-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার ছ’মাস পরেও মার্কিন ছাঁটাই ও ইউরোপের বর্ধিত সাহায্য ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের অচলাবস্থা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে আলোচনা ইউক্রেনের যুদ্ধের গতিপথকে স্পষ্টতই বদলে দিয়েছে। এই পরিবর্তনের একটি মূল বৈশিষ্ট্য হল বর্তমান মার্কিন নীতি, যেখানে ইউরোপকে নিজেদের রক্ষার জন্য ইউক্রেনীয় প্রচেষ্টায় সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে সংঘাত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে। একাধিক দফার আলোচনায় প্রতিফলিত মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের ইতিবাচক উত্থানের ফলে সম্পর্ক আংশিক স্বাভাবিক হয়েছে। আলোচনার পর প্রথম শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের তিন বছর পর ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে পূর্ববর্তী শান্তি শীর্ষ সম্মেলনের বিপরীতে - যা উভয় পক্ষের যৌথভাবে একটি ইস্তেহার লেখার মাধ্যমে শেষ হয়েছিল - বর্তমান আলোচনা এখনও যুদ্ধবিরতির দিকে কোনও অর্থবহ অগ্রগতি আনতে পারেনি। কারণ সকলেরই নিজ নিজ দাবি অপরিবর্তিত রয়েছে। আরও দফা আলোচনার সময়সূচি এবং উভয় পক্ষ তাদের নিরাপত্তা স্বার্থ কী ভাবে উপলব্ধি করে তার মধ্যে একটি মৌলিক দ্বন্দ্বের কারণেই এই বছর যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এখনও পর্যন্ত দেখলে কূটনীতি এক ধাপ এগোলে আক্ষরিক অর্থেই দু’ধাপ পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৫ সালে উভয় পক্ষই মানববিহীন বিমান ব্যবস্থা অর্থাৎ ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বছরের এপ্রিল মাসে ড্রোনের উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব অবস্থা যেমন…
রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের ১৯ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনী আগের বছর ইউক্রেনের কুর্স্ক আক্রমণে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে। তার পর থেকে রুশ বাহিনী কুরস্ক অতিক্রম করে এগিয়ে গিয়েছে এবং একটি নিরাপত্তা অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে দক্ষিণ-পূর্বে সুমি অঞ্চলে প্রবেশ করেছে (দ্রষ্টব্য চিত্র ১.২)। একই মাসে রুশ বাহিনী তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে দোনেৎস্ক, খারকিভ ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির খবর পাওয়া গিয়েছে। জুন মাসে রুশ বাহিনী অতিরিক্ত ৫৬৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের মাত্র ১ শতাংশ দখল করেছে। রুশ বাহিনী সংঘাতের রেখা বরাবর তাদের উপস্থিতি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি করেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য করেছে এবং এর ফলে প্রতিরোধ শৃঙ্খলের মাঝের ব্যবধানগুলিকে কাজে লাগিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অগ্রগতির ঊর্ধ্বমুখী গতিপথ সত্ত্বেও গত বছর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের আমূল পরিবর্তন হয়নি।
চিত্র ১: ২০২৪ সালের ৬ জুলাই এবং ২০২৫ সালের ৬ জুলাই দোনেস্ক ও লুহানস্কের আশেপাশের ভূখণ্ডের নিরীক্ষণ

(চিত্র ১.১: দোনেস্ক, ৬ জুলাই, ২০২৪) (চিত্র ১.২: দোনেস্ক, ৬ জুলাই, ২০২৫)

(চিত্র ১.৩: লুহানস্ক, ৬ জুলাই, ২০২৪) (চিত্র ১.৪: লুহানস্ক, ৬ জুলাই, ২০২৫)
চিত্র ২: ২০২৪ সালের ১২ অগস্ট এবং ২০২৫ সালের ৫ জুলাই কুরস্কের আশেপাশের ভূখণ্ডের নিরীক্ষণ

(চিত্র ২.১)
সূত্র: ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার
২০২৫ সালে উভয় পক্ষই মানববিহীন বিমান ব্যবস্থা অর্থাৎ ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বছরের এপ্রিল মাসে ড্রোনের উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। গত বছর ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ড্রোন তৈরি করা হয়েছিল, যা অপ্রতুল বলে মনে করা হয়েছিল। মস্কোর ড্রোন উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত হয়েছে। রাশিয়ায় মাসিক ড্রোন উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে: ২০২৫ সালের মে মাসে রাশিয়া আগের মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি ড্রোন তৈরি করেছে। বিপরীতে, ইউক্রেনীয় বাহিনী একটি অভিযোজনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। দক্ষতা উন্নত করা ও আধুনিক যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে ইউক্রেনীয় মানবহীন ড্রোন সিস্টেম ফোর্স দ্বারা একটি নতুন বলয় তৈরি করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর অন্যান্য ড্রোন ইউনিটের সঙ্গে এই শাখাটিকে একত্রিত করা।
রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল ইউক্রেনে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল। অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতার কথা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ড্রোন হামলার সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে যে, রাশিয়া শুধুমাত্র ২০২৫ সালের জুন মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ৫,৩০০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ড্রোন অভিযানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য প্রতিফলিত হয়েছে যে, রাশিয়ান বাহিনী সস্তা স্ট্রাইক সিস্টেমের পরিমাণে সুবিধা পেয়েছে, যা তাদের স্ট্রাইক ক্ষমতায় নমনীয়তা প্রদান করেছে। এ দিকে সামরিক বিশ্লেষকরা যুক্তি দেন যে, ইউক্রেনের হামলা করার ক্ষমতা বেশ উন্নত, যেমন গতিশীল লক্ষ্যবস্তু, নির্ভুল লক্ষ্যবস্তু এবং নানা উপাদানের সমন্বয়। ড্রোন ইউনিটের ক্ষমতা পদাতিক ও আর্টিলারি অপারেশনের তুলনায় বেশি। এটি সারাতভ, মুরমানস্ক, রিয়াজান, ইভানোভো, আমুর ওব্লাস্ট এবং ইরকুৎস্ক ওব্লাস্টে রাশিয়ান বিমানঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ইউক্রেনীয় আক্রমণকেই দর্শায়। অনুমান অনুসারে, তারা সেখানে সাতটি টিইউ-৯৫ এমএস কৌশলগত বোমারু বিমান (পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম), একটি এ-৫০ প্রাথমিক সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণ বিমান এবং অনির্দিষ্ট সংখ্যক টিইউ-২২ এম৩ দূরপাল্লার বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে।
এই আক্রমণগুলি ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়ার ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলবে না। তবে অবশ্যই রাশিয়ার দূরপাল্লার বিমান চলাচলের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলবে। কারণ হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে এক দশক সময় লাগবে।
বর্ধিত ইউরোপীয় সহায়তা
বিদ্যমান আলোচনা সত্ত্বেও যুদ্ধকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আনার প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সামরিক সহায়তা ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে চলেছে। বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে আগ্রহী নয়। এ দিকে, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি ইউক্রেনকে আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৫ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইউরোপীয় দেশগুলি সামরিক সহায়তার জন্য ১২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মানবিক সহায়তার জন্য ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছিল। এর বিপরীতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ইইউ ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে মাত্র ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ন্যাটো দেশগুলি ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের জিডিপির ৫ শতাংশে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করতে সম্মত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আকস্মিক বৃদ্ধি রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে। ইউরোপীয় সহায়তা বৃদ্ধি পেলেও মার্কিন সামরিক সাহায্য হ্রাসের ফলে কিয়েভ প্রভাবিত হবে। সম্প্রতি পেন্টাগন এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং এজিএম-১১৪ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের চালান বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ হিসেবে মজুতের পরিমাণ হ্রাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা - যদিও ইউক্রেনীয় অস্ত্রাগারে তার সংখ্যা সীমিত – রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে আর একটি ক্ষেত্রে ইউক্রেন প্রভাবিত হবে তা হল, মার্কিন স্যাটেলাইট গোয়েন্দা তথ্যের সীমিত প্রবেশাধিকার, যা ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে মেলে না। তবে ইউরোপের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ও প্রযুক্তি আউটসোর্স করার জন্য আলোচনা চলছে। এই রূপান্তরের কাজ নিয়ে বলা যতটা সহজ, করা ততটা সহজ নয়।
ইউক্রেনের হামলা করার ক্ষমতা বেশ উন্নত, যেমন গতিশীল লক্ষ্যবস্তু, নির্ভুল লক্ষ্যবস্তু এবং নানা উপাদানের সমন্বয়। ড্রোন ইউনিটের ক্ষমতা পদাতিক ও আর্টিলারি অপারেশনের তুলনায় বেশি।
ইউরোপীয় দেশগুলি বিলটির জন্য অর্থায়ন করলে ইউক্রেন স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদে তার প্রতিরক্ষা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। তবে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে কিয়েভ যে সমর্থন পেয়েছে, তার কাছাকাছিও এটি এগোবে না। সংঘাতে ওয়াশিংটনের সম্পৃক্ততা হ্রাস পেলেও ট্রাম্প একাধিক বার আলোচনার ধীর গতিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং মস্কোর উপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে দুই দফার আলোচনার সময় উভয় পক্ষই কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল ইউক্রেনে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল। অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতার কথা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। অন্য দিকে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু ছাড় পাওয়ার জন্য একটি প্রলোভন মাত্র। মজার বিষয় হল, নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্ভাবনা রাশিয়ার জন্য ছাড় দেওয়ার জন্য কোনও আকর্ষণের কারণ নয়। যদিও রাশিয়া ২৯,০০০-এরও বেশি নিষেধাজ্ঞার আঘাতে খানিকটা হলেও চাপের মুখে পড়েছিল। রাশিয়ার অর্থনীতি এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ধাক্কা সামলে নিয়েছে এবং কিছুটা হলেও স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করেছে। উপরন্তু, মস্কো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জটিলতা সম্পর্কে সচেতন; মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য কংগ্রেসের সম্মতির প্রয়োজন হবে, যা রিপাবলিকানদের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনা করে কঠিন। অন্য দিকে, ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণা করে চলেছে। সুতরাং, কোনও পক্ষই আলোচনার টেবিলে অভিন্ন সূত্র খুঁজে পায়নি। তবে বলা যায়, এখন পর্যন্ত আলোচনায় কয়েকটি চুক্তি অবশ্যই হয়েছে, যা উভয় পক্ষের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধবন্দির মুক্তি এবং কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ আক্রমণ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
সারণি ১.১ উপস্থাপিত স্মারকের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি
|
রুশ স্মারক |
ইউক্রেনীয় স্মারক |
|
দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়দের প্রত্যাহার এবং এই অঞ্চলগুলির আন্তর্জাতিক আইনি স্বীকৃতি ও রুশ অঞ্চল হিসেবে ক্রিমিয়া। |
শান্তি আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি। |
|
সৈন্য পুনঃমোতায়েনের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং একত্রিতকরণ ও বিদেশি সাহায্য বন্ধ করা। |
সকল নির্বাসিত ও বাস্তুচ্যুত শিশুদের নিঃশর্ত প্রত্যাবর্তন এবং যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়। |
|
সেনাবাহিনীর অবনমন শুরু এবং তৃতীয় কোনও দেশের সামরিক উপস্থিতি বাদ দেওয়া। |
শান্তি চুক্তি সম্পাদন এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা। |
|
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নাশকতা’ এবং ‘নাশকতামূলক’ কার্যকলাপ ত্যাগ করা। |
ইউক্রেন ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার আঞ্চলিক লাভকে স্বীকৃতি দেয় না। যে কোনও আঞ্চলিক আলোচনা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির শর্তাধীন। |
|
দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তৈরি করা। |
লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। |
|
ইউক্রেনে সামরিক আইন তুলে নেওয়া এবং নতুন নির্বাচনের ঘোষণা। |
রুশ সম্পদের হিমায়িত অংশ ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য পুনর্নির্দেশ করা হবে অথবা ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর তা বাতিল করা হবে। |
|
ইউক্রেনকে সাংবিধানিক ভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং কোনও জোটে যোগ দিতে পারবে না। |
৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, যার মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৃতীয় দেশগুলির নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। |
|
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। |
আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে যুদ্ধের সমাপ্তি, আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার, পররাষ্ট্র নীতির উপর সার্বভৌম পছন্দ সংরক্ষণ এবং বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে। |
|
ইউক্রেনের রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চের কার্যকলাপের উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া। |
|
|
গ্যাস পরিবহণ, পরিবহণ এবং অন্যান্য যোগাযোগ-সহ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার। |
সূত্র: আরবিসি এবং রয়টার্স
আগামিদিনের পথ
ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় উভয় পক্ষ তাদের নিজ নিজ স্মারকলিপি বিনিময় করে (দ্রষ্টব্য সারণি ১.১), যা শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষই প্রত্যাখ্যান করেছে। পুতিন তৃতীয় দফার আলোচনার জন্য প্রস্তুতি প্রকাশ করলেও দ্রুতই কোনও চুক্তিতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা কম। মস্কোর অব্যাহত আঞ্চলিক লাভের পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার প্রতি ইইউ ও যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। কারণ যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় দেশগুলির মাধ্যমে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সরবরাহ অভিযানের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার নরম অবস্থানের পুনর্নির্মাণ করতে পারে। তবুও তিন বছরেরও বেশি সময় পরে রুশ এবং ইউক্রেনীয় আলোচকরা পুনরায় মিলিত হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। যাই হোক, যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা কিন্তু অন্য কথাই বলে। প্রকৃত যুদ্ধবিরতি না হলে টেবিলে করা কোনও চুক্তি স্থায়ী হওয়ারই সম্ভাবনা কম।
রাজোলি সিদ্ধার্থ জয়প্রকাশ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Rajoli Siddharth Jayaprakash is a Junior Fellow with the ORF Strategic Studies programme, focusing on Russia’s foreign policy and economy, and India-Russia relations. Siddharth is a ...
Read More +