-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নীতিমালা নারী উদ্যোক্তাদের প্রবেশাধিকার সহজ করে তুললেও স্থানিক ন্যায়বিচার ছাড়া ভারতের বাজারে ন্যায়বিচার এখনও নাগালের বাইরেই রয়েছে।
ভারতের অর্থনৈতিক তথ্য এবং ই-কমার্স মঞ্চে নারীর ক্রমবর্ধমান প্রতিনিধিত্ব নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ, দক্ষতা এবং আনুষ্ঠানিকীকরণের মাধ্যমে সহায়তাকারী নীতিগুলির সাফল্যকেই তুলে ধরে। তবে এটি একটি স্থায়ী নীতিগত শূন্যতাও প্রকাশ করে, যা দেশের কর্মশক্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন এবং একীভূতকরণকে বাধাগ্রস্ত করে। মহিলা শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের হার (এফএলএফপিআর) বৃদ্ধি কি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য মালিকানা অধিকার এবং ক্ষমতায়নের অনুরূপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়? ভারতের চিরাচরিত নগর পরিকল্পনা মডেল - এবং ‘স্মার্ট সিটি’র জন্য নতুন প্রযুক্তিগত প্রচেষ্টা - কি অর্থনৈতিক স্থানগুলিতে প্রবেশাধিকারকে গণতান্ত্রিক করেছে এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থপূর্ণ বাজার একীভূতকরণ সক্ষম করেছে?
এই প্রতিবেদনটিতে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এফএলএফপিআর-এর পুনর্বিবেচনা করা উচিত, যাতে নারীদের স্থানিক ন্যায়বিচারে সমান অংশীদারিত্ব থাকে - যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক স্থানের মালিকানা এবং সহ-শাসন, ট্রেড লাইসেন্স, ভৌত বাজার এবং ব্যবসায়িক সরবরাহ শৃঙ্খলে ক্রয় ব্যবস্থা।
ইক্যুইটি নয়, প্রবেশাধিকার সহজ করা
২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্ব-কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ঋণ লব্ধতার জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই আর্থিক প্রণোদনার লক্ষ্য হল প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি (পিএমইজিপি), প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (পিএমএমওয়াই), স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া, দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদয় যোজনা-জাতীয় নগর জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই-এনইউএলএম), প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরস আত্মনির্ভর নিধি (পিএম স্বনিধি) এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্পগুলিকে শক্তিশালী করা। এই উদ্যোগগুলি মহিলাদের জন্য অন্তর্ভুক্তি এবং ব্যবসা করার সহজতাকে উৎসাহিত করে।
ভারতের পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষাগুলি দেখায় যে, নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, শহরাঞ্চলে এফএলএফপিআর (১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই কাজে নিযুক্ত বা কর্মসংস্থান খুঁজছেন) ২০১৭-১৮ সালে ১৫.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ২২.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে কর্মী জনসংখ্যার অনুপাত (জনসংখ্যার মধ্যে নিযুক্ত মহিলাদের প্রকৃত সংখ্যা) ১৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, নতুন ক্ষুদ্র-উদ্যোগগুলিকে ঋণ-সংযুক্ত ভর্তুকি প্রদানকারী পিএমইজিপি ২০২৩-২৪ সালে ৮৯,১১৮টি উদ্যোগকে সাহায্য করেছে। পিএমএমওয়াই তার তিন-স্তরের ঋণ মডেলের (শিশু, কিশোর, তরুণ) মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের লভ্যতাকে প্রসারিত করেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মহিলারা উদ্যম নিবন্ধন পোর্টাল (ইউআরপি) এবং উদ্যম সহায়তা প্ল্যাটফর্মে (ইউএপি) ২,২০,৭৩,৬৭৫টি এমএসএমই এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগ নিবন্ধিত করেছেন। মন্ত্রক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং স্টার্টআপ মিশন জুড়ে ৮০টিরও বেশি প্রকল্প বিদ্যমান।
