Author : Girish Luthra

Published on Jan 19, 2024 Updated 0 Hours ago

বিআরআই বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিরোধের সম্মুখীন হলেও জিজি ফোরাম এখনও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। ভারসাম্যের ভিত্তিতে এই সব উদ্যোগ আগামী দশকগুলিতে সহাবস্থান করতে বাধ্য হবে 

গ্লোবাল গেটওয়ে এবং বিআরআই ফোরাম: মিল অল্পই, চোখে পড়ার মতো ফারাক

পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর চিবেজিংয়ে ১৭-১৮ অক্টোবর তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামের আয়োজন করেছে। এক সপ্তাহ পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২৫-২৬ অক্টোবর ব্রাসেলসে প্রথম গ্লোবাল গেটওয়ে (জিজি) ফোরামের আয়োজন করে। বিশ্ব জুড়ে বিশ্লেষক নীতিনির্ধারকরা এই ঘটনাপ্রবাহ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, যেহেতু এই ধরনের আলোচনা এমন এক সময়ে সংঘটিত হয়েছে, যখন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশ ভঙ্গুর, একটি ভয়ানক র্বক্ষেত্রব্যাপী কৌশলগত প্রতিযোগিতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে এবং মন্থর অনিশ্চিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। যখন বিআরআই বিনিয়োগ প্রকল্পগুলি তাদের শীর্ষে ছিল, সেই সময়ে হওয়া প্রথম দু’টি ফোরামের (২০১৭ এবং ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত) তুলনায় এ বছরের বিআরআই ফোরাম উল্লেখযোগ্য রকমের আলাদা ছিল। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে বিআরআই সংক্রান্ত বিপত্তি, সমালোচনা এবং চ্যালেঞ্জগুলি প্রায়শই খবরের শিরোনামে থেকেছে। অন্য দিকে, গত কয়েক বছরে চালু হওয়া বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক উদ্যোগের মধ্যে এই ধরনের প্রথম আলোচনাসভা হল জিজি ফোরাম, যা একটি ভিন্ন মূল্যবোধের প্রস্তাব দেয়।

 

তৃতীয় বিআরআই ফোরাম

অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে চিনের স্টেট কাউন্সিল ইনফর্মেশন অফিস ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ: আ কি পিলার অব দ্য গ্লোবাল কমিউনিটি অব শেয়ার্ড ফিউচারশীর্ষক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এতে গত ১০ বছরে বিআরআই-এর অগ্রগতি, অর্জন এবং অবদানের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। শ্বেতপত্রটিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, প্রকল্পটি বিশ্বজনীন এবং বিশ্বের স্বপ্নের সঙ্গে চিনা স্বপ্নকে সমন্বিত করার চেতনা দ্বারা চালিত

শ্বেতপত্রের উদ্দেশ্য ছিল বিআরআই-কে একটি অত্যন্ত সফল আন্তর্জাতিক ধারণা এবং প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরা, যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অবাঞ্ছিত আধিপত্য এবং কয়েকটি দেশের বিশ্বায়নকে প্রতিস্থাপনের জন্য অপরিহার্য ছিলশ্বেতপত্রটিতে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএস) উল্লেখ না থাকলেও ঠারেঠোরে বোঝানো হয়েছে যে, বিশ্বের একপাক্ষিকতা, সুরক্ষাবাদ আধিপত্যবাদকে প্রচার করার জন্য পুরনো পদ্ধতির প্রয়োজন আর নেই। পদ্ধতিগত ভাবে, শ্বেতপত্রটি বিআরআই সংক্রান্ত সমালোচনাকে খণ্ডন করার চেষ্টা করেছিল। এর অন্তর্গত হল - এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক সাধনী নয়; এটা কোন আদর্শের ভিত্তিতে নির্মিত নয়; দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকল্পটিতে কঠোর মনোভাব পোষণ করা হয়; টিতে যে কোন সম্ভাব্য পরিবেশগত এবং বাস্তুতান্ত্রিক প্রভাবের খেয়াল রাখা হয়; বিআরআই সহযোগিতার কারণে কোন দেশ ঋণ সঙ্কটের মুখে পড়েনি; এটা নিয়মভিত্তিক প্রক্রিয়া, যেখানে কোন জবরদস্তিমূলক লেনদেন নেই; এটি প্রকৃত বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থন করে; এবং এটি স্থানীয় কর্মসংস্থানকে সমর্থন অংশীদার দেশগুলিতে স্থানীয় আইনকে সম্মান করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভাল ফলাফল প্রদর্শন করেছে।

ব্যবহৃত বিন্যাস, শৈলী এবং পরিভাষাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমী) চিনা দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের তুলনা করার জন্য এবং চিনা সংস্করণের একটি সহযোগিতামূলক, দু’তরফা ভাবেই লাভজনক পদ্ধতিগুলিকে নির্দেশ করেছেঅবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক নিয়মভিত্তিক জাতীয় শব্দবন্ধগুলিকে উদার ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে নানাবিধ কেস স্টাডি এবং সফল প্রকল্পের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ম্যাককিনসে ব্রুগেলের মতো সংস্থাগুলির প্রতিবেদনগুলিকে তাদের দাবির অনুকূলে প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে। বিআরআই নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন… এ কথা স্বীকার করে নেওয়া হলেও শ্বেতপত্রটি আস্থা প্রকাশ করেছে যে, প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে উঠে হেন বাধাবিপত্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

