-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মায়ানমার-তাই সীমান্তের কাছে সাইবার কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে তাইল্যান্ডের অভিযান হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করলেও পদ্ধতিগত ব্যবধান এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মায়ানমার-তাই সীমান্তের কাছে পরিচালিত সাইবার স্ক্যাম সেন্টারগুলিতে আটকা পড়া প্রায় ৭,০০০ পুরুষ ও মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে, যা উল্লেখযোগ্য বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২৯টি দেশ থেকে আগত এ হেন ব্যক্তিদের শোষণমূলক ও প্রায়শই নৃশংস পরিস্থিতিতে প্রতারণামূলক প্রকল্পে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪,৮৬০ জনেরও বেশি চিনা নাগরিক, ৫৭২ জন ভিয়েতনামী, ৫৪৯ জন ভারতীয় এবং ৫০০ জন আফ্রিকার নানা দেশ থেকে এসেছেন। কিছু মানুষকে সফল ভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও অনেকেই নিজ নিজ সরকারের তরফে হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং সেখানে আটকে আছেন।
এই মানুষদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে উদ্ধারকৃতদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চিনা কর্তৃপক্ষ ১৬টি ফ্লাইটের পরিকল্পনা করেছিল। তাইল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাস, মায়ানমারে তার প্রতিপক্ষ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ১০-১১ মার্চ দু’টি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে ৫৪৯ জন ভারতীয় নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিল। একই ভাবে ইন্দোনেশিয়া ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমে ১৪০ জন এবং পরে ১৮-১৯ মার্চ তাইল্যান্ড থেকে তার ৫৫৪ জন নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছিল। তবে উদ্ধারকৃত শত শত ভুক্তভোগী এখনও তাইল্যান্ডে আটকা পড়ে আছেন এবং তারা কখন নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কি না, তা অনিশ্চিত।
আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আফ্রিকার সরকারগুলির জন্য প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে, যার ফলে তারা বাইরের দেশ থেকে আসা তহবিলের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই ধীর এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ। ইথিওপিয়ার মতো যে আফ্রিকান দেশগুলির ব্যাঙ্ককে দূতাবাস নেই, তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে লজিস্টিক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উপরন্তু, আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আফ্রিকার সরকারগুলির জন্য প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে, যার ফলে তারা বাইরের দেশ থেকে আসা তহবিলের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে। এ দিকে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, মায়ানমারের হোল্ডিং সেন্টারগুলিতে যারা এখনও আটকে আছে - যেখানে স্থান এবং স্বাস্থ্যবিধির অবস্থা ভয়াবহ - তারা আবার জালিয়াতি কার্যক্রমে ফিরে যেতে বাধ্য হতে পারে। এই উদ্বেগ বাড়ছে যে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে মায়ানমারের ডেমোক্র্যাটিক কারেন বেনেভোলেন্ট আর্মি (ডিকেবিএ) ও সামরিক হুন্তার সঙ্গে যুক্ত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী - যারা এই লোকদের হস্তান্তর করেছে এবং তাই কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর আগে আপাতত তাদের আটকে রেখেছে – আবারও উদ্ধারকৃত মানুষদের পাচারকারীদের হাতেই তুলে দিতে পারে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীর ভূমিকা
মায়ানমারের তাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন স্টেটের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ডেমোক্র্যাটিক কারেন বেনেভোলেন্ট আর্মি (ডিকেবিএ) এর আগে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-এর (কেএনইউ) অংশ ছিল। প্রতিবেদনগুলি দর্শায় যে, এই ধরনের গোষ্ঠীগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই জালিয়াতি কেন্দ্রগুলির কার্যক্রমে জড়িত ছিল এবং পাচার হওয়া শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক আচরণের দিকে নজর দেয়নি। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কিছু গোষ্ঠী অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহযোগিতা করতে বাধ্য হয়েছে।
কর্নেল স চিট থু - যিনি মূলত শোয়ে কোক্কোর জালিয়াতি কেন্দ্র পরিচালনার জন্য দায়ী - এবং তাঁর জুনিয়র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোটে থোন এবং মেজর টিন উইন আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন।
