Expert Speak India Matters
Published on Sep 13, 2022 Updated 15 Hours ago

এই বিলের প্রাথমিক ফোকাস হল বিদ্যুৎ বণ্টনের ক্ষেত্রে সরবরাহের দিকটি বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত করা।

বিদ্যুৎ (সংশোধন) বিল ২০২২: নিয়ন্ত্রক প্রণোদনা সঠিক করা
বিদ্যুৎ (সংশোধন) বিল ২০২২: নিয়ন্ত্রক প্রণোদনা সঠিক করা

১৯৯৫ সাল থেকে সাতটি রাজ্যে রাজ্যস্তরের আইনের আওতায় গঠিত স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (এস ই আর সি), যেগুলি পরে ইলেক্ট্রিসিটি  রেগুলেটরি কমিশনস অ্যাক্ট ১৯৯৮–এর আওতায় চলে এসেছিল (এবং আরও পরে  ইলেক্ট্রিসিটি অ্যাক্ট ২০০৩–এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে), একদিকে কাজ চালানোর উঁচুহারের খরচ এবং অন্যদিকে সরবরাহ খরচের সঙ্গে অসমঞ্জস বিভ্রান্তিমূলক খুচরো শুল্ক কাঠামোর দ্বৈত সমস্যায় ভুগছে, এবং তা সমানভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ  হয়েছে।

বিদ্যুৎ বণ্টনে গড় প্রযুক্তিগত এবং বাণিজ্যিক ক্ষতি (সিস্টেমের মধ্যে শক্তির ইনপুট এবং শক্তির বিলের মধ্যে পার্থক্য) ছিল ২১ শতাংশ (২০১৯–২০), এবং সরকারের কাছ থেকে ১.‌১ ট্রিলিয়ন ভারতীয় টাকা সহায়তা পাওয়ার পরেও ডিসকমগুলির (লাইসেন্সযুক্ত বণ্টন ও খুচরো সরবরাহকারী সংস্থা) ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৮৬৭ বিলিয়ন টাকা। সরকারি সহায়তা না–থাকলে ক্ষতি দাঁড়াত রাজ্যের নিট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১ শতাংশ। ১৯ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডিসকমগুলির মোট পাওনা টাকার (‌যে বিল গ্রাহকেরা পরিশোধ করেনি)‌ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ১.৩৭ ট্রিলিয়ন। ২০০০ সাল থেকে ডিসকম আর্থিক সংস্কারের চতুর্থ প্রচেষ্টা এখন চলছে, যার মধ্যে সংস্কারের জন্য নিয়ন্ত্রক প্রণোদনা উন্নত করার জন্য আইনি পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত।

কেন্দ্রীয় সরকার ৬ আগস্ট ২০২২–এ সংসদে পেশ করা একটি সংশোধনী বিলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আইন ২০০৩–এর বিদ্যমান আই্নি বিধানগুলির কিছুটা বদল করে সংস্কারে গতি আনার প্রস্তাব করেছে।

সংস্কারের পূর্ববর্তী আইনি প্রয়াসে নজর ছিল বিদ্যুতের বৃহৎ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত সংযোগের (গ্রাহকদের তাদের সরবরাহকারী বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া) সুযোগ করে দিয়ে খুচরো সরবরাহের চাহিদার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করার উপর। এবার প্রাথমিক ফোকাস হল বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য বণ্টনের ক্ষেত্রে সরবরাহের দিকটি উন্মুক্ত করা।

ডিসকমের একচেটিয়া আধিপত্যের অবসান

তাদের লাইসেন্সকৃত এলাকায় খুচরো সরবরাহের উপর ডিসকমগুলির একচেটিয়া আধিপত্য এবার শেষ হবে। একাধিক সরবরাহকারী আসার সুযোগ আগেও ছিল;‌ কিন্তু যারা যেখানে আগে থেকে সরবরাহের দায়িত্বে ছিল, তারা নতুনদের তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে দিতে বাধ্য ছিল না। এটি নতুন নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ (রাইট টু ওয়ে) এবং সংশ্লিষ্ট সময়–ব্যবধানের কারণে প্রতিযোগিতা অসম্ভব করে তুলেছিল। এই অসুবিধা দূর করতে এখন প্রস্তাব করা হয়েছে যে নতুন লাইসেন্স প্রাপকদের ব্যবহারকারী (হুইলিং) চার্জ প্রদানের বিনিময়ে বিদ্যমান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে।

