Author : Srijan Shukla

Published on Apr 16, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারত রপ্তানিকেন্দ্রিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দিকে পদক্ষেপ করেছে এবং তার নিজস্ব শিল্পনীতি প্রণয়ন শুরু করেছে, যা বুঝিয়ে দেয় যে ভারতের শিল্পনীতি পরিপক্ব হতে শুরু করেছে

ভারতের শিল্পনীতি পরিপক্ব হচ্ছে

২০১৪ সালে "মেক ইন ইন্ডিয়া" উদ্যোগের সূচনার পরে ভারতে অবশেষে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যানুফ্যাকচারিং ভিত্তি গড়ে তোলার বিষয়ে স্পষ্ট উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। তবে কি না, সরকারের একটি সারগর্ভ শিল্পায়নের কৌশল নিয়ে আসতে ছয় বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভস (পিএলআই) স্কিম চালু করার সঙ্গেসঙ্গে ভারত শুধু রপ্তানি-কেন্দ্রিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দিকে একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপই করেনি, বরং তার নিজস্ব শিল্পনীতি নির্ধারণও শুরু করেছে। এখন, গত এক বছরে, স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে যে ভারতের শিল্পনীতি শুধু কাজ করছে না, পরিপক্ব হতে শুরু করেছে।

সংক্ষেপে বলা যায়, শিল্পনীতিতে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রকে অন্যদের তুলনায় অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকে, এবং এই সমর্থন তাদের রপ্তানি কর্মক্ষমতার শর্তসাপেক্ষ। এইভাবে, এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া ও শেখার প্রক্রিয়া, সরকার বা শিল্পসংস্থা উভয়ের জন্যই, এবং সাফল্যের মূল উপাদানগুলির মধ্যে একটি। এমন কোনও আদর্শ শিল্পনীতি মডেল নেই যা সমস্ত এগিয়ে আসতে আগ্রহী রাজ্য অনুসরণ করতে পারে।


২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভস (পিএলআই) স্কিম চালু করার সঙ্গেসঙ্গে ভারত শুধু রপ্তানি-কেন্দ্রিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দিকে একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপই করেনি, বরং তার নিজস্ব শিল্পনীতি নির্ধারণও শুরু করেছে।



বরং, পূর্ব এশিয়ায় "সফল [শিল্পায়ন] কৌশলগুলি শুধুমাত্র পরীক্ষা ও ত্রুটি সংশোধন এবং কাজের মধ্যে দিয়ে শেখার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল, এবং সর্বদা কিছুটা অনন্য (‌সুই জেনারিস)‌ ছিল,"
লিখেছেন স্টেফান হ্যাগার তাঁর "ডেভলপমেন্টাল স্টেটস" বইতে। সাম্প্রতিক লক্ষণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরাও তাঁদের শিল্পনীতিগুলি থেকে শিখতে শুরু করেছেন, এবং সেগুলির সঙ্গে চলার সময় সেগুলিকে সংশোধন করতে শুরু করেছেন।

পিএলআই-এর মতো প্রকল্পগুলির মধ্যে ১৪টি ক্ষেত্রের জন্য উৎপাদন প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত, যার মোট ব্যয় পাঁচ বছরের মতো সময়ে প্রায়
২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে মূল ধারণাটি হল ক্ষেত্রীয় বিজয়ীদের বাছাই করা এবং তাদের প্রণোদনা প্রদান করা। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স, বিশেষ করে স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি, চিকিৎসা উপকরণ ও ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মতো ক্ষেত্রগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল করেছে, যার ফলে বিদেশী বিনিয়োগ ও রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য ক্ষেত্রগুলিতে হয় ফলাফল হতাশাজনক হয়েছে, যেমন বস্ত্রবয়ন, অথবা প্রস্তুতির সময়কাল প্রত্যাশিত সময়ের থেকে অনেক বেশি লাগছে, যেমন সোলার ফোটোভোলটাইক (পিভি) মডিউল ও অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল (এসিসি) ব্যাটারিতে৷

পিএলআই প্রকল্পগুলি ঘিরে উদ্দীপনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের মধ্যে তাদের বাদ যাওয়া ক্ষেত্রগুলিতে প্রকল্পটি আরও প্রসারিত করার জন্য কলরব ছিল। বন্দর, শিপিং, অভ্যন্তরীণ জলপথ, ভারী শিল্প, ইস্পাত ও খনির মতো মন্ত্রকগুলি সক্রিয়ভাবে এমন নতুন পিএলআই প্রকল্প
দাবি করছিল যা তাদের ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে।

