Author : Shoba Suri

Published on Apr 08, 2024 Updated 7 Days ago

ভারতে সাম্প্রতিক সরকারি নীতির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের, উচ্চ-মানের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিতে সুযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যসেবার লভ্যতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে

জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ভারতের নীতি ও কর্মসূচি

ভারত, যার জনসংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং সীমিত স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামোর কারণে সংক্রামক রোগ থেকে অ-সংক্রামক রোগ (এনসিডি) পর্যন্ত বিস্তৃত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির একটি পরিসরের সঙ্গে লড়াই করছে। দেশের বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা জনস্বাস্থ্য হস্তক্ষেপের জন্য সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই নিয়ে আসে। নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও ক্রমবিকশিত জীবনধারার মতো কারণগুলি দ্বৈত-রোগের বোঝায় অবদান রেখেছে। ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো জীবনধারা-সম্পর্কিত অবস্থার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের পাশাপাশি যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলি অব্যাহত রয়েছে। তার উপর মা ও শিশুস্বাস্থ্য রয়ে গিয়েছে আশু উদ্বেগ, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার অপ্রতুল প্রাপ্তির মতো চ্যালেঞ্জ দ্বারা চিহ্নিত।


দেশের বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা জনস্বাস্থ্য হস্তক্ষেপের জন্য সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই নিয়ে আসে।



বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুসারে, ভারতে গড় আয়ু ৭০.৮ বছর। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫ ডেটা ইঙ্গিত করে যে ভারতে শিশুমৃত্যুর হার (আইএমআর) ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি ১,০০০ জন্মে ৩৫ ছিল, অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় মাত্র ৫.৫ শতাংশ কমেছে। ক্রমাগত উচ্চ আইএমআর অপুষ্টির মতো অন্তর্নিহিত সামাজিক নির্ধারকগুলিকে তুলে ধরে, যেখানে পাঁচ বছরের কমবয়সী ৩৫.৫ শতাংশ শিশু স্টান্টিংয়ের (‌বৃদ্ধির অভাব)‌ এবং ১৯ শতাংশ ওয়েস্টিংয়ের (‌ক্ষয়)‌ সম্মুখীন হয় — উচ্চতার জন্য কম ওজন। ভারতের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স র‍্যাঙ্কিং ২০২০ সালে ৯৪ তম (১১৬টি দেশের মধ্যে) থেকে ২০২৩ সালে নেমে গিয়ে ১১১ (‌(১২৫টি দেশের মধ্যে) হয়েছে। ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম ২০২২ সালের জন্য ভারতে প্রতি ১০০,০০০ জনে ১০০.৪ ক্যান্সারের ঘটনা ছিল বলে হিসাব করেছিল, এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তা ১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারতে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব গড় ১৬.১ শতাংশ, পুরুষদের মধ্যে ১৬.৮ শতাংশ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৫.৪ শতাংশ। ভারতে চারজনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, যেখানে স্থূলতা যথাক্রমে ৪৪ ও ৪১ শতাংশ পুরুষ ও মহিলাদের প্রভাবিত করে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক দশকে ভারতের মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সত্ত্বেও
অ-সংক্রামক রোগের (এনসিডি) একটি উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। এনসিডি-র সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ‘ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচি’ চালু করেছে, এবং দেশব্যাপী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে স্ক্রিনিং ইউনিট স্থাপন করেছে। উপরন্তু, ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৩-২০২০-র প্রাথমিক গ্রহণকারী হয়েছে, যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে এনসিডিতে ২৫ শতাংশ হ্রাস ঘটানো।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের মোট স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা  স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো, পরিষেবা এবং প্রাপ্তিযোগ্যতার উপর ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব প্রতিফলিত করে।
ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস ২০১৯-‌২০-‌র তথ্য অনুসারে, দেশের জিডিপিতে ভারতের মোট স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় ২০১৪-‌১৫ থেকে ২০১৯-‌২০-‌তে ১.‌১৩ থেকে বেড়ে ১.‌৩৫ হয়েছে, এবং এছাড়াও সরকারি স্বাস্থ্যব্যয়ের অংশ ২০ শতাংশ থেকে ৪১.৪-এ পৌঁছেছে। গার্হস্থ্য ব্যয় ৬২.‌৬ শতাংশ (২০১৪-‌১৫) থেকে ৪৭.‌১ (২০১৯-‌২০)-‌এ নেমে এসেছে। স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় ২০১৪-‌১৫ সালে ৫.‌৭ থেকে ২০১৯-‌২০ সালে ৯.‌৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।


১৯৪৬ সালে ভোরে কমিটির সুপারিশ অনুসরণ করে এর সূচনার পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।



ভারতের জনসংখ্যা যাতে যুক্তিসঙ্গত খরচে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৪৬ সালে ভোরে কমিটির সুপারিশ অনুসরণ করে এর সূচনার পর থেকে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কমিটির সুপারিশগুলি স্বাস্থ্য পরিকল্পনার জন্য ভিত্তিমূলক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে, এবং পরবর্তীকালে ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও নীতির নকশাকে প্রভাবিত করে।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮০-‌৮৫) "২০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্য" বৈশ্বিক উদ্যোগের দ্বারা আকৃতি পেয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ভারত তার উদ্বোধনী জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি (এনএইচপি) প্রবর্তন করে, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এমন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জন করা যা সাশ্রয়ী মূল্যের এবং জনগণের প্রয়োজন অনুসারে তৈরি। ২০০২ সালে চূড়ান্ত এনএইচপি নথি প্রকাশিত হয়েছিল, এবং এর লক্ষ্য ছিল ভারতীয় জনসংখ্যার জন্য প্রশংসনীয় স্বাস্থ্যমান অর্জন করা। এটি বিকেন্দ্রীকরণ, ন্যায্যতা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলির উন্নত প্রাপ্তিযোগ্যতা, এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতার উপর জোর দিয়েছিল। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ পূর্ববর্তী এনএইচপি (২০০২)-‌র পরের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটির লক্ষ্য হল প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি করে, গুণমান উন্নত করে, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত খরচ কমিয়ে সকল বয়সের সকল ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জন করা। অধিকন্তু, নীতিটি স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অতি-‌গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যকে স্বীকার করে।

