২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট পেশের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এই বাজেটে, যা পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রথম বাজেট, মোদী ২.০ দ্বারা নির্ধারিত দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হয়েছিল। এবং সেই প্রত্যাশিত পথেই এগিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যদি কেউ ২০২০-২১ ও ২০২১-২২-এর কোভিড বছরগুলির পরে অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত বাজেট বক্তৃতাগুলি পড়েন, তবে তিনি এমন কয়েকটি সাধারণ নীতি খুঁজে পাবেন যার ভিত্তিতে উন্নয়নের ধাঁচা বর্ণনা করা হয়েছে। একটি হল স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি); অন্যটি বিশ্বব্যাপী "পলিক্রাইসিস"-এর মধ্যে, অর্থাৎ অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত, সরবরাহ-শৃঙ্খল প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি একাধিক সংকটের একটি সংযোগ বিন্দুতে, বৈশ্বিক উন্নয়ন শাসনের অতি-গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা। তৃতীয়টি হল অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা, যা দক্ষতা, ন্যায্যতা ও স্থায়িত্বের আদর্শিক স্তম্ভগুলির মধ্যে সমঝোতাকে সম্বোধন করে। এবারের বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়।
২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট পেশের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
ভারত গত তিন দশকে উপভোগ-চালিত বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে, যদিও গত অর্থবছরে, উপভোগ বৃদ্ধি ও জিডিপি বৃদ্ধির সহ-গমন ভেঙে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ জিডিপি ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও উপভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ। বরং, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মোট স্থিত মূলধন (গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল) গঠন বা বিনিয়োগ বৃদ্ধির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যা প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাই হোক না কেন, ভারতীয় অর্থনীতিতে উপভোগ-চালিত বৃদ্ধি বা বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের বৃহত্তম পুল তৈরি, উভয় ক্ষেত্রেই পরিবারগুলিই প্রধান চালক। ব্যক্তিগত উপভোগ ব্যয় জিডিপির ৫৫ শতাংশেরও বেশি গঠন করে, আর ভারতীয় অর্থনীতিতে স্থিত মূলধন গঠনেরও সবচেয়ে বড় চালক হল পরিবার, মোট জাতীয় সঞ্চয়ের ৬০ শতাংশেরও বেশি। অন্য কথায়, পরিবারের হাতে আরও বেশি অর্থ শুধুমাত্র বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে — উচ্চ প্রান্তিক উপভোগের প্রবণতাসম্পন্ন (ক্রমবর্ধমান আয়ের সঙ্গে উপভোগের চাহিদার জন্য ব্যয় করা ক্রমবর্ধমান পরিমাণ) একটি নিম্ন-আয়ের পরিবার উপভোগের জন্য বেশি অর্থ খরচ করবে, আর সঞ্চয় করার উচ্চ প্রবণতাসম্পন্ন (বা কম উপভোগের প্রবণতা) একটি উচ্চ আয়ের পরিবার আর্থিক বা অ-আর্থিক সঞ্চয়ের আকারে সঞ্চয় করবে এবং অর্থনীতির বিনিয়োগযোগ্য তহবিল পুল তৈরি করবে। তাই এই প্রত্যাশা ছিল যে ব্যক্তিগত আয়করের উপর এমন সুবিধা থাকবে যা পরিবারকে বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য পুরস্কৃত করবে, এবং আরও বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে।
প্রত্যাশিত আকারে না হলেও কর ছাড় এসেছে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন মাত্রা বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স স্ল্যাবগুলির পুনঃসংজ্ঞায়নের ফলে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য স্বস্তি আরও দৃশ্যমান হবে। অবশ্যই, এটি বৃদ্ধির উপর কিছু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যদিও পরিবারের সঞ্চয় পুল থেকে বিনিয়োগের চাহিদার অর্থায়নের জন্য আরও "বিনিয়োগযোগ্য তহবিল" তৈরির প্রত্যাশা পূর্ণ নাও হতে পারে। এটি ঘটত যদি ৩০ শতাংশ ট্যাক্স স্ল্যাবটি ১৫ লাখ টাকার পরিবর্তে কমপক্ষে ২০-২৫ লাখ টাকা থেকে শুরু হত।
প্রত্যাশিত আকারে না হলেও কর ছাড় এসেছে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন মাত্রা বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স স্ল্যাবগুলির পুনঃসংজ্ঞায়নের ফলে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য স্বস্তি আরও দৃশ্যমান হবে।
