এই নিবন্ধটি ‘দি ইউক্রেন ক্রাইসিস: কজ অ্যান্ড কোর্স অফ দ্য কনফ্লিক্ট’ সিরিজের অংশ।
মে মাসের শেষ মঙ্গলবার এস্তোনিয়ার তালিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কমান্ড ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান জেনারেল পল নাকাসোন একটি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেলকে বলেন যে, রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সমর্থনে আক্রমণাত্মক হ্যাকিং অপারেশন পরিচালনা করছে। একে স্পেসএক্স, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন ও মেটার মতো মার্কিন বেসরকারি সংস্থাগুলির সুপরিচিত ভূমিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে বোঝা সম্ভব ক্রমাগত গতিশীলতা ও ডিজিটাল এই উভয় অস্ত্র সমন্বিত রুশ সামরিক আক্রমণের মুখে ইউক্রেন কী ভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারছে।
প্রায় সবাই মনে করেছিল যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সাইবার অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যাবে। এবং তাই হয়েছে, কিন্তু প্রায়শই এমন ভাবে যা ঠিক প্রত্যাশিত ছিল না। সাইবার ইস্যুতে কল্পকাহিনি থেকে সত্য পৃথক করা কঠিন। সেই জন্যই কী ভাবে রুশ ট্যাঙ্কগুলি মার্কিন জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে, বা তুর্কি বায়রাক্টার ড্রোনগুলির কার্যকলাপ সম্পর্কে, আমরা অনেক কিছু শুনি; কিন্তু এই সংঘাতকে আকার দিতে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সেই তীব্র ডিজিটাল যুদ্ধ সম্পর্কে খুব বেশি বিবরণ পাই না।
এমএল সোন্ধি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত একটি সাম্প্রতিক ওয়েবিনারে হার্ভার্ড কলেজের অধ্যাপক এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ স্টিভেন পি রোজেন উল্লেখ করেছেন কী ভাবে ডিজিটাল অপারেশনগুলি এক বা অন্য পক্ষের সামরিক সক্ষমতা যোগ করতে বা হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সাইবার অপারেশনগুলি ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করেছে।
ভায়াস্যাট হল একটি বাণিজ্যিক মার্কিন যোগাযোগ উপগ্রহ, যা বাণিজ্যিক এবং সামরিক গ্রাহকদের উচ্চগতির স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড প্রদান করে। এর উপর রুশ আক্রমণের সময় ইউরোপের অন্যান্য কিছু দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ইউক্রেনের নিজস্ব কোনও স্যাটেলাইট নেই। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের ব্যবহৃত ভায়াস্যাট স্যাটেলাইট হ্যাকিংয়ের মধ্যে দিয়ে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল। ভায়াস্যাট হল একটি বাণিজ্যিক মার্কিন যোগাযোগ উপগ্রহ, যা বাণিজ্যিক এবং সামরিক গ্রাহকদের উচ্চগতির স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড প্রদান করে। এর উপর রুশ আক্রমণের সময় ইউরোপের অন্যান্য কিছু দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য কে দায়ী তা নিয়ে তখন প্রকাশ্যে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। মে মাসের গোড়ার দিকে ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অবশ্য এই কাজের জন্য রাশিয়ানদের স্পষ্ট ভাবে অভিযুক্ত করে।
একটি আশ্চর্যের বিষয় ছিল যে রাশিয়ানরা, যারা খুব শুরুতেই ইউক্রেনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে দেবে বলে মনে করা হচ্ছিল, তারা তা করেনি, এবং বেছে বেছে আক্রমণ চালিয়েছিল। তারা সামরিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হ্যাক করলেও অসামরিক পরিকাঠামোকে অনেকাংশে অক্ষত রেখেছিল। একটি তত্ত্ব হল যে তারা দ্রুত জয় পাবে বলে আশা করেছিল, এবং সেই কারণে নেটওয়ার্ক বজায় রাখতে চেয়েছিল, যাতে তা দিয়ে পরে তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হয়।
মে মাসে একটি প্রতিবেদনে মাইক্রোসফট বলেছে, অপারেশনের এক বছর আগে রাশিয়া ‘ডিজিটাল আক্রমণ’ শুরু করেছিল। রুশ সাইবার আক্রমণকারীরা ২০২১ সালের শেষের দিকে বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় শক্তি ও আই টি পরিষেবা প্রদানকারীর ব্যবস্থার মধ্যে ঢুকে পড়তে পেরেছিল। জানুয়ারিতে, রুশ আক্রমণের আগে, গবেষকরা ইউক্রেনীয় সিস্টেমে হুইস্পারগেট নামে একটি ম্যালঅয়্যার খুঁজে পেয়েছিলেন। এটি আগেকার, ২০১৭ সালের, এক সাইবার হামলার প্রতিচ্ছবি ছিল, যা সেই সময় হাজার হাজার সিস্টেমের ডেটা ধ্বংস করেছিল।
