Published on Apr 14, 2025 Updated 0 Hours ago

ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি পরিবর্তন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত করে, শান্তির আশা জাগালেও ভূখণ্ড, নিষেধাজ্ঞা এবং ন্যাটোর নিরাপত্তা সংক্রান্ত গ্যারান্টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন-রুশ আলোচনা: একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা না কি এক চূড়ান্ত অচলাবস্থা?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৯০ মিনিটের ফোনালাপ ইউক্রেন সম্পর্কে মার্কিন নীতির পরিবর্তন সুনিশ্চিত করেছে। এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা কাঠামোয় ট্রাম্পের দাবি পূরণের ক্ষমতা সম্পর্কে রাশিয়ার প্রাথমিক সন্দেহকে প্রশমিত করেছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন, কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন নীতি অপরিবর্তিত ছিল। তা ছাড়া, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং ওয়াশিংটন ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি থেকে সরে এসেছিল, যার ফলে মস্কোর সঙ্গে ফাটল আরও প্রশস্ত হয়েছিল। যাই হোক, তাঁদের সাম্প্রতিক টেলিফোনের কথোপকথনে উভয় নেতাই সংঘাতের মূল কারণটি মোকাবিলায় সম্মত হয়েছেন এবং অব্যবহিত আলোচনার ঘোষণা করেছেন। তার পর থেকে, যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আলোচনা পরিবর্তিত হয়েছে, সংঘাত তৃতীয় বছরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের শত্রুতা শেষ হওয়ার প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি অর্জন অত্যন্ত জটিল বলেই মনে হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ফলে এই যুদ্ধ কী ভাবে শেষ হবে, সে সম্পর্কে আলোচনার পথ নির্ধারণ করা কঠিন, বিশেষ করে আঞ্চলিক বিভাজন, মস্কোর জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রেক্ষিতে

রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল এবং ওয়াশিংটন ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি থেকে সরে এসেছিল, যার ফলে মস্কোর সঙ্গে ফাটল আরও প্রশস্ত হয়েছিল।

২০২৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল রিয়াধে একটি রুশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। মার্কিন দলে ছিলেন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার মাইকেল ওয়াল্টজ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। রুশ প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন ফরেন মিনিস্টার সের্গেই লাভরভ, রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) কিরিল দিমিত্রিভ এবং প্রেসিডেন্সিয়াল এইড ফর ফরেন পলিসি ইউরি উশাকভ। এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল আরও আলোচনার জন্য সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করা এবং পরামিতি স্থাপন করা। দুই দেশই এমন প্রতিনিধি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাঁরা সংঘাতের অবসান ঘটাতে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালাবেন। উভয়  পক্ষ ওয়াশিংটন মস্কো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত করে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক মেরামতের উপরেও জোর দিয়েছে। সম্পর্কের অবনতির কারণে কূটনৈতিক মিশনে কর্মী সঙ্কট সমাধানের বিষয়েও দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। এর পাশাপাশি আলোচনায় জ্বালানি এবং মহাকাশ সহযোগিতা-সহ অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। এই আলোচনার নেপথ্যের প্রধান যুক্তি হল কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা আরও ভাল যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করতে পারে। সর্বোপরি, বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ডগত দাবি, সংঘাত সমাধানের অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান রাশিয়া-চিন অংশীদারিত্ব নিয়ে উদ্বেগের কারণে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা সবচেয়ে সহজ কার্যকর কৌশল বলে মনে হচ্ছে, যা পারস্পরিক সুবিধা প্রদান করে।

ভূখণ্ডের বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান

রিয়াধের আলোচনায় অঞ্চলগুলির যুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থা উল্লেখ করা হয়নি। ২০২৪ সালের জুনে সুইস শান্তি সম্মেলনের আগে পুতিন যুদ্ধবিরতির জন্য  দোনেস্ক, লুগানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া থেকে ইউক্রেনের প্রত্যাহারের দাবি করেছিলেন, যা কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার পর থেকে, রাশিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিতই থেকেছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনের ১৯ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বর্তমানে, রাশিয়া দোনেস্ক, খেরসন জাপোরিঝিয়ার ৭৫ শতাংশ এবং লুগানস্কের ৯৯ শতাংশ দখলে রাখার দাবি করেছে।

যাই হোক, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। আগে ইউক্রেন ক্রিমিয়া-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি করলেও, পশ্চিমীরা যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়, তা হলে ইউক্রেন এখন বর্তমান ধারায় সংঘাত স্থগিত করতে ইচ্ছুক। তবে, ইউক্রেনে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতি মস্কোর কাছে অগ্রহণযোগ্য।

কথা লক্ষ করা জরুরি যে, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ফ্রন্টলাইন ফ্রিজ করা এবং একটি সীমানা রেখা স্থাপন করা কখনওই রাশিয়ার জন্য সামরিক ভাবে অনুকূল হবে নাকারণ এটি পশ্চাদপসরণকারী বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত হতে সাহায্য করবে। প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার রেখা জুড়ে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করাও লজিস্টিক ভাবে প্রতিকূল হবেকারণ নিরস্ত্রীকরণকৃত অঞ্চলটি সুরক্ষিত করতে প্রায় ৮৩,০০০ সৈন্যের প্রয়োজন পড়বে। এই ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী কে সরবরাহ করবে এবং তহবিলও বা কে জোগাবে, এই প্রশ্ন যে কোন সম্ভাব্য চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে।

রিয়াধের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর উপর নির্ভরশীল।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের রাজনীতি