তবুও এই প্রকল্পগুলির বেশির ভাগই ভারতের বাজার অর্থনীতিতে কাঠামোগত বাধা এবং লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা না করে প্রবেশের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং তা হল ঋণ ও দক্ষতার লভ্যতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। মহিলারা প্রায়শই পুরুষদের দ্বারা পরিকল্পিত বাজারে আনুষ্ঠানিক কাঠামো ছাড়াই অথবা শহুরে পরিধিতে কাজ করে, যেখানে কোনও আলোচনা বা সহ-শাসনের অংশীদারিত্ব থাকে না। বাজারগুলি তেমন লিঙ্গ-সমেত সুযোগ-সুবিধা অর্থাৎ শৌচাগার, খাওয়ানোর ঘর, বা ডে-কেয়ার প্রদান করে না, যা স্থানিক ন্যায়বিচারকে ক্ষুণ্ণ করে। সর্বোপরি, এই প্রকল্পগুলি অর্থনৈতিক আলোচনা এবং আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো থেকে নারীদের কাঠামোগত বর্জনকে উপেক্ষা করে, যা ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এই ব্যবধানগুলি শৃঙ্খল ও সহ-শাসনের বিষয়টি বিবেচনা করে সমন্বিত নীতি বিকাশের এবং দৃশ্যমানতা থেকে সক্রিয় অংশীদারদের অংশগ্রহণে ‘অন্তর্ভুক্তি’কে পুনর্কল্পনা করার জন্য একটি স্পষ্ট আহ্বানকেই দর্শায়।
অন্তর্ভুক্তির বিভ্রম
ভারতের পর্যায়ক্রমিক শ্রমশক্তি সমীক্ষাগুলি দেখায় যে, নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ধারাবাহিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, শহরাঞ্চলে এফএলএফপিআর (১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই কাজে নিযুক্ত বা কর্মসংস্থান খুঁজছেন) ২০১৭-১৮ সালে ১৫.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ২২.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে কর্মী জনসংখ্যার অনুপাত (জনসংখ্যার মধ্যে নিযুক্ত মহিলাদের প্রকৃত সংখ্যা) ১৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এই অগ্রগতি সত্ত্বেও নারীর কাজ এবং উদ্যোগ মূলত অনানুষ্ঠানিক রয়ে গেছে। এফএলএফপিআর-এ ভারত বিশ্বব্যাপী পিছিয়ে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল লিঙ্গবৈষম্য সূচক ২০২৪-এ, ভারত ২০২৩ থেকে দুই ধাপ পিছিয়ে ০.৬৪১ নম্বর পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গড় ০.৬৮৫-এর নিচে। অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং সুযোগ উপ-সূচকে ভারত ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১৪২তম স্থানে রয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী গড় ৬০.৫ শতাংশের তুলনায় ৩৯.৮ শতাংশ নম্বর করেছে।
সর্বোপরি, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সালের পিএলএফএস তথ্য থেকে আরও দেখা যায় যে, শহুরে নারীদের মধ্যে স্ব-কর্মসংস্থান ৩৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিয়মিত মজুরি / বেতনভিত্তিক কর্মসংস্থান ৫২.১ শতাংশ থেকে কমে ৪৯.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, তাদের বেকারত্বের হার ১০.৮ থেকে কমে ৭.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে, আন-ইনকর্পোরেটেড সেক্টর এন্টারপ্রাইজেস (এএসইউএসই) ২০২৩-২৪ সালের বার্ষিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, ২৬.২ শতাংশ মালিকানাধীন উদ্যোগ - বেশিরভাগই গৃহ-ভিত্তিক, অনিবন্ধিত এবং অনানুষ্ঠানিক ক্ষুদ্র কেন্দ্র - মহিলাদের মালিকানাধীন। তবুও তাদের নিরাপত্তা জাল, মাত্রায়নের সহায়তা বা অবকাঠামোগত অভাব রয়েছে।
অতএব, ভারতে নারীর ক্ষমতায়ন অর্থপূর্ণ এবং নির্ভুলভাবে পরিমাপ করার জন্য কাজের ধরন, তাদের কাজের পরিস্থিতি এবং তাঁরা যে বিস্তৃত সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কাজ করেন, তার একটি সমালোচনামূলক পরীক্ষা করা উচিত। নিরাপদ আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, যত্নের বোঝা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খল থেকে বঞ্চিত থাকার সীমিত সুযোগ প্রায়শই নারীদের স্ব-কর্মসংস্থানের দিকে ঠেলে দেয়— একটি পছন্দ হিসেবে নয়, বরং একটি প্রয়োজনীয়তা হিসেবে।
