Published on Jul 25, 2023 Updated 0 Hours ago
লিঙ্গ–অন্তর্ভুক্তিমূলক জিডিপির পথে: জি২০–র জন্য সুপারিশ

টাস্ক ফোর্স ৩: ‌লাইফ, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড এবং ভ্যালুজ ফর ওয়েলবিয়িং


সারসংক্ষেপ

মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (জিডিপি) একটি দেশের অর্থনৈতিক আকারের একটি অপূর্ণ পরিমাপ, কারণ এটি তার পরিধির মধ্যে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজকে স্থান দেয় না। তাই নীতি ও জনপ্রিয় আলোচনায় জিডিপি–র সর্বব্যাপী ব্যবহার বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। যদি জিডিপি–তে বৃদ্ধির কারণ শুধু অবৈতনিক কাজ থেকে বেতনপ্রাপ্ত কাজে উত্তরণ হয়, তাহলে এটি কোনও একটি নীতি থেকে প্রাপ্ত ফলের অত্যধিক মূল্যায়ন করতে পারে। এভাবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের স্তরের অবমূল্যায়নও ঘটতে পারে, বিশেষ করে যদি একটি দেশ অন্যদের তুলনায় অবৈতনিক পারিবারিক পরিষেবার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, অবৈতনিক গার্হস্থ্য কাজের মূল্যায়ন না–করা নারীদের জীবনের ফলাফলকে প্রভাবিত করে, কারণ তাঁরা এই কাজের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝার সম্মুখীন হন। অথচ আর্থিক মূল্যের সঙ্গে যুক্ত না করে অবৈতনিক গার্হস্থ্য কাজকে প্রায়শই একজন মহিলার ‘‌স্বাভাবিক কর্তব্যের’‌ অংশ হিসাবে দেখা হয়।

দৃঢ় আচরণগত পরিবর্তনের প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত পরিমাপগুলি এই বিষয়টিই আরও ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে পারে যে গৃহস্থালির কাজগুলি হল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, এবং এই বিষয়টির স্বীকৃতি এই ধরনের ক্রিয়াকলাপে বিভিন্ন ধরনের অংশগ্রহণের পথ তৈরি করে দেবে। জিডিপি–তে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা মহিলাদের স্বার্থবাহী পর্যাপ্ত পরিচর্যা–সুবিধা ও সময়–সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়ার লক্ষ্যে সরকারি নীতিগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। বস্তুতপক্ষে বাজারের কাজকর্মের ভর্তুকি হিসাবে আসে মহিলাদের এই কাজগুলি।

এই নীতি সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত  নিবন্ধে [ক] জিডিপিতে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজ অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, সম্ভাব্য পদ্ধতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, এবং জিডিপি–র আরও লিঙ্গ–অন্তর্ভুক্ত পরিমাপের দিকে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে জি২০ দেশগুলিকে সুপারিশ করা হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ
মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (জিডিপি) হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি দেশে পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদনের চূড়ান্ত মূল্য। এই পদ্ধতি তৈরি হয়েছিল ১৯৩০–এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেট ডিপ্রেশনের প্রভাব বোঝার জন্য, এবং তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তা পরিমার্জিত হয়েছিল। বেশিরভাগ দেশ আজ জিডিপি–তে মানসম্মত পরিসংখ্যান তৈরি করে, যা ভৌগোলিক স্তরে এবং বছর জুড়ে তুলনা টানতে সক্ষম করে।[১] দেশগুলি নিয়মিতভাবে এর দিকে লক্ষ্য রেখে উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করে, এবং জিডিপি–তে তাদের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে তাদের নীতির সাফল্য পরিমাপ করে। মিডিয়ায় ও নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে উচ্চতর জিডিপি প্রায়শই উন্নত অর্থনৈতিক কল্যাণের সমার্থক হয়ে ওঠে। এই ‘‌ফেটিশিজম’‌–এর সমালোচনার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক অসমতার অবস্থা নির্দেশ করতে জিডিপির অক্ষমতা, এবং বৃদ্ধির সহযোগী হলেও সম্ভাব্যভাবে কল্যাণ–হ্রাসকারী পরিবেশগত অবনতির মাত্রা নির্ধারণে ব্যর্থতা।[২]

অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একটি প্রযুক্তিগত পরিমাপ হিসাবেও জিডিপি–কে যেভাবে কল্পনা করা হয়, তার মধ্যে একটি বড় ফাঁক রয়েছে। কারণ, অর্থনীতিতে এটি অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজের মূল্য অন্তর্ভুক্ত করে না। ইউনাইটেড নেশনস সিস্টেম অফ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস (এসএনএ) হল দেশগুলিতে জিডিপি ডেটার সংকলন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত নিয়ম। এটি জিডিপি অনুমান করার সময় কাজের আর্থিক মূল্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কি না তার উপর ভিত্তি করে ক্রিয়াকলাপগুলিকে শ্রেণিবদ্ধ করে (চিত্র ১ দেখুন)। এসএনএ অনুসারে, নিজের ব্যবহারের জন্য পরিষেবা উৎপাদনকারী পরিবারগুলিতে অবৈতনিক কাজ হল হিসাবের বাইরের কাজ হিসাবে শ্রেণিভুক্ত৷ যেমন, কোনও অর্থ প্রদান ছাড়াই বাড়িতে একটি শিশুকে শিক্ষাদানকারী অভিভাবকের কাজের আর্থিক মূল্য, বা পরিবারের কোনও সদস্যের বয়স্ক পিতামাতাকে পরিচর্যা পরিষেবা প্রদান করা জিডিপি–তে অন্তর্ভুক্ত হয় না।[৩] এটি স্ববিরোধিতায় ভরা, কারণ অন্যান্য অবৈতনিক কাজ, যেমন বাজারে বিক্রি হওয়া বা পরিবারের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য পণ্য কিন্তু জিডিপি–তে অন্তর্ভুক্ত।

চিত্র ১: জাতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থার সীমানা এবং কাজের রূপ
d
‌সূত্র:‌ ইউএনস্ট্যাটস[৪]

অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজ হিসাব থেকে বাদ দেওয়া একটি পদ্ধতিগত সমস্যা। এর অর্থ হল একই স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রেও জিডিপি অবৈতনিক থেকে বেতনপ্রাপ্ত কাজে বা বেতনপ্রাপ্ত কাজ থেকে অবৈতনিক কাজে পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসনের বিখ্যাত উদাহরণ উদ্ধৃত করে বলা যায়, “যদি কেউ [মহিলা] তাঁর প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতি বছর ৫,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে একে অন্যের ঘর পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করেন, তাহলে [জিডিপি] ১০,০০০ মার্কিন ডলার বেড়ে যাবে।”[৫] অর্থাৎ যে দেশগুলিতে অবৈতনিক গার্হস্থ্য পরিষেবাগুলি বেশি প্রচলিত, তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ অবমূল্যায়িত হতে পারে, বা অবৈতনিক কাজের মূল্যে বেতনপ্রাপ্ত কাজ বাড়ায় এমন নীতিগুলি থেকে প্রাপ্ত সুবিধাগুলির অতিরিক্ত মূল্যায়ন করা হতে পারে।

চিত্র ২: পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অবৈতনিক কাজে ব্যয় করা সময়ের অনুপাত (সর্বশেষ উপলব্ধ বছর অনুযায়ী)

সূত্র: ‌ওইসিডি পরিসংখ্যান, সময়–ব্যবহার ডেটাবেস[৬]

এই পদ্ধতিগত সমস্যাটি লিঙ্গ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণ হল বিশ্বব্যাপী বেতনহীন কাজের বোঝা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মহিলাদের বহন করতে হয় (চিত্র ২ দেখুন)। এটি নিম্নলিখিত উপায়ে তাঁদের জীবনের ফলাফলকেও প্রভাবিত করে:

❒ মহিলা শ্রমশক্তি অংশগ্রহণের নিম্ন হার (‌এলএফপিআর): যেসব দেশে নারীরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ঘণ্টা অবৈতনিক পরিচর্যার কাজে ব্যয় করেন, সেখানে কর্মক্ষম বয়সের ৫০ শতাংশ নারী অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় (যেমন, কর্মরত বা চাকরি খুঁজছেন)। অন্যদিকে, যেসব দেশে নারীরা দিনে তিন ঘণ্টা অবৈতনিক পরিচর্যা কাজে ব্যয় করেন, সেখানে ৬০ শতাংশ নারী শ্রমশক্তিতে রয়েছেন।[৭]
❒ নারীদের মধ্যে পেশাগত অবনমন: অবৈতনিক কাজের বোঝা নারীদের তাঁদের দক্ষতার চেয়ে নিচের স্তরের চাকরি বেছে নিতে এবং অনুপযুক্ত পরিবেশে কাজের দিকে চালিত করে।[৮]
❒ বর্ধিত লিঙ্গ মজুরি ব্যবধান: যেসব দেশে মহিলারা পরিচর্যার কাজে পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় করেন, তাঁরা একই কাজের জন্য তাঁদের পুরুষ সমকক্ষের উপার্জনের মাত্র ৬৫ শতাংশ উপার্জন করেন। এটি ৪০ শতাংশে নেমে আসে যখন মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অবৈতনিক পরিচর্যার কাজে পাঁচগুণ সময় ব্যয় করেন।[৯]
❒ নিম্নতর সামাজিক সুরক্ষা: সামাজিক সুবিধা যেমন পেড টাইম অফ, জীবন বিমা, সঞ্চয়, পেনশন ও স্বাস্থ্যসেবা বিমা যুক্ত থাকে চাকরির সঙ্গে, যা অবৈতনিক গৃহকর্মী ও পরিচর্যা কর্মীদের অসুবিধায় ফেলে।[১০]

