-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারত এবং তাইওয়ানের মধ্যে উদীয়মান সম্পর্ক বেজিংকে চিন্তিত করছে।
গভীরতর হতে থাকা ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ক ঘিরে চিনের উদ্বেগ
তাইওয়ান প্রসঙ্গটি কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সি পি সি) ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেসে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে এ বিষয়ে জোর দেন যে, চিন শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে শক্তির ব্যবহার পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি চিন দেবে না, বিশেষ করে বহিরাগত শক্তি এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’কামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে।
‘বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ’ সম্পর্কে চিনের উল্লেখটি প্রায়শই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের সম্পর্কের বিকশিত গতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যাখ্যা করা হয়। তবে ভারতের কৌশলগত সম্প্রদায়কে অবশ্যই এই সত্যটি মেনে নিতে হবে যে, ভারত ও তাইওয়ানের মধ্যে উদীয়মান সম্পর্ক বেজিংকে যথেষ্ট বিব্রত করেছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলিতে চিনা কৌশলবিদদের মধ্যে একটি মুখ্য আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় সম্পৃক্ততার সীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে এখন থেকে তাইওয়ানের বৈদেশিক ও অর্থনৈতিক নীতির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে চলেছে ভারত।
চিনা কৌশলবিদদের লেখা থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, তাইওয়ানের নিউ সাউথবাউন্ড পলিসি বা নতুন দক্ষিণমুখী নীতি নিয়ে বেজিংয়ের আপত্তি রয়েছে, যা ২০১৬ সালে সাই ইং-ওয়েন সরকার দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল।(১) চিনা পণ্ডিতরা এটিকে ক্রস-স্ট্রেইট বা আন্তঃপ্রণালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সমন্বয়ে বাধা সৃষ্টি করতে এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিসরে নিজের স্থান অর্জন করতে তাইওয়ানের চক্রান্ত বলে মনে করেন।(২) তাইওয়ান যে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বি আর আই) প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তার নিজস্ব শর্তে অর্থনীতির বিকাশের জন্য নিজস্ব নীতি প্রণয়ন করেছে, তা কিছুটা হলেও বেজিং-এর নীতি নির্ধারক মহলে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।
যা চিনের বিরক্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে, তা হল নিউ সাউথবাউন্ড নীতিতে ভারতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। চিনা পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন যে, তাইওয়ানের নিউ সাউথবাউন্ড নীতির ‘নিউ’ বা ‘নতুন’ শব্দটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক সংক্রান্ত। এ কথা বলা হয়ে থাকে যে, আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় সম্পৃক্ততার সীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ফলে এখন থেকে তাইওয়ানের বৈদেশিক ও অর্থনৈতিক নীতির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। তাইওয়ানের প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেমন হুয়াং ঝিফাং (জেমস সি এফ হুয়াং), তাইওয়ানের নিউ সাউথবাউন্ড নীতির অন্যতম প্রবক্তা, নিউ সাউথবাউন্ড পলিসি অফিসের প্রাক্তন ডিরেক্টর এবং তাইওয়ান ফরেন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের দাবি যে, ‘আগামী ২০ বছরে তাইওয়ানের শিল্পের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই প্রদান করতে ভারতীয় বাজারগুলি সক্ষম’, যা চিনের নিরাপত্তাহীনতাকে গভীরতর করেছে।(৩)