অনেক ক্ষেত্রে কর ছাড়, ভর্তুকি বা প্রকল্পের সুবিধা পেতে নারীদের নামে ব্যবসা নিবন্ধিত হয়। অন্য দিকে পুরুষ আত্মীয়রা ক্রয়, মূল্য নির্ধারণ এবং বাজার সম্প্রসারণের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। বহু রাজ্যে করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, এই ‘ছদ্মবেশী মালিকানা’ মহিলাদের উদ্যোক্তা তথ্যকে বাড়িয়ে তোলে, তাঁদের অংশগ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রণের প্রকৃত পরিমাণকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঢেকে রাখে। ২০২২ সালের নীতি আয়োগের একটি প্রতিবেদনেও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।
সরবরাহ শৃঙ্খল এবং সংগ্রহের লভ্যতা
সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস (জিইএম) ডিজিটালকরণ এবং গণতন্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করলেও এর কঠোর তথ্য সংক্রান্ত এবং সম্মতির প্রয়োজনীয়তা - যার মধ্যে টার্নওভারের প্রমাণ, অভিজ্ঞতা এবং মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক (ওইএম) সার্টিফিকেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে - এটি অনেক মহিলা-নেতৃত্বাধীন ক্ষুদ্র উদ্যোগের কাছে বাধা। বাধ্যতামূলক বিক্রেতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়া আরও বাধা যোগ করে, অবকাঠামোগত ফাঁক, ডিজিটাল নিরক্ষরতা এবং পদ্ধতিগত সহায়তার অভাবের কারণে বর্জনকে আরও প্রশস্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, জিইএম-এর ‘ইয়োমানিয়া’ উদ্যোগটি মহিলাদের নেতৃত্বাধীন স্বল্প ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের (এমএসই) জন্য তিন শতাংশ ক্রয় সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করে এবং লেনদেনের মূল্য হ্রাস করে। তবুও বিক্রেতাদের অংশের মাত্র আট শতাংশ মহিলা। এমনকি ছাড়ের ধারাগুলির জন্যও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। এমন প্রমাণের বোঝা মহিলাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তাঁদের প্রায়শই প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির অভাব থাকে। ২০২৪-২৫ সালে মহিলাদের নেতৃত্বাধীন এমএসই ৪৬,৬১৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা জিইএম-এর চার লক্ষ কোটি টাকার মোট পণ্য মূল্যের এক শতাংশেরও কম।
নাগরিক বাজারের স্থানিক গতিশীলতা
অর্থনৈতিক পরামিতি, অঞ্চলভিত্তিক আইন, বাণিজ্য শৃঙ্খল, বাজার সমিতি এবং আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক দেখভালের বাইরেও ভৌত বাজার গঠন করা হয়। বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক বাজার পক্ষপাত নারীদের সমান আলোচনার ক্ষমতা থেকে বিরত রাখে, যার ফলে তাঁদের জন্য এই জটিল, বহুস্তরীয় বাজার বাস্তুতন্ত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা এবং মাত্রায়ন করার কাজটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।
ই-কমার্স মঞ্চ এবং ডিজিটাল বাজারগুলি কঠোর নিয়মকানুন ও ভৌত বাজারে অনানুষ্ঠানিক দেখভাল মেনে চলার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য অসংখ্য পথ তৈরি করেছে।
ভারতের স্মার্ট সিটিজ মিশনের (এসসিএম) আওতায় ডিজিটাল হস্তক্ষেপগুলি মূলত লিঙ্গ-সমেত অবকাঠামোর পরিবর্তে সৌন্দর্যবর্ধন, নজরদারি এবং গতিশীলতার উপর জোর দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ভেন্ডিং জোন বা বিক্রেতা সমিতির সদস্যপদ প্রদান না করেই মুম্বইয়ের দাদর মার্কেটে একটি রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পের সময় মহিলা বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করে। ২০২৫ সালের মে মাসে স্বনিধির সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও নয়াদিল্লির রাস্তার বিক্রেতাদের শহরব্যাপী সাফাই অভিযানের (পরিষ্কার অভিযান) অংশ হিসাবে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
ডিজিটাল বাজার: সুযোগ না কি বিচ্ছিন্নতা?
