Published on Mar 25, 2023 Updated 0 Hours ago
প্রযুক্তি, দুর্যোগ ও লিঙ্গ: বন্যা মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার

এই নিবন্ধটি ‘‌রাইসিনা ফাইলস ২০২৩’‌ জার্নালের একটি অধ্যায়।


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে, এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে এর সবচেয়ে তীব্র প্রভাব পড়ছে।[১] এদিকে চরম আবহাওয়ার জন্য ঘটনাগুলির পৌনঃপুনিকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে আরও বেশি মানুষের জীবন, কল্যাণ ও জীবিকা বিপদাপন্ন হচ্ছে।[২]

মানবজাতির বেঁচে থাকার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমিত করতে অপরিহার্য হল গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস করা। তবে দ্রুত ডিকার্বনাইজিং–এর সমান্তরালভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবন–পরিবর্তনকারী প্রভাবগুলির মুখোমুখি–হওয়া ব্যক্তি ও জনসম্প্রদায়গুলিকে সহায়তা করার জন্য অভিযোজন উদ্যোগগুলিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত নিম্ন–আয়ের দেশগুলিতে প্রয়োজন, যারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আরও ঘন ঘন চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাগুলির মুখোমুখি হচ্ছে, এবং তার ফলে আয় ও উপভোগ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, এবং খাদ্য, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার লভ্যতার উপর চাপ পড়ছে।

এই নিবন্ধে লিঙ্গ দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে বন্যা প্রশমন, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার খতিয়ে দেখা হয়েছে। আজ প্রায় ১.৮ বিলিয়ন মানুষ বন্যার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন,[৩] এবং তাঁদের অধিকাংশেরই বাস নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে।[৪] শুধু গত দুই দশকের খতিয়ান বলছে, জলবায়ু বিপর্যয়ের ৪৩ শতাংশের জন্য দায়ী বন্যা, এবং কমপক্ষে ২ বিলিয়ন মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।[৫]

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার, জনসম্প্রদায় ও ব্যক্তিরা বন্যার ঘটনাগুলি প্রশমিত করতে, প্রস্তুতি নিতে, প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য ক্রমান্বয়ে বেশি করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করছেন৷ এই প্রযুক্তিগুলি যেভাবে ডিজাইন, ব্যবহার, প্রয়োগ বা মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা লিঙ্গ সমতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

লিঙ্গ ও বন্যা

বন্যার মতো জলবায়ুজনিত ভয়ানক ধাক্কা বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে প্রভাবিত করে,   এবং বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।[৬] প্রায়শই, নারী ও মেয়েরা  অধিকতর বিপদের সম্মুখীন হন,[৭] কারণ পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা–কাঠামো ও সামাজিক  নিয়মাবলি, অর্থ ও সম্পদের উপর অসম নিয়ন্ত্রণ, এবং শ্রমবাজার ও আয়ের গতিশীলতা সহ বিভিন্ন কারণ তাঁদের তথ্য ও প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার সীমিত করে।[৮] নারীরা সহজাতভাবে দুর্বল বা অরক্ষিত নন; বরং, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোই প্রায়শ তাঁদের এমন করে তোলে। লিঙ্গ কিন্তু জাতি, বয়স, যোগ্যতা বা অভিবাসনের মতো অন্যান্য পরিচয়ের সঙ্গেও সম্পর্কিত, যা একত্রভাবে অনন্য দুর্বলতা তৈরি করে। তাই, বোঝা প্রয়োজন পরিচয়ের এই বিভিন্ন মাত্রাগুলি কীভাবে মহিলাদের বিপদের সামনে ফেলার, দুর্বলতার এবং মোকাবিলা করার প্রক্রিয়াগুলিকে রূপ দেয়, কারণ অভিযোজন প্রচেষ্টাগুলি যাতে মহিলাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে পর্যাপ্তভাবে সাড়া দেয় তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় পুরুষদের তুলনায় চারগুণ বেশি নারী ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের সুনামিতে মারা গিয়েছিলেন।[৯] মহিলাদের মধ্যে উচ্চ মৃত্যুহারের আংশিক কারণ ছিল শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং অন্যদের প্রয়োজন মেটাতে মহিলাদের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল, কারণ সুনামি আঘাত হানার সময় অনেক বেশি মহিলা বাড়িতে বা সমুদ্রের কাছাকাছি ছিলেন, এবং মহিলাদের সাঁতার জানার সম্ভাবনা কম ছিল৷[১০] সোমোয়া ও টোঙ্গায় ২০০৭ সালের সুনামির সময় প্রাপ্তবয়স্ক মৃতের ৭০ শতাংশ ছিলেন নারী।[১১] তবে নিশ্চিতভাবেই এমনটি সর্বক্ষেত্রে হবে না, কারণ লিঙ্গের সঙ্গে আয়, সম্পদ, ও দুর্বলতা নির্ধারণের সুযোগের মতো অন্যান্য নানা কারণ মিলিতভাবে নির্ণায়ক হয়।[১২]

