Author : Shashank Mattoo

Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 20, 2022 Updated 5 Days ago

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়েই উদ্বেগজনক হারে তাদের অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ করায় কোরীয় উপদ্বীপে অস্ত্র প্রতিযোগিতা দানা বাঁধছে।

ক্ষেপণাস্ত্র ও মানুষ: কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রতিযোগিতা

Source Image: Prachatai — Flickr/CC BY-NC-ND 2.0

ক্ষেপণাস্ত্র ও মানুষ: কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রতিযোগিতা

বেশিরভাগ দেশ ২০২১ সালের যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার পরে একটি শান্ত নববর্ষ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সে সময়েই কোরীয় উপদ্বীপে একটি বড় সামরিক প্রস্তুতির পরিণতিতে উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। যে হেতু পিয়ংইয়ং ও সিওল উভয়েই তাদের সামরিক সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানোর পথ বেছে নিয়েছে, তাই এই অঞ্চলে এক বিপজ্জনক পারমাণবিক নাটকের মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

২০১৯ সালে স্টকহোমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং তার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ব্যাপক ভাবে বাড়ানোর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কোনও রাখঢাক করেনি। ২০২১ সালের শুরুর দিকে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম পার্টি কংগ্রেসের সামনে একটি আধুনিকীকরণ কর্মসূচির কথা বলেছিলেন, যা অনেকটা বড়দিনের ইচ্ছা–তালিকার মতো শুনিয়েছিল। হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা এবং বিগত বছরগুলিতে দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পরে এবার কিম শুনিয়েছিলেন কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র, পারমাণবিক সাবমেরিন, মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনের পরিকল্পনার কথা। গোপনীয়তার ঘেরাটোপে থাকা দেশটি ২০২২ সালের প্রথম মাসগুলিতেই তার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছুঁড়েছে, এবং কিম জং উন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও তাঁর দেশের আরও বেশি বিধ্বংসী সামরিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা এবং বিগত বছরগুলিতে দীর্ঘ পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পরে এবার কিম শুনিয়েছিলেন কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র, পারমাণবিক সাবমেরিন, মনুষ্যবিহীন বিমান ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনের পরিকল্পনার কথা।

সিওল-ওয়াশিংটন জোটের জন্য উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল, রেল-ভিত্তিক সক্ষমতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ঘাঁটি তৈরি করা উদ্বেগজনক ঘটনা;‌ কারণ ওই দুটি গণতন্ত্রের পক্ষে অসহিষ্ণু উত্তরকে আটকানো এখন আরও কঠিন। যেমন, রেল-ভিত্তিক উৎক্ষেপণ ক্ষমতা পিয়ংইয়ং-এর প্রতিবেশীদের বাধ্য করছে উত্তর কোরিয়ার দ্রুত সম্প্রসারণশীল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ক্ষমতার ট্র্যাকিং ও নজরদারিতে আরও অর্থ ব্যয় করতে। চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫ মাইল দূরে উত্তর কোরিয়ার একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কথা জানতে পেরে বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেঁপে গিয়েছিল। পিয়ংইয়ংকে নিরস্ত করার জন্য সিওল, টোকিও ও ওয়াশিংটন একত্রে কাজ করলেও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার বিবরণ জানাজানি হওয়ার ঘটনাটি কিছু সত্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল। প্রথমত, সম্মিলিত গোয়েন্দা ও নজরদারি ক্ষমতা ব্যবহার করেও পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এখনও পিয়ংইয়ং-এর প্রকৃত ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাকে চিহ্নিত করতে পারে না। একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি আবিষ্কারের ফলে বোঝা গিয়েছে, এই ধ্বংসাত্মক বিপদ যে সব জায়গা থেকে উদ্ভূত হতে পারে, সেই জায়গাগুলির একটি সঠিক তালিকাও নেই। এটি এই অঞ্চলে জোটের নিরাপত্তার গণিতকে জটিল করে তুলেছে। অর্থাৎ, যদি সামরিক সংঘাত শুরু হয়, তা হলে মার্কিন জোট উত্তর কোরিয়ার উল্লেখযোগ্য অস্ত্রাগারগুলিকে অকেজো করে দেওয়ার জন্য পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলিতে শুরুতেই হামলা চালালেও যে পিয়ংইয়ংকে পেড়ে ফেলতে পারবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।। দ্বিতীয়ত, কিম জং উন তাঁর দেশের অস্ত্রের মজুত ভান্ডার প্রসারিত করতে থাকায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ ক্রমশই বাড়তে থাকবে।

