অর্থনৈতিক সংস্কার-পরবর্তী ভারতের যাত্রা মূলধন-শ্রম অনুপাতের লক্ষণীয় বৃদ্ধির সঙ্গে মূলধন-উৎপাদন অনুপাতের ধারাবাহিক পতনকে প্রকাশ করে। মূলধন-উৎপাদন অনুপাতের হ্রাস প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে একটি বর্ধিত মূলধন উৎপাদনশীলতার সংকেত দেয়, যেখানে মূলধন-শ্রম অনুপাতের বৃদ্ধি উৎপাদনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্বারা চালিত আরও মূলধন-নিবিড় ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্ধতির দিকে একটি স্থানান্তর নির্দেশ করে। এই দ্বৈত প্রবণতা উদ্বৃত্ত শ্রমের দিকে নিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু কৃষি ইতিমধ্যেই উদ্বৃত্তের সম্মুখীন হচ্ছে। সামগ্রিক কর্মসংস্থানের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও পরিষেবা ক্ষেত্রের উপর বেশি নজর দেওয়া এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যা শুধু মাত্র জাতীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পায় না বরং উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনাও রাখে।
মূলধন-নিবিড় ম্যানুফ্যাকচারিং: একটি চালিকা শক্তি
ভারত মূলধন-শ্রমিক অনুপাতের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখেছে (১৯৯৪-২০০২-এর মধ্যে ২.৮ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ২০০৩-২০১৭-এর মধ্যে ৫.৬ হয়েছে), যা বৃহত্তর মূলধন-নিবিড়তার দিকে অগ্রসর হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে, বিশেষত ম্যানুফ্যাকচারিং ও ইউটিলিটি খাতে। অন্যদিকে মূলধন-উৎপাদন অনুপাত কমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের মূলধনের নিবিড়তা এখন অনুরূপ উন্নয়ন পর্যায়ে অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, এমনকি চিনকেও। অধিকন্তু, বিস্তৃত ক্ষেত্রগত প্রবণতা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ক্ষেত্রের মধ্যে মূলধন-উৎপাদন অনুপাত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে টারশিয়ারি ক্ষেত্রে তীব্র পতন ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান মূলধন-শ্রমিক অনুপাত সত্ত্বেও মূলধন-উৎপাদন অনুপাতের সামগ্রিক স্থবির প্রবণতা (২০১৭ সালের হিসাবে আনুমানিক ৩.২) মূলত উৎপাদনের মূলধনের মূলধন-নিবিড়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধি ছাড়াই জাতীয় আয়ে টারশিয়ারি ক্ষেত্রের প্রসারিত অবদানের কারণে।
ভারতের মূলধনের নিবিড়তা এখন অনুরূপ উন্নয়ন পর্যায়ে অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, এমনকি চিনকেও।
মূলধনের নিবিড়তা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে আপেক্ষিক মূলধনী ব্যয় হ্রাসের কথা বলা যেতে পারে, যা ঘটছে রপ্তানিমুখী ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য ভর্তুকি এবং শ্রমবাজারের অনমনীয়তার কারণে। যাই হোক, পুঁজির নিবিড়তার এই বৃদ্ধি যে উন্নত উৎপাদনশীলতা নিয়ে আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই, যা মূলধন ব্যবহারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অধিকন্তু, এই প্রবণতা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, এবং জাতীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ১৯৯৯-২০১১-এর ১.৪ শতাংশ থেকে ২০১১-১৭-এ ০.২ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি, যা উচ্চ মূলধন-শ্রম অনুপাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) ক্ষেত্রে মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বর্ধিত সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। যাই হোক, অদক্ষ শ্রমকে মূলধন দিয়ে প্রতিস্থাপন করার প্রবণতা, যদিও কিছু শিল্পের জন্য উপকারী, পুঁজি বিনিয়োগের পরিবর্তে শ্রম সংরক্ষণকে বেছে নিতে অনীহা নির্দেশ করে।
পরিষেবা ক্ষেত্র: কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য একটি অনুঘটক