স্বাভাবিকভাবেই, এর নীতিগত প্রভাব রয়েছে। ২০১৪ সালে জি২০ নেতারা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে এলএফপিআর ব্যবধান ২৫ শতাংশ হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যেহেতু এলএফপিআর অবৈতনিক গৃহকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাই যে কোনও নীতিগত পদক্ষেপের জন্য পরিমাপ ও মূল্যায়নের প্রয়োজন হবে। অতিরিক্তভাবে:

❒ অবৈতনিক কাজের পরিমাপ ও মূল্যায়ন সরকারকে এলএফপিআর বৃদ্ধি এবং মহিলাদের উপর অবৈতনিক কাজের বোঝা কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, বর্ধিত জিডিপি হিসাব ব্যবহার করে পরিচর্যা সংক্রান্ত কাজের জন্য ক্রেশ, বয়স্ক পরিচর্যা, এবং মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির দৈর্ঘ্য ও প্রাপ্যতার মতো পরিকাঠামো খাতে বাজেটের কথা ভাবা যেতে পারে। মানদণ্ড হিসাবে কাজ করতে পারে বিদ্যমান বয়স–কাঠামোসম্পন্ন দেশগুলি (যেমন দেশটি ১০ বা ২০ বছরে নিজের জন্য কী পূর্বাভাস দেয়)।
❒ জিডিপিতে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজের পরিমাণ নির্ধারণ এবং সেগুলিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসাবে মান্যতা দেওয়া এই কাজের অনুভূত মূল্যকে বাড়িয়ে তুলবে, এবং এই ধারণাটি সংশোধন করবে যে এটি মহিলাদের স্বাভাবিক কর্তব্যের একটি অংশ।[১১] এটি আরও বেশি পুরুষকে এই কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক করে তুলতে পারে।
❒ অবৈতনিক কাজের মূল্যায়ন এই কাজ অর্থনীতিতে যে সুবিধাগুলি নিয়ে আসে তা জোরদার করবে। যেমন, অবৈতনিক কাজ বাজারের কার্যকলাপ ও সরকারি পরিকাঠামো ব্যবস্থার জন্য ভর্তুকি হিসাবে কাজ করে। বাড়িতে অবৈতনিক কাজ না–থাকলে তা সম্ভবত একটি অনুরূপ জীবনধারা বজায় রাখার খরচ এবং এইভাবে দাবিকৃত মজুরি বাড়িয়ে তুলবে। একইভাবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বা পরিবহণের মতো পরিষেবাগুলির অপ্রতুল সরকারি ব্যবস্থার ফলে অবৈতনিক কাজের প্রয়োজন হতে পারে, যার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নিজের ব্যবহারের জন্য পরিষেবাগুলির গৃহভিত্তিক উৎপাদনের মাধ্যমে।[১২]
❒ জিডিপি থেকে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজ বাদ দিলে ব্যক্তি ও দেশের কল্যাণের মাত্রা ও পরিবর্তনের ভুল বিশ্লেষণ হয়। এর ফলে কল্যাণমূলক নীতিগুলির কার্যকারিতা এবং সেগুলির পর্যবেক্ষণ হ্রাস পায়। এটি সংশোধন করা হলে তা সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষণকে আরও সঠিক করে তুলবে।[১৩]
❒ জিডিপি–তে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজসহ ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলির উপর নির্ভর করা হলে তা গৃহকর্ম, এলএফপিআর ও জিডিপি পুনর্বণ্টনের ক্ষেত্রে পরিবারের উপর অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিগুলির প্রভাব বিশ্লেষণে সক্ষম করতে পারে।‌

জি২০–র ভূমিকা

অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজের মূল্যায়ন জি২০ অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০০৮ সাল থেকে জি২০ নারী এলএফপিআর বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রের অবস্থার উন্নতির মতো বিষয়গুলিসহ লিঙ্গ সমতার বিষয়ে প্রায় ৬৩টি মূল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। [১৪] ২০১৫ সালে  উইমেন২০ (ডব্লিউ২০) নামক একটি অফিসিয়াল এনগেজমেন্ট গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যাতে লিঙ্গ বিবেচনাগুলিকে জি২০ আলোচনায় নিয়ে আসা যায় এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নীতি ও প্রতিশ্রুতিতে পরিণত করা যায়।[১৫]

জি২০ দেশগুলি ইতিমধ্যে অবৈতনিক কাজের মূল্যায়নের দিকে যথেষ্ট পদক্ষেপ করেছে। প্রায় সব সদস্য দেশ সময়–ব্যবহারের সমীক্ষা করে থাকে। মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ব্রিটেনে অবৈতনিক কাজের জন্য একটি আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।[১৬] যাই হোক, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে অবৈতনিক কাজের মূল্যায়ন করে, যা আন্তঃদেশীয় তুলনাকে কঠিন করে তোলে। এর জন্য পদ্ধতিগুলির একটি মান নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন, যার জন্য জি২০ অবদান রাখতে পারে।[১৭]

অবৈতনিক কাজের মূল্যায়নের কৌশল
অবৈতনিক কাজের মূল্য দিতে সাধারণত দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।[১৮] সেগুলি হল:

ইনপুট পদ্ধতি: এটি অবৈতনিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যয়িত ঘণ্টা গণনা করে, এবং তুলনামূলক মজুরি হার ব্যবহার করে তার মূল্য নির্ধারণ করে। ব্যয়িত ঘণ্টা সম্পর্কে ডেটা পাওয়া যায় সময়–ব্যবহার সমীক্ষার মাধ্যমে, যা পুরুষ ও মহিলারা একটি সাধারণ দিনে কীভাবে তাঁদের সময় কাটান সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। মজুরির হার নির্ধারিত হতে পারে সুযোগ খরচ, প্রতিস্থাপন খরচ, বা এমনকি প্রচলিত ন্যূনতম মজুরির ভিত্তিতে।[১৯]

আউটপুট পদ্ধতি: এটি উৎপাদিত পরিষেবার পরিমাণের মূল্য নির্ধারণ করে অবৈতনিক উৎপাদনের ফলে প্রাপ্ত পরিষেবার পরিমাপ করে। এর জন্য উৎপাদিত ইউনিটের আয়তন নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন চাইল্ড কেয়ারে মোট আউটপুট কতটা তা শিশুর পরিচর্যা প্রদানকারী কত ঘণ্টা কাজ করেন তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না, নির্ধারিত হয় মোট কত শিশু ঘণ্টার জন্য পরিষেবা দেওয়া হয় সেই সংখ্যার ভিত্তিতে।

আউটপুট পদ্ধতিটি জাতীয় অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতির সঙ্গে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে আলাদা করে ডেটা সংগ্রহেরও প্রয়োজন হবে। ইনপুট পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে আরও সহজবোধ্য, কারণ এটি সময়–ব্যবহারের সমীক্ষার উপর নির্ভর করে যা ইতিমধ্যেই অনেক দেশে বিদ্যমান। অন্যদিকে, অবৈতনিক কাজের প্রতিটি ইউনিটের সঙ্গে সংযুক্ত মূল্যের ধারণাটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জিডিপি–তে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও পরিচর্যার কাজকে একীভূত করার পদ্ধতি

প্রথম পদ্ধতিটি কল্যাণমূলক কাজকে আরও সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করার মাধ্যমে জিডিপি–র এক্তিয়ারের বাইরে চলে যায়। এটি অর্থনৈতিক কল্যাণ পরিমাপ (এমইডব্লিউ), স্থিতিশীল অর্থনৈতিক কল্যাণ সূচক (আইএসইড্বলিউ), এবং প্রকৃত অগ্রগতি সূচক (জিপিআই)–এর মতো বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি জিডিপি–তে পদ্ধতিগত সমস্যাটির জন্য সংশোধনী নিয়ে আসে, কারণ এটি বর্তমানে পারিবারিক উপগ্রহ অ্যাকাউন্টের (এইচএসএ) মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।

পদ্ধতি ১: কল্যাণের নতুন ব্যবস্থা
জিডিপি–তে তিনটি বিষয়ের সঙ্গতিসাধন করে এমইডব্লিউ ধারণাটি ১৯৭২ সালে তৈরি করেছিলেন উইলিয়াম নর্ডহাউস ও জেমস টোবিন। প্রথমত, এমইডব্লিউ ব্যক্তিগত যাতায়াতের খরচের মতো সমস্ত ‘‌অপ্রয়োজনীয়’‌ মধ্যবর্তী ব্যয়, এবং একটি ‘‌শিল্প জাতি-রাষ্ট্র’ চালানোর জন্য পুলিশ, সামরিক খরচ ও স্যানিটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেমগুলিতে সরকারি ব্যয় হিসাবের থেকে বাদ দেয়। দ্বিতীয়ত, এটি দূষণ ও অপরাধের মতো কল্যাণ–হ্রাসকারী কার্যকলাপের মূল্যকে বাদ দেয়। তৃতীয়ত, এতে অবসর যাপন ও বাজার–বহির্ভূত উৎপাদনশীল কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই নীতিটি প্রতিফলিত করার জন্য যে বেতনপ্রাপ্ত কাজের  ঘণ্টা হ্রাস করা ইউটিলিটি ও কল্যাণ বৃদ্ধি করে, এমনকি নির্দিষ্ট জিডিপিএন উৎস হ্রাস করার পরেও।[২০] আইএসইডব্লিউ, যা পরে সংশোধিত হয়ে জিপিআই হিসাবে প্রস্তাবিত হয়েছে তা এমইডব্লিউ–র মতোই, কিন্তু তা প্রাকৃতিক মূলধনের অবনতিকেও হিসাবের মধ্যে ধরে।[২১] অধিকন্তু, এর সূচনাবিন্দু হল অসমতা–সংশোধিত (‌ইনইকুয়ালিটি অ্যাডজাস্টেড)‌ পারিবারিক ব্যয়।[২২]