তবে যৌক্তিকভাবে ব্যবহারকারী চার্জ সংজ্ঞায়িত করা তুচ্ছ বিষয় নয়, বিশেষ করে যেহেতু নতুন লাইসেন্সপ্রাপকরা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য পুরোপুরি বিদ্যমান নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করবে। নতুন লাইসেন্স প্রাপকদের জন্য নেটওয়ার্ক মনিটরিং ডেটাতে বৈষম্যহীন প্রবেশাধিকার নির্দিষ্ট করতে, এবং সেই সঙ্গে গ্রাহকদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তারপর সিস্টেম বিভ্রাটের কারণে ব্যবসার ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ, পর্যাপ্ত উচ্চ প্রতিরোধক ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রবিধানের প্রয়োজন হবে।

সি ই আর সি–র একাধিক রাজ্যে খুচরো সরবরাহের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা

একটি বড় পরিবর্তন করে সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন (সি ই আর সি)–কে এখন একাধিক রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টনের জন্য আবেদনকারীদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ আগে লাইসেন্স বণ্টন সম্পূর্ণরূপে রাজ্যগুলির এস ই আর সি–র এক্তিয়ারে ছিল।

দুই কমিশনের নিয়ন্ত্রক আদেশকে আলাদা করার জন্য প্রবিধানের প্রয়োজন হবে। লাইসেন্স ইস্যু করার আগে কি সি ই আর সি–কে সংশ্লিষ্ট এস ই আর সি–র থেকে অনাপত্তি শংসা নিতে হবে, যা কখনওই অযৌক্তিকভাবে আটকে রাখা উচিত নয়? বাজারের কাঠামো নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত করার আগে আগের লাইসেন্সধারক এবং এস ই আর সি–র বক্তব্য শুনতে হবে। যদি বর্তমান ডিসকম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হয়, তাহলে সি ই আর সি একতরফাভাবে কাজ করলে আদালতে মামলা হতে পারে। কোন কমিশনের লাইসেন্স প্রত্যাহার করার ক্ষমতা থাকবে তা স্পষ্ট নয়। সাধারণভাবে লাইসেন্স প্রত্যাহার করার ক্ষমতা লাইসেন্সদাতা সি ই আর সি–র হাতে থাকা উচিত। পরের প্রশ্ন, সি ই আর সি কি কাজ করবে এস ই আর সি বা অন্য কোন আগ্রহী পক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী, না স্বতঃপ্রণোদিতভাবে?

পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) থেকে বিদ্যমান দায় ভাগ করা হবে

সংশোধনীটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে বর্তমান ডিসকমের বিদ্যমান পিপিএ থেকে উদ্ভূত দায়গুলি বর্তমান ও নতুন বণ্টনকারীদের মধ্যে আনুপাতিকভাবে ভাগ করা হবে। প্রবিধানগুলিতে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে কীভাবে দুটি ডিসকমের মধ্যে প্রকৃত (গড় নয়) খরচ বরাদ্দ করা হবে, অবশ্য যদি তাদের লোড প্রোফাইলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সরবরাহের পৃথগীকৃত খরচ তৈরি করে।

যতক্ষণ চালু সংস্থা পিপিএ অনুযায়ী চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট, ততক্ষণ নতুন কাউকে অতিরিক্ত শক্তি সরবরাহের জন্য চুক্তি করতে দেওয়া হবে না। এটি সরবরাহের ক্ষেত্রে চুক্তির আধিক্য এড়াতে একটি বুদ্ধিমান বিধান, কিন্তু প্রশাসনিকভাবে এর বাস্তবায়ন করা কঠিন। প্রশ্ন হল, যখন জাতীয় কর্মসূচি হল দ্রুত নবায়নযোগ্য ক্ষমতা বাড়ানো, তখন অতিরিক্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের চুক্তিতেও কি এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে? বিকল্পভাবে, যদি নতুন লাইসেন্সপ্রাপক বিদ্যমান পিপিএগুলি বন্ধ করার খরচের চেয়ে সস্তা হারে নতুন পিপিএ পায় তাহলে কী হবে? তা কি আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না? বুদ্ধিদীপ্ত প্রবিধানগুলিকে নতুন শক্তি চুক্তির জন্য বিচক্ষণ চয়ন নির্দিষ্ট করতে হবে।

সর্বজনীন পরিষেবার বাধ্যবাধকতা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। উভয় ডিসকমই লোকসানকারী গ্রাহকদের ছেড়ে দেওয়ার এবং লাভ প্রদানকারী গ্রাহকদের সংখ্যা সর্বাধিক করার চেষ্টা করবে। প্রবিধানগুলি কি এলাকানির্দিষ্ট, নিম্ন–মূল্য–মাসুল (‌বিলো কস্ট ট্যারিফ)‌ গ্রাহকদের ন্যূনতম অংশ রাখা নিশ্চিত করবে?‌