বেজিংয়ে এই আলোচনাই দানা বাঁধছে যে, ভারত এবং তাইওয়ান একটি মারাত্মক জুটি হয়ে উঠতে পারে। উভয় দেশেরই চিনের সঙ্গে বিশ্বাসহীনতার সম্পর্ক বিদ্যমান, উভয় দেশই চায় চিনের উপর তাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে। চিনের প্রতি ভারতের গভীর বৈরিতা তাইওয়ানের বর্তমান অবস্থানকে শক্তিশালী করে, যখন বেজিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের জটিল সম্পর্ক ভারতকে অতিরিক্ত শক্তি জোগায়।(৪)
আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে চিনা বিশ্লেষকরাও এ কথা স্বীকার করেছেন যে, ভারত এবং তাইওয়ানের মধ্যে একটি পরিপূরক অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক পরিকাঠামো বর্তমান – তাইওয়ানের আছে পুঁজি ও প্রযুক্তি এবং ভারতের রয়েছে মানবসম্পদ সুবিধাসহ একটি সুবিশাল বাজার। এ ছাড়াও তাইওয়ান সরকারের নিউ সাউথবাউন্ড পলিসি এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করিডোর’, ‘স্মার্ট সিটি’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ ইত্যাদির মতো ভারতের নিজস্ব সংস্কার নীতিগুলি কৌশলগত লক্ষ্যের নিরিখ থেকে একে অপরের সঙ্গে অনেকটাই সমন্বয়মূলক।(৫) ‘ইলেক্ট্রনিক্স এবং যোগাযোগ শিল্প, স্মার্ট সিটি শিল্প (যেমন নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো, যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাধান, দূষণহীন শক্তি পণ্য, নির্মাণ, যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ইত্যাদি), অটোমোবাইল এবং মোটরসাইকেল উপাদান, টেক্সটাইল শিল্প, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্যপরিষেবা শিল্প, পর্যটন এবং হোটেল শিল্প’ সবগুলিকেই ভবিষ্যতে তাইওয়ান-ভারত শিল্প সহযোগিতার জন্য সম্ভাব্য বৃদ্ধির সূচক হিসাবে দেখা হয়।(৬)
অন্য ভাবে দেখতে গেলে, ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান তাইওয়ানের জন্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই এক অনন্য সুযোগ। এর পাশাপাশি, তাইওয়ান ভারতের শিল্প উন্নয়ন এবং উচ্চ প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ কথা সত্য যে, বর্তমানে ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ক উভয় পক্ষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ত্বরান্বিত না হলেও চিনা পর্যবেক্ষকরা এই আন্তঃসহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বিশ্বাস করেন এবং মনে করেন যে, সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার কথা উভয় পক্ষ দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়া শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার মাত্র।(৭)
বর্তমানে ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ক উভয় পক্ষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ত্বরান্বিত না হলেও চিনা পর্যবেক্ষকরা এই আন্তঃসহযোগিতার সম্ভাবনার কথা বিশ্বাস করেন এবং মনে করেন যে, সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার কথা উভয় পক্ষ দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়া শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ ছাড়াও চিনের অস্বস্তির কারণ, তাইওয়ান-ভারত সম্পর্ক এমন এক সময়ে বিকশিত হচ্ছে, যখন তাইওয়ানের ব্যবসাগুলি মূল ভূখণ্ডে বিনিয়োগের আগ্রহ ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে। চিনা পর্যবেক্ষকরা এ কথা লক্ষ করেছেন যে, কী ভাবে ১০ বছর আগেও তাইওয়ানের ব্যবসায়ীদের পছন্দের বিনিয়োগের গন্তব্য ছিল মূল ভূখণ্ডই, যার পরিমাণ ছিল তাইওয়ানের বিদেশি বিনিয়োগের ৭৯.৫ শতাংশ। সাম্প্রতিক অতীতে একটি নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডে তাইওয়ানের বিনিয়োগ বছরওয়ারি হিসেবে ১৪.৫ শতাংশ কমেছে।
তাই চিন ভারত ও তাইওয়ানের মধ্যে যে কোনও ‘তাৎপর্যপূর্ণ আন্তঃসহযোগিতা’র উপর কড়া নজর রাখছে। এখন প্রশ্ন হল যে, চিন ‘ভারত-তাইওয়ান সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ বলতে কী বোঝে?(৮) উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, রাজনীতির ক্ষেত্রে, তাইওয়ান ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি বিনিময়ের উপর চিন সারাক্ষণ নজর রাখে।(৯) ভারতে চিনা দূতাবাস প্রায়শই তাইওয়ানের উপর চিনা সার্বভৌমত্ব দাবি করে এবং (তাইওয়ানের) সঙ্গে সমস্ত ধরনের সরকারি বিনিময় বন্ধ করার দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরকারি পরামর্শ বা ব্যক্তিগত সতর্কতা পত্র জারি করে।
