Author : Sameer Patil

Expert Speak Raisina Debates
Published on Mar 20, 2022 Updated 5 Days ago

ভারতের উচিত তার জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করা, কারণ ইউক্রেন সংঘাত নতুন ফ্রন্ট খুলে দিচ্ছে যার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে যুদ্ধ সংঘটিত হবে।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য ইউক্রেন সংঘাত থেকে শিক্ষা

Source Image: Jernej Furman — Flickr/CC BY 2.0

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য ইউক্রেন সংঘাত থেকে শিক্ষা

এই নিবন্ধটি ‘‌ইউক্রেন সংকট: সংঘাতের কারণ এবং গতিপথ’ সিরিজের অংশ।


অনেক জল্পনা-কল্পনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সেনাবাহিনীকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি ‘‌বিশেষ সামরিক অভিযান’‌ শুরু করার নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ থেকে ইউক্রেন আক্রমণ করে, এবং দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। এখন তারা রাজধানী কিভকে ঘিরে ফেলেছে এবং এর পতন আসন্ন বলে মনে হচ্ছে। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিক্রিয়ায় সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ভয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক প্রয়াসের থেকে দূরে সরে থেকেছে ঠিকই, কিন্তু পুতিন ও তাঁর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবং রাশিয়ার আর্থিক, জ্বালানি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাতে অবশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সামরিক অভিযানের গতি রুদ্ধ হয়নি।

২১ শতকের প্রথম বড় মাপের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংঘাত হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থেকে ভারত জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পাঁচমিশেলি যুদ্ধপ্রক্রিয়া (‌হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার)‌, প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা, ও জোট–সম্পর্কিত নানা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারে।

পাঁচমিশেলি যুদ্ধপ্রক্রিয়া

ইউক্রেন সংঘাত সাইবার ক্ষেত্র ও গুজব ছড়ানোর ফ্রন্টে ছড়িয়ে পড়েছে যা তেমন অপরিচিত নয় এবং দেখিয়ে দিচ্ছে ভবিষ্যতের যুদ্ধগুলি কী ভাবে স্থল, আকাশ, সমুদ্র, সাইবার ও তথ্যের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে চলতে থাকবে। সাইবার যুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার রাশিয়ার এ বারের চিরাচরিত ঘরানার সামরিক অভিযানের জমি তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

রুশ বাহিনী আক্রমণ করার আগে রুশ রাষ্ট্র নিয়োজিত হ্যাকাররা ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু সাইবার আক্রমণ চালিয়েছিল। এই আক্রমণগুলির লক্ষ্য ছিল আতঙ্কের বীজ বপন করা, যোগাযোগে বাধা দেওয়া, এবং ইউক্রেনীয়দের হতাশ করে তোলা। এইগুলোই হল পাঁচমিশেলি যুদ্ধকৌশলের মূল উদ্দেশ্য। ২০০৭ সালে এস্তোনিয়াতে সাইবার হামলার পর থেকে রাশিয়া এগুলোর অনুশীলন করে করে এখন এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন যে তাঁদের দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি মন্ত্রকগুলি ও ব্যাঙ্ক। এই আক্রমণের ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য তাদের পরিষেবা ব্যাহত হয়৷ পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা বলেছেন হারমেটিকওয়াইপার নামে পরিচিত একটি ডেটা-ওয়াইপিং ম্যালঅয়্যার ইউক্রেনের সংস্থাগুলিতে হানা দিয়েছিল ৷