পরিপূরক–ভর্তুকি তহবিল

গ্রাহকদের বেছে বেছে হাত করে নেওয়া ঠেকানোর জন্য উৎপন্ন পরিপূরক–ভর্তুকি ভাগ করে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে একটি সংযুক্ত, নতুন প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া প্রস্তাব  করা হয়েছে। যে কোনও লাইসেন্স প্রাপকের সংগৃহীত ‘‌অতিরিক্ত’ পরিপূরক– ভর্তুকি‌ (অনুমোদিত খরচ এবং নিয়ন্ত্রিত মাসুলের মধ্যে পার্থক্য) সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার কর্তৃক মনোনীত একটি সরকারি সংস্থা পরিচালিত পরিপূরক–ভর্তুকি তহবিলে জমা দিতে হবে। এস ই আর সি নির্ধারণ করবে এই তহবিলের টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হবে। কিছু টাকা মূল লাইসেন্স প্রাপককে ফেরত দেওয়া যেতে পারে। অবশিষ্টাংশ দ্বিতীয় ডিসকমের ক্ষতিপূরণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা যেখানে বেশি প্রয়োজন আছে তেমন বণ্টন-এলাকায় হস্তান্তর করাও যেতে পারে। রাজস্বের একটি নিশ্চিত উৎস হিসাবে পরিপূরক ভর্তুকি সম্পর্কে ব্যবস্থাপনাগত অনিশ্চয়তা বরং দক্ষতার উন্নতিতে নজর সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এস ই আর সি–গুলো এখন ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ মাসুল নির্ধারণ করবে, আর লাইসেন্স প্রাপকদের এই পরিধির মধ্যে নিজের ইচ্ছামতো মাসুল নির্ধারণের সুযোগ দেবে। এটি দক্ষ লাইসেন্স প্রাপকদের বাজারে অংশীদারি বাড়ানোর জন্য শুল্ক কমাতে উৎসাহিত করবে।

সমস্যা হল, উচ্চ দক্ষতা সত্ত্বেও স্বল্প লাভের বিষয়টি দ্বিতীয় লাইসেন্স প্রাপকের জন্য ব্যবসার আকর্ষণ কমাতে পারে। দ্বিতীয়ত,পরিপূরক ভর্তুকি যদি সরবরাহের অন্য এলাকায় পরিবর্তনযোগ্য হয়, আমরা কি তবে পরিপূরক ভর্তুকির একটি নতুন শ্রেণি তৈরি করছি না? মাসুলের প্রকৃত খরচ প্রতিফলিত করা উচিত, এই দিকনির্দেশের সঙ্গে এটি কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ?

এস ই আর সি–গুলো এখন ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ মাসুল নির্ধারণ করবে, আর লাইসেন্স প্রাপকদের এই পরিধির মধ্যে নিজের ইচ্ছামতো মাসুল নির্ধারণের সুযোগ দেবে। এটি দক্ষ লাইসেন্স প্রাপকদের বাজারে অংশীদারি বাড়ানোর জন্য শুল্ক কমাতে উৎসাহিত করবে। অনন্য ডিসকম মাসুল পরিকল্পনাগুলি অনেকটা টেলিকম মডেলের মতো হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা গ্রাহকদের তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনাটি বেছে নিতে উৎসাহিত করবে৷

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, ১ মেগাওয়াটের উপরে লোড ব্যবহারকারীরা এখন আন্তঃরাজ্য ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে, এবং বাজার থেকে সরাসরি কিনতে পারে বা পাইকারি সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তি করতে পারে। সারচার্জ এবং হুইলিং চার্জকে যুক্তিসঙ্গত মাত্রার মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে এস ই আর সি–গুলি সহযোগিতা করবে কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ।

এনএলডিসি–র ক্ষমতায়ন:‌ শীর্ষ স্তরের সিস্টেম অপারেটর

একটি স্বাগত পদক্ষেপে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (‌এন এল ডি সি)‌–এর স্পষ্টভাবে আঞ্চলিক (আর এল ডি সি) ও রাজ্য স্তরের লোড প্রেরণ কেন্দ্রের (এস এল ডি সি) উপরে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্রিডের সব অংশীদারই এন এল ডি সি–র নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। এটি গ্রিডের শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

পূর্ববর্তী এস এল ডি সি–গুলি কার্যত এন এল ডি সি–আর এল ডি সি–র অধীনস্থ থাকাকালীন গ্রিড স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় রিয়েল টাইম অ্যাকশনগুলিকে উপেক্ষা করে তাদের স্টেট গ্রিড কোডের নিয়মকেই ধ্রুব করে সেই তালে তালে পা ফেলছিল। এন এল ডি সি এখন সরকারের অনুমতি নিয়ে পিপিএ–তে প্রবেশ করতে পারবে, এবং অ্যানসিলিয়ারি ও ব্যাকআপ সহায়তার জন্য চুক্তি করতে পারবে। তার ফলে আগের মতো জেনারেটর থেকে ব্যাকআপ সমর্থন সুরক্ষিত করার জন্য দৈনিক ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে না, যা উচ্চ খরচের কারণে উপলব্ধ হয় না।

