ভারত ইজরায়েলের সঙ্গে তার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর উদযাপনের সময় তার কৃষি উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে৷ এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে ভারতের জন্য বিদেশি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকলস ও জল প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ইন্দো–ইজরায়েল সহযোগিতা ভারতকে তার কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে।
কৃষি ভারতের মোট আভ্যন্তর উৎপাদনে (জিডিপি) ১৮.৩ শতাংশ অবদান রাখে, এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও এটি এখনও দেশের বৃহত্তম কর্মসংস্থান প্রদানকারী। প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক সমীক্ষা (২০২২–২৩) বলেছে যে ২০২১–২২ সালে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি সত্ত্বেও জলবায়ু ঝুঁকি, খণ্ডিত জমি, যান্ত্রিকীকরণের নিম্ন মাত্রা, এবং ক্রমবর্ধমান চাষের খরচের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা কৃষির একটি পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। নিচের লেখচিত্রটি ২০২০–২১ সালের ৪.১ শতাংশ থেকে ২০২২–২৩ সালে ৩.৩ শতাংশ কৃষি জিভিও (মোট মূল্য সংযোজন) বার্ষিক বৃদ্ধির হ্রাস দেখায়।
ভারতীয় খামারগুলি পঙ্গপালের আক্রমণের শিকার হয়েছে, এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি বর্তমানে শ্রমিকের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে, যার ফলস্বরূপ কৃষকেরা তাঁদের ফসল বৃদ্ধি বা ফসল তুলতে অক্ষমতার সম্মুখীন হচ্ছেন। উপরন্তু, কৃষকেরা ক্রমবর্ধমান ইনপুট খরচের কারণে গ্রামীণ আয় হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ড্রোন প্রযুক্তি
মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) বা ড্রোন প্রযুক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আরও প্রাপ্তিযোগ্য ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে। ক্রমবর্ধমান দূরপাল্লার ক্ষমতা, সহনশীলতা ও প্রয়োগ সেগুলির অসামরিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার অপরিহার্য করে তোলে। কৃষিতে ড্রোনগুলি বড় খামারগুলিতে সার স্প্রে করা এবং কৃষি জমির মানচিত্রায়ন করার মতো পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে।
মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকলস ও জল প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ইন্দো–ইজরায়েল সহযোগিতা ভারতকে তার কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে।
ভারতে ড্রোন ফসলের ক্ষতির মূল্যায়ন করে, কীটনাশক ও সার স্প্রে করে এবং পঙ্গপালের আক্রমণ মোকাবিলা করে। উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে স্প্রে করার পদ্ধতি বা সেন্সর সহ একটি ড্রোন বসানো পুরো শস্য চক্রকে সাহায্য করতে পারে — বীজ বপন থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত। একটি কৃষি ড্রোনের জলধারণ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে ৩ লক্ষ থেকে ১১.৫ লক্ষ ভারতীয় রুপি খরচ হয়৷
ভারত ও ইজরায়েল ভারতীয় কৃষিতে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার সক্ষম করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারে, কারণ ড্রোন কৃষকদের জমির বিশাল এলাকা দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে দেখে এসে তথ্য সরবরাহ করতে পারে। ইজরায়েলি সংস্থা টেভেলের একটি পাইলট প্রকল্প আপেল তোলার মতো সময়সাপেক্ষ ও শ্রমনিবিড় কাজ সম্পাদন করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা শ্রমের অভাবের সম্মুখীন ভারতীয় খামারগুলির জন্য আদর্শ হতে পারে। ২০২২ সালে চেন্নাইভিত্তিক একটি ড্রোন স্টার্টআপ গরুড় অ্যারোস্পেস ইজরায়েলের এলবিট সিস্টেমের সঙ্গে একটি সমঝোতাপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে স্বামীত্ব প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় গ্রামগুলিতে বড় আকারের সমীক্ষা ও মানচিত্রায়নের জন্য স্কাইল্যার্ক ৩ ড্রোন তৈরি করতে।
যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হল ভারতীয় ড্রোন বাস্তুতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত্তি, তাই ভারত ও ইজরায়েল নিজেদের দক্ষতা ব্যবহার করে এমন ডিজাইন তৈরি করতে পারে যা শ্রমনির্ভরতা কমায় এবং প্রক্রিয়াগুলিকে ত্বরান্বিত করে। এই সিস্টেমগুলি পড প্ল্যান্টিংয়ে বীজ রোপণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেখানে এআই–চালিত ড্রোনগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত মাটির প্যাচগুলিতে উদ্ভিদের পুষ্টি ও বীজ সমন্বিত শুঁটি বর্ষণ করে। আরও পরিশীলিত এআই–বিশিষ্ট ড্রোনগুলি তাপীয়, মাল্টি–স্পেকট্রাল বা হাইপার–স্পেকট্রাল সেন্সর ব্যবহার করে আর্দ্রতার ঘাটতি সনাক্ত করতে পারে, এবং শুধুমাত্র সেই জায়গাগুলিতে নির্ভুলভাবে সেচের ব্যবস্থা করতে পারে।
ক্রমবর্ধমান দূরপাল্লার ক্ষমতা, সহনশীলতা ও প্রয়োগ সেগুলির অসামরিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার অপরিহার্য করে তোলে।
এআই–চালিত ড্রোনগুলিতে লাইডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং) সেন্সর যুক্ত করা হলে সেগুলি কৃষকদের কাঠ (টিম্বার) বা আখের উৎপাদন অনুমান করতে সক্ষম করতে পারে। ইন্দো–ইজরায়েল গবেষণা সহযোগিতা দ্রুত মাটি বিশ্লেষণ করার জন্য এআই–সক্ষম সফটওয়্যার তৈরিতে ফোকাস করতে পারে। এই প্রযুক্তি সঠিক ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবে যা রোপণ, পরিকল্পনা, সেচ এবং নাইট্রোজেনের মাত্রা অনুমান করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং তা কৃষকদের সর্বোত্তম ফলন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সারের ইনপুট পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে।
ড্রোন প্রযুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সহযোগিতা ভারতকে কৃষিতে নিম্ন যান্ত্রিকীকরণ স্তরের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। তাছাড়া এটি কৃষকদের আরও সচেতনভাবে উৎপাদনজনিত সিদ্ধান্ত নিতে ক্ষমতায়িত করবে, যার ফলে উন্নত মানের সঙ্গে ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, এবং ফলনের ব্যর্থতা হ্রাস পাবে। গড় ভারতীয় কৃষকের জন্য ড্রোনের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, ভারত সরকার ড্রোন কেনার জন্য ভর্তুকি দিয়ে তা মোকাবিলা করছে।
জল প্রযুক্তি
নীতি আয়োগ–এর ২০১৮ সালের একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে ৬০০ মিলিয়ন মানুষ চরম জলের সমস্যার সম্মুখীন। ভারতের ক্রমবর্ধমান অনিয়মিত বর্ষা এই চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সমস্যাটি জটিল হয়ে ওঠে সেই ধরনের গ্রামীণ পরিবারের উল্লেখযোগ্য শতাংশের কারণে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভর করে। ২০২২ সাল থেকে ভারতে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে এবং অল্প বৃষ্টিপাতের কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় সম্ভবত দাম বেশিই থাকবে। ফেব্রুয়ারিতে শহুরে ও গ্রামীণ এলাকার জন্য খাদ্যশস্যের মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। ভারতের বৃষ্টিনির্ভর কৃষির জন্য এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজন যা ফসলে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করে।
২০১৬ সালের ‘জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন সহযোগিতা’ সমঝোতা স্মারক চুক্তির অধীনে ইজরায়েলের সঙ্গে শক্তিশালী সহযোগিতা নতুন জল প্রযুক্তি ও শুষ্ক অঞ্চলে জল পরিবহণ করে এমন সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করে জল সংরক্ষণ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে পারে। ভারতীয় সংস্থাগুলি ও সরকারের প্রতিনিধিদল নিয়মিতভাবে ডাবলুএটিইসি (জল প্রযুক্তি ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলন) দ্বিবার্ষিক ইভেন্ট পরিদর্শন করে, যেখানে ইজরায়েলের জল ও শক্তিপ্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়। ২০১৯ সালে জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের ইজরায়েল সফর এই সহযোগিতাকে আরও বাড়িয়েছে।
ইন্দো–ইজরায়েল গবেষণা সহযোগিতা দ্রুত মাটি বিশ্লেষণ করার জন্য এআই–সক্ষম সফটওয়্যার তৈরিতে ফোকাস করতে পারে।