আবহাওয়ার ঘটনাগুলি ঘটার সময় এবং পরে অনেক মহিলার জন্য নিরাপত্তা একটি অপরিহার্য উদ্বেগের বিষয়, এবং এর উপর নির্ভর করে কখন বা আদৌ তাঁরা বাড়িঘর ছেড়ে যাবেন কি না সে সম্পর্কে তাঁদের সিদ্ধান্ত। যেমন ২০২২ সালের জুনে উত্তর–পূর্ব বাংলাদেশে বন্যার সময় ৭.২ মিলিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিতদের জন্য আলাদা ‘‌ওয়াশ’‌ (জল, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য) সুবিধা, বা মহিলা ও মেয়েদের জন্য নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদান করতে পারে এমন স্থান ছিল না।[১৩] এই ধরনের গণ–পরিসরে নিরাপত্তার উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতা কোথায় আশ্রয় নেওয়া নিরাপদ সে সম্পর্কে মহিলাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপরিহার্য। অধিকন্তু, লিঙ্গভিত্তিক হিংসা সঙ্কটের সময় মহিলাদের জন্য বিশেষ বিপদ তৈরি করে।[১৪] ১৯টি দেশজুড়ে গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন যে খরার সময় মহিলারা জীবনসাথীদের থেকে বেশি হিংসার সম্মুখীন হন।[১৫] তাফিয়া, ভানুয়াতুতে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পর গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।[১৬] হারিকেন ক্যাটরিনার আগে ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টার–পার্টনার ভায়োলেন্স নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ঝড়ের পরে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংস্রতার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে:‌ ৪.২ শতাংশ থেকে বেড়ে নারীদের ৮.৩ শতাংশের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে।[১৭]

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের শিক্ষাও ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি বন্যার জল কমে গেলেও শিশুরা তাদের পরিবারকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য প্রায়শই স্কুলের বাইরে থাকে। তাছাড়া স্কুলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঘূর্ণিঝড় পামের কারণে ২০১৫ সালে ভানুয়াতুর অর্ধেক স্কুল এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল।[১৮]  একই বছরে মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের সময় ৪,০০০টিরও বেশি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এবং ৬০০টিরও বেশি স্কুল ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।[১৯] কিছু বছর আগে ২০১০ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার ফলে ৮,০০০ স্কুল বন্ধ হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ৫,০০০ আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়।[২০]

জলবায়ুর ধাক্কায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শিক্ষা দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যাহত হয়। শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস হওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহণ পরিকাঠামো, দুর্যোগের কারণে পারিবারিক আর্থিক বোঝা, এবং পুনর্বাসিত স্কুলে ‘‌ওয়াশ’‌ সুবিধার অনুপলব্ধতার মতো বিভিন্ন কারণ কিন্তু সব শিশুদের সমানভাবে প্রভাবিত করে না।[২১] ২০২২ সালে পাকিস্তানে বন্যার পর এক–তৃতীয়াংশ অভিভাবক রিপোর্ট করেছেন যে তাঁদের  মেয়েদের স্কুলে ফিরে আসা আরও কঠিন হবে।[২২] এর কারণ হল মেয়েরা প্রায়ই অবৈতনিক যত্নের দায়িত্বের বৃহত্তর বোঝা বহন করে, যা বন্যা বা অন্যান্য আবহাওয়া সম্পর্কিত ঘটনার সময় এবং পরে বাড়তে পারে। পরিবারের আয়ের উপর বন্যার প্রভাবের অর্থ হল শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য কম সংস্থান, এবং এই অবস্থায় ছেলেদের স্কুলে ফিরে আসার সম্ভাবনা মেয়েদের থেকে বেশি থাকে।

