Author : Premesha Saha

Published on Aug 04, 2022 Updated 0 Hours ago

নিবন্ধটি লিখেছেন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো প্রেমেশা সাহা

ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আই পি ই এফ): একটি আসিয়ান দৃষ্টিকোণ

The ২০২২ সালের ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন টোকিওতে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আই পি ই এফ) উদ্বোধন করেন। আই পি ই এফ-এর চারটি স্তম্ভ রয়েছে: বাণিজ্য; সরবরাহ শৃঙ্খল; দূষণমুক্ত শক্তি, ডিকার্বনাইজেশন এবং পরিকাঠামো; কর এবং দুর্নীতি দমন। কম্বোডিয়া, লাওস এবং মায়ানমার বাদে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলি আই পি ই এফ-এর অংশ। সেই অর্থে এটি একটি ভাল সূচনা যে, উদ্যোগটি কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি চালু হওয়া সত্ত্বেও এবং কোয়াডের মতো প্রক্রিয়াটি আসিয়ান কেন্দ্রিকতার জন্য খুব একটা সুবিধের নয়… এ হেন আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) দেশ এর অংশ হতে সম্মত হয়। আই পি ই এফ সব মিলিয়ে ১৩টি এশীয় দেশকে সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংযুক্ত করায় সমর্থ হয়েছে। এশিয়ার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনের লাভের মোকাবিলায় এটি একটি সম্পূর্ণ কৌশল বা পর্যাপ্ত নীতি কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ কথার পুনরাবৃত্তি করেছে যে, আই পি ই এফ রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (আর সি ই পি) এবং কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (সি পি টি পি পি) মতো একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফ টি এ) নয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টি পি পি) থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটিতে একটি নির্দিষ্ট ভূ-অর্থনৈতিক উদ্যোগের অভাব লক্ষ করা গিয়েছিল, যার ফলে সমগ্র বিষয়টি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো আসিয়ান দেশের কাছে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য একটি অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর কথা ভাবছে, এ কথা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ কথার পুনরাবৃত্তি করেছে যে, আই পি ই এফ রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (আর সি ই পি) এবং কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (সি পি টি পি পি) মতো একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফ টি এ) নয়। এটি শুল্ক অপসারণ বা বাজারের ব্যবহার সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বা ভবিষ্যতে সম্পর্কিত হওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় না। আপাতত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আই পি ই এফ-এর মাধ্যমে দেশগুলির কাছে এ কথাই তুলে ধরতে চাইছে যে, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল মূলত একটি ভূ-অর্থনৈতিক উপাদান এবং এটি শুধুমাত্র নিরাপত্তা এবং ভূ-কৌশলমুখী নয়।