সাইবার যুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার রাশিয়ার এ বারের চিরাচরিত ঘরানার সামরিক অভিযানের জমি তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এই তীক্ষ্ণ সাইবার আক্রমণের পাশাপাশি ছিল রুশ বিভ্রান্তিমূলক প্রচার, যা প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। যেমন, আক্রমণের কয়েক দিন আগে রাশিয়া দাবি করেছিল যে ইউক্রেন বিচ্ছিন্নতাবাদী ডনবাস অঞ্চলে রুশভাষী জনগোষ্ঠীর উপর গোলাবর্ষণ করে গণহত্যা করেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার উপর হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। উল্টো দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে বলেছে যে ইউক্রেন আক্রমণ করার অজুহাত আবিষ্কার করতে একটি জাল ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল, যা ডনবাসে অসামরিক হতাহতের ছবি হিসেবে তুলে ধরা হয়। আগ্রাসনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রাশিয়া দাবি করেছিল যে তারা ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাগুলি থেকে সৈন্য, ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান প্রত্যাহার করছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এই দাবিটি খারিজ করেন। সংঘাতের দ্রুত অনলাইন কভারেজের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল এই ধরনের প্রতিযোগী আখ্যানগুলি যা ‘‌যুদ্ধের কুয়াশা’‌, অর্থাৎ সামরিক অভিযানের চারপাশ ঘিরে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ, তৈরি করেছিল। এই বিষয়টি রুশ বাহিনীকে সুবিধা করে দেয়। রাজধানী কিভ এবং তার আশেপাশে রুশ অভিযান তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বিভ্রান্তিমূলক কৌশলগুলি আরও বাড়তে থাকবে।

সাইবার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য (‌ডিসইনফরমেশন)‌ ছড়ানোর ক্ষমতার মতো পাঁচমিশেলি যুদ্ধের উপাদানগুলি কী ভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে আধিপত্য অর্জনের জন্য চিরাচরিত পদ্ধতির যুদ্ধের পরিপূরক হয়ে উঠেছে, তা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার লক্ষ্য করা উচিত। ভবিষ্যতের সংঘাতে চিরাচরিত সামরিক ক্ষমতা প্রাসঙ্গিক থাকবে (যার মধ্যে আধিপত্য থাকে স্থল বাহিনীর), কিন্তু তার চেয়েও বেশি প্রাসঙ্গিক হবে সাইবার আক্রমণ, মনস্তাত্ত্বিক অভিযান ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারাভিযান। এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য বিশেষ ভাবে সত্য, যেখানে ‘‌নাগরিক সাংবাদিকদের’‌ হাতিয়ার করে জাল কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

রাশিয়া দাবি করেছিল যে ইউক্রেন বিচ্ছিন্নতাবাদী ডনবাস অঞ্চলে রুশভাষী জনগোষ্ঠীর উপর গোলাবর্ষণ করে গণহত্যা করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোয় চিন-ভিত্তিক হ্যাকারদের ক্রমাগত সাইবার আক্রমণ এবং পাকিস্তান-সমর্থিত ভারত-বিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের মোকাবিলা করতে ভারতের উচিত তার সাইবার প্রতিরক্ষা আরও শক্তপোক্ত করা এবং একটি আক্রমণাত্মক সাইবার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। বিশেষ করে বিভ্রান্তিকর তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতকে প্রাতিষ্ঠানিক এবং সম্প্রদায়গত স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে হবে। তা হলে মিথ্যা প্রচারকে আরও ভাল ভাবে প্রতিরোধ করা যাবে এবং প্রতিপক্ষও আমাদের রাজনীতি বা সমাজের কোনও ফাঁকফোকরকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে না। ভারত নিজের সাইবার প্রতিরক্ষা জোরদার করার কাজটি ভালই করেছে এবং আক্রমণাত্মক সাইবার অপারেশনগুলিতেও উন্নতি করেছে। তবে অপপ্রচারের মোকাবিলায় তাকে আরও সুসংহত ভাবে কাজ করতে হবে।

প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তি

পাঁচমিশেলি যুদ্ধের আরেকটি উপাদান যা এই সংঘাতে সামনে এসেছে তা হল নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক জবরদস্তি। রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি হাতিয়ার হিসেবে নিষেধাজ্ঞাগুলি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা থেকে রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তি পাওয়ার পথ রুদ্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। রাশিয়া তার ক্রমপ্রসারমান দেশীয় প্রযুক্তি, ম্যানুফ্যাকচারিং ও মহাকাশ ক্ষেত্রের জন্য মার্কিন সেমি-কন্ডাক্টর শিল্পের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ‘‌অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা’‌ হ্রাস করবে এবং হয়ে দাঁড়াবে ‘পুতিনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য একটি বড় আঘাত।’‌ যদিও রাশিয়া উন্নত প্রযুক্তির জন্য চিনের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, সেই সহযোগিতা সেমি-কন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে অবিলম্বে উপশম এনে দেবে এমন সম্ভাবনা কম, কারণ চিনা শিল্পকে সরবরাহ শৃঙ্খলের বাধার মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

রাশিয়া তার ক্রমপ্রসারমান দেশীয় প্রযুক্তি, ম্যানুফ্যাকচারিং, ও মহাকাশ ক্ষেত্রের জন্য মার্কিন সেমি-কন্ডাক্টর শিল্পের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল।

এই সব ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তা নীতি নির্ধারণে প্রযুক্তির গুরুত্ব নির্দেশ করে। অতএব, প্রযুক্তির সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে সংঘাতের পরিস্থিতিতে। মার্কিন প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞাগুলি তার উন্নত প্রযুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে তার আধিপত্যকে পুঁজি করছে। ভারতের হয়তো একই ধরনের উন্নত প্রযুক্তি পরিকাঠামো বা ক্ষমতা নেই, তবে এর একটি বিশাল আর্থিক ভাবে লাভজনক বাজার এবং একটি সমৃদ্ধ স্টার্ট-আপ ভিত্তি আছে। এগুলি প্রতিপক্ষের সামরিক ক্রিয়াকলাপকে প্রতিহত করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০২০–র জুনে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর থেকে চিনা অ্যাপগুলির উপর ভারতের ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা এবং প্রযুক্তি খাতে চিনা বিনিয়োগ হ্রাস করা সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ। ভারতকে নিজের অভিজ্ঞতা ও ইউক্রেনের সংঘাত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের নিরাপত্তা নীতির গতিপথ নির্ধারণ করতে, এবং প্রতিপক্ষদের প্রতিহত করতে, প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা এবং প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর তার প্রভাবের কথা বিবেচনা করতে হবে।

নিরাপত্তা জোটসমূহ

পরিশেষে, ইউক্রেন সংঘাত বুঝিয়ে দিয়েছে ‘‌আত্ম-সহায়তার’‌ গুরুত্ব কতটা। ইউক্রেনের ‘সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা’‌র প্রতি বার বার মার্কিন সমর্থনের ঘোষণা সত্ত্বেও কঠিন বাস্তব হল যে আজ ইউক্রেনকে যা করার নিজেকেই করতে হবে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (নেটো)–এর কিছু সদস্য এখন অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দিচ্ছে এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, তাদের কেউই কিন্তু সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে রাজি নয়। এই হল ভবিষ্যতের সংঘাতের বাস্তবতা: বিদেশে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে সাধারণ ভাবে এক ধরনের ক্লান্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতিকে নির্দেশিত করবে। তারা জড়িত হবে মূল স্বার্থগত বিপদ দেখা দিলে। যেমন ডঃ তারা কার্থা বলেন, “দৃঢ়মুষ্টির নিশ্চয়তা ও নিজের বড় ধরনের স্বার্থ ছাড়া কেউ আপনার সাহায্যে আসবে না।”

ভারতকে নিজের অভিজ্ঞতা ও ইউক্রেনের সংঘাত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের নিরাপত্তা নীতির গতিপথ নির্ধারণ করতে, এবং প্রতিপক্ষদের প্রতিহত করতে, প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা এবং প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর তার প্রভাবের কথা বিবেচনা করতে হবে।

এমন পরিবেশে ভারতকে নিজের দেখভাল নিজেকেই করতে হবে। তা ছাড়া একটিও আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা জোটের সদস্যপদ না–থাকা, এবং কখনও তা থাকার সম্ভাবনাও প্রায় নেই বলে ভারতের সঙ্গে অন্য দেশের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বা প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে সব সময়ে সীমাবদ্ধতা থাকবে। অতএব নয়াদিল্লিকে আজ হোক বা পরে তার নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করতে ও তা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আত্মনির্ভরতার ভিত্তিতে একটি পথ তৈরি করতেই হবে।

উপসংহার

ইউক্রেন সংঘাত শুধু প্রযুক্তি বা জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে, এই সংঘাতের পরিণতি কী হবে তা স্পষ্ট নয়, তবে এটুকু স্পষ্ট যে প্রধান শক্তিগুলির সম্পর্কের রূপরেখা নির্ধারণে এর প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ হবে। যে খণ্ডিত, মেরুকৃত বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হবে তার প্রভাব আগামী বহু বছর ধরে অনুভূত হবে, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা নীতির ক্ষেত্রে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.