এখানেই ভারতের নীতিনির্ধারকদের পরিপক্বতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাবধানে আলোচনার পর, তাঁরা পিএলআই প্রকল্পগুলি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্তের পরে শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের প্রচার বিভাগের সচিব রাজেশ কুমার সিং
মন্তব্য করেছেন, "এই মুহূর্তে অর্থ যথেষ্ট, এবং এই সরকার বরাদ্দও যথেষ্ট বলে মনে করে।" তিনি আরও বলেন,  "এই বছরের (২০২৩) পিএলআই প্রকল্পগুলির আউটপুট আমাদের প্রত্যাশার মতো বেশি নয়, তবে বিক্রয় ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স যুক্তিসঙ্গতভাবে ভাল হয়েছে।"

এই ধরনের অভিযোজনযোগ্যতা শিল্পনীতি প্রণয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। রবার্ট ওয়েড "গভর্নিং দ্য মার্কেট"-এ
লিখেছিলেন, "বেশি সফল পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতিগুলি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত এবং/অথবা উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের নীতিগুলিকে সঙ্গতিপূর্ণ করে নিতে ইচ্ছুক ছিল।"


"এই বছরের (২০২৩) পিএলআই প্রকল্পগুলির আউটপুট আমাদের প্রত্যাশার মতো বেশি নয়, তবে বিক্রয় ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স যুক্তিসঙ্গতভাবে ভাল হয়েছে।"



দক্ষিণ কোরিয়ার বিষয়টি বিবেচনা করুন, যেটি ১৯৬০-‌এর দশকে পোশাক, জুতা, বস্ত্রবয়ন, পরচুলা ও স্টাফড খেলনার মতো ক্ষেত্রগুলিতে শ্রম-নিবিড় ম্যানুফ্যাকচারিংকে সফলভাবে
সহজতর করেছিল। কিন্তু মজুরির উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপকে স্বীকৃতি দিয়ে তার নতুন শাসক পার্ক চুং-হি-র অধীনে সরকার একটি সাহসী নতুন শিল্পনীতি শুরু করে। ১৯৭৩ সালে শুরু করা নতুন নীতিতে সরকার তার নজর ভারী ও রাসায়নিক শিল্পে (এইচসিআই) স্থানান্তরিত করে। এই শিল্প নীতিটি ১৯৭৯ সালে চুং-হি-এর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শেষ হয়েছিল, কিন্তু নীতিটির ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার এইচসিআই ক্ষেত্রের বিশ্বব্যাপী রপ্তানি কেন্দ্র হিসাবে উত্থান ঘটে।

শিল্পনীতি প্রণয়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পরিমাপ। একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশচালিত (‌কমান্ড)‌ অর্থনীতি এবং শিল্পনীতির মধ্যে মৌলিক পার্থক্যগুলির একটি হল শিল্পের জন্য কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক সমর্থন। এটিই পরিমাপকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। এখানেও ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা শিখতে শুরু করেছেন। যেমন, যখন পিএলআই প্রকল্পগুলির কথা আসে, তখন এমপাওয়ারড কমিটি (ইসি) অন পিএলআই এবং সরকারের মধ্যে অন্য অংশীদারেরা পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করেছে। এই পর্যালোচনা সভাগুলি প্রায়শই ক্যাবিনেট সচিব
রাজীব গৌবা বা বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সভাপতিত্বে হয়েছে — যা এই ধরনের পর্যালোচনা পরিচালনার ক্ষেত্রে উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রতিফলিত করে।

শিল্পনীতি হল সরকার ও শিল্পসংস্থাগুলির মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক অনুশীলন, এবং কয়েক মাস আগে পিএলআই-এর একটি কর্মশালায় পীযূষ গয়াল ঠিক এই কথাই
বলেছিলেন। তিনি সমস্ত বাস্তবায়নকারী মন্ত্রকের সরকারি আধিকারিকদের একটি "পরিবাহী" (‌কনডাকটিভ)‌ ব্যবসায়িক পরিবেশের সুবিধার্থে পিএলআই সুবিধাভোগীদের সঙ্গে নিয়মিত "পরামর্শ" করতে ও "রাউন্ডটেবল" আয়োজন করতে বলেছিলেন।

শিল্পনীতি হল সরকার ও শিল্পসংস্থাগুলির মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক অনুশীলন, এবং কয়েক মাস আগে পিএলআই-এর একটি কর্মশালায় গয়াল ঠিক এই কথাই বলেছিলেন।



আরও উল্লেখযোগ্যভাবে, একটি ভালভাবে কার্যকরী শিল্পনীতির জন্য অর্থনৈতিক আমলাতন্ত্রকে "
সংবিদ্ধ (‌এম্বেডেড)‌ স্বায়ত্তশাসন" প্রদর্শন করতে হবে। এর অর্থ এই আমলাতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত শিল্পসংস্থা ও শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এটি আমলাদের নির্দিষ্ট পথের বাধা, বাজারের ব্যর্থতা এবং শিল্পসংস্থাগুলির মুখোমুখি বিভিন্ন বাহ্যিকতাগুলি বোঝার সুযোগ দেয়। পরিবর্তে, এই নৈকট্য আমলাদেরও শিল্পসংস্থাগুলিকে প্রয়োজনে সুশৃঙ্খল করে তুলতে দেয়। শিল্পসংস্থাগুলি থেকে নিয়মিত ইনপুট নেওয়া এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে আরও ভাল ফলাফলের জন্য নীতিতে পরিবর্তন করা সফল শিল্পনীতি প্রণয়নের কেন্দ্রবিন্দু।