প্রশ্ন উঠেছে যে, সে ক্ষেত্রে আই পি ই এফ থেকে আসিয়ান দেশগুলি কী ভাবে উপকৃত হবে? ভবিষ্যতে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না ঘটলে তাদের এই পরিকাঠামো থেকে সরে যাওয়ার অবকাশ সংক্রান্ত কোনও ভয় আছে কি? আসিয়ান দেশগুলি থেকে জারি করা বিবৃতিগুলি খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ, যা আই পি ই এফ থেকে তাদের প্রত্যাশা কী, সে সম্পর্কে তা প্রাথমিক ধারণা দেয়।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর (সি এস আই এস) অর্থনীতির গবেষক ড্যান্ডি রাফিট্রান্ডির মতো ইন্দোনেশিয়ার বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে প্রকৃত প্রতিশ্রুতিগুলি এখনও স্পষ্ট না হলেও প্রক্রিয়াটিতে অংশগ্রহণ করা ইন্দোনেশিয়ার জন্য লাভজনক হবে। আমরা যদি যোগদান না করি, (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরে) অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের কম প্রতিযোগিতামূলক বলে প্রতিপন্ন করা হতে পারে।’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে স্পষ্টতই আশঙ্কা রয়েছে যে, এর ফেলে তাদের আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে যে কোনও একটি পক্ষ বেছে নিতে হবে এবং ইন্দোনেশিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অফ ইকনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স-এর (আই এন ডি ই এফ) আহমদ হেরি ফিরদৌসের মতো কিছু বিশ্লেষক বলেছেন যে, ‘আই পি ই এফ-এ আমাদের যোগদান চিনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, সে কথা পুনর্ব্যক্ত করা দরকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন… উভয়ের সঙ্গেই সহযোগিতা করতে সক্ষম।’ আসিয়ান দেশগুলির প্রাথমিক উদ্বেগ হল চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন না করা এবং তা দেশগুলির নিজ নিজ বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি থেকে স্পষ্ট। ভার্চুয়াল লঞ্চ ইভেন্টে যোগদানকারী ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ লুৎফি বলেছেন, ‘আগামী দিনে সংশ্লিষ্ট সকল দেশই কাঠামোটি থেকে উপকৃত হবে, দীর্ঘমেয়াদে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উপযোগী থাকবে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সংক্রান্ত আসিয়ান আউটলুকের মতো কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে কাজ করার পাশাপাশি অঞ্চলটির উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাধা দেবে না।’ আসিয়ান মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর রাণিত্য কুসুমাদেউই উল্লেখ করেছেন যে, ‘ইন্দোনেশিয়া ডিজিটাল অর্থনীতি, সরবরাহ শৃঙ্খল নিরাপত্তা এবং ক্রমান্বয়ে শক্তি রূপান্তরের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে আগ্রহী।’ যদিও আই পি ই এফ পরিকাঠামোর অধীনে বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়নি, তবে জাকার্তাভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর (সি এস আই এস) কার্যনির্বাহী পরিচালক ইয়োস রিজাল দামুরির মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশ্লেষকরা আশাবাদী যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলিকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করবে।’

দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক ভাবে বাড়তে থাকা রফতানির সম্পর্কের উপরে ভিত্তি করে আই পি ই এফ মার্কিন বাজারে ভিয়েতনামি রফতানিকে আরও উচ্চ পর্যায়ে চালিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভিয়েতনামের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের শ্রীমতি হ্যাং বিশ্বাস করেন যে, ‘আই পি ই এফ সঠিক দিকনির্দেশনা-সহ একটি ইতিবাচক এবং কার্যকর অর্থনৈতিক পরিবেশের প্রচার করতে বাধ্য যা জনগণের জন্য ব্যবহারিক সুবিধার পাশাপাশি এই অঞ্চলের নিরিখে তথা বৈশ্বিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করবে। ভিয়েতনামের লক্ষ্য হল এই অঞ্চলে একটি স্বাধীন ও স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা, যা সক্রিয় ভাবে বিশ্বের সঙ্গে বিভিন্ন প্রেক্ষিতের সঙ্গে জড়িত।’ ভিয়েতনামের বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন যে, আই পি ই এফ-এর চারটি স্তম্ভের একটি হিসেবে দূষণমুক্ত শক্তি এমন একটি শিল্প, যেটির ভিয়েতনামে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। অনুকূল ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সৌর শক্তি এবং বায়ু শক্তির মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিনিয়োগের জন্য ভিয়েতনাম পরবর্তী গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে। দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক ভাবে বাড়তে থাকা রফতানির সম্পর্কের উপরে ভিত্তি করে আই পি ই এফ মার্কিন বাজারে ভিয়েতনামি রফতানিকে আরও উচ্চ পর্যায়ে চালিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাঠামোটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে মার্কিন-ভিয়েতনাম সম্পর্ককে শক্তিশালী করে, যা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ প্রবাহ এবং বাণিজ্যের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশের জন্ম দেয়।

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী সিয়েন লুং আই পি ই এফ-এর ভার্চুয়াল সূচনা সমাবেশে তাঁর মন্তব্যের সময়ে এ বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন যে, সিঙ্গাপুর আই পি ই এফ-এর কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক তাত্পর্য সম্পর্কে অবগত এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অঞ্চলে তার অর্থনৈতিক কূটনীতি অনুশীলন করার সুযোগ করে দেয়। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘চারটি স্তম্ভের মধ্যে এমন সব বিষয় রয়েছে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে অনুরণিত হবে। বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং দূষণমুক্ত অর্থনীতির মতো বৃদ্ধির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলিতেও সহযোগিতার দিকটির উপরে নজর রাখবে।

