-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
২০২৩ সালের শেষের দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মলদ্বীপে তাদের প্রথম দূতাবাস স্থাপন করে। একই বছর অস্ট্রেলিয়াও উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে একটি ছোট কিন্তু ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক বাহিনীতে যোগ দেয়, যার মধ্যে সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চিন, জাপান এবং সৌদি আরব অন্তর্ভুক্ত।
এর উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক ছিল না। পর্যটননির্ভর মলদ্বীপের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া উভয়ের সঙ্গেই অর্থনৈতিক ও মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। বরং এই পদক্ষেপটি বৃহত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। এর পাশাপাশি এই পদক্ষেপটি আসলে এই বিষয়টিকেও স্বীকৃতি দেয় যে, বৈশ্বিক সশক্তির মতোই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলি এই অঞ্চল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে কৌশলগত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরগুলিতে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের আকার কেমন হবে, তা আংশিক ভাবে নির্ভর করবে কে সেই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং কীভাবে এই সম্পৃক্ততা গড়ে উঠছে, তার উপর।
ভারত মহাসাগর: এই অঞ্চলে কোন কোন দেশ সম্পৃক্ত এবং কোন কোন দেশ আক্ষরিক অর্থেই অঞ্চলটি নিয়ে চিন্তিত?
ভারত মহাসাগর অঞ্চল অসাধারণ রকমের বৈচিত্র্যপূর্ণ। বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ (২.৭ বিলিয়ন মানুষ) এই অঞ্চলে বসবাস করে। এই অঞ্চলে রয়েছে ২৩টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফ্রান্সের মতো বিশ্ব অর্থনীতি থেকে শুরু করে মরিশাস ও সেশেলসের মতো ছোট দ্বীপরাষ্ট্র এবং ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো ভঙ্গুর রাষ্ট্র। এই অঞ্চলেই রয়েছে বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেন বা জাহাজ চলাচলের পথ এবং অনিশ্চিত চোকপয়েন্ট। এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ কন্টেনার ট্রাফিক ও বিশ্বব্যাপী তেল চালানের দুই-তৃতীয়াংশ বাহিত হয়।(১) এই সব কিছুই অনেক দেশের কাছে অঞ্চলটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে, বিশেষ করে চিনের কাছে অবশ্যই। কারণ চিন তার তেল ও এলএনজির ৮০ শতাংশ ভারত মহাসাগরের একটি বটলনেক অর্থাৎ মালাক্কা প্রণালী দিয়েই আমদানি করে।(২)
তা সত্ত্বেও চিরাচরিত ভাবে এই অঞ্চলটি খুব কমই আন্তর্জাতিক মনোযোগ পেয়