তার উপর অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন স্তরে থাকা দেশগুলিতে পেশা, আয়, ও পরিবারের আর্থিক সম্পদের উপর মালিকানার আপেক্ষিক অভাবের মতো কারণগুলির জন্য বন্যার ঘটনার আগে, চলাকালীন এবং পরে নারীরা প্রায়শই অনন্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হন।[২৩] যেমন দুর্যোগের সময় মেয়েদের সঞ্চিত আর্থিক সম্পদগুলি প্রায়ই প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।[২৪] এদিকে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় কম সম্পদের মালিক হন।[২৫] একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরিবর্তে তাঁদের কাছে গয়না, ব্যয়বহুল কাপড়, বা নগদের আকারে বাস্তব সম্পদ থাকার সম্ভাবনা বেশি, এবং বন্যার সময় সেই সম্পত্তিগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।[২৬]

দুর্যোগের কারণে উদ্ভূত ঝুঁকি কমানো ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি

অনেক ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম জনসম্প্রদায়গুলিকে বন্যার ঘটনাগুলির ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ভূস্থানিক মানচিত্রায়ন থেকে শুরু করে আইওটি–সক্ষম স্মার্ট পরিকাঠামো, এআই–ভিত্তিক পূর্বাভাস, এবং ডিজিটাল যোগাযোগ ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবনগুলি ব্যবহার করে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর জন্য সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে৷ যাই হোক, যদি ভালভাবে তৈরি করা না–হয়, তাহলে এই ধরনের প্রযুক্তির পরিকল্পনা, নকশা ও ব্যবহার কিন্তু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে একইভাবে লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।

ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলি সম্ভাব্যভাবে আরও কার্যকর এবং সময়মত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য নানা সরঞ্জাম সরবরাহ করে। তবে সেগুলি কিন্তু মেয়ে ও মহিলাদের জন্য নতুন করে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে সেগুলি যদি এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির কথা মাথায় না–রেখে ডিজাইন করা হয় যা লিঙ্গনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা, প্রয়োজন, ও উপলব্ধি বিবেচনা করে। অধিকন্তু, মহিলাদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারেরর সুযোগের অভাব অতি–গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান–প্রদান, পরিষেবা ও সহায়তার সুযোগকে বাধা দেয়। তাই এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে ডিআরএম–এ ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার যেন লিঙ্গ–অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনে এবং মহিলা ও মেয়েদের ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনন্য দুর্বলতার প্রতি সাড়া দেয়। সারণি ১ প্লাবন ডিআরএম–এর বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহৃত ডিজিটাল প্রযুক্তির উদাহরণ প্রদান করে।

সারণি ১: বন্যায় ডিআরএম–এর জন্য মূল প্রযুক্তি

সূত্র: লেখকের নিজস্ব, বিভিন্ন উন্মুক্ত উৎস ব্যবহার করে।

উদ্ভাবন ও ডিজিটাল প্রযুক্তির নতুন প্রয়োগ বন্যা প্রশমন এবং প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে রূপান্তরিত করছে। যেমন, দুর্যোগ তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি  খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হতে পারে। এই কথা মাথায় রেখে ওয়র্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) একটি মোবাইল দুর্বলতা বিশ্লেষণ ও ম্যাপিং (এমভ্যাম) প্রোগ্রাম তৈরি করেছে, যা তাদের ফোন কল, এসএমএস ও ভয়েস প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে পরিবার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে দেয়।[২৭] পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা তথ্য হাঙ্গারম্যাপ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়, যা কর্মসূচি নেওয়ার বা জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রিয়েল–টাইম তথ্য প্রদান করে।[২৮]