নিয়ামক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গর্ব ও পারস্পরিক আনুগত্যের মনোভাব তৈরি করতে এস ই আর সি–র গুরুত্ব যথেষ্ট। এস ই আর সি–র জন্য আদর্শ প্রবিধান প্রণয়ন করতে ফোরাম অফ রেগুলেটর্স-এর কর্মপরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, ইউটিলিটি কমপ্লায়েন্স ও মানের নিরীক্ষণ এই অতিপ্রাসঙ্গিক নতুন প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষমতায়িত করবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের উপর–থেকে–নিচে হস্তক্ষেপ বেড়েছে। মাল্টি–স্টেট এস ই আর সি তৈরি করা যেতে পারে, তবে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে। আগে পারস্পরিক চুক্তির প্রয়োজন ছিল। দুঃখজনকভাবে, তা এখন মাইক্রো–ম্যানেজমেন্টে ফিরে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ক্রস–স্টেট লাইসেন্সধারীরা কোন কোন এলাকায় সরবরাহ করবে তার মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। আগে রাজ্য সরকারগুলি এর অনুমোদন দিত, কারণ ২০০৩ সালে এস ই আর সি–গুলি সবে গড়ে উঠছিল৷ কিন্তু এখন তারা এবং সি ই আর সি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর৷ সরবরাহকৃত শক্তির জন্য অর্থপ্রদান নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। সি ই আর সি এখন এন এল ডি সি–র কার্যাবলি নির্ধারণের জন্য অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও গ্রিডকে স্থিতিশীল করার জন্য এন এল ডি সি–র বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেবে কেন্দ্র। আবার এস ই আর সি–গুলির জন্য নির্বাচন কমিটিতে বসবেন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা, সি ই আর সি প্রতিনিধিরা নয়। এই সমস্ত কাজ সি ই আর সি–কে দিয়ে দেওয়া যেতে পারে সংস্থাটির আরও ক্ষমতায়নের জন্য, এবং সংস্থাটির ও এস ই আর সি–র মধ্যে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তার চেতনার বিকাশ ঘটাতে ।

বেসরকারি শব্দটি নিষেধস্বরূপ রয়ে গেছে, যদিও আইন প্রণয়ন করে একাধিক লাইসেন্সধারীর মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবর্তনের থেকে কর্মক্ষমতা উন্নয়নের আরও ভাল বিকল্প হল স্বচ্ছল সরবরাহ–এলাকায় বেসরকারিকরণ।

তা সত্ত্বেও, সর্ববৃহৎ সরকারি মালিকানাধীন বণ্টন এবং খুচরো সরবরাহ বিভাগে উন্নতি করতে বাধ্য করার জন্য প্রতিযোগিতার প্রতিবন্ধক শক্তির ব্যবহার প্রশংসনীয়। প্রবিধানের গুণমান নির্ধারণ করবে যে আচরণ এবং ফলাফলের পরিমাপযোগ্য পরিবর্তনগুলিতে আইনি উদ্দেশ্যগুলি কতটা ভালভাবে কার্যকর হল। বেসরকারি শব্দটি নিষেধস্বরূপ রয়ে গেছে, যদিও আইন প্রণয়ন করে একাধিক লাইসেন্সধারীর মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবর্তনের থেকে কর্মক্ষমতা উন্নয়নের আরও  ভাল বিকল্প হল স্বচ্ছল সরবরাহ–এলাকায় বেসরকারিকরণ।

বিদ্যুৎ আইন ২০০৩–এ ২০০৭ সালের সংশোধনী, যা পরিপূরক ভর্তুকি বাদ দেওয়ার নিয়ামক উদ্দেশ্য মুছে ফেলেছিল, এই খাতের জন্য একটি বড় ক্ষতি করেছে। পরিপূরক ভর্তুকি অর্থনীতির ক্ষতি করে, এবং কার্বন প্রশমনে বাধা দেয়; এটা নির্মূল করা আবশ্যক। অধিকন্তু, আয় সহায়তা রাজ্য সরকারের লক্ষ্যনির্ভর গ্রাহকদের কাছে সরাসরি স্থানান্তর করা উচিত, যাতে তারা টেলিকমের মতো তাদের সরবরাহের স্তর বেছে নিতে পারে। ডিসকমগুলিকে অবশ্যই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজ করতে হবে, তবেই প্রতিযোগিতার ধার থাকবে।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.