আই পি ই এফ-এর মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নমনীয় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সদস্য দেশগুলিকে একাধিক অন্য অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে আন্তঃসহযোগিতার পরস্পর-সম্পর্কিত বৃত্তগুলিতে কাজ করতে দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া এবং অন্য দেশগুলির জন্য যে কোনও সময়ে সংযুক্ত হতে পারার সুযোগ অর্থাৎ সদস্যপদ উন্মুক্ত রাখা জরুরি।’ এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল যে, নমনীয়তা এবং অন্য সদস্যদের জন্য ভবিষ্যতে যোগদানের দরজা খোলা রাখা চিনের প্রতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত হতে পারে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবও আত্মবিশ্বাসী এবং এ কথা মনে করেন যে, আই পি ই এফ ইন্দো-প্যাসিফিক এবং আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে সুদৃঢ় করবে। এর পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ‘নতুন বাণিজ্য উদ্যোগ অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক কাঠামো প্রদান করে।’ তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, ‘মালয়েশিয়া আই পি ই এফ-এর মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চালাতে প্রস্তুত যাতে সদস্যরা কাঠামোয় বর্ণিত অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধাগুলি বাড়াতে সক্ষম হয়।’ এর পাশাপাশি তিনি এ আশাও করেন যে, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ এবং বৈদ্যুতিন (ই অ্যান্ড ই) ক্ষেত্রগুলি-সহ ডিজিটাল অর্থনীতি এই বাণিজ্য উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে।

ফিলিপিন্স আই পি ই এফ-কে অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে দেখে এবং আই পি ই এফ উদ্যোগের অনুসরণে আসিয়ান সদস্য দেশগুলির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করে।’

ভার্চুয়াল সূচনা সমাবেশে ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডি টি আই) সেক্রেটারি র‍্যামন এম লোপেজ পুনর্ব্যক্ত করেন যে, “স্থিতিস্থাপকতা, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব-সহ ফিলিপিন্সের অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের অগ্রাধিকারগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো আই পি ই এফ-এর বিস্তৃত ভাবনার সাধারণ বিন্যাসকে ফিলিপিন্স স্বীকৃতি দেয়। ফিলিপিন্স আই পি ই এফ-কে অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে দেখে এবং আই পি ই এফ উদ্যোগের অনুসরণে আসিয়ান সদস্য দেশগুলির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করে।’ অতএব ফিলিপিন্সের জন্য নিজের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নই হল প্রধান লক্ষ্য।

তাইল্যান্ড আই পি ই এফ-এর অধীনে চারটি স্তম্ভের সঙ্গে সংযুক্ত হতে আগ্রহী: বাণিজ্য; সরবরাহ শৃঙ্খল; দূষণমুক্ত শক্তি, ডিকার্বনাইজেশন এবং পরিকাঠামো; কর এবং দুর্নীতি দমন। তাইল্যান্ড পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনায় প্রবেশ করার সময় অত্যন্ত সতর্ক ছিল। কারণ বেসরকারি ক্ষেত্র এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলি এখনও তাইল্যান্ডের পশ্চিমি দেশগুলি দ্বারা প্রবর্তিত মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থায় যোগদানের তীব্র বিরোধিতা করছে। এটি একটি এফ টি এ না হওয়ার দরুন তাইল্যান্ড এই উদ্যোগের অংশ হতে আগ্রহী বলে মনে করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে এ কথা স্পষ্ট যে, সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকা সত্ত্বেও এবং এর ফলে কোনও উন্নততর বাজার গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই জেনেও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য কোনও তাৎপর্যপূর্ণ পরিস্থিতি যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়, তাই আসিয়ান দেশগুলি– যারা সর্বদা একটি অর্থনৈতিক ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে– তারাও এই উদ্যোগে যোগ দিতে রাজি হয়েছে। সুতরাং, ব্লু ডট এবং বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড-এর (বি থ্রি ডব্লিউ) মতো আই পি ই এফ যে শুধু মাত্র কাগুজে বাঘই হয়ে থাকবে না, তা প্রমাণ করার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধেই বর্তায়।


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় হিন্দুস্থান টাইমস-এ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.