এই বাজেটে যেটি প্রশংসনীয় তা হল নিম্নোক্ত আকারে নয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে: ১> কৃষিতে উৎপাদনশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতা; ২> কর্মসংস্থান ও দক্ষতা; ৩> অন্তর্ভুক্তিমূলক মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার; ৪> উৎপাদন ও পরিষেবা; ৫>নগর উন্নয়ন; ৬> শক্তি নিরাপত্তা; ৭> অবকাঠামো; ৮> উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ৯> পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কার।
এই প্রেক্ষাপটে এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় মহান ভবিষ্যতের দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখ করার যোগ্য, যে ভবিষ্যৎটি হল বিকশিত ভারত দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য ভারতের উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গি ৷ প্রথমটি কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত৷ এর আগে একটি সমালোচনামূলক নিবন্ধে বলা হয়েছিল যে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ কৃষি উৎপাদনশীলতা সম্পর্কে বেশি কথা বলেনি, তবে কৃষি বিপণন নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা করেছে। সম্ভবত সেই ঘাটতি মেটানোর জন্য বাজেটে কৃষি উৎপাদনশীলতার কথা বলা হয়েছে। বাজেটে উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, বিশেষ করে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের প্রকারগুলির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। সময়ের সঙ্গে সমর্থন মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির মাধ্যমে এই জাতীয় ফসলের প্রসার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। এই কম জল-গ্রাহক শস্যের প্রকারগুলির পক্ষে, এবং ধান ও ভুট্টার মতো উচ্চ জল-গ্রাহক ফসলের বিপক্ষে, ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের মাধ্যমে বাণিজ্যের শর্তাদি পরিবর্তন সহ বিভিন্ন উপায়ে মিলেট প্রচারের মিশন নিয়ে ভারতে প্রক্রিয়াটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷
যাই হোক, ডিজিটালাইজেশন দ্বারা চালিত বাজার একীকরণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও ভাল প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া প্রসারিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায়, ১.৫২ লাখ কোটি টাকার পুরো বরাদ্দ বৃথা যাবে।
মানব সম্পদের প্রসঙ্গে
এই বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল বিদ্যমান জনসংখ্যাগত লভ্যাংশকে পুঁজি করা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতার মাধ্যমে মানব পুঁজিকে উন্নত করার সৎ অভিপ্রায়। এটি সব দিক থেকে একটি স্বাগত পদক্ষেপ। ভারতের বৃহৎ শ্রম পুল প্রায়শই ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয় দক্ষতার অভাবের কারণে — এটি এমন একটি বিষয় যা কর্মসংস্থানের পরিস্থিতিকেও বাধাগ্রস্ত করেছে। শিক্ষা ও দক্ষতার উপর গুরুত্ব আরোপ শ্রম পুলকে মানব পুঁজির অত্যধিক প্রয়োজনীয় পুলে রূপান্তরিত করতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা শ্রমশক্তির গুণমানের জন্য দায়ী হবে এবং পরিসরজুড়ে বিভিন্ন উৎপাদনশীলতা তৈরি করবে, যদি বাকি সব কিছু অপরিবর্তিত থাকে। যাই হোক, এই পুরো বিষয়ের মধ্যে যা দৃষ্টি কাড়ার মতো তা হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-এ তালিকাভুক্তির উপর ভিত্তি করে সংস্থাগুলিকে কর্মসংস্থান-সংযুক্ত প্রণোদনা (ইএলআই) দেওয়া। অতএব, যখন প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) পণ্যের দিকে নজর রেখেছে, তখন ইএলআই-গুলি উপকরণের (ফ্যাক্টর) দিকে নজর দেবে। একদিকে, এটি একটি দক্ষ কর্মী বাহিনী তৈরির মাধ্যমে দক্ষতার উদ্বেগকে দূর করে, এবং অন্যদিকে কাজ সৃষ্টির মাধ্যমে ন্যায় ও বণ্টনমূলক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে বিকশিত ভারতের পথে অগ্রসর হওয়ার সময় মানব পুঁজির উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রশংসনীয় ও ভবিষ্যৎমূলক, এবং তা ভারতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবধানকে সমাধান করে।
বাজেটের সামাজিক মুখ
একই সময়ে বাজেটটি এমএসএমই, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে তার জন্য প্রশংসিত হওয়ার যোগ্য। এমএসএমই-র জন্য দুর্বল সময়কালে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ও ক্রেডিট সাপোর্ট স্কিমগুলি এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক, এখানে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল এমএসএমই-গুলিকে এখনকার তুলনায় আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক করা। ভারত যে দেশগুলির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষর করছে, এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করছে, তা বিবেচনায় রেখে এমএসএমই-গুলিকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। আরও বেশি উৎপাদনশীলতার নিয়ম এবং আরও ভাল ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের বড় করে তুলতে হবে।