দ্বিতীয়ত, দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পরে তাইওয়ান যাতে ভারতের অন্যত্র, বিশেষ করে মুম্বইতে, আরও বেশি সংখ্যক অফিস গড়ে তোলার সুযোগ না পায়, সে কথা সুনিশ্চিত করতে চিন তৎপর।(১০) অর্থনৈতিক পরিসরে, ভারত ও তাইওয়ানের মধ্যে প্রস্তাবিত এফ টি এ কার্যকর হয় কি না বা ভারত তাইওয়ানের উদ্যোগের জন্য আরও শিল্প পার্ক নির্মাণ করে তাইওয়ানের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয় কি না এবং তাইওয়ানও ভারতীয় শ্রমশক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তার প্রতিদান দিতে পারে কি না, চিন সে বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে।(১১) চিন ভারত ও তাইওয়ানের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে আন্তঃসহযোগিতার উপরেও নিবিড় ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। চিনা ইন্টারনেটে একটু নজর দিলেই ভারতে তাইওয়ানের সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান আগ্রহ নিয়ে ক্ষোভের বিষয়টি মন্তব্যগুলি থেকে স্পষ্ট হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চিনা পর্যবেক্ষকরা প্রায়শই ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন যে, গুও তাইমিং, তাইওয়ানের টাইকুন এবং কোম্পানি ফক্সকনের প্রতিষ্ঠাতা কী ভাবে চিনের স্বল্পমূল্যের শ্রম এবং সুবিশাল বাজার ব্যবহার করে উপকৃত হয়ে থাকলেও মূল ভূখণ্ডের প্রতি অনুগত থাকার পরিবর্তে এখন ভারতের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। গত কয়েক বছরে চিনের কৌশল থেকেছে তাইওয়ানের ব্যবসাগুলিকে একচেটিয়া ভাবে মূল ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ রাখা, যাতে তাদের ভারতের মতো বাহ্যিক বাজারে চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা থেকে বিরত রাখা যায়। ধারণাটির উদ্দেশ্য হল তাইওয়ান এবং ভারত উভয় দেশকেই সামগ্রিক পরিকাঠামোর দিক থেকে চিন-কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক ও শিল্প শৃঙ্খলের অংশ হিসেবে তুলে ধরা এবং তার পর ভারতীয় বাজারের সুবিধা কাজে লাগাতে একটি সম্ভাব্য চিন-তাইওয়ান যৌথ মডেলের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা।(১২) যদিও এ হেন পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায়, চিনা কৌশলগত সম্প্রদায় ভারত-তাইওয়ানের অর্থনৈতিক সম্পর্কের পরিপক্বতা নিয়ে ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে।
ভারত-চিন সম্পর্ক এবং ক্রস-স্ট্রেইট সম্পর্কের একযোগে অবনতি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উল্লিখিত দু’টি তুরুপের তাস ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে যা ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ককে ঘিরে চিনা উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে।
ভারত-তাইওয়ান সহযোগিতার অন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যা প্রায়শই চিনা আলোচনায় স্থান পায়, তা হল মহাকাশ ক্ষেত্র। ভারত-তাইওয়ান বৈজ্ঞানিক গবেষণা সহযোগিতা কি মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও প্রসারিত হবে? তাইওয়ানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারত কি কোনও ভূমিকা গ্রহণ করবে? এগুলি এমন কিছু প্রশ্ন যা চিনে আলোচিত হচ্ছে।(১৩) এর পাশাপাশি, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও এ কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, চিন ভারত এবং তাইওয়ানকে তার টু-ফ্রন্ট মিলিটারি চ্যালেঞ্জের পশ্চিম ও পূর্ব ফ্রন্ট হিসাবে বিবেচনা করে। তাই ভারত-তাইওয়ান গোয়েন্দা/তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নৌ পরিসরে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে চিন বিশেষ ভাবে উদ্বিগ্ন, যা ভারতের সঙ্গে চিন-পাকিস্তান ব্যবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।(১৪) সামরিক সহদূতের বিনিময় এবং উভয় পক্ষের সামরিক অফিসারদের প্রশিক্ষণকেও চিনা পক্ষ দ্বারা বিপদ সঙ্কেত বলে মনে করা হয়েছে।(১৫)
