-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
সিরিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে পুনর্গঠন প্রচেষ্টা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তনশীলতা সামনে এসেছে।
সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নাগরিকেরা উদযাপন করেছেন। এদিকে, পর্যবেক্ষকেরা প্রাক্তন স্বৈরশাসক ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে দেশটির উন্নয়নের উপর নজর রাখছেন। এই নিবন্ধটি এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণের কারণগুলি পরীক্ষা করে এবং এর সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রভাব মূল্যায়ন করে।
ভূমিকা
১৯৭৯ সাল থেকে সিরিয়ার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে, যে বছর সিরিয়া লেবানন দখল করেছিল। ১৯৮০-র দশকে, তৎকালীন ইউরোপীয় সম্প্রদায় (ইসি)-ও সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যদিও কিছুদিন পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ৯/১১-র পরবর্তী সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ইরাক, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে 'অশুভ অক্ষ' হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, তখন তিনি আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়াকে ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসাবেও অভিহিত করেছিলেন, এবং ২০০৪ সালে এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। ২০১১ সাল নাগাদ, যখন সিরিয়ার জনগণ আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল, যার ফলে নৃশংস দমন-পীড়নের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছিলেন। এর সঙ্গে আরব দেশগুলি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুরূপ পদক্ষেপও ছিল। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে থাকা সিরিয়ার সরকারি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, সিরিয়ায় মার্কিন বিনিয়োগের উপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা, এবং পেট্রোলিয়াম আমদানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা।
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সব সময়ই ছিল, কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আধুনিক আন্তঃসংযুক্ত প্রকৃতি দেশগুলিকে এর জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এর কারণ হল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে আর্থিক লেনদেনকে, আর সেইসঙ্গেই রপ্তানির মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং নাগরিকদের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলির উদ্দেশ্য কিন্তু ছিল ভিন্ন, এবং এর মধ্যে বিভিন্ন লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন একটি দেশের বৈদেশিক বা দেশীয় নীতিগুলিকে প্রভাবিত করা, নৈতিক নিন্দা প্রকাশ করা, অথবা নির্দিষ্ট নীতিগত পদক্ষেপগুলিকে বাধা দেওয়া। সিরিয়ার ক্ষেত্রে, আরব বসন্তের বিক্ষোভের পর আসাদ সরকারের নাগরিকদের উপর নৃশংস দমন-পীড়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি মূল কারণ ছিল। এই ধরনের পদক্ষেপগুলি একটি দেশকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার জন্যও তৈরি করা হয়েছে, যা নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করতে অক্ষম করে তোলে।
যদিও এই পদক্ষেপগুলিকে প্রায়শই কার্যকর হিসাবে দেখা হয়, নিষেধাজ্ঞাগুলি আসলে কাদের উপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। সিরিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেই বেসামরিক নাগরিকেরা যাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রক্ষা করার চেষ্টা করছিল। এছাড়াও, সিরিয়ার প্রবাসীরা, যাদের মধ্যে এমন দক্ষ কর্মীরা ছিলেন যাঁরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারতেন, তাঁদেরও আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সিরিয়ার মুদ্রা ব্যবহারের সীমাবদ্ধতার মাধ্যমে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
বিপরীতে, সরকার-সংশ্লিষ্ট অভিজাত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তারা এই নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে বার করেছিলেন। তাঁরা কালোবাজার তৈরি করেছিলেন যা বেসামরিক নাগরিকদের আরও শোষণ করেছিল। অনেকে তাদের অর্থায়ন জোরদার করার জন্য মাদক চোরাচালানের মতো অবৈধ কার্যকলাপেও জড়িত ছিল।
সৌদি সুবিধা, মার্কিন শর্ত এবং সিরিয়ার ছাড়
ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সৌদি আরব তার প্রভাব বৃদ্ধি এবং সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি সীমিত করার জন্য তদবির করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণের ঘোষণা সৌদি আরবে হয়েছিল, যার ফলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে আনন্দিত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এটি এই লক্ষ্যে গৃহীত সিদ্ধান্তের মূল প্রক্রিয়া সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সৌদি আরব তার প্রভাব বৃদ্ধি এবং সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি সীমিত করার জন্য তদবির করছে।
এই লক্ষ্যে, সৌদি আরব বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে। প্রথমত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এটি কমপক্ষে দুবার তাঁকে আতিথেয়তা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এটি 'সীমা' ছাড়াই সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তৃতীয়ত, এটি বিশ্ব ব্যাঙ্ককে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। অবশেষে, এটি ট্রাম্পকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে রাজি করাতে গুরুতর সম্পদ ব্যয় করেছে, এবং অতিরিক্ত প্রণোদনা প্রদানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহু বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
বিনিময়ে, আল-শারা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সৌদি সরকারকে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার বিপ্লব রপ্তানি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ছিল সৌদি আরবের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়, কারণ তারা শাসক পরিবারের জন্য যে কোনও হুমকি এড়াতে চায়। উপরন্তু, সিরিয়ার সরকার সৌদি আরবে ক্যাপটাগন মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, এবং বর্তমানে সেখানে বসবাসকারী সিরিয়ান শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।
