Author : Girish Luthra

Expert Speak Raisina Debates
Published on Apr 18, 2022 Updated 14 Days ago

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল তার নিরাপত্তা জোরদার করার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাব প্রতিহত করার দিকে মনোনিবেশ করে চলেছে।

নতুন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল: নতুন ও বিকাশশীল পরিবেশের সঙ্গে ধারাবাহিকতার ভারসাম্য বজায় রাখা
নতুন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল: নতুন ও বিকাশশীল পরিবেশের সঙ্গে ধারাবাহিকতার ভারসাম্য বজায় রাখা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ প্রকাশিত নতুন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বিভিন্ন কারণে সীমিত আগ্রহ জাগিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হল রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ আগ্রাসন ও যুদ্ধে পরিণত হয়। এই কৌশল নথির বিষয়বস্তু ইতিমধ্যেই যা জনসমক্ষে রয়েছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং তার অতিরিক্ত আছে একটি সীমিত বক্তব্যের অ্যাকশন অ্যাজেন্ডা (কী ভাবে কী করা হবে সেই সম্পর্কিত)‌। যাই হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়ে চলেছে যে এই অঞ্চলের সঙ্গে তার যোগাযোগ এবং অঞ্চলটি সম্পর্কে তার কৌশল স্থায়ী হবে, এবং এর উপর বিশ্বের অন্যান্য অংশের সংঘাত বা সঙ্কট কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। নতুন কৌশলটি ১ জুন, ২০১৯-এ প্রকাশিত শেষ ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি রিপোর্টে যা বর্ণিত হয়েছিল মোটের উপর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম পরিবর্তন রয়েছে, যা বিকাশশীল ভূ-কৌশলগত পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন হিসেবে দেখা যেতে পারে।

নতুন কৌশল–নথিটিও এই অঞ্চলে ‘‌প্রভাবের ভারসাম্য গড়ে তোলা’র‌ উদ্দেশ্যটির উপরেই গুরুত্ব দিয়েছে। এটি একটি অতিরিক্ত বয়ানও যোগ করেছে যেখানে চিনের সঙ্গে দায়িত্বশীল ভাবে প্রতিযোগিতা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

নথিতে চিহ্নিত প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিনের কথাই বলা হয়েছে। আগের কৌশল–নথিতে ‘আঞ্চলিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মার্কিন প্রভাব বজায় রাখা’‌কে মূল উদ্দেশ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন কৌশল–নথিটিও এই অঞ্চলে ‘‌প্রভাবের ভারসাম্য গড়ে তোলা’র‌ উদ্দেশ্যটির উপরেই গুরুত্ব দিয়েছে। এটি একটি অতিরিক্ত বয়ানও যোগ করেছে যেখানে চিনের সঙ্গে দায়িত্বশীল ভাবে প্রতিযোগিতা করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই কম–উস্কানিমূলক অবস্থানের উদ্দেশ্য সম্ভবত বৃহৎ শক্তিগুলির শত্রুতা ও প্রতিযোগিতার গতিপথ সম্পর্কে উদ্বেগ দূর করা, বিশেষ করে এই অঞ্চলের ভেতরে, এবং সেই সঙ্গে অংশীদারি তৈরি ও শক্তিশালী করা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভৌগোলিক বিস্তৃতি সম্পর্কে পূর্ববর্তী রিপোর্টে মার্কিন বক্তব্য ছিল অঞ্চলটি ‘‌মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত’‌ বিস্তৃত। অন্যদিকে নতুন কৌশল–নথিতে একে ‘‌আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলরেখা থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত’‌ বিস্তৃত বলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ ওশিয়ানিয়া-র উপর। পশ্চিম ভারত মহাসাগর দুই নথির কোনওটিতে অন্তর্ভুক্ত না–হলেও ভারতের পশ্চিম উপকূলের সীমার পরিবর্তে নতুন কৌশলে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ আরব সাগরীয় অঞ্চলটিকেও এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো–প্যাসিফিকের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।