তাই কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন (ডিএসআই) এই অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কারেন বর্ডার গার্ড ফোর্স-এর (বিজিএফ) - যা কারেন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামেও পরিচিত – সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, যারা আন্তর্জাতিক মানব পাচারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত বলে মনে করা হয়। কর্নেল স চিট থু - যিনি মূলত শোয়ে কোক্কোর জালিয়াতি কেন্দ্র পরিচালনার জন্য দায়ী - এবং তাঁর জুনিয়র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোটে থোন এবং মেজর টিন উইন আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। একই সময়ে এই পদক্ষেপগুলির ফলে হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আনুমানিক ৩০০,০০০ ব্যক্তি এখনও এই অঞ্চল জুড়ে সাইবার জালিয়াতি কার্যক্রমের বিশাল ও লুক্কায়িত শৃঙ্খলে আটকা পড়ে রয়েছেন।
তাইল্যান্ডের জরুরি প্রতিক্রিয়া
তাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে জালিয়াতি কেন্দ্রগুলির সম্প্রসারণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি জটিল ভূমিকা পালন করে। মায়ানমার, কম্বোডিয়া বা লাওসের মতো প্রাথমিক হটস্পট না হলেও উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো এবং শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সংযোগের পাশাপাশিই একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে দেশটি সাইবার অপরাধমূলক কার্যক্রমে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়েছে। এর ভৌগোলিক নৈকট্য, উন্নত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এবং সুবিশাল অভিবাসী শ্রমিক চলাচল তাইল্যান্ডকে এই অবৈধ শৃঙ্খলগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট করে তোলে।
মায়ানমার, কম্বোডিয়া বা লাওসের মতো প্রাথমিক হটস্পট না হলেও উন্নত ডিজিটাল অবকাঠামো এবং শক্তিশালী আন্তঃসীমান্ত সংযোগের পাশাপাশিই একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে দেশটি সাইবার অপরাধমূলক কার্যক্রমে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রাইম মিনিস্টার পেতোংটার্নের বেজিং সফরের আগে এবং তার পরে। দায়িত্ব গ্রহণের পর চিনে তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরের আগে তিনি তাই-মায়ানমার-চিন সীমান্তে পরিচালিত সাইবার জালিয়াতি কেন্দ্রগুলি বন্ধ করার জন্য তাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি তাই কর্তৃপক্ষ মায়ানমার সীমান্তের পাঁচটি মূল জালিয়াতি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ছাড়াও, তারা জ্বালানি, মোবাইল ফোন, ব্যাটারি, ইনভার্টার, জেনারেটর, সৌর প্যানেল, কেবল, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং ইঞ্জিন তেল-সহ ১১টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের আন্তঃসীমান্ত রফতানি সীমিত করে। সর্বোপরি, গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল, যার ফলে এই শৃঙ্খলগুলির মূল শক্তিদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য প্রয়োগমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
চিন এবং বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের উপর প্রভাব
এই কঠোর ব্যবস্থা আংশিক ভাবে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাঙ্ককে চিনা অভিনেতা ওয়াং এবং বেশ কয়েকজন ক্রু সদস্যের বহুল প্রচারিত অপহরণের পর চিনা পর্যটনের পতনের উদ্বেগের কারণে চালিত বলে মনে হচ্ছে। ভুয়ো অভিনয়ের সুযোগের আড়ালে ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করা হয়েছিল এবং পরে মায়াওয়াদ্দিতে পাচার করা হয়েছিল। তাই কর্তৃপক্ষ সফল ভাবে ওয়াংকে উদ্ধার করলেও এই ঘটনা ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে এক হাজারেরও বেশি চিনা পর্যটকের ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে। ২০২৪ সালে তাইল্যান্ডে বিদেশি দর্শনার্থীদের মধ্যে চিনা নাগরিকদেরই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল, যার সংখ্যা ৬২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই সরকার সেই কারণেই এখন বেজিংকে আশ্বস্ত করা এবং তার নিরাপত্তার প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার চাপের মুখে রয়েছে, যা কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি অপরিহার্য স্তম্ভ।
তবে, বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই ঘটনা তাইল্যান্ডের চাইতেও চিনের উপর অতিরিক্ত প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে দেশীয় আইন প্রয়োগে বিদেশি হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পেতে পারে। বেজিং মায়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে মায়ানমার-তাইল্যান্ড সীমান্তে জালিয়াতি সিন্ডিকেট মোকাবিলায় একটি যৌথ আইন প্রয়োগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং চিনা পুলিশের বৃহত্তর সম্পৃক্ততার কথা বলেছে। তাই কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত তাইল্যান্ডের মাটিতে চিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার বিরোধিতা করলেও অর্থনৈতিক চাপ বেজিংয়ের দাবিগুলিকে প্রতিহত করার বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে।
ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) মতো আর্থিক নজরদারি সংস্থাগুলি সাইবার অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এবং এর পাশাপাশিই তাইল্যান্ডকে অবৈধ অর্থ প্রবাহ ব্যাহত করার জন্য তার আর্থিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা উন্নত করতে প্ররোচিত করে।
চিনের বাইরে রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইন্টারপোল এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর (আসিয়ান) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও তাইল্যান্ডের সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৫ সালের ১৬-১৭ জানুয়ারি ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত পঞ্চম আসিয়ান ডিজিটাল মন্ত্রীদের বৈঠকে একটি স্থিতিশীল ডিজিটাল ভবিষ্যতে সাইবার নিরাপত্তার ভূমিকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং সহযোগিতা, আস্থা ও নিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কাঠামো হিসাবে আসিয়ান ডিজিটাল মাস্টারপ্ল্যান ২০২৫-কে সশক্ত করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলি-সহ পশ্চিমি দেশগুলি তাদের নাগরিকদের লক্ষ্য করে অনলাইন জালিয়াতির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাইল্যান্ড ও অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) মতো আর্থিক নজরদারি সংস্থাগুলি সাইবার অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এবং এর পাশাপাশিই তাইল্যান্ডকে অবৈধ অর্থ প্রবাহ ব্যাহত করার জন্য তার আর্থিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা উন্নত করতে প্ররোচিত করে।
তাইল্যান্ডের তরফে গৃহীত পদক্ষেপের স্থিতিশীলতা
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাইল্যান্ড প্রযুক্তিগত অপরাধের উপর জরুরি ডিক্রি জারি করে তার আইনি কাঠামোকে শক্তিশালী করে, কঠোর শাস্তি আরোপ করে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী ও সামাজিক গণমাধ্যম মঞ্চগুলিকে জালিয়াতি সক্ষম করে তোলার জন্য অভিযুক্ত করে। সরকার নাগরিকদের অনলাইন জালিয়াতি শনাক্ত করতে এবং জালিয়াতি এড়াতে সহায়তা করার জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতাও প্রচার করেছে।
আইনি ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে উঠে অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও অভিবাসন নীতিগুলিরও মোকাবিলা করতে হবে। কারণ এই জালিয়াতিগুলির অনেকটাই পাচার হওয়া বা আর্থিক ভাবে হতাশ ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে। তাইল্যান্ড তার ভিসা-মুক্ত সময়কাল এক মাস কমিয়ে আনতে প্রস্তুত, যা এই ধরনের অভিযানে জড়িতদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান রোধ করতে সহায়তা করতে পারে। তবে অপরাধীদের ও পাচারকৃত মানুষদের মধ্যে পার্থক্য করাও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ উদ্ধারকৃত অনেক ব্যক্তিই প্রাথমিক ভাবে হুমকি ও সহিংসতার মাধ্যমে অবৈধ কার্যকলাপে বাধ্য হওয়ার আগে স্বেচ্ছায় এই শৃঙ্খলগুলিতে প্রবেশ করেছিল।
অপরাধমূলক শৃঙ্খলগুলি অত্যন্ত অভিযোজিত এবং পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া সেগুলি নতুন আকারে পুনরুত্থিত হতে পারে বা শনাক্তকরণ এড়িয়ে যাওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজে পেতে পারে।
ব্যাঙ্ককের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ - যার মধ্যে সাইবার অপরাধে জড়িত তাই কর্মকর্তাদের অপসারণও অন্তর্ভুক্ত - সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত। তবে এই প্রচেষ্টার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্বেগের কারণে পরিচালিত একটি কঠোর ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান না-ও হতে পারে। অপরাধমূলক শৃঙ্খলগুলি অত্যন্ত অভিযোজিত এবং পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া সেগুলি নতুন আকারে পুনরুত্থিত হতে পারে বা শনাক্তকরণ এড়িয়ে যাওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজে পেতে পারে। এই গোষ্ঠীগুলিকে পুনরায় তাদের অবস্থান ফিরে পেতে বাধা দেওয়ার জন্য স্থিতিশীল সতর্কতা, ক্রমাগত প্রয়োগ এবং গভীর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।
দীর্ঘমেয়াদে কেবলমাত্র একটি আঞ্চলিক পদ্ধতির পাশাপাশি স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ সংস্কারই এ কথা সুনিশ্চিত করতে পারে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনলাইন জালিয়াতি এবং আধুনিক দাসত্বের বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে না।
শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Sreeparna Banerjee is an Associate Fellow in the Strategic Studies Programme. Her work focuses on the geopolitical and strategic affairs concerning two Southeast Asian countries, namely ...
Read More +