সিরিয়ার কাছে আমেরিকা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে দেশে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-র পুনরুত্থান রোধ করা, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আইএসআইএস-এর কারাগারগুলির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, এবং মার্কিন-তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের সরকারি পদ থেকে বঞ্চিত করা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হল সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের জন্য আমেরিকার জোরাজুরি।
তবে সৌদি আরবের তদবির মোটেই আল-শারা ও সিরিয়ার নাগরিক সমাজের সদস্যদের দ্বারা নিষেধাজ্ঞা অপসারণের প্রচেষ্টার গুরুত্ব খাটো করে না। সিরিয়ার সাধারণ মানুষের উপর নিষেধাজ্ঞার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। আল-শারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করে আসছিল। একইভাবে, সুশীল সমাজের নেতারাও একই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা এবং সম্পদ বিনিয়োগ করেছিলেন।
সিরিয়ার কাছে আমেরিকা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে দেশে ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)-র পুনরুত্থান রোধ করা, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আইএসআইএস-এর কারাগারগুলির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, এবং মার্কিন-তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের সরকারি পদ থেকে বঞ্চিত করা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হল সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের জন্য আমেরিকার জোরাজুরি। উল্লেখযোগ্যভাবে, আল-শারা পূর্বে বলেছেন যে ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্ভব হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ইজরায়েল গোলান হাইটসে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলে রাখবে, যা সিরিয়া একটি অবৈধ দখলদারি বলে মনে করে। তবুও, তিনি এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যা ইজরায়েল সহ অন্যদের জন্য বিপদস্বরূপ নয়।
সিরিয়ার পুনরুদ্ধার এবং আঞ্চলিক পুনর্গঠনের পথ
এই সমীকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সিরীয়দের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তাদের দেশ পুনর্গঠন এবং মর্যাদার অনুভূতি পুনরুদ্ধারের সুযোগ করে দেয়।
সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রভাব ফেলে। এই সমীকরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার সিরীয়দের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তাদের দেশ পুনর্গঠন এবং মর্যাদার অনুভূতি পুনরুদ্ধারের সুযোগ করে দেয়। এই উন্নয়ন সিরিয়ার শরণার্থী এবং প্রবাসী সদস্যদের প্রত্যাবর্তনকেও সহজতর করতে পারে, যাঁরা পূর্বে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ফিরে আসতে অক্ষম ছিলেন।
দ্বিতীয়ত, জরুরি মানবিক সাহায্য এখন সিরিয়ায় প্রবেশ করতে পারে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্বাসনে সহায়তা করতে পারে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পথও প্রশস্ত হয়, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, জরুরি মানবিক সাহায্য এখন সিরিয়ায় প্রবেশ করতে পারে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্বাসনে সহায়তা করতে পারে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পথও প্রশস্ত হয়, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তবে, অতিরিক্ত বহিরাগত প্রভাব সম্পর্কে চলতি উদ্বেগগুলি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আশঙ্কা রয়েছে যে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়েরা সাহায্য বা বিনিয়োগের আড়ালে তাদের নিজস্ব অ্যাজেন্ডা আরোপ করার চেষ্টা করতে পারে।
তৃতীয়ত, যদি সিরিয়া আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, তাহলে এটি চুক্তির নাগাল ও প্রভাবকে প্রসারিত করবে। পাশাপাশি এই ঘটনাটি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দেশগুলির ভূমিকাও বড় করে তুলবে, কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এই ফলাফলকে সহজতর করার ক্ষেত্রে জড়িত ছিল। তবে, এর অর্থ সিরিয়ার স্বাধীনতার ক্ষতি নয়। প্রেসিডেন্ট আল-শারা কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য তুরস্কের মতো অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে একটি বাস্তববাদী বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করছেন বলে মনে হচ্ছে।
চতুর্থত, এই দেশগুলির ব্লকের কাছাকাছি আসার ফলে ইরানের মতো দেশ এবং হিজবুল্লার মতো গোষ্ঠীগুলির প্রভাব হ্রাস পাবে, যার ফলে তারা সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হবে। এটি এমন একটি ফলাফল যা আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে চেয়ে আসছে।
পরিশেষে, ইজরায়েলের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পৃক্ততা জিহাদি গোষ্ঠীগুলির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিকে চরমপন্থী হিংসার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। এটি নতুন সরকারের জন্য উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে যা মোকাবিলা করতে হবে। সংক্ষেপে, সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কয়েক দশক ধরে চলতি অচলাবস্থা থেকে বিরতি, এবং এটি দেশটির জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করে। যদিও এটি সিরিয়ার জনগণের জন্য যথেষ্ট স্বস্তি প্রদান করে, তবে এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি শর্তও আসে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলি ইরানের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রভাব সীমিত করতে চায়। অতিরিক্তভাবে, সিরিয়ার বৈদেশিক নীতির পুনর্নির্মাণ — বিশেষ করে ইজরায়েলের সঙ্গে আরও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের দিকে তার পদক্ষেপ — মধ্যপ্রাচ্যের গতিশীলতার বৃহত্তর পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। তবে, এর অর্থ সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ক্ষতি নয়। যদি সিরিয়া তার বর্তমান গতিপথ ধরে চলতে থাকে, তাহলে স্থায়ী শান্তি অর্জন এবং তার নাগরিকদের জন্য অর্থনৈতিক পুনর্বাসন সক্ষম করার একটি শক্তিশালী সম্ভাবনা রয়েছে।
মোহাম্মদ সিনান সিয়েচ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অনাবাসী অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr. Mohammed Sinan Siyech is a Non – Resident Associate Fellow working with Professor Harsh Pant in the Strategic Studies Programme. He works on Conflict ...
Read More +