এমইডব্লিউ ও আইএসইডব্লিউ বাস্তবায়িত করা তুলনামূলকভাবে সহজ, কিন্তু উভয়েরই কোনও তাত্ত্বিক ভিত্তি নেই, এবং এগুলির সঙ্গে উচ্চ মাত্রার সাবজেকটিভিটি জড়িত। এদের বিদ্যমান জিডিপি ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করাও কঠিন। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি এই বাধা অতিক্রম করে।

পদ্ধতি ২: পরিবারের উপগ্রহ অ্যাকাউন্ট
সরবরাহ–ব্যবহার সারণীগুলির মধ্যে নিহিত থাকে অর্থনীতির বিভিন্ন শিল্প ও ক্ষেত্রের ডেটার মধ্যে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করার উপযোগী প্রচলিত জাতীয় হিসাবের অনুমান। এগুলি অর্থনীতির কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করে, এবং দেখায় যে কীভাবে শিল্পগুলি অন্যান্য শিল্পের কাঁচামালকে শ্রম, জমি, পুঁজি ও আউটপুট উৎপাদন করার জন্য উদ্যোক্তা দক্ষতার সঙ্গে সংমিশ্রিত করে। একই সঙ্গে এগুলি দেখায় যে কীভাবে কোনও শিল্পের আউটপুট অন্যান্য শিল্পে কাঁচামাল বা মূলধনী পণ্য হিসাবে,অথবা পরিবার বা সরকারের উপভোগ খাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, আলু উৎপাদন করতে কৃষি (কন্দ, সার), ম্যানুফ্যাকচারিং (থ্র‌্যাশার, ট্রাক্টর) ও পরিষেবাগুলিকে (পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, পরিবহণ, স্টোরেজ) ইনপুট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আবার উল্টোদিকে, আলু কৃষিতে (কন্দ হিসাবে), ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে (আলু চিপস উত্পাদনের জন্য) এবং পরিষেবাগুলিতে (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পরিবেশন করার জন্য রেস্তোরাঁগুলিতে) ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়াও পরিবারগুলি বাড়িতে খাওয়ার জন্যও আলু কিনে থাকে। সরবরাহ–ব্যবহার সারণীগুলি জিডিপি–তে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত ক্ষেত্রের জন্য ধারাবাহিকভাবে এই সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করে।

এইচএসএ উপরোক্ত ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিষেবাগুলির নিজস্ব ব্যবহারের জন্য উৎপাদনের একটি ব্যাপক অ্যাকাউন্টিং করতে সক্ষম। কার্যত তারা গৃহস্থালিকে একটি অতিরিক্ত শিল্প হিসাবে বিবেচনা করে সরবরাহ–ব্যবহার সারণীকে প্রসারিত করে।[২৩] এর অর্থ এই যে বর্তমানে যা গৃহস্থালির চাহিদা হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ রয়েছে তেমন কিছু বিষয়কে নতুন করে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে গৃহস্থালি পরিষেবাগুলির উৎপন্ন এমন কাঁচামাল বা মূলধনী পণ্য হিসাবে যা শিল্পের চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়। যেমন, হোম–স্কুলিংয়ে ব্যবহৃত বইগুলি এখন পারিবারিক শিক্ষা শিল্পের কাঁচামাল বলে গণ্য হবে। একইভাবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত ঘরোয়া যন্ত্রপাতি বা পরিবারের পরিবহণ পরিষেবা প্রদানে ব্যবহৃত গাড়ি (একটি শিশুকে স্কুলে নামিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত) এখন মূলধন হিসাবে গণ্য হবে। এই কাঁচামাল ও মূলধনী পণ্যগুলিকে তখন আউটপুট উৎপাদন করতে নিযুক্ত শ্রমের সঙ্গে একত্র করা হবে।[২৪]

যদিও ডেটা ও অনুমানের প্রয়োজন–সহ এই হিসাবটির সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, নীতিনির্ধারণের জন্য কিন্তু এইচএসএ–র অনেকগুলি ব্যবহার রয়েছে।[২৫] এটি হস্তক্ষেপের বর্ধিত জিডিপি প্রভাব দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন পরিবারের জল সংযোগ বা আনুষ্ঠানিক শিশু পরিচর্যা, যা মহিলাদের অবৈতনিক কাজ হ্রাস করে। এটি অর্থনৈতিক নীতির প্রভাবও অনুমান করতে পারে। যেমন, নেপালে পুরুষ ও মহিলাদের কাজের উপর বাণিজ্য উদারীকরণের প্রভাব নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মহিলাদের জন্য উচ্চতর এলএফপিআর গৃহকর্মে ব্যয় করা সময়কে সমানভাবে কমিয়ে দেয়নি, কিন্তু তাঁদের অবসর সময় কমিয়ে দিয়েছে।[২৬]