বাণিজ্যনীতি শিল্পনীতির অন্যতম ভিত্তি। এবং খুব দীর্ঘ সময় ধরে সরকার বাণিজ্য সুরক্ষাবাদের দিকে যাওয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছে। যদিও বেশ কিছু
ভাষ্যকার, , অর্থনীতিবিদ এবং এমনকি শিল্প অংশীদারেরা যুক্তি দিয়েছেন যে এটি বৈশ্বিক মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনাকে আঘাত করেছে, এটি কিন্তু প্রকৃত নীতিকে প্রভাবিত করে না। কিন্তু যেহেতু ভারতের শিল্পনীতি পরিপক্ব হতে শুরু করেছে, আমরা হয়তো বাণিজ্যনীতির ফ্রন্টেও কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, যা শিল্পসংস্থাগুলির সঙ্গে পরামর্শের ফলে উদ্ভূত বলে মনে হচ্ছে। কিছু সাম্প্রতিক উদাহরণ প্রতিফলিত করে যে আমরা সম্ভবত সংবিদ্ধ স্বায়ত্তশাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।

প্রথমত, একটি সাম্প্রতিক
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ভারতের বাণিজ্য কর্মকর্তারা অবশেষে ব্রিটেন (ইউকে), ইইউ, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্য উন্নত দেশগুলির সঙ্গে তাদের বাণিজ্য আলোচনার অংশ হিসাবে বেশ কয়েকটি পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর কথা ভাবছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, “বিষয়গুলি সেই দিকে অগ্রসর হচ্ছে যেখানে শুল্ক আর রাজস্বের উৎস হতে পারে না। শুল্ক রাজস্বে অবদান রাখে ঠিকই, কিন্তু শুল্কের উপর ভিত্তি করে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দিকে এগনো যায় না, কারণ যখন পণ্য ও পরিষেবার অবাধ চলাচল হয় তখন সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও অপরিসীম হয়।"

দ্বিতীয়ত, ভারত সরকার ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে
আলোচনার অগ্রবর্তী পর্যায়ে রয়েছে, যার লক্ষ্য ইভি জায়ান্টকে তার কিছু উৎপাদন ভারতে স্থানান্তর করতে সম্মত করা। এবং বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, ভারত সরকার টেসলাকে ভারতে আনার জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি ও যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করছে। এই নীতি পরিবর্তনের অনেকটাই একটি বৃহত্তর পরিবর্তনের অংশ হিসাবে আসতে পারে — একটি নতুন ইভি নীতি

যদিও বেশ কিছু ভাষ্যকার, অর্থনীতিবিদ এবং এমনকি শিল্প অংশীদারেরা যুক্তি দিয়েছেন যে এটি বৈশ্বিক মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনাকে আঘাত করেছে, এটি কিন্তু প্রকৃত নীতিকে প্রভাবিত করে না।



তৃতীয়, এবং সংশ্লিষ্টভাবে, সরকার দেশীয় অটো নির্মাতাদের
বলেছে যে, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের চলমান বাণিজ্য আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইভি শুল্ক হ্রাস অনিবার্য। অভ্যন্তরীণভাবে শুল্ক কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ব্যবহার করা বাণিজ্য উদারীকরণ সহজতর করার একটি ধ্রুপদী উপায়। এটি দেখায় কীভাবে সরকার প্রয়োজনের সময় শিল্পকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করছে।

দীর্ঘকাল ধরে ভাষ্যকারেরা যুক্তি দিয়ে আসছেন যে ভারত যা দ্বারা পীড়িত তা হল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মৌলিক অভাব। এমনকি এই লেখক
যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিলেন যে সক্ষমতার অভাব ভারতকে একটি কার্যকর শিল্পনীতি রূপায়ণ করতে বাধা দেয়। তবে এখন স্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে যে, ভারতের শিল্প নীতিনির্ধারণ পরিণত হয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নমূলক রাষ্ট্রগুলির থেকে প্রাপ্ত একটি  মূল পাঠ মনে রাখা  গুরুত্বপূর্ণ: শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সক্ষমতা বিকশিত হয়; এটি যে তার আগেই ঘটবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই।



সৃজন শুক্ল দিল্লি-ভিত্তিক রাজনৈতিক অর্থনীতি ও ঝুঁকি বিশ্লেষক। তিনি আগে দ্য প্রিন্ট-‌এর সঙ্গে ছিলেন এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.