ই-কমার্স মঞ্চ এবং ডিজিটাল বাজারগুলি কঠোর নিয়মকানুন ও ভৌত বাজারে অনানুষ্ঠানিক দেখভাল মেনে চলার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য অসংখ্য পথ তৈরি করেছে। তবে সেগুলি অনিশ্চয়তাকেও উস্কে দিয়েছে। ইনস্টাগ্রাম বা মিশোর মতো মঞ্চে বিক্রি করেন, এমন অনেক মহিলাই অনানুষ্ঠানিক ভাবে কাজ করেন। তাদের লজিস্টিক সহায়তা বা পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিবন্ধনেরও অভাব রয়েছে, যা তাদের পাবলিক টেন্ডারের জন্য অযোগ্য করে তোলে এবং ঋণের মাত্রায়ন বা লভ্যতার ক্ষমতাকে সীমিত করে।
নারী উদ্যোক্তার প্রশ্নটি মূলত নগর সমতা এবং স্থানিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে – কী ভাবে নারীরা তাঁদের টিকিয়ে রাখা পরিসরগুলির মালিকানা এবং সহ-শাসনের ‘নাগাল’-এর বাইরে চলে যান। রাস্তার বিক্রেতা, খুচরা দোকান মালিক বা ডিজিটাল বিক্রেতা হিসাবে তাঁদের দৃশ্যমানতা সত্ত্বেও স্থানিক ন্যায়বিচারের অংশীদারদের অংশগ্রহণ এবং শহরের অধিকারের অনুপস্থিতি বাজার পরিকল্পনা, নকশা এবং পরিচালনা কী ভাবে করা হয়, তা প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে সীমিত করে।
২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের দুর্বলতা স্বীকার করে ই-শ্রম পোর্টাল চালু করা হয়েছে, ডিজিটাল আইডি কার্ড চালু করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএম-জয়) স্বাস্থ্য কভারেজ নিবন্ধিত গিগ কর্মীদের জন্যও প্রসারিত করেছে। তবে এই পদক্ষেপগুলি গভীর কাঠামোগত সমস্যাগুলি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে — যার মধ্যে রয়েছে বিকৃত চুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা বহনযোগ্যতার অভাব এবং আনুষ্ঠানিক ক্রয় ও বিক্রয় শৃঙ্খল থেকে বাদ পড়া।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিক অর্থনীতির লক্ষ্যে
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতিকে শহরগুলিকে কেবল বৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসাবেই নয়, বরং সমান অধিকার প্রদানকারী পরিসর হিসাবে পুনর্কল্পনা করতে হবে। অংশগ্রহণের ঊর্ধ্বে উঠে নীতিগুলিকে অবশ্যই অর্থনৈতিক স্থানগুলির সহ-মালিকানা, গঠন এবং পরিচালনার অধিকারকে সমর্থন করতে হবে:
১. পৌরসভার আইন সংস্কার এবং এসসিএম-এর অধীনে বাজার পুনর্গঠনকে কেবল বহিরঙ্গের সংস্কারের বাইরেও পুনর্গঠন করা।
২. সরকারি ভেন্ডিং কমিটিতে নারী বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক বাজার পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করা।
৩. কাজের সময়, স্থান ব্যবহার, ভাড়া এবং অবকাঠামো নির্ধারণকারী বাজার সমিতিগুলিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
৪. স্বীকৃতির জন্য জিইএম-এর যোগ্যতার মানদণ্ড সম্প্রসারণের পাশাপাশি লাইসেন্সিং সংস্কার ও মেয়াদ সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৫. শৌচাগার এবং ডে-কেয়ার সুবিধা সহ লিঙ্গ-সংবেদনশীল অবকাঠামোতে প্রবেশাধিকার তৈরি করা।
৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থাগুলিতে মালিকানা, ক্রয়, প্রবেশাধিকার, লাইসেন্সিং এবং প্রতিনিধিত্ব পর্যায়ক্রমে ট্র্যাক করার জন্য একটি নারীবাজারের সমন্বিতকরণ সংক্রান্ত সূচক তৈরি করা।
নারী উদ্যোক্তার প্রশ্নটি মূলত নগর সমতা এবং স্থানিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে – কী ভাবে নারীরা তাঁদের টিকিয়ে রাখা পরিসরগুলির মালিকানা এবং সহ-শাসনের ‘নাগাল’-এর বাইরে চলে যান। রাস্তার বিক্রেতা, খুচরা দোকান মালিক বা ডিজিটাল বিক্রেতা হিসাবে তাঁদের দৃশ্যমানতা সত্ত্বেও স্থানিক ন্যায়বিচারের অংশীদারদের অংশগ্রহণ এবং শহরের অধিকারের অনুপস্থিতি বাজার পরিকল্পনা, নকশা এবং পরিচালনা কী ভাবে করা হয়, তা প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে সীমিত করে। বাজেট ও নীতিগত হস্তক্ষেপগুলিকে শহরের একটি অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত এবং অগ্রাধিকার দিতে হবে, যা মহিলাদের আকাঙ্ক্ষা, কল্পনা এবং স্বত্ববোধ বিবেচনা করে।
ধবল দেশাই অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন, মুম্বইয়ের সিনিয়র ফেলো এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট।
দুর্গা নারায়ণ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dhaval is Senior Fellow and Vice President at Observer Research Foundation, Mumbai. His spectrum of work covers diverse topics ranging from urban renewal to international ...
Read More +
Durga Narayan is a Research Intern at the Observer Research Foundation. ...
Read More +