ভারত সরকার
২০১৩ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) চালু করেছিল পূর্বে প্রতিষ্ঠিত ২০০৫ সালের জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচআইএম) এবং ২০১৩ সালের নবগঠিত ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন (এনইউএইচএম)-‌কে এর কাঠামোতে একীভূত করে। স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণ, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ, এবং স্বাস্থ্যশাসনে জনসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের প্রসারের মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ ও গুণমান উন্নত করার লক্ষ্যে এগুলি ছিল মূল উদ্যোগ। এনইউএইচএম বিশেষভাবে শহুরে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের অনন্য স্বাস্থ্য-‌চাহিদা পূরণ করে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রজনন, মাতৃত্ব, নবজাতক, শিশু, কিশোর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি (আরএমএনসিএএইচ+এন) উদ্যোগটি ২০১৩ সালে প্রবর্তন করে। এতে মা ও শিশুর অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার হ্রাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করা হয়।


এনইউএইচএম বিশেষভাবে শহুরে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের অনন্য স্বাস্থ্য-‌চাহিদা পূরণ করে।



স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য ফলাফলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৪ সালে চালু করা
স্বচ্ছ ভারত মিশন (এসবিএম) সর্বজনীন স্যানিটেশন কভারেজ অর্জন এবং উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা শুধুমাত্র সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে না, বরং সামগ্রিক মঙ্গলে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে, অবদান রাখে। এসবিএম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য আচরণ পরিবর্তনের জন্য যোগাযোগ এবং জনসম্প্রদায়ের সংহতির উপর জোর দেয়। ডিসেম্বর ২০১৪-এ, শৈশব টিকাদানে কম ‌অন্তর্ভুক্তির ইস্যুটির প্রতিক্রিয়া হিসাবে মিশন ইন্দ্রধনুষ (এমআই) চালু করা হয়েছিল। এই মিশনটি বিশেষ করে টিকাবিহীন বা আংশিকভাবে টিকাপ্রাপ্ত শিশুদের দিকে লক্ষ্য রেখেছিল যারা নিয়মিত টিকাদানের প্রচেষ্টার সময় টিকা পায়নি। প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় তাদের কাছে পৌঁছনোর উপর বিশেষ গুরুত্ব  দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ইনটেনসিফাইড মিশন ইন্দ্রধনুষ চালু করা হয়েছিল এবং আজ পর্যন্ত ৫.৪৬ কোটি শিশু এবং ১.৩২ কোটি গর্ভবতী মহিলাকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশন) ২০১৮ হল বিশ্বব্যাপী  সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগগুলির মধ্যে একটি, যার লক্ষ্য দুটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি দুর্বল ব্যক্তিকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করা: স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র (এইচডব্লিউসি) এবং প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএমজেএওয়াই)। এইচডব্লিউসি-‌গুলি ব্যাপক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিতে ফোকাস করে, আর পিএমজেএওয়াই দরিদ্রতম পরিবারগুলির দিকে লক্ষ্য রেখে পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা কভারেজ প্রদান করে।


২০১৮ সালে শুরু হওয়া পোষণ অভিযানের লক্ষ্য হল স্টান্টিং, অপুষ্টি, রক্তাল্পতা এবং কম জন্মকালীন ওজনের বিরুদ্ধে লড়াই করা, যে কাজটিতে একাধিক ক্ষেত্র জড়িত।



অপুষ্টি ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া
পোষণ অভিযানের লক্ষ্য হল স্টান্টিং, অপুষ্টি, রক্তাল্পতা এবং কম জন্মকালীন ওজনের বিরুদ্ধে লড়াই করা, যে কাজটিতে একাধিক ক্ষেত্র জড়িত। এই প্রোগ্রামটি শিশু ও ছোটদের জন্য সর্বোত্তম খাদ্য অনুশীলন, পুষ্টিকর খাবারের প্রাপ্তির উন্নতি এবং তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি পরিষেবাগুলিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিবেদিত।

এই নীতি ও উদ্যোগগুলি অপ্রতুল তহবিল, সম্পদের অসম বরাদ্দ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বল শাসন, এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠী জুড়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিতে
দুর্বল প্রাপ্তিযোগ্যতা-‌সহ স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলির একটি বিস্তৃত পরিসরের মোকাবিলা করে জনস্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য ভারতের অঙ্গীকারের উপর জোর দেয়। সর্বজনীন স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্তি অর্জন এবং দুর্বল স্বাস্থ্য ফলাফলের অন্তর্নিহিত কারণগুলি মোকাবিলা করার জন্য ক্রমাগত রাজনৈতিক অঙ্গীকার, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো, এবং কর্মীদের মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি অংশীদারদের মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতার প্রয়োজন।



শোভা সুরি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.