অনলাইনে বন্যার ঝুঁকি ও বিপদের মানচিত্রগুলি উপলব্ধ হলে তা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক হতে পারে, যেমন কোথায় বসতি স্থাপন বা ব্যবসা শুরু করতে হবে। অনেক ভূস্থানিক মানচিত্রায়ন সরঞ্জাম, যেমন আর্কজিআইএস ও ওপনস্ট্রিটম্যাপ, ডেটা সংগ্রহ করতে এবং বন্যার মতো বিপদের স্থানিক বরাদ্দ সম্পর্কে তথ্য প্রচার করতে ব্যবহৃত হয়।[২৯] একটি উদাহরণ হল নুসাফ্লুড, যা ইন্দোনেশিয়ার একটি মহিলা নেতৃত্বাধীন দল তৈরি করেছে৷ নুসাফ্লুড হল একটি সহজে প্রবেশযোগ্য স্থানিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুল, যা ভবিষ্যতে বন্যার ঝুঁকির মানচিত্রায়ন করে। এটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে মানুষের (এমনকি যাদের সীমিত ডিজিটাল প্রযুক্তি দক্ষতা রয়েছে) পক্ষে ভবিষ্যৎ বন্যার ঝুঁকি ও বিপদের তথ্য হাতে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় কোথায় বাস করা উচিত, বিনিয়োগ করা উচিত এবং কাজ করা উচিত সে সম্পর্কে অবহিত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়।[৩০]

আবহাওয়ার পূর্বাভাস, গুরুতর আবহাওয়া–প্রভাবিত এলাকা এবং মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ ইত্যাদি–সহ রিয়েল–টাইম আবহাওয়া ও ঝড় সম্পর্কিত তথ্যের ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলি আবহাওয়ার ঘটনা ঘটলে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শহর ও জাতীয় সরকারগুলি এই ধরনের ঘটনাগুলির পূর্বাভাস ও নিরীক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন জলবিদ্যা ও আবহাওয়া–পর্যবেক্ষণ পরিকাঠামো ও সিস্টেমগুলিতে বিনিয়োগ করছে।[৩১] এই ধরনের অনেক সিস্টেমে রিমোট সেন্সর, আইওটি–সংযুক্ত যন্ত্র এবং পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আবহাওয়া মডেল ব্যবহৃত হয়।

বন্যা শুরু হওয়ার সময় প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা (ইডব্লিউএস) এই ধরনের সিস্টেমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা ঘটনা সম্পর্কে জনগণের কাছে তথ্য প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইডব্লিউএস প্রাথমিক বিপদসঙ্কেত ও সতর্কবার্তা পাঠাতে অ্যাপ্লিকেশন ও টেক্সট মেসেজ ব্যবহার করে। ইডব্লিউএস –এর তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করা উচিত একটি উপযুক্ত, সময়োপযোগী, ও প্রযোজ্য উপায়ে, এবং এই তথ্যটি সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনো উচিত।[৩২] প্রারম্ভিক সতর্কতা  ব্যবস্থাগুলি যদি বিভিন্ন প্রান্তিক ব্যবহারকারীর কথা, বিশেষ করে যাঁরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ তাঁদের কথা, মাথায় রেখে ডিজাইন করা না হয়, তখন তাঁদের বন্যাজনিত বিপদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেমন ২০১০ সালে পাকিস্তানে বন্যার পর সরকার লাই বেসিনে একটি আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলেও[৩৩] তার একটি মূল্যায়নে দেখা গেছে যে এটি এর নকশায় প্রাসঙ্গিক জনসম্প্রদায়গুলিকে জড়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মূল বিপদ–বার্তাগুলি আরও সহজে বোধগম্য হতে হবে, এবং জনসংখ্যার মধ্যে বন্যার ঝুঁকির বিভিন্ন উপলব্ধির সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে।[৩৪] তার উপর আবার ইডব্লিউএস–গুলি প্রায়ই এমন চ্যানেলের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে যা পুরুষ দর্শকদের কাছে বেশি উপলব্ধ,[৩৫] এবং তা নারীদের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ বিলম্বিত করে।