১৩০টি অংশীদার দেশ এবং ৩০টি আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সংস্থা এই ফোরামে অংশ নেয় এবং কিছু সরকার প্রধান প্রতিনিধিদলের নেতা বিআরআই-এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাঁর ভাষণে বিআরআই-এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নতুন করে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেনঅনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার পরে চিনের বিদেশমন্ত্রক একটি নথি প্রকাশ করেছে, যেখানে বাস্তবিক সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রদেয় তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। সেই নথিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, ফোরামটি ৩৬৯টি সুনির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে পরিচালিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক নথি, আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, নতুন প্রকল্প ও মঞ্চ এবং প্রকল্প জনগণের মধ্যে সংযোগ কর্মসূচি। সেই নথিতেই চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, এক্সিম ব্যাঙ্ক অ চায়না সিল্ক রোড ফান্ডের অতিরিক্ত তহবিল প্রকল্পগুলির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যাতে দর্শানো যায় যে চিনেবিদ্যমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিআরআই-এর জন্য তহবিল উপলব্ধ করা হবে।

 

প্রথম গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম

ব্রাসেলসে প্রথম জিজি ফোরামে ৪০টি দেশের সরকার, বেসরকারি ক্ষেত্র, নাগরিক সমাজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই ফোরামে মাত্র দুবছর আগে চালু হওয়ার পর থেকে অগ্রগতি অর্জনগুলি তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৭ সালের মধ্যে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। প্রথম কয়েকটি জিজি প্রকল্প আফ্রিকায় শুরু হলেও পরবর্তী কালে লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান, বলকান, পূর্ব ইউরোপ এবং ককেশাস, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর ভূমধ্যসাগরে নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে ফোরামের প্রধান ভাবনাগুলি ছিল: দূষণহীন রূপান্তর, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, পরিবহণ করিডোর, ডিজিটাল অবকাঠামো, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পণ্য উত্পাদন, শিক্ষা এবং গবেষণা। আলোচনায় বলা হয়েছে যে, ফোরামের আগে ২০২৩ সালে ৯০টি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রায় বিলিয়ন ইউরোর মোট মূল্য-সহ বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প ফোরামে স্বাক্ষরিত হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো জাম্বিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল সম্পর্কিত প্রকল্প এবং বাংলাদেশ, কেপ ভার্দে, নামিবিয়া, ফিলিপিন্স, তানজানিয়া ভিয়েতনামের সঙ্গে দূষণহীন জ্বালানি প্রকল্প।

ফোরামের প্রধান ভাবনাগুলি ছিল: দূষণহীন রূপান্তর, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, পরিবহণ করিডোর, ডিজিটাল অবকাঠামো, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পণ্য উত্পাদন, শিক্ষা এবং গবেষণা।

 

ফোরামটির আর একটি উদ্দেশ্য ছিল গ্লোবাল গেটওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত জি৭ দ্বারা চালু হওয়া পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট-এর (পিজিআইআই) অধীনে অগ্রগতি দর্শানো। যাই হোক, পিজিআইআই প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য সেখানে তুলে ধরা হয়নি। ফোরামটির বৈঠক ন্ধ দরজার পিছনে সংঘটিত হয় এবং প্রধান অনুষ্ঠানের কিছু মূল বিবরণ তুলে ধরে কোনও বিবৃতিই আলাদা করে প্রকাশ করা হয়নি। অনেক পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছেন যে, বৈঠকটিতে নেতৃস্থানীয় ইইউ দেশ-সহ সীমিত সংখ্যক উচ্চ স্তরের প্রতিনিধিত্ব দেখা গিয়েছে।

 

জিজি এবং বিআরআই — সাদৃশ্য এবং পার্থক্য

জিজি এবং বিআরই উভয়ই প্রাথমিকভাবে অবকাঠামো সংযোগ প্রকল্প হিসেবে শুরু করেছিল। যাই হোক, বিআরআই আর এই ধরনের প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং বাণিজ্য, উন্নয়ন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ, জলবায়ু ও গণমাধ্যম-সহ দ্বিপাক্ষিক বহুপাক্ষিক আদানপ্রদানের নানাবিধ আঙ্গিককে আওতাভুক্ত করে, যেগুলি নিরাপত্তার সঙ্গে যথাযথ ভাবে সংযুক্ত। জিজি-এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিআরআই সর্বক্ষেত্রব্যাপী এমন এক প্রকল্প, যার কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্ব সম্পর্কিত চিনা দর্শন এবং এ কথা স্পষ্ট যে, এটি চিনের সংশোধনবাদী কর্মসূচি এবং বিশ্ব নেতৃত্ব প্রদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রাথমিক সাধনী। অন্য দিকে, জিজি হল কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, স্থিতিশীল মুখ্য ভূমিকা এবং ইইউ-এর ঝুঁকিমুক্তিকরণ কর্মসূচির অংশ।