ইজরায়েলি জল সংস্থাগুলি ভারতে জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পরিকাঠামো প্রকল্প স্থাপন করেছে। ২০১৯ সালে একটি ইজরায়েলি ড্রিপ ইরিগেশন কোম্পানি মেটজার গ্রুপ ভারতের স্কিপার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হায়দরাবাদে একটি প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছে। পাম্প সেটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সেচের জন্য জলের ঘাটতি ভারতীয় কৃষকদের অনেক সময়ে ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কলা, আখ, তুলা ও ধানের মতো উচ্চমূল্যের ফসল চাষে ড্রিপ ইরিগেশন একটি পরিবর্তনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ জলনির্ভর সেই কৃষকদের জন্য যাঁরা ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হন। উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা গ্রামীণ আয় বৃদ্ধি করবে এবং ইনপুট খরচ কমবে।
ইজরায়েলের আইডিই টেকনোলজিস ভারতে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট তৈরি করছে, যা ভারতের গ্রামীণ উপকূলীয় অঞ্চলে জলের অভাবের সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। জামনগরে আইডিই–র তৈরি ভারতের বৃহত্তম ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের ক্ষমতা দৈনিক ১৬০,০০০ ঘনমিটার। এই প্ল্যান্টগুলি আন্তঃরাজ্য জল বিরোধের সমাধান করতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে।
যাই হোক, পুঁজিনিবিড় ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টগুলি গ্রামীণ ভৌগোলিক অঞ্চলে কার্যকর নাও হতে পারে। এখানে বায়ুমণ্ডলীয় জল জেনারেটর (এডাবলুজি) বায়ুর আর্দ্রতাকে পানীয় জলে রূপান্তরিত করে একটি খরচ–সাশ্রয়ী বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। ইজরায়েলের ওয়াটারজেন ও ভারতের এসএমভি জয়পুরিয়া গ্রুপের ২০২২ যৌথ উদ্যোগ আগামী তিন বছরে একটি উৎপাদন কারখানা সহ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে জল থেকে বায়ু প্রযুক্তি তৈরি করতে চায়।
ভারতের ড্রোন শিল্প ইতিবাচক নিয়ামক পরিবর্তনের সাক্ষী হলেও এখনও লিথিয়াম–আয়ন ও লিথিয়াম–পলিমার ব্যাটারির উচ্চ খরচ এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতার অভাবের ভুক্তভোগী।
জল প্রযুক্তি নির্মাণে ইজরায়েলি ও ভারতীয় কোম্পানিগুলির মধ্যে যৌথ উদ্যোগগুলি পানীয় ও কৃষির জন্য ভারতের জলের প্রয়োজন সম্ভাব্যভাবে সমাধান করতে পারে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করার সময় জল সহযোগিতা ভারতের জন্য তার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা বিকাশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা করতে পারে।
সামনের পথ
২০২৩ সালের মে মাসে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজ জল সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিতে যৌথ গবেষণার জন্য একটি ‘ইন্ডিয়া–ইজরায়েল সেন্টার অফ ওয়াটার টেকনোলজি’ তৈরি করতে ইজরায়েলের সঙ্গে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে। এটি মানব সক্ষমতা তৈরি করার লক্ষ্যে ভারতীয় প্রয়োজনীয়তার জন্য উপযুক্ত ইজরায়েলের সর্বোত্তম প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় এবং ভারতের জল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই প্রযুক্তির বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা নিতে চায়।।
ভারতের ড্রোন শিল্প ইতিবাচক নিয়ামক পরিবর্তনের সাক্ষী হলেও এখনও লিথিয়াম–আয়ন ও লিথিয়াম–পলিমার ব্যাটারির উচ্চ খরচ এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতার অভাবের ভুক্তভোগী। ড্রোন পাইলটদের প্রশিক্ষণ এবং ড্রোন ডিজাইন ও তৈরির ক্ষেত্রে ভারত–ইজরায়েল সহযোগিতা এই স্থানটিতে প্রতিভার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যেকার ব্যবধানের সমাধান করতে পারে। ড্রোন আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতে উপাদান প্রস্তুতকারকদের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। কৃষিতে ড্রোন গ্রহণ তিন বছরে ১০০,০০০ কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ও যৌথ উদ্যোগ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ভারতের যুবাদের উপকৃত করতে পারে। ভারতীয় তরুণ–তরুণীরা আরও ভাল প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করবে এবং ভারতের জল ও খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধানগুলি কীভাবে বিকাশ করতে হবে তা জানবে।
কনিষ্ক শেঠি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ইন্টার্ন
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.