যুদ্ধের সময় নির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলিকে ধ্বংসাত্মক ভাইরাস দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল। তারপর আক্রমণ আরও তীব্র হয়। সংস্থাটি লক্ষ্য করেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিলের মধ্যে ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ৩৭টি ধ্বংসাত্মক সাইবার আক্রমণ হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অনেকগুলি আক্রমণ রুশ সামরিক বাহিনীর গতিশীল অপারেশনের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছিল।
রোজেন অনুমান করেছেন যে এই ঘটনাকেই মার্কিন সরকার ‘প্রতিরক্ষামূলক’ সাইবার অপারেশনের ন্যায্যতা হিসেবে ব্যবহার করেছে, এবং তা রুশ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ৩জি নেটও ডাউন হয়ে গেছে, যা তাদের স্থলবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের গোপনীয়তা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যাই হোক, জেনারেল নাকাসোন মার্কিন ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতি প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু দাবি করেছিলেন যে ‘আক্রমণাত্মক, প্রতিরক্ষামূলক, [এবং] তথ্যসংক্রান্ত ফুল স্পেকট্রাম অপারেশনগুলির মূল উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন দেশের নিরাপত্তা রক্ষা।
জলপাই সবুজ টি–শার্ট পরিহিত জেলেনস্কি ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্বের নেতাদের এবং পার্লামেন্টগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন। এটি ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনের বহির্বিশ্বের সঙ্গে সংযোগের ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি ছিল প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও রাশিয়ার আক্রমণের মুখে ইউক্রেনীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রদর্শন করার ক্ষমতা। জলপাই সবুজ টি–শার্ট পরিহিত জেলেনস্কি ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্বের নেতাদের এবং পার্লামেন্টগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন। এটি ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে উঠেছে। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার তথ্য যুদ্ধের মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার একটি বড় অংশ ৩ লক্ষ ইউক্রেনীয় আই টি প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সহায়তায় ইউক্রেনের সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
ইউক্রেনে স্টারলিঙ্ক
এই ডিজিটাল লড়াইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অধ্যায় হল এলন মাস্ক এবং তাঁর স্টারলিঙ্ক কনস্টেলেশনের ভূমিকা। ভায়াস্যাট হ্যাক হওয়ার দু’দিন পরে মাস্ক বলেছিলেন যে ইউক্রেনে ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানের জন্য স্টারলিঙ্ক পরিষেবাকে ব্যবহার করা হবে। এটি তখন থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলার জন্য ড্রোন সংযোগের মাধ্যমে সামরিক প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার পাশাপাশি ইউক্রেনের মৌলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। এক মাসের মধ্যে ১০,০০০ স্টারলিঙ্ক টার্মিনাল সে দেশে পাঠানো হয়। ট্রান্সমিশন টাওয়ারের বিপরীতে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ডিশগুলি মোটের উপর ৬০ সেন্টিমিটার চওড়া এবং বহনযোগ্য। রাশিয়া সিস্টেমগুলি জ্যাম করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু স্টারলিঙ্ক প্রযুক্তিবিদরা তাদের ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্টারলিঙ্ক সিস্টেমের উপর সাইবার হানাগুলির উপর পুরো সময় নজর রাখার জন্য তাঁর সমস্ত মানব–প্রযুক্তিগত সংস্থান কাজে লাগানোর পাশাপাশি মাস্ক টার্মিনালগুলি চালানোর জন্য জেনসেট ও সোলার প্যানেলও সরবরাহ করেছিলেন। স্পেসএক্স ও মাইক্রোসফট ছাড়াও অ্যামাজন, মেটা, অ্যাপল ও টুইটারের মতো অন্য মার্কিন সংস্থাগুলিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধের জন্য মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। সেই দিক থেকে দেখলে তারা রাশিয়ান হ্যাকারদের হামলার জন্য নিজেদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে, এবং এর ফলে মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগুলি সরাসরি প্রতিশোধমূলক আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সহায়তায় তৈরি হওয়া সুযোগ পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা জাহাজ, ট্রুপ ক্লাস্টার অস্ত্র এবং উচ্চতর সদর দফতর থেকে শুরু করে সংবেদনশীল সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলির অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছিল।