তবে বিপদের মুখে পড়লেও সিওলও তার লড়াইক্ষ্যাপা প্রতিবেশীর পদক্ষেপের মোকাবিলায় অগ্রসর হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭.৪ শতাংশ করে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছেন। তাঁর বিবৃত দৃশ্যকল্প হল ‘‌যাকে কেউ কাঁপিয়ে দিতে পারবে না এমন একটি দেশ’‌ গড়া, এবং সেই উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট মুন একটি নতুন সামরিক সরঞ্জাম সংস্থা তৈরি করেছেন, যা উন্নত নজরদারি ক্ষমতা, নির্ভুল-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা ও তৈরি করার কাজ করেছে। সম্প্রতি একটি সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া এখন পরমাণু শক্তিধর নয় এমন প্রথম দেশে পরিণত হয়েছে যার এই ধরনের ক্ষমতা আছে।

চিন সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫ মাইল দূরে উত্তর কোরিয়ার একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কথা জানতে পেরে বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেঁপে গিয়েছিল।

সিওল তার উত্তরের প্রতিবেশীর মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত একটি আধুনিকীকরণ প্রয়াস শুরু করেছে। থ্রিকে সিস্টেম হিসেবে পরিচিত এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রি-এমটিভ কিল চেন সিস্টেম, কোরিয়া এয়ার অ্যান্ড মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ও কোরিয়া ম্যাসিভ পানিশমেন্ট অ্যান্ড রিট্যালিয়েশন সিস্টেম। কিল চেন সিস্টেমের লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ক্ষমতাকে গোড়াতেই আঘাত ও ধ্বংস করা, আর কোরিয়া এয়ার অ্যান্ড মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম সংঘাতের ক্ষেত্রে অনিবার্য ভাবে উড়ে আসা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ঝাঁক থেকে দেশকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি। অবশেষে, এবং সবচেয়ে বিতর্কিত ভাবে, কোরিয়া ম্যাসিভ পানিশমেন্ট অ্যান্ড রিট্যালিয়েশন কর্মসূচির লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বাসস্থলগুলিতে আঘাত হেনে দেশটির সামনের সারির নেতাদের শেষ করে দেওয়া। রিকনাইস্যন্স ক্ষমতা, স্ট্রাইক মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য সিওল যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। এগুলি করার মাধ্যমে দেশটি উত্তর কোরিয়ার সব হিসেবকেও উল্লেখযোগ্য ভাবে ওলটপালট করে দিয়েছে। ওয়াশিংটন ও সিওলের প্রি-এম্‌টিভ স্ট্রাইক পিয়ংইয়ংয়ের বিশাল অস্ত্রাগারগুলির সব কটিকে ধ্বংস করতে না–পারলেও তা এই ক্ষমতাকে যথেষ্ট ভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে। তা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব যে হেতু অন্য সব কিছুর আগে রাখে নিজেদের বেঁচে থাকার বিষয়টি, তাই প্রথম সারির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের কাছে ম্যাসিভ পানিশমেন্ট সিস্টেমের হুমকি নিঃসংশয়ে ভয়ানক বড় একটা বিপদ।