 জি২০–র জন্য সুপারিশ

স্বল্পমেয়াদি সুপারিশ

❒ সময়–ব্যবহারের সমীক্ষার মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহকে মানসম্মত করা: যদিও বেশিরভাগ জি২০ দেশে সময়–ব্যবহারের সমীক্ষা করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক তুলনা ও অগ্রগতি ট্র্যাকিংয়ের জন্য তাদের মানসম্মত এবং আরও নিয়মিত করা উচিত।[২৭] তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে ইউএন উইমেন থেকে নির্দেশিকা উল্লেখ করা যেতে পারে। জিডিপি বেস রিভিশন হিসাবে এই ধরনের সমীক্ষার উচ্চতর পর্যায়ক্রম (যেমন বছরে অন্তত একবার) আরও বেশি কার্যকর হবে। শ্রমশক্তি‌র একটি মডিউল যুক্ত করে ‘‌লাইটার’‌ সমীক্ষা বা জীবনমান সমীক্ষা অন্তর্বর্তী সময়ে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। বৈধতা যাচাইয়ের জন্য ইলেকট্রনিক ডায়েরি, স্বল্প সাক্ষরতা/ডিজিটাল সংযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স প্রযুক্তিভিত্তিক ডেটা সংগ্রহ, এবং পাঠ্য ডেটা বিশ্লেষণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে তা অতিরিক্তভাবে প্রক্রিয়াটির সংস্থান নিবিড় বৈশিষ্ট্য হ্রাস করতে পারে।[২৮]

❒ পদ্ধতিগত প্রশ্নে একটি বহুদেশীয় উদ্যোগের মাধ্যমে আরও গবেষণা কমিশন করা: থিঙ্ক২০ ও ডব্লিউ২০ সময় ব্যবহার পরিমাপের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক গবেষণার ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করতে পারে, যেমন মাল্টিটাস্কিংয়ের ট্রিটমেন্ট, অবসর যাপন ও গার্হস্থ্য কাজের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে পার্থক্য করা, ইনপুট পদ্ধতিতে সঠিক মজুরির হার ব্যবহার করা, এবং তার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে সামঞ্জস্যবিধান।[২৯] এটি অর্থনীতিতে অবৈতনিক কাজের জিডিপি মূল্য অনুমান করার জন্য একটি মানসম্মত, সাধারণ পদ্ধতি তৈরিতে সহায়তা করবে, যা সমস্ত জি২০ দেশ অনুসরণ করতে পারে।

❒ ডিপিতে অবৈতনিক গার্হস্থ্য ও যত্নের কাজ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি মানক পদ্ধতি বিকাশ করতে জি ২০ দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা ও শিক্ষার অনুসরণ: এই উদ্দেশ্যে জি২০ দেশগুলির বিদ্যমান অভিজ্ঞতা ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে মূল্যায়নের বিদ্যমান পদ্ধতি ও এইচএসএ (যেমন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ব্রিটেন)–সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শেখা।
❒ গার্হস্থ্য কাজের মূল্যের প্রাথমিক তুলনামূলক অনুমান প্রকাশ করা: উপরে গবেষণা করা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে জি২০ দেশগুলি একটি সাধারণ, তুলনামূলক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে অনুমান প্রকাশ করা শুরু করতে পারে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রকাশিত একটি সংকলিত নথি এই অনুমানের জন্য দৃশ্যমানতা তৈরি করতে এবং অন্য দেশগুলিকেও এই কাজটি করতে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে। স্বল্পমেয়াদে আরও বিশদে পরিবারের উপগ্রহ অ্যাকাউন্ট তৈরি না–করে ইনপুট পদ্ধতির ভিত্তিতে একটি সহজ মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

দীর্ঘমেয়া্দি সুপারিশ

❒ তুলনীয় পারিবারিক স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টগুলির প্রকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ: উন্নত পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে জি২০ দেশগুলি একটি সাধারণ, তুলনামূলক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এইচএসএ–গুলি প্রকাশ করার কাজ শুরু করতে পারে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশিত একটি সংকলিত নথি এর দৃশ্যমানতা তৈরি করতে এবং নীতি গবেষণাকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে। এটি এই জাতীয় ‌ডেটার ব্যবহারকেও উন্নত করবে৷

❒ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বিশ্লেষণ থেকে অর্থনৈতিক মঙ্গল বিশ্লেষণে উত্তরণের জন্য‌ নীতিগুলির বিশ্লেষণের মধ্যে এই হিসাবগুলি ব্যবহার করা প্রয়োজন। পরিষেবাগুলি গৃহস্থালির উৎপাদন বাজার ও রাষ্ট্রীয় ব্যবহারকে ভর্তুকি দেয়;‌ কাজেই একে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা ‘‌বাজার অর্থনীতিগুলি যে সমাজের মধ্যে কাজ করে তাদের স্বার্থ আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশন করা’‌র লক্ষ্যে সেগুলির পুনর্নির্মাণের পথে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে দেবে ৷[৩০]


আরোপণ: দেবকন্যা চক্রবর্তী ও মনোরঞ্জন পট্টনায়ক, “টুওয়ার্ডস আ জেন্ডার–ইনক্লুসিভ জিডিপি:‌ রেকমেনডেশনস টু দ্য জি২০,” টি২০ পলিসি ব্রিফ, মে ২০২৩৷