যোগাযোগ চ্যানেলের ধ্বংস দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সেনাবাহিনীর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের উপর অনিবার্য প্রভাব ফেলেছিল। ইউক্রেনীয়রা কী ভাবে ভায়াসাট হ্যাকিংয়ের ক্ষতি পূরণ করতে পেরেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন যে সাহায্য করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে রাশিয়ানদের, যারা ৩জি এবং ৪জি নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে নিরাপদ বলে কথিত ই আর এ ক্রিপ্টোফোন ব্যবহার করেছিল। এটি তাদের আকাশ–থেকে–স্থল সমন্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে মাঠে তাদের বাহিনীর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা খর্ব করেছে। এই সিস্টেমের একটি প্রধান দুর্বলতা ছিল যে এটি একই প্ল্যাটফর্মে সুরক্ষিত এবং অ–সুরক্ষিত যোগাযোগগুলিকে একত্র করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সহায়তায় তৈরি হওয়া সুযোগ পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা জাহাজ, ট্রুপ ক্লাস্টার অস্ত্র এবং উচ্চতর সদর দফতর থেকে শুরু করে সংবেদনশীল সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলির অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক সিনিয়র রুশ অফিসার নিহত হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত রিয়েল–টাইম যুদ্ধক্ষেত্রের গোয়েন্দা তথ্য । সেল ফোনের ব্যাপক ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় উভয় পক্ষই ভুগেছে সেনাদের বন্ধু ও পরিবারকে কল করার ক্ষেত্রে সতর্কতার শর্ত অবহেলার কারণে। সিম কার্ড ব্যবহার করে এমন ফোনগুলি বন্ধ থাকলেও সেগুলির অবস্থান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
যে শিক্ষা পাওয়া গেল
ইউক্রেনীয় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যে আধুনিক সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঠ প্রদান করছে বলে মনে হচ্ছে। ড্রোন, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং নির্ভুল-নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছাড়াও এখন থাকছে সাইবার যুদ্ধের বিষয়টি। রাশিয়া তার চিত্তাকর্ষক আধুনিকীকরণ এবং বৈদ্যুতিন ও সাইবার যুদ্ধের জন্য পরিচিত ক্ষমতা সত্ত্বেও সাইবার যুদ্ধক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। অবশ্যই ইউক্রেনীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো সাইবার শক্তির কাছ থেকে কী পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে তা আমরা সঠিক ভাবে জানতেও পারছি না।
যদিও যুদ্ধক্ষেত্রের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের বিকেন্দ্রীকরণ এবং সরঞ্জাম ও বাহিনীর তৎপরতা বজায় রাখার প্রয়োজন নতুন কিছু নয়, ইউক্রেনের অভিজ্ঞতা এই বিষয়গুলিতে প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করা এবং দ্বিগুণ করার গুরুত্বকে বিরাট ভাবে সামনে নিয়ে এল।
দ্বিতীয়টি হল ডিজিটাল সিস্টেমের স্থিতিস্থাপকতার গুরুত্ব, যার অর্থ একটি নির্ধারিত সাইবার–প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম হওয়ার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষমতা তৈরি করা আবশ্যক। এর সঙ্গে যুক্ত বিষয়টি হল ই ডব্লিউ কর্মীদের মানের গুরুত্ব, কারণ সাইবার যুদ্ধক্ষেত্রে ভুলত্রুটির জায়গা থাকে না, বিশেষ করে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেক্সট জেন সিস্টেমগুলিকে সম্ভবত এ আই এবং মেশিন লার্নিং সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হল বেসরকারি ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, বিশেষ করে সাইবার যুদ্ধের ক্ষেত্রে। স্পেসএক্স-এর মতো সংস্থার স্টারলিঙ্ক কনস্টেলেশন ছাড়াও প্রয়োজন অসামরিক সফ্টঅয়্যার পেশাদারদের বাহিনী, যারা তাদের নেটওয়ার্কগুলিতে ডিজিটাল আক্রমণের বিরুদ্ধে বাস্তব সময়ভিত্তিক লড়াই করতে পারে।
বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই চিনে একটি নতুন জায়গা তৈরি করেছে। তারা শুরু করেছিল বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠা থেকে, আর এখন তারা বেসরকারি ইন্টারনেটে প্রবেশ করছে। এর জন্য তারা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের কাছে ২০২০–র সেপ্টেম্বরে দুটো স্যাটেলাইট কনস্টেলেশনের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। এর সূত্রে লিও-তে মোট স্যাটেলাইটের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩,০০০।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.