জাতীয় কর্মসংস্থানের ক্রমবর্ধমান অংশ এবং উচ্চ কর্মসংস্থান স্থিতিস্থাপকতার কারণে পরিষেবা ক্ষেত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একটি মূল খেলোয়াড় হিসাবে আবির্ভূত হয়। জাতীয় আয়ের অর্ধেকেরও বেশি এবং মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৩০.৭ শতাংশের জন্য এই ক্ষেত্রটি কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক, বাস্তবতা যে বেশিরভাগ স্বল্প-দক্ষ কর্মীরা ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন, যদিও শুধুমাত্র দক্ষ কর্মীরা আধুনিক পরিষেবাগুলিতে সুযোগ পান। এই বিষয়টি দক্ষতা উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে। এই প্রবণতা উন্নত বৃদ্ধি ও উন্নত জীবনযাত্রার জন্য কৃষি থেকে উৎপাদন ও পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই সুষম অভিবাসনের পরামর্শ দেয়।
সারণি ১: বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলিতে শ্রম আয়ের ভাগ
বিস্তৃত ক্ষেত্র
|
১৯৮০-৮১
|
১৯৯৩-৯৪
|
২০০২- ০৩
|
২০০৭-০৮
|
২০১৭-১৮
|
কৃষি, বন ও মৎস্য
|
৫৭.৬
|
৫৬.১
|
৫৪.৮
|
৫৫.১
|
৫৫.৯
|
খনি ও খাদান
|
৫৮.৪
|
৩০.৯
|
২৯
|
২৭.৯
|
২৯
|
ম্যানুফ্যাকচারিং
|
৩৮.৯
|
৩০.৭
|
৩০
|
২৫.৭
|
৩০.৫
|
বিদ্যুৎ
|
৩৫.৫
|
২৩.৪
|
২৬.৮
|
৩১
|
৩৩.৬
|
নির্মাণ
|
৭৯.১
|
৭৯.৯
|
৭৮.৪
|
৭১.৩
|
৭৭.৫
|
পরিষেবা
|
৫৭.৮
|
৫৪.৮
|
৫২.৫
|
৪৫.৬
|
৫৩.৩
|
বাজার পরিষেবা
|
৫১.৯
|
৪৪.৮
|
৪২.৭
|
৩৮.৪
|
৪৪.৯
|
অ-বাজার পরিষেবা
|
৬১.৯
|
৬৪.৪
|
৬৫.২
|
৫৭.৩
|
৬৫.৮
|
সামগ্রিক অর্থনীতি
|
৫৫.১
|
৫০.৭
|
৪৯.৫
|
৪৫.২
|
৫০.৮
|
সূত্র: আরবিআই
প্রচলিত বৃদ্ধির পথ কৃষি থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং তারপর পরিষেবাগুলিতে যাওয়ার কথা বললেও ভারত তার প্রাথমিক বৃদ্ধির চালক হিসাবে পরিষেবাগুলিতে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কৃষি থেকে পরিষেবাতে এই স্থানান্তরটি কোনও নতুন ঘটনা নয় - এটি ১৯৯০-এর দশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিপ্লবের সঙ্গে গতি পেয়েছে এবং পরিষেবার উপ-ক্ষেত্রগুলি তখন থেকে জিডিপির তুলনায় উচ্চ বৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে। সফটওয়্যার ও আইটি-সক্ষম পরিষেবাগুলির (আইটিইএস) টেক-অফের মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণের ফলে পরিষেবা ক্ষেত্র শিল্পের তুলনায় জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ দখল করে। এটি এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যা সাধারণত মধ্যম আয়ের দেশগুলির সঙ্গে যুক্ত। যাই হোক, ভারতের জনসংখ্যা এবং তার বৈশিষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে ত্বরণের আরও সুযোগসহ পরিষেবা বৃদ্ধিকে পরিমিত হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
৬.৫ শতাংশ বেকারত্বের হারের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও দেশটি বার্ষিক ৮-১০ মিলিয়ন নতুন কর্মীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। যাই হোক, পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি অসম, যেখানে মূল্য সংযোজন উচ্চপ্রযুক্তি পরিষেবাগুলির দিকে ঝুঁকছে, যেখানে কাজের সুযোগগুলি বেশিরভাগই কম দক্ষ, কম-মূল্য সংযোজিত পরিষেবাগুলিতে পাওয়া যায়। অতিরিক্তভাবে, ভারতীয় স্নাতকদের মধ্যে দক্ষতার ব্যবধান বা অসঙ্গতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে, এবং পরিষেবা ক্ষেত্রকে শুধুমাত্র অদূর ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর কর্মসংস্থানের উৎস করে তোলে। দক্ষতা উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিং ও পরিষেবা বৃদ্ধির মডেলগুলির সংযুক্তিসাধন ভারতীয় শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের ঘাটতি পূরণের জন্য একটি কার্যকর সমাধান বলে মনে হচ্ছে।
সারণি ২: ভারতীয় অর্থনীতির বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলিতে কর্মসংস্থানের বণ্টন: ১৯৮০-২০১৭ (শতাংশে)
বিস্তৃত ক্ষেত্র
|
১৯৮০-৮১
|
১৯৯৪-৯৫
|
২০০৩- ০৪
|
২০০ ৮-০ ৯
|
২০১৭-১৮
|
কৃষি, বন ও মৎস্য
|
৬৯.৮
|
৬৩.৫
|
৫৭.৪
|
৫১.৯
|
৪২.৩
|
খনি ও খাদান
|
০.৫
|
০.৭
|
০.৬
|
০.৬
|
০. ৪
|
ম্যানুফ্যাকচারিং
|
১০.৪
|
১০.৪
|
১১.৩
|
১১. ৬
|
১১. ৫
|
বিদ্যুৎ
|
০.৩
|
০.৩
|
০.৩
|
০.৩
|
০. ৫
|
নির্মাণ
|
২
|
৩.৮
|
৫.৩
|
৭.৯
|
১১.৬
|
পরিষেবা
|
১৬.৯
|
২১.৪
|
২৫.১
|
২৭.৬
|
৩৩.৮
|
বাজার
|
৯.১
|
১২.৬
|
১৬
|
১৭.৮
|
২২.২
|
অ-বাজার
|
৭.৮
|
৮.৭
|
৯.১
|
৯.৮
|
১১.৬
|
সামগ্রিক অর্থনীতি
|
১০০
|
১০০
|
১০০
|
১০০
|
১০০
|
সূত্র: আরবিআই
কর্মসংস্থানের চাহিদা-সরবরাহ গতিশীলতার সমস্যা
