবং একটি প্রশিক্ষণ দল ধার দেবে। এই সুবিধাটি চিনা জাহাজটি নোঙর করার একদিন আগে ১৫ আগস্টে পাওয়া গিয়েছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান একটি ডর্নিয়ার বিমান দান করতে শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন, যেটি এখন একটি ভারতীয় দলের তত্ত্বাবধানে থাকবে। এ থেকে দেখা যাচ্ছে যে ভারতের প্রয়াস ইতিমধ্যে তার স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং চিনা আক্রমণাত্মক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে মোকাবিলা করার একটি ভিত্তি তৈরি করেছে।

শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা প্রত্যাখ্যান করা বা তা বিলম্বিত করার দুঃসাহসিকতা সে দেশের উপর চিনা প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার এবং গত দুই বছরের ইতিবাচক অর্জন নষ্ট করে দেওয়ার ঝুঁকি বহন করবে।

তৃতীয়ত, দেওয়ালের লেখা সব সময়ই পরিষ্কার। চিনা প্রভাবকে নির্মূল করা ভারতের সহায়তা দানের উদ্দেশ্য ছিল না, তা বাধ্যতামূলক ছিল এবং নিজের হারানো প্রভাবকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। এটা কোনও গোপন বিষয় নয় যে চিনের বিনিয়োগ ও ঋণ এখনও নতুন দিল্লির আর্থিক সহায়তার চেয়ে ঢের বেশি। প্রকৃতপক্ষে ভারতও জানে আই এম এফ–এর যে বেলআউট সমাধান সে সমর্থন করছে, তার জন্য শ্রীলঙ্কাকে চিনের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং তাদের ঋণ পুনর্গঠন করাতে হবে।

কাজেই ভারতের উচিত তার কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং সহায়তা অব্যাহত রাখা। সঙ্কটের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল কৌশলগত ও স্থিতিভিত্তিক নয়, বরং প্রতীকীও, কারণ ভারতের ইন্দো–প্যাসিফিক অংশীদাররা আশা করে যে সে এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা প্রত্যাখ্যান করা বা তা বিলম্বিত করার দুঃসাহসিকতা সে দেশের উপর চিনা প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার এবং গত দুই বছরের ইতিবাচক অর্জন নষ্ট করে দেওয়ার ঝুঁকি বহন করবে। যেখানে পরিবর্তন আনা যেতে  পারে তা সম্ভবত নয়াদিল্লির বার্তায়:‌ যদি ভারত মহাসাগর আর ভারতের মহাসাগর না–হয়, তবে চিন সাগরও আর চিনের সমুদ্র হবে না।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy

Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with the Strategic Studies Programme’s Neighbourhood Studies Initiative.  He focuses on strategic and security-related developments in the South Asian ...

Read More +