উদ্ঘাটিত আবহাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তথ্যের ফাঁক মেটাতে কিছু উদ্যোগ চলছে। যেমন উইমেন’‌স ওয়েদার ওয়াচ (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) ফিজিতে ২০০৪ সালের বন্যার পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৩৬]  এটি একটি বাল্ক এসএমএস সিস্টেম, রেডিও স্টেশন, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও মেসেজিং অ্যাপ শুরু করেছে, যাতে আবহাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে রিয়েল–টাইম ও বোধগম্য তথ্য প্রচার করা যায়।[৩৭] উইমেন’‌স ওয়েদার ওয়াচ বিশেষভাবে গ্রামীণ মহিলাদের লক্ষ্য করে তাদের তথ্য প্রচার করে।[৩৮]

অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন, যেমন ট্রিলজি এমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যাপ্লিকেশন (টেরা), ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও সহায়কদের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেয়।[৩৯] ইতিমধ্যে, ডব্লিউএফপি তৈরি করেছে মিলা, একটি এআই–ভিত্তিক চ্যাটবট যা লিবিয়ার মানুষকে মানবিক সেবা সম্পর্কে তথ্য দেয়।[৪০], [৪১]

এছাড়াও ডিজিটালি সক্ষম প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপ্লিকেশন পুনরুদ্ধার কাজের জন্যও ব্যবহার করা হয়। যেমন ডিজিটালি সক্ষম স্থানান্তর ব্যবস্থা প্রয়োজনে লোকেদের দ্রুত সনাক্তকরণ করে নগদ অর্থ পাঠিয়ে দেয়।[৪২] বন্যার ঘটনার পরে এবং পুনরুদ্ধারের সময় মোবাইল প্রযুক্তিগুলি আর্থিক সংস্থান ও গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি, যেমন সনাক্তকরণের প্রমাণ, দলিল, স্বাস্থ্য রেকর্ড বা ভিসা, দ্রুত ফেরত পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

পরিকল্পনা, প্রতিক্রিয়া ও বন্যার ঘটনা থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তবে একটি লিঙ্গ–সংবেদনশীল পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ যে তারা বিদ্যমান বৈষম্যগুলির প্রতিলিপি তৈরি করবে না, বা তা আরও গভীর করবে না। এই কৌশল নিম্নলিখিত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:

প্রযুক্তির নকশা, পুনরাবৃত্তি, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের সকল পর্যায়ে নারী ও মেয়েদের সম্পৃক্ততা।

স্মার্টফোনের মতো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ ও মালিকানা বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ও মেয়েদের মধ্যে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ও ব্যবহার বৃদ্ধি করা।

এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যে ইডব্লিউএস–গুলি যেন অনুভূত ঝুঁকি, বার্তাপ্রেরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দুর্বলতা ও সামাজিক নিয়মের ক্ষেত্রে লিঙ্গপার্থক্য বিবেচনার মধ্যে রাখে।

যেখানে প্রাসঙ্গিক সেখানে স্বল্প–প্রযুক্তি সমাধানের ব্যবহার প্রচার করা। ডিজিটাল ‌ও উন্নত প্রযুক্তির সমাধানগুলি প্রায়শই চমকপ্রদ হলেও স্বল্প–প্রযুক্তির সমাধানগুলি যে কখনও কখনও বেশি কার্যকর ও দক্ষ হয় তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তঃবিভাগীয় পরিচয় ও দুর্বলতা–সহ মহিলাদের পছন্দ, চাহিদা ও ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রতিক্রিয়া জানানো।

যেখানে উপযুক্ত সেখানে মহিলাদের মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা, বিমা, ডিজিটাল নথি ও ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবহারের সুযোগ বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করা।

জেন্ডার–ট্রান্সফরমেটিভ ডিআরএম–এর উপর নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সরঞ্জামগুলির প্রভাব মূল্যায়ন করতে সেগুলি সম্পর্কে লিঙ্গ–পার্থক্যজনিত প্রমাণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা।

পুনরুদ্ধারের উদ্যোগগুলিতে লিঙ্গ–অন্তর্ভুক্তি এবং পুরো ক্ষেত্রজুড়ে লিঙ্গসমতাকে প্রচার ও সমর্থন করা, যাতে আরও ভাল পুনর্নির্মাণ সম্ভব হয়।

যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পৌনঃপুনিকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই অভিযোজন প্রচেষ্টাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা বিশ্বজুড়ে জনসম্প্রদায়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে, এবং যেহেতু দেশ, শহর ও জনসম্প্রদায়গুলি বন্যার ঘটনাগুলি প্রশমিত করতে এবং মোকাবিলা করার জন্য কাজ করে, তাই ডিজিটাল প্রযুক্তিগুলি অপার সম্ভাবনা নিয়ে আসে৷ যাই হোক, সেগুলি কিন্তু লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও গভীরও করতে পারে, এবং বন্যার ঘটনাগুলির গুরুতর প্রভাবের ক্ষেত্রে মহিলা ও মেয়েদের আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে প্রযুক্তি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার, মানবিক সংস্থা ও জনসম্প্রদায়গুলি যেন দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতির পরিকল্পনা করার সময় লিঙ্গ–পরিবর্তনমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করে। এটি নারী ও মেয়েদের ন্যায়সঙ্গত অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা ও প্রতিক্রিয়ায় তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণে সক্ষম করবে।


এন্ডনোট

[১] এইচ -ও পোর্টনার ও অন্যরা, জলবায়ু পরিবর্তন ২০২২: প্রভাব, অভিযোজন, ও দুর্বলতা। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তঃসরকার প্যানেলের ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ওয়ার্কিং গ্রুপ I২-এর অবদান, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, কেমব্রিজ, ইউকে ও নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই, ইউএসএ, ৩০৫৬ পিপি। ডিওআই:‌ ১০.‌১৭/৯৭৮১০০৯৩২৫৮৪৪।

[২] পোর্টনার ও অন্যান্য, জলবায়ু পরিবর্তন ২০২২: প্রভাব, অভিযোজন, ও দুর্বলতা

[৩] জুন রেন্টসলার, মেলদা সালহাব, ও ব্রামকা আরগা জাফিনো, “বন্যার মুখোমুখি হওয়া এবং ১৮৮টি দেশে দারিদ্র্য,” নেচার কমিউনিকেশনস ১৩, নং। 1 (২৮ জুন, ২০২২): ৩৫২৭, https://doi.org/10.1038/s41467-022-30727-4

[৪] ম্যাকডারমট, টমাস কে জে, “বন্যার ঝুঁকি এবং দারিদ্রের বৈশ্বিক এক্সপোজার,” নেচার কমিউনিকেশনস ১৩ (জুন ২৮, ২০২২): ৩৫২৯ । https://doi.org/10.1038/s41467-022-30725-6

[৫] প্যাসকেলিন ওয়ালেম্যাক ও রোয়েনা হাউস, অর্থনৈতিক ক্ষতি, দারিদ্র্য ও বিপর্যয়: ১৯৯৮-২০১৭, ইউএনডিআর, ২০১৮। https://www.undrr.org/publication/economic-losses-poverty-disasters-1998-2017

[৬] রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব অর্থনৈতিক  সামাজিক সমীক্ষা ২০১৬: জলবায়ু পরিবর্তন স্থিতিস্থাপকতা: অসমতা হ্রাসের জন্য একটি সুযোগ, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ২০১৬।

[৭] ইউএন উইমেন, “ব্যাখ্যা: কীভাবে লিঙ্গ বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন পরস্পর–সংযুক্ত,” ইউএন উইমেন, ২০২২।

[৮] সোনজা আয়েব-কার্লসন, “যখন দুর্যোগ আসে: বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক (‌অ)‌গতিশীলতা,” ক্লাইমেট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ২৯ (জানুয়ারি ১, ২০২০): ১০০২৩৭, https://doi.org/10.1016/j.crm. 2020.100237।

[৯] রোনা ম্যাকডোনাল্ড, “সুনামি দ্বারা মহিলারা কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন: অক্সফ্যাম থেকে একটি দৃষ্টিকোণ,” পিএলওএস মেডিসিন ২, নং। ৬ (জুন ২০০৫): ই১৭৮, https://doi.org/10.1371/journal.pmed.0020178