[ক] চমৎকার গবেষণা সমর্থনের জন্য চারুল ভার্মা (পিডব্লিউসি) ও আনমোল নারাইন (পিডব্লিউসি)কে লেখকেরা ধন্যবাদ জানাতে চান।

[১] অমিত কাপুর ও বিবেক দেবরায়, “জিডিপি ইজ নট আ মেজার অফ হিউম্যান ওয়েলবিয়িং“, হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, অক্টোবর ১৯, ২০১৭।

[২] জোসেফ ই স্টিগলিটজ, “জিডিপি ফেটিশিজম “, প্রোজেক্ট সিন্ডিকেট, সেপ্টেম্বর, ২০০৯।

[৩] পিটার ভ্যান দি ভেন, জোরিট জুইজেনবার্গ ও ম্যাথু দি কোয়েলজো, ” অবৈতনিক পারিবারিক কাজকর্মের অন্তর্ভুক্তি: জি৭ অর্থনীতিতে সামষ্টিক–অর্থনৈতিক সূচকগুলির উপর এর প্রভাবের একটি অনুমান এবং সামনের পথ ,” (ওইসিডি স্ট্যাটিসটিক্স ওয়ার্কিং পেপারস ২০১৮/০৪, ওইসিডি পাবলিশিং, প্যারিস, ২০১৮), ৯।

[৪] রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান, অবৈতনিক পারিবারিক পরিষেবার কাজ (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস সংক্রান্ত উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সভা, রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান, অক্টোবর, ২০২০), ৮।

[৫] মার্জোরি কোহেন, “দ্য প্রবলেম অফ স্টাডিং “ইকনমিক ম্যান”, ফেমিনিজম ইন কানাডা:‌ ফ্রম প্রেসার টু পলিটিক্স, সম্পাদনা:‌ জেরালডিন ফিন, অ্যানজেলা মাইলস (মন্ট্রিল:‌ ব্ল্যাক রোজ, ১৯৮২), ১৫০।

[৬] ওইসিডি.স্ট্যাট, সময় ব্যবহার , (ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১), ওইসিডি।

[৭] গায়েল ফেরেন্ট, লুকা মারিয়া পেসান্দো ও কেইকো নোয়াক্কা, অবৈতনিক পরিচর্যার কাজ: শ্রমের ফলাফলে লিঙ্গ ব্যবধানের বিশ্লেষণে অনুপস্থিত সংযোগ (জেনিভা: ওইসিডি উন্নয়ন কেন্দ্র, ২০১৪), ১।

[৮] ক্রিশ্চিয়ান আলোনসো, মারিয়া ব্রুসেভিচ, ইরা ডাবলা-নরিস, ইউকো কিনোশিতা ও কল্পনা কোচার, “অবৈতনিক কাজ হ্রাস ও পুনর্বণ্টন: লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন করার জন্য শক্তিশালী নীতি ,” (আইএমএফ ওয়ার্কিং পেপার নং ২০১৯/২২৫, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার ২০১৯,), ৪।

[৯] ফেরেন্ট, পেসান্দো ও নোয়াক্কা, অবৈতনিক পরিচর্যার কাজ, ৬।

[১০] প্রাপ্তবয়স্কদের পরিবার পরিচর্যা সংক্রান্ত কমিটি; বোর্ড অন হেলথ কেয়ার সার্ভিস; স্বাস্থ্য ও ঔষধ বিভাগ; ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন, “ইকনমিক ইমপ্যাক্ট অফ ফ্যামিলি কেয়ারগিভিং  ,” ফ্যামিলিস কেয়ারিং ফর অ্যান এজিং আমেরিকা, সম্পাদনা:‌ রিচার্ড শুলজ, জিল ইডেন (ওয়াশিংটন (ডিসি): ন্যাশনাল একাডেমি প্রেস (ইউএস), ২০১৬)।

১১] ডায়ানা ক্রুকস্টন, “বিনা বেতনে শ্রম কি জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত?” জার্নাল অফ পলিটিক্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ৫, নং। ৩ (এপ্রিল ২০২১): ২৪।

[১২] রানিয়া আন্তোনোপোলোস, “আনপেড কেয়ার ওয়ার্ক – পেড ওয়ার্ক লিঙ্ক,” (ওয়ার্কিং পেপার নং ৮৬, পলিসি ইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অফিস, ২০০৯), ২।

[১৩] ফেরেন্ট, পেসান্দো ও নোয়াক্কা, অবৈতনিক পরিচর্যা কাজ, ১।

[১৪] জুলিয়া কুলিক, “জি২০ পারফরম্যান্স অন জেন্ডার ইকুয়ালিটি,” দ্য গ্লোবাল গভর্নেন্স প্রজেক্ট, ২০২১।

[১৫] মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক, “ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির জন্য ডব্লিউ২০ (উইমেন ২০),” প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