চিনের বৈদেশিক নীতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিআরআই-কে সিসিপি-র সংবিধান এবং চিনের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভাগ সংস্থা ইতিমধ্যেই সমন্বিত এবং সম্পূর্ণ রূপে একই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রব্যাপী এই প্রকল্পের নানাবিধ শাখা রয়েছে। প্রকল্পটির ভৌগোলিক পদচিহ্নে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রসারিত হয়েছে (জিজি-এর প্রায় ৬০টি অংশীদারের তুলনায় বিআরআই-এর রয়েছে প্রায় ১৫০টি অংশীদার) এবং ইতিমধ্যেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত জিজি দ্বারা পরিকল্পিত বিনিয়োগের প্রায় তিন গুণ বিনিয়োগ করা হয়েছে বিআরআই-তেএর পাশাপাশি বিআরআই-এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য চিন একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলেছে যখন ইইউ-তে এ হেন পরিকল্পনা মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

 

জিজি-এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে বিআরআই সর্বক্ষেত্রব্যাপী এমন এক প্রকল্প, যার কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্ব সম্পর্কিত চিনা দর্শন এবং এ কথা স্পষ্ট যে, এটি চিনের সংশোধনবাদী কর্মসূচি এবং বিশ্ব নেতৃত্ব প্রদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রাথমিক সাধনী। অন্য দিকে, জিজি হল কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন, স্থিতিশীল মুখ্য ভূমিকা এবং ইইউ-এর ঝুঁকিমুক্তিকরণ কর্মসূচির অংশ।

 

শুরু থেকেই চিন বিআরআইকে ঐতিহাসিক বাণিজ্যপথ এবং বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সংযোগকারী সাধনী রূপে তুলে ধরেছে। অন্য দিকে, ইইউ, শ্রম, সমাজ লিঙ্গ এবং প্রশাসন ও স্বচ্ছতার প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলির মতো ক্ষেত্রে ইউরোপীয় মানগুলির সঙ্গে জিজি-কে সংযুক্ত করতে চায়। জিজি একটি বিকল্প হয়ে ওঠার লক্ষ্যে আসীন, যা বিআরআই-এর ত্রুটিগুলি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম।

চিন এবং ইইউ উভয়ই বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেশীয় অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থায়নে ভারসাম্য আনতে আগ্রহীচিন খনও পর্যন্ত প্রধানত সরকার থেকে সরকার সংযোগের

মাধ্যমে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ এবং সরকারি ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রধান ভিত্তি করে বিআরআই-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছেঅন্য দিকে, ইইউ-এর প্রধান লক্ষ্য হল বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রধান অংশগ্রহণ। বিআরআই অংশীদারদের চিনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের আধিপত্যের সঙ্গে যুঝতে হবে, যেখানে জিজি- ক্ষেত্রে কর্পোরেট লবির প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। এটিও লক্ষ্যণীয় যে, জিজি-তে অংশগ্রহণকারী একাধিক ইইউ বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থার চিনে ব্যবসায়িক স্বার্থ বিদ্যমান এবং ১৮টি ইইউ সদস্য বিআরআই-এর অংশীদার।

চিইউএন এসডিজি ২০৩০ এজেন্ডা এবং প্যারিস চুক্তির সঙ্গে তার সাযুজ্যের উপর জোর দিয়ে বিআরআই প্রকল্পগুলির পরিবেশগত প্রভাবের প্রতি অপ্রতুল মনোযোগ প্রদান সংক্রান্ত সমালোচনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং একটি পরিচ্ছন্ন ও দূষণহীন বিআরআই উপস্থাপনে ব্রতী। ইইউ জিজিকে তার দূষণহীন রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করেছে। নিকটবর্তী সময়ে বিআরআই এবং জিজি-র মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক ক্ষেত্রটি পুনর্নবীকরণযোগ্য এবং দূষণহীন জ্বালানি প্রকল্পে ঘটতে পারে।

বিআরআই বেশ কয়েকটি দেশের তরফে বিরোধ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন হলেও একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি সম্প্রসারণ ও বিকাশের জন্য প্রকল্পটির প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখতে পারে। জিজি-র সূচনা ভাল হলেও সেটি নিজেকে এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি ইইউ কমিশনের সভাপতি হিসাবে উরসুলা ভন দের লেয়েন ফোরামে তাঁর মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন, জিজি একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, যা অন্যান্য দেশের কাছে বিকল্পের পথ খুলে দেবে। অনুরূপ বিকল্প অন্যান্য দেশের তরফেও উঠে আসতে পারে। এই সমস্ত উদ্যোগের কিছু সময়ের জন্য সহাবস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে এবং অংশীদারদের তরফে তুলে ধরা বিকল্পগুলি আগামী দশকে আন্তর্জাতিক পরিবেশকে আকার দেবে।

 


ভাইস অ্যাডমিরাল গিরিশ লুথরা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিস্টিঙ্গুইশড ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.