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আর কটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রিয়াধের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর উপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সাল থেকে মস্কোর উপর ২১,০০০-এরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬,০০০টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রমস্কো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার বিষয়ে আগ্রহী হলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জটিলতা সম্পর্কে তারা যথেষ্ট অবগত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে এবং এই অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি জটিল হতে পারে কারণ রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, যেখানে ইউক্রেন নীতি নিয়ে বিভাজন আবার অব্যাহত রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সুর নরম করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কিন্তু অন্য পথে হেঁটেছে। সম্প্রতি ইইউ রুশ অ্যালুমিনিয়ামের উপর ১৬তম দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং রুশ তেলের চালানে ৬০ মার্কিন ডলার মূল্যসীমার নীচে নির্ধারণ করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ইউরোপের অনীহা পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। উল্লেখযোগ্য আপস না হলে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে, যা এমন একটি পরিস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে যেখানে শান্তি আলোচনা তাৎক্ষণিক সমাধান ছাড়াই দীর্ঘস্থায়ী হবে। সুতরাং, ইউক্রেন চুক্তির জটিলতা বিবেচনা করে তিনটি পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে:


সম্ভাব্য পরিস্থিতি


বর্ণনা

প্রধান ফলাফল

দেশগুলির তরফে প্রতিক্রিয়া

কথাবার্তা ভেস্তে যেতে পারে

যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করে এবং ইউরোপীয় দেশগুলি সামরিক ব্যয় বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তা হলে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে, যার ফলে আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে। কারণ এটি মস্কোর বিপদসীমা অতিক্রম করবে

-ওয়াশিংটনের সমর্থনের দরুন ইউক্রেন ইউরোপীয় দেশগুলির তাদের দাবিগুলি স্পষ্ট করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুবিধা থাকবে

- ইউরোপীয় দেশগুলির তরফে শান্তিরক্ষীদের আলোচনা-সহ ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উপর আরও বেশি জোর দেওয়া হবে

-ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

-ইউরোপীয় দেশগুলি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে অব্যাহত ভূমিকা পালন করবে

-রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে

-আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়বে।

রাশিয়া যা চেয়েছিল তা-পাবে

 

যদি জেলেনস্কি ট্রাম্পের মধ্যে বিরোধ আরও প্রশস্ত হয়, তা হলে ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারী কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে। রাশিয়ার প্রাধান্য থাকবে এবং রাশিয়ার শর্তে যুদ্ধ শেষ হবে।

-ইউক্রেন সম্ভবত একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে।

-ন্যাটো সদস্যপদ সম্পূর্ণরূপে আলোচনার বাইরে থাকবে।

-ইউক্রেনে যুদ্ধকালীন নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার চাপ বৃদ্ধি পাবে।

-মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত হবে

-ইউরোপীয় নিরাপত্তা বিন্যাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা হ্রাস পাবে।

-মস্কো যুদ্ধকালীন নির্বাচনের ডাক দেবে।

-ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন সম্পূর্ণ রূপে উলটো পথে হাঁটবে।

-ইউরোপীয় দেশগুলি স্বাধীন ভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

-ইইউ এবং রাশিয়ার সম্পর্ক আরও টানাপড়েনের মুখে পড়বে।


কোন পক্ষই খুশি নয়, কিন্তু এক প্রকারের ঠান্ডা শান্তি বজায় থাকবে

আলোচনার ফলে এমন কোনও ফলাফল আসবে না, যা সম্পূর্ণ রূপে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পক্ষে যাবে। উভয় পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে, এবং আলোচনা কোনও দৃঢ় চুক্তিতে পৌঁছবে না, তবে একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকতে পারে।

-আলোচনায় অচলাবস্থা, ভূখণ্ড বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কোনও সম্ভাব্য চুক্তি হবে না।

- রাশিয়া এবং অন্য অ-পশ্চিমী শান্তিরক্ষীদের জন্য আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা সম্ভব

- সংঘাতের মূল কারণের সমাধান হবে না।

-রাশিয়া সন্তুষ্ট হবে না, কারণ এটি তার যুদ্ধক্ষেত্রের গতিকে প্রভাবিত করবে।

-ইউক্রেন সন্তুষ্ট হবে না কারণ পশ্চিমীদের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়াই তাকে অ-সামরিকীকরণ করতে হবে।

-ইইউ-ইউক্রেনের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হবে।

-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ এই পরিস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করবে, এমন সম্ভাবনা কম।

সুতরাং, নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণের জটিলতার কারণে কোনও ছাড় না দিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো কঠিন হবে। এটি তৃতীয় পরিস্থিতিকে সবচেয়ে সম্ভাব্য করে তোলে, যেখানে একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে এবং ভঙ্গুর শান্তি বজায় থাকবে। তবে এই বাস্তবতা অর্জনেও যথেষ্ট সময় লাগবে। সর্বোপরি, যুদ্ধের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্পর্ক ইউরোপীয় নিরাপত্তা সমীকরণের পুনর্গঠনে ওয়াশিংটনের ভূমিকা এবং যুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা পশ্চিম-বিরোধী দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার অংশীদারিত্ব কী ভাবে বিকশিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবে।

 


রাজোলি সিদ্ধার্থ জয়প্রকাশ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Rajoli Siddharth Jayaprakash

Rajoli Siddharth Jayaprakash

Rajoli Siddharth Jayaprakash is a Research Assistant with the ORF Strategic Studies programme, focusing on Russia's domestic politics and economy, Russia's grand strategy, and India-Russia ...

Read More +