[১৬] ইউরোপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক কমিশন। অবৈতনিক পরিবারের পরিষেবা কাজের মূল্যায়নের নির্দেশিকা (জেনিভা: রাষ্ট্রপুঞ্জ, ২০১৭), ২৭।

[১৭] ক্যাথরিন মুলার, টাইম ইউজ ডেটা: বেতনভোগী ও অবৈতনিক শ্রমের তথ্যের উৎস ও ব্যবহার (লন্ডন: ইউকে এইড, এপ্রিল ৯, ২০১৮), ১৬১।

[১৮] ইউরোপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক কমিশন। অবৈতনিক পরিবারের পরিষেবা কাজের মূল্যায়নের নির্দেশিকা, ২৫-৩৪৷

[১৯] ক্লেয়ার কোফি ও অন্যরা, পরিচর্যার সময়: অবৈতনিক ও কম বেতনের পরিচর্যা কাজ এবং বৈশ্বিক অসমতা সংকট, (অক্সফোর্ড: অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল, জানুয়ারি, ২০২০), ৭।

[২০] উইলিয়াম ডি নর্ডহাউস ও জেমস টবিন, “ইজ গ্রোথ অবসোলিট?,” দ্য মেজারমেন্ট অফ ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল পারফরম্যান্স, সম্পাদনা:‌ মিল্টন মস (ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চ, ১৯৭৩), ৫১২-৫১৭।

[২১] এরিক নিউমায়ার, “আইএসইড্বলিউ, জিপিআই এবং সম্পর্কিত ব্যবস্থার পদ্ধতি: কিছু গঠনমূলক মন্তব্য এবং ‘থ্রেশহোল্ড’ হাইপোথিসিস নিয়ে কিছু সংশয়,” ইকোলজিক্যাল ইকনমিক্স ৩৩, নং। ৩ (২০০০): ৩৪৭-৩৬১।

[২২] ফিলিপ শেপেলম্যান, ইয়ান গোসেনস ও আর্তু মাকিপা, টেকসই উন্নয়নের দিকে: অগ্রগতি পরিমাপের জন্য জিডিপির বিকল্প (ডপারসবার্গ: উপারটাল ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জি ২০১০), ২৪।

[২৩] ডানকান আয়রনমঙ্গার, “গৃহস্থালি উৎপাদনশীল কার্যকলাপের জাতীয়  হিসাব” (সম্মেলনের কাগজ, টাইম ইউজ, নন-মার্কেট ওয়র্ক, অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েল-বিয়িং কনফারেন্স, ওয়াশিংটন (ডিসি), ১৯৯৭)।

[২৪] ইউরোপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক কমিশন। অবৈতনিক পরিবারের পরিষেবা কাজের মূল্যায়নের নির্দেশিকা, ৩৯।

[২৫] রবার্ট কস্তানজা, মরিন হার্ট, স্টিফেন পোসনার ও জন ট্যালবার্থ, “জিডিপির বাইরে: অগ্রগতির নতুন পরিমাপের প্রয়োজন,” (দ্য পারডি পেপারস নং ৪, বোস্টন ইউনিভার্সিটি, বোস্টন, জানুয়ারি, ২০০৯), ২১-২২।

[২৬] ইসমায়েল ফোফানা, জন ককবার্ন ও বার্নার্ড ডেকালুয়ে, “উন্নয়নশীল দেশের সুপার উইমেন: নারী বাজার ও গার্হস্থ্য কাজের উপর বাণিজ্য উদারীকরণের প্রভাব,” (সিপরি ওয়ার্কিং পেপার নং ০৫-১৯, এসএসআরএন, ২০০৫), ২৯।

[২৭] জ্যাক চার্মস, সময়ের ব্যবহার পরিমাপ: উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর বিশেষ গুরুত্বসহ সময়-ব্যবহার সমীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলির একটি মূল্যায়ন। পদ্ধতিগত অসঙ্গতি, সঙ্গতীকরণ কৌশল ও সংশোধিত ডিজাইন (মেক্সিকো সিটি: গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স অন জেন্ডার স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ইউএনউইমেন, ২০২১), ১৭।

[২৮] গুয়র্গুই ভ্যাসিলিভ, উইল কিং, স্যালি ওয়ালেস, জো হোয়াইট ও সময়-ব্যবহারের পরিসংখ্যান সংগ্রহের উদ্ভাবনী ও কার্যকর উপায়ের জন্য বিশেষজ্ঞ গ্রুপ, সময়-ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উৎপাদনের আধুনিকীকরণ  (পরিসংখ্যান কমিশন পটভূমি নথি, মার্চ, ২০২২), ১৫-২৭।

[২৯] ইউরোপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনৈতিক কমিশন। অবৈতনিক পরিবারের  পরিষেবা কাজের মূল্যায়নের নির্দেশিকা, ৩৯।

[৩০] কল্‌ম কেলি ও ডেনিস জে স্নোয়ার, “শেয়ারহোল্ডার, অংশীদার ও সমাজের পুনর্মিলন,” গ্লোবাল সলিউশন জার্নাল, নং ৭ (মে ২০২১): ১৯১।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.