ভারত-তাইওয়ান দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের অভিন্নতা ছাড়াও চিনে এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে, কিছু বাহ্যিক কারণ ভবিষ্যতে ভারত-তাইওয়ান সহযোগিতাকে চালিত করার জন্য অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে পারে। চিন এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।(১৬) এ কথা বলা হয় যে, ভারতে বিনিয়োগের সঠিক পরিবেশ নেই, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সাধারণভাবে এমন ধারণা থাকলেও ভারতে জাপানের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং ভারতীয় বাজার থেকে লাভবান হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাই চিন ভয় পাচ্ছে যে, জাপানের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রাখা তাইওয়ানও ভারতে জাপানি অভিজ্ঞতার অনুকরণ করার প্রচেষ্টা চালাতেই পারে।(১৭)
সর্বোপরি, এই বিষয়গুলি ভারতীয় কৌশলগত পরিসরে তেমন ভাবে উল্লিখিত না হলেও ভারতে তিব্বতি এবং তাইওয়ান বাহিনীর যোগসাজশ নিয়ে চিনে আলোচনা জারি রয়েছে। চিনা কৌশলবিদদের মধ্যে এমন ধারণাও বর্তমান যে, ভারতে নির্বাসিত তিব্বতিরা এবং তাইওয়ানের তিব্বতিরা ভারত-তাইওয়ান সমীকরণের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সামগ্রিক ভাবে ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিন দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত অর্থনৈতিক নির্ভরতা / সুযোগগুলিকে দর কষাকষির কাজে ব্যবহার করেছে। যদিও ভারত-চিন সম্পর্ক এবং ক্রস-স্ট্রেইট সম্পর্কের একযোগে অবনতি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উল্লিখিত দু’টি তুরুপের তাস ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে যা ভারত-তাইওয়ান সম্পর্ককে ঘিরে চিনা উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে।
[১] শিয়ং কি, ““新南向”还是“新难向”?——台湾“新南向政策”可行性分析”, 创新 ২০১৭, ১১(০৫), ২৫-৩৭
[২] হু ইয়ং, “当“新南向”遇上“东进”:台印关系的当前动向与未来走势”, তাইওয়ান স্ট্রেইট রিসার্চ, ২০১৯ (০১), ৭২-৮৫
[৩] হু ইয়ং, “当“新南向”遇上“东进”:台印关系的当前动向与未来走势.”
[৪] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景,” সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ২০১৮ (০২), পৃষ্ঠা: ৪০-৫৪+১৫৬-১৫৭ ৭
[৫] ইয়াও ইয়ুংগুই ইয়ু চোংবো, “新南向政策”背景下台湾地区与印度经贸关系前景探析”, 台湾研究集刊, ২০১৮ (০৩): ৭৭-৮৮
[৬] হু ইয়ং, “当“新南向”遇上“东进”:台印关系的当前动向与未来走势”, তাইওয়ান স্ট্রেইট রিসার্চ, ২০১৯ (০১), ৭২-৮৫
[৭] ইয়াও ইয়ুংগুই ইয়ু চোংবো, “新南向政策”背景下台湾地区与印度经贸关系前景探析”, 台湾研究集刊, ২০১৮ (০৩): ৭৭-৮৮
[৮] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景,” সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ২০১৮ (০২), পৃষ্ঠা: ৪০-৫৪+১৫৬-১৫৭
[৯] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景”.
[১০] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景”.
[১১] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景”.
[১২] শিয়ং কি, “ 新南向”还是“新难向”?——台湾“新南向政策”可行性分析”, 创新 ২০১৭, ১১(০৫), ২৫-৩৭
[১৩] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景,” সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ২০১৮ (০২), পৃষ্ঠা : ৪০-৫৪+১৫৬-১৫৭
[১৪] কাং শেং, জাং ইয়ুওয়াং, হাও রং, “新世纪以来印度与中国台湾地区关系进展略考”, 印度洋经济体研究, ২০১৪, (০৬), ৫৯-৭৩+১৫৮
[১৫] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景,” সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ২০১৮ (০২), পৃষ্ঠা: ৪০-৫৪+১৫৬-১৫৭
[১৬] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景”.
[১৭] ঝাং হুয়া, হুয়াং রিহান, “印度对华打“台湾牌”的表现、原因与前景”.
মতামত লেখকের নিজস্ব।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Antara Ghosal Singh is a Fellow at the Strategic Studies Programme at Observer Research Foundation, New Delhi. Her area of research includes China-India relations, China-India-US ...
Read More +