ভারতীয় কর্মীদের মধ্যে দক্ষতার ব্যবধানের এই সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা ক্ষেত্রের শ্রম চাহিদা পূরণ একটি উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এই দিকে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা হিসাবে আছে স্কিল ইন্ডিয়া মিশন, যার লক্ষ্য বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরি-ভূমিকা-নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, এবং ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রমোশন স্কিম (এনএপিএস), যা শিক্ষানবিশির ব্যবস্থা করে। ন্যাশনাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডের মতো সরকারি প্রণোদনা দ্বারা সমর্থিত স্টার্টআপের মধ্যে এবং বিষয়বস্তু তৈরিতে নতুন পরিষেবা বিভাগের উত্থান স্রষ্টা-অর্থনীতিতে চাকরি খোঁজা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলি প্রসারিত করে।
এই দিকে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা হিসাবে আছে স্কিল ইন্ডিয়া মিশন, যার লক্ষ্য বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরি-ভূমিকা-নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, এবং ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রমোশন স্কিম (এনএপিএস), যা শিক্ষানবিশির ব্যবস্থা করে।
যাই হোক, মানসম্মত প্রশিক্ষণের অভাব, অপ্রতুল শিল্প নিযুক্তি, তহবিলের অদক্ষ ব্যবহার, এবং নিম্ন স্থান নির্ধারণের হারের মতো চ্যালেঞ্জগুলি এমন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যার সমাধান প্রয়োজন। স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে স্টার্টআপদের জন্য ভারত সরকারের উৎসাহ এবং স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার পাশাপাশি ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ভারতমালা পরিযোজনা, এবং ব্যবসা করার সুবিধার সংস্কারের মতো পরিকাঠামো এবং ব্যবসা-সুবিধা কর্মসূচি হল এই চ্যালেঞ্জগুলি প্রশমিত করার জন্য পদক্ষেপ। এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল পরিকাঠামোগত ও আমলাতান্ত্রিক বাধা দূর করা, এবং এইভাবে আরও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা।
সামনের পথ
ভারতের ২০৩০ কর্মসংস্থান চিত্র নিয়ে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় কর্মসংস্থানে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি অনুমান করা হয়েছে, যা ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি বেকারত্বের হারের সমতুল্য ৯৭ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস নির্দেশ করে৷ এই প্রসঙ্গে পরিষেবা ক্ষেত্রগুলির কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিল্প মূল্যশৃঙ্খলের সম্প্রসারণের মাধ্যমে শহুরে কেন্দ্রগুলি ব্যাপক সম্ভাবনা প্রদর্শন করে। এটি দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সাক্ষী হতে প্রস্তুত, যার কর্মসংস্থান স্থিতিস্থাপকতা ০.১২। এই গতিশীলতাগুলি ভারতের জন্য তার কৌশলগুলিকে পুনর্বিন্যস্ত করার এবং এমন একটি সামগ্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করার জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দেয় যা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলি এবং নতুন যুগের পরিষেবাগুলির মতো উদীয়মান ক্ষেত্র্রগুলির মধ্যে ব্যবধানের সেতুবন্ধন করে। ভারতীয় কর্মশক্তি বাড়ছে, দেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে। কর্মসংস্থানের ফাঁকগুলি মোকাবিলার জন্য কৌশলগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ভারত তার তরুণ শ্রমশক্তিকে সংযুক্ত করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে, যা নিশ্চিত করবে যে এর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি টেকসই এবং সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক।
(দ্রষ্টব্য - আরও বিশদ বিশ্লেষণের জন্য, অনুগ্রহ করে দেখুন - আর্য রায় বর্ধন, দেবস্মিতা সরকার, সৌম্য ভৌমিক এবং নীলাঞ্জন ঘোষ, ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট আউটলুক ২০৩০: নেভিগেটিং সেক্টরাল ট্রেন্ডস অ্যান্ড কম্পিটেন্সি, এপ্রিল ২০২৪, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।)
আর্য রায় বর্ধন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন গবেষণা সহকারী।
দেবস্মিতা সরকার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির একজন জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.