এমএসএমই, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে তার জন্য প্রশংসিত হওয়ার যোগ্য। এমএসএমই-র জন্য দুর্বল সময়কালে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ও ক্রেডিট সাপোর্ট স্কিমগুলি এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, মুদ্রা স্কিমের অধীনে, বর্তমান ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ঋণের সীমা ২০ লক্ষ ভারতীয় রুপি করা শুধুমাত্র এমএসএমই-র ক্ষেত্রেই নয়, মহিলা উদ্যোক্তাদের তুলে আনার জন্য বাজেটের প্রয়াসেও উপকারী প্রমাণিত হবে৷ মনে রাখা দরকার যে ভারতের মতো একটি বৃহৎ দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সর্বোত্তম উপায় হল উদ্যোক্তাদের গুণক প্রভাব। এমনকি নারী কর্মীবাহিনীকে, যা অর্থনীতির সামগ্রিক দক্ষতা বাড়াতে পারে, কার্যকরভাবে ও লাভজনকভাবে নারী উদ্যোক্তারা ব্যবহার করতে পারেন।
আরেকটি প্রেক্ষাপটে বাজেটে সবুজ অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে, এবং প্রশমনের পাশাপাশি অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি করে সবুজ শ্রেণিবিন্যাসের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটা সব দিক থেকে একটি স্বাগত পদক্ষেপ। এটি দেখায় যে ভারতীয় অর্থনীতি যদিও তার বৈশ্বিক দায়িত্বগুলিকে বেশ ভালভাবে স্বীকৃতি দেয়, তবে দুর্বল অঞ্চল ও জনসম্প্রদায়ের জন্য অভিযোজন অর্থায়নের তাৎক্ষণিক উন্নয়নমূলক প্রয়োজনীয়তাগুলির প্রতি দেশটি উদাসীন নয়।
পরিশেষে সিকিউরিটিজ ও রাজস্ব বিচক্ষণতা
রাজস্ব ঘাটতি বাজেট অনুমানে জিডিপির ৪.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, এবং তা যদি কাজে রূপান্তরিত হয় তবে বিদ্যমান ৫.১ শতাংশের চেয়ে আরও ভাল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করবে। বাজেট বক্তৃতায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি ৪.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এই রাজস্ব কোথা থেকে আসবে? এখানে সিকিউরিটিজ লেনদেন কর (এসটিটি) বাড়ানোর যৌক্তিকতা স্পষ্ট নয়। বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে "... সিকিউরিটিজে একটি অপশন বিক্রির উপর এসটিটি-র হার ০.০৬২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে অপশন প্রিমিয়ামের ০.১ শতাংশে এবং সিকিউরিটিজে একটি ফিউচারস বিক্রির উপর যে দামে এই ধরনের ফিউচার লেনদেন করা হয় তার মূল্যের ০.০১২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ০.০২ শতাংশে উন্নীত করা হবে৷” শতাংশগত বৃদ্ধির দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি ফিউচারে লেনদেনের ব্যয় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে। এদিকে কর রাজস্বে এসটিটি-র অবদান ১ শতাংশেরও কম। সিকিউরিটিজ মার্কেটে লাফেরাইজেশনের সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে কর বৃদ্ধির ফলে লেনদেনের পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে, যার ফলস্বরূপ কর রাজস্ব হ্রাস পেতেও পারে। উপরন্তু, এটা স্পষ্ট নয় যে "সিকিউরিটিজ" এর সংজ্ঞা শুধুমাত্র ইক্যুইটি বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, নাকি পণ্য বাজারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদি পরবর্তীটি হয়, তাহলে অকৃষি পণ্যের হেজিং খরচ আরও বেড়ে যাবে।
সামগ্রিকভাবে, বাজেটের যোগাত্মক ও বিয়োগাত্মক দিক রয়েছে — তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে এটি বিকশিত ভারত-এর মহাপরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় রেখেছে। সময়ের সাথে সাথে, অর্থনীতিকে পরিষেবা ও ম্যানুফ্যাকচারিং উভয় ক্ষেত্রের উপর যথেষ্ট জোর দিয়ে উপভোগের ও বিনিয়োগের উভয় শক্তিকেই কাজে লাগাতে হবে। এক উন্নত ভারতের স্বপ্ন তখনই বাস্তবে অর্জন করা যেতে পারে যখন সমস্ত বৃদ্ধি-শক্তিকে কাজে লাগানো যায়, এবং উন্নয়নের ধাঁচাটি দক্ষতার নীতিগুলির সঙ্গে স্থিতিশীলতা ও বণ্টনমূলক ন্যায়বিচারের উদ্বেগগুলিকে যথাযথভাবে সমাধান করে।
নীলাঞ্জন ঘোষ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডিরেক্টর।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.