২০১৯–এর কৌশল নথিটি ‘‌কৌশলগত অংশীদারি’‌র গুরুত্ব তুলে ধরেছিল। অন্যদিকে, নতুন কৌশলটি এখনকার আঞ্চলিক চুক্তিগুলির অংশীদার জোটগুলির সুনির্দিষ্ট উল্লেখ সহ ‘‌জোট ও অংশীদারির’‌ উপর জোর দিয়েছে। এটি উদীয়মান অংশীদারি শক্তিশালী করার পাশাপাশি এই জোটগুলির (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফিলিপিন্স, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, তাইওয়ান ও তাইল্যান্ড) আধুনিকীকরণ এবং সময়ের সঙ্গে অভিযোজন চায়। অংশীদারির মধ্যে কোয়াড–এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, এবং সেটির কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই কৌশল–নথিটি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১-এর কোয়াড লিডারস সামিটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি বিবৃতি দিয়ে শুরু হয়েছে। এটি কোয়াডকে শক্তিশালী করতে চায়, এবং আসিয়ান-এর সঙ্গে কোয়াডের কাজ কী ভাবে সমন্বিত হতে পারে তার পথও খুঁজেছে। ২০১৯–এর বিপরীতে নতুন কৌশলটিতে ইইউ ও ন্যাটোর দৃষ্টিভঙ্গি মেলানোর জন্য প্রয়াসী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ অংশত একথা স্বীকার করে নেওয়া যে এই অঞ্চলের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন কৌশল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়। এটাও লক্ষণীয় যে এই অঞ্চলের জন্য অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন নিরাপত্তা অংশীদারি (‌অওকাস)‌, যার শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ, তার সম্পর্কে শুধু একটি সংক্ষিপ্ত উল্লেখ পাওয়া যায় শেষ অংশে, যেখানে অ্যাকশন প্ল্যান-এর রূপরেখা দেওয়া আছে। এই উল্লেখটিও অওকাস-এর ঘোষণার পর জারি করা যৌথ বিবৃতির বিষয়বস্তুর নিছক পুনরাবৃত্তি। অওকাস–কে খাটো করে দেখানোর উদ্দেশ্য সম্ভবত এর সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে অন্য কিছু অংশীদারের উদ্বেগ। এই ভাবে এটাই নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছে যে অওকাস মোটেই এই অঞ্চলের মধ্যে এবং তার বাইরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন অংশীদারি ও সংযোগের পথে অন্তরায় নয়।

নতুন কৌশলটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অংশীদারির কর্মসূচিও নিয়ে এসে বলেছে, একটি ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক’‌ ২০২২ সালের প্রথম দিকে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, প্রযুক্তি, ডিজিটাল বিষয়, জলবায়ু, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রগুলির উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে কৌশলটি বেশ সর্বাঙ্গীন হয়ে উঠেছে, যদিও মনোনিবেশের মূল জায়গাটি হচ্ছে ‘‌নিরাপত্তা’‌, আর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সামুদ্রিক ক্ষেত্রে। পূর্ববর্তী কৌশলটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রস্তুতির পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল। নতুন পরিকল্পনায় এই অঞ্চলে সংস্থান বাড়াতে নতুন দূতাবাস/কনস্যুলেট খোলা, অংশীদারদের নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া, এবং মার্কিন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে অংশীদারির উপর নতুন গুরুত্ব আরোপের বিষয়টি দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগরে চিনের ধূসর অঞ্চলে সক্রিয়তার কারণে তৈরি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

নতুন পরিকল্পনায় এই অঞ্চলে সংস্থান বাড়াতে নতুন দূতাবাস/কনস্যুলেট খোলা, অংশীদারদের নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়া, এবং এই অঞ্চলে মার্কিন কোস্টগার্ডের উপস্থিতি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ক্রমাগত উত্থান ও আঞ্চলিক নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করার বিষয়টি একটি পৃথক অ্যাকশন অ্যাজেন্ডা আইটেম হিসেবে নির্দেশিত হয়েছে, যা কোয়াডকে আরও কার্যকর করার সঙ্গেও যুক্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলের এই অংশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিকট মেয়াদে ভিন্ন মত তৈরি হতে পারে।

চিনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিবেশ, চ্যালেঞ্জ, ও সুযোগগুলি পূর্ব ইউরোপের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে আলাদা। তবুও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ‌সঙ্গে সম্পর্কিত চলতি ঘটনাপ্রবাহ ইন্দো-প্যাসিফিকের আখ্যানকে দৃঢ় ভাবে প্রভাবিত করতে বাধ্য। ন্যায়সঙ্গত বা অন্য রকম তুলনামূলক বিতর্ক যে হবে তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে। চিন ও রাশিয়া, যারা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ধারণাটিরই বিরোধী, তারা তুলনামূলক বিষয় টেনে আনছিল এবং মার্কিন কৌশলগুলির সমালোচনা করছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রাক্কালে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ জারি করা চিন-রাশিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘‌… পক্ষগুলি ন্যাটোর আরও বিস্তৃতির বিরোধিতা করে’‌, এবং তাদের পক্ষ থেকে শীতল যুদ্ধের সময়ে জোটের অনুসৃত পথ পরিত্যাগ করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ‘‌সীমাহীন’‌ কৌশলগত অংশীদারির কথা বলার পাশাপাশি চিন ‘‌সর্বোচ্চ সংযম’–এর সঙ্গে‌ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি সমঝোতামূলক মীমাংসার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। একই সঙ্গে ন্যাটোর মতো সামরিক ব্লক সম্প্রসারণ করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা অর্জন করা যাবে না বলেও চিন জোর দিয়ে বলেছে। ৭ মার্চ, ২০২২-এ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় চিনা স্টেট কাউন্সিলর ও বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল হল ‘‌ব্লক রাজনীতির জন্য একটি উপশব্দ… মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উস্কে দিচ্ছে এবং একচেটিয়া গোষ্ঠী গঠন করছে… আসল লক্ষ্য হল ন্যাটোর একটি ইন্দো-প্যাসিফিক সংস্করণ প্রতিষ্ঠা করা’‌। তিনি আরও বলেন যে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ব্যর্থ হবে, এবং চিন ‘‌এশিয়া-প্যাসিফিক সহযোগিতার জন্য একটি বিস্তৃত, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম’‌ পছন্দ করবে। চিন সম্ভবত জোর দিয়ে বলেই যাবে যে পূর্ব ইউরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর পদ্ধতিগুলিরই প্রতিরূপ ইন্দো-প্যাসিফিকে দেখার সম্ভাবনা রয়েছে, যার সম্ভাব্য পরিণতি হবে ইউক্রেনে দেখা ধ্বংস ও দুর্ভোগের মতো।

ইন্দো-প্যাসিফিক সহ অন্যান্য অঞ্চল সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির উপর ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পদ্ধতি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী মীমাংসা, ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা স্থাপত্যের পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে।

চিন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার ও ইইউ–এর দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যা কিছু অভিন্ন সেগুলির উপর জোর দেবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে অন্তর্ভুক্তির উপর, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলের অংশ নয়। সেই সঙ্গেই চিন-ইউরোপ সহযোগিতার প্রতিকূল পরিণতি সীমিত রাখারও চেষ্টা করবে বেজিং, যে হেতু তাকে ইউরোপের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রাশিয়ার পাশে থাকতে দেখেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক সহ অন্যান্য অঞ্চল সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির উপর ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পদ্ধতি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী মীমাংসা, ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা স্থাপত্যের পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে।

নতুন কৌশলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নীতিগত পর্যায়ে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে দ্বিদলীয় সমর্থন ও ধারাবাহিকতার বিষয়টি সামনে এনেছে। এই নথিতে ২০১৯–এর কৌশলের পরিবর্তনের পাশাপাশি বর্তমান পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আর তার মধ্যে কয়েকটি বিষয়ের কথা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। এই নথি অবশ্য বেশিটাই উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কিত বিবৃতি;‌ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিবরণে বিশদে কিছু বলা নেই। এভাবে নথিটি কর্মসূচি সম্পর্কিত বিভিন্ন মূল্যায়ন ও অনুমানের জন্য অনেক দিক উন্মুক্ত রেখেছে। এটি নিরাপত্তার বাইরে তার পরিধি প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেই সংক্রান্ত কিছু বিশদে বলেনি। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং এই কৌশল প্রকাশের ক্ষেত্রেও ছায়া পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় প্রচলিত–ঘরানার সামরিক আক্রমণ। যুদ্ধ এবং তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল সহ অন্যান্য অঞ্চলের কৌশল বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করবে। এই যুদ্ধের তুলনা ও সমান্তরালগুলি নিয়ে বিতর্ক চলবে, এবং তার বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকবে উপ-আঞ্চলিকতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা (‌যা শুধু প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে নয়, আরোপ করা হয়েছে পঙ্গু বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য)‌, সহযোগিতামূলক নিরাপত্তা বনাম যৌথ নিরাপত্তা, শক্তি ও প্রভাবের ভারসাম্য, চিরাচরিত ধরনের বিপদ ও প্রচলিত যুদ্ধ। বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতা, আদর্শ, এবং কূটনীতির উন্মোচিত সীমাবদ্ধতার উপর যে নতুন কথন তৈরি হচ্ছে, তার কারণে শীঘ্রই নতুন কৌশল পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। কাজেই আগামী মাসগুলিতে সম্পূরক বিবরণ পাওয়া যাবে আশা করা যায়।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.