দেখা যাচ্ছে যে কোরীয় উপদ্বীপ এখন মেক্সিকান অচলাবস্থার (‌যে সংঘাতে কোনও পক্ষই জিততে পারে না)‌ মধ্যে রয়েছে। ওয়াশিংটন ও সিওল আশঙ্কা করছে যে পিয়ংইয়ং-এর নতুন ও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র অর্জন ও উৎক্ষেপণ ক্ষমতা এখনকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর মারাত্মক চাপ তৈরি করবে। উত্তর কোরিয়া যদি আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ করতে শুরু করে, তবে তা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। রাজনৈতিক সঙ্কট প্রকাশ্য সংঘাতে পরিণত হওয়ার বিপদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা সিওলের উপর তার পূর্ব–আক্রমণ ক্ষমতা ব্যবহার করার জন্য চাপ বাড়ায়। একই ভাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণ করার ক্ষমতা বাড়তে থাকলে তা পিয়ংইয়ংয়ের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও নেতৃত্বকে আগে থেকে ধ্বংস করার জন্য সিওলের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে গোপনীয়তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ রাষ্ট্রটি তার সামরিক ক্ষমতা ব্যবহার না–করলে হেরে যাওয়ার ভয়ে আক্রমণ করে বসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে–থাকা ইউন সিওক ইওল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেওয়া ‘‌ব্যবহারিক ভাবে অসম্ভব’‌ বলে মন্তব্য করেছেন। যিনি শীঘ্রই প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে পৌঁছে যেতে পারেন, সেই ইউনের বক্তব্য, ‘‌‘‌ওদের প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হল (ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের) লক্ষণ শনাক্ত করা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ওদের উপর আঘাত হানা।’‌’‌ প্রতিটি পক্ষই একে অপরের বর্মের মধ্যে ফাটল খুঁজে পেয়েছে, এবং তার ফলে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা শুধু আরও বাড়তে পারে।

একটি প্রধান শক্তি যে উত্তর কোরিয়ার উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে সেই চিনের কূটনীতির রাস্তাটি মসৃণ করার সম্ভাবনা কম, কারণ দুই মহাশক্তি ভূরাজনৈতিক পাঞ্জা লড়ায় ব্যস্ত।

পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার সহজ কোনও উপায় নেই। বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও উত্তর কোরিয়া তা প্রত্যাখ্যান করায় মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিম সম্পূর্ণ অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে গিয়েছেন। একটি প্রধান শক্তি যে উত্তর কোরিয়ার উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে সেই চিনের কূটনীতির রাস্তাটি মসৃণ করার সম্ভাবনা কম, কারণ দুই মহাশক্তি ভূরাজনৈতিক পাঞ্জা লড়ায় ব্যস্ত। সিওল এখন একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, এবং নতুন প্রশাসন নির্বাচিত হয়ে ভাল ভাবে ক্ষমতায় বসার আগে পর্যন্ত কূটনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে না। এশিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটও অভ্যন্তরীণ শত্রুতার শিকার, কারণ দুই মার্কিন মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এখনও সেই উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারেনি যা ২০১৮ সাল থেকে তাদের সম্পর্ককে ভঙ্গুর করে তুলেছে।

সুতরাং, বাইডেনের লোকেদের হাতে এখন প্রচুর কাজ। আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই ওয়াশিংটনকে তার বিবদমান মিত্রদের আলোচনার টেবিলে আনতে হবে এবং অনেকগুলো অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা উপশম করার বিনিময়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মার্কিন আলোচনাকারীদের কথা ব্যর্থ হওয়ার পরে এখন সম্ভবত লক্ষ্য হবে একটি ছোট, পর্যায়ক্রমিক চুক্তির দিকে এগনো, যা উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রাগারকে সীমাবদ্ধ করতে, এবং আরও পরীক্ষা ও অস্ত্রের শক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টা বন্ধ করতে চাইবে। ওয়াশিংটনকে উত্তর কোরিয়ার এখনকার ক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রয়াস বন্ধ করার জন্য ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং তার পাশাপাশি এমন একটি পরিদর্শন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যা উত্তর কোরিয়া প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে কি না তার উপর নজর রাখবে। দ্বিতীয় কাজটি বিশেষ ভাবে কঠিন, কারণ সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর গভীর আপত্তি আছে। পরিশেষে, সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সম্ভাবনা নিশ্চিত না–করে সম্পাদিত কোনও চুক্তি কিন্তু মার্কিন দেশে দীর্ঘস্থায়ী ঘরোয়া বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে, বিশেষ করে বাইডেনের রিপাবলিকান বিরোধীদের দ্বারা।

দীর্ঘকাল ‘‌অসম্ভব রাষ্ট্র’‌ হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়া এখন বাইডেনের জন্যও তাঁর পূর্বসূরিদের মতোই অসাধ্য সমস্যা হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.