[১০] অক্সফ্যাম, নারীদের উপর সুনামির প্রভাব , অক্সফাম, ২০০৫, .https://oxfamilibrary.openrepository.com/bitstream/handle/10546/115038/bn-tsunami-impact-on-women-250305-en.pdf

[১১] কেট মরিওকা, লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস নিয়ে এখনই কাজ করার সময়, ইউএন উইমেন (ব্যাংকক, তাইল্যান্ড), ২০১৬, পৃ.২৩ ।

[১২] এরিক নিউমায়ার ও টমাস প্লাম্পার, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের লিঙ্গভিত্তিক প্রকৃতি: জীবন প্রত্যাশায় লিঙ্গব্যবধানে বিপর্যয়মূলক ঘটনাগুলির প্রভাব, ১৯৮১-২০০২,” অ্যানালস অফ দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকান জিওগ্রাফারস ৯৭, নং। ৩ (সেপ্টেম্বর ১, ২০০৭): ৫৫১–৬৬। https://doi.org/10.1111/j.1467-8306.2007.00563.x.

[১৩] রাষ্ট্রপুঞ্জ, নারী, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত লিঙ্গবিশ্লেষণ: মানবিক কর্মকাণ্ডে লিঙ্গ, ইউএন উইমেন, জুন ২০২২, https://asiapacific.unwomen.org/sites/default/files/2022-07/bd-Rapid-gender-analysis-north-northeaster-flood-2022.pdf

[১৪] কিম রবিন ভ্যান ডালেন ও অন্যরা, “চরম ঘটনা ও লিঙ্গভিত্তিক হিংস্রতা: একটি মিশ্র-পদ্ধতি ব্যবস্থাগত পর্যালোচনা,” দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ ৬, নং। ৬ (জুন ১, ২০২২): ই৫০৪–২৩, https://doi.org/10.1016/S2542-5196(22)00088-2

[১৫] অ্যাড্রিয়েন এপস্টাইন ও অন্যরা, “২০১১-২০১৮ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকার ১৯টি দেশে খরা ও মহিলাদের প্রতি  ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিংস্রতা: একটি জনসংখ্যা-ভিত্তিক অধ্যয়ন,” সম্পাদনা:‌ লরেন্স পলিঙ্কাস, প্লস মেডিসিন ১৭, নং। ৩ (মার্চ ১৯, ২০২০):ই১০০৩০৬৪ https://doi.org/10.1371/journal.pmed.1003064

[১৬] মরিওকা, লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের উপর এখনই কাজ করার সময়

[১৭] জুলি এ শুমাখার, ও অন্যরা ৫ (২০১০): ৫৮৮-৬০৩।

[১৮] ইউনিসেফ, ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে: জলবায়ু সংকটে সাড়া দেওয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান, ইউনিসেফ (ব্যাংকক), ২০১৯।

[১৯] ইউনিসেফ, ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে: জলবায়ু সংকটে সাড়া দেওয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান

[২০] জেইনা খোদর, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল,” আল জাজিরা, ২৯ আগস্ট, ২০১০, https://www.aljazeera.com/news/2010/8/29/pakistan-floods-damage-schools

[২১] কেট সিমস, শিক্ষা, মেয়েদের শিক্ষা  জলবায়ু পরিবর্তন, নলেজ, এভিডেন্স অ্যান্ড লার্নিং ফর ডেভেলপমেন্ট   , মার্চ ২০২১।

[২২] ফ্রেয়া পেরি, ইজা ফারাখ, ও এলেনা রোসেও, “মানব পুঁজিতে বিনিয়োগ করুন, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ রক্ষা করুন,” বিশ্ব ব্যাঙ্ক ব্লগ, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, https://blogs.worldbank.org/endpovertyinsouthasia/invest-human-capital -পাকিস্তান-ভবিষ্যৎ রক্ষা করুন।

[২৩] মরিওকা, লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের উপর এখনই কাজ করার সময়

[২৪] বিশ্ব ব্যাঙ্ক, দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারে লিঙ্গসমতা ও নারী ক্ষমতায়ন, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ওয়াশিংটন, ডিসি, ২০২০, https://doi.org/10.1596/33684

[২৫] আলভিনা এরমান ও অন্যরা, দুর্যোগের ঝুঁকি এবং স্থিতিস্থাপকতার লিঙ্গ মাত্রা: বিদ্যমান প্রমাণ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ২০২১, https://doi.org/10.1596/35202

[২৬] আলভিনা এরমান ও অন্যরা, দুর্যোগের ঝুঁকি ও স্থিতিস্থাপকতার লিঙ্গ মাত্রা: বিদ্যমান প্রমাণ

[২৭] বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, দুর্বলতা বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনা: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ২০১৮,  https://docs.wfp.org/api/documents/WFP-0000040024/download/

[২৮] বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, “ধাক্কার শোষক হিসেবে নারী: গৃহস্থালির অভ্যন্তরীণ লিঙ্গ বৈষম্য পরিমাপ,” বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এমভিএএম দ্য ব্লগ,২০২২। https://mvam.org/

[২৯] ইয়ান ম্যাককালাম ও অন্যরা, “জনসম্প্রদায়ের বন্যা দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তি,” ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ডিজাস্টার রিস্ক জার্নাল ৭, নং। ২ (জুন ১, ২০১৬): ১৯৮–২০৪, https://doi.org/10.1007/s13753-016-0086-5

[৩০] সারা ব্রাউন, ও অন্যান্য, “জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস: নেপাল ও পেরুর অভিজ্ঞতা,” প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন, ২০১৯, https://wrd.unwomen.org/sites/default/files/2021-11/GENDER ~1_1.PDF

[৩১] এশিয়ান ডিজাস্টার রিডাকশন সেন্টার, “টোটাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: গুড প্র্যাকটিস “।

[৩২] ব্রাউন, ও অন্যরা, “জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস: নেপাল ও পেরুর অভিজ্ঞতা”

[৩৩] দানিশ মুস্তাফা ও অন্যরা, “জেন্ডারিং ফ্লাড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস: দ্য কেস অফ পাকিস্তান,” এনভায়রনমেন্টাল হ্যাজার্ডস ১৪, নং। ৪ (অক্টোবর ২, ২০১৫): 312–28, https://doi.org/10.1080/17477891.2015.1075859

[৩৪] মুস্তাফা ও অন্যরা, “জেন্ডারিং ফ্লাড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস: দ্য কেস অফ পাকিস্তান”

[৩৫] উন্নয়ন সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি কর্তৃপক্ষ, “দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে লিঙ্গকে মূলস্রোতে আনার জন্য আঞ্চলিক কৌশল ও কর্ম পরিকল্পনা,” আইগ্যাড, ২০২০, পৃ ৫।

[৩৬] অ্যাকশনএড, “ইনোভেশন স্টেশন: উইমেনস ওয়েদার ওয়াচ, ফিজি,” অ্যাকশনএড, https://actionaid.org.au/articles/innovation-station-womens-weather-watch-fiji/

[৩৭] অ্যাকশনএড, “ইনোভেশন স্টেশন: উইমেনস ওয়েদার ওয়াচ, ফিজি”

[৩৮] “নারী ও আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ: বিপর্যয়ের স্থিতিস্থাপকতার জন্য ডিজিটাল বিভাজন কমানো,” ডেটা-পপ অ্যালায়েন্স, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, https://datapopalliance.org/women-and-ict-access-bridging-the-digitial–divide-for-disaster-resilience/.

[৩৯] দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্থিতিস্থাপকতার পথ, “ট্রিলজি ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যাপ্লিকেশন “।

[৪০] বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, দুর্বলতা বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনা: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ

[৪১] সুজান ফেন্টন, “মিলা নামের একটি চ্যাটবট: লিবিয়ায় মানুষের সাহায্যের প্রয়োজনের উত্তর দেয়,” বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ২০২১।

[৪২] আইএমএফ, জরুরি পরিস্থিতিতে সরাসরি নগদ স্থানান্তরের জন্য ডিজিটাল সমাধান, আইএমএফ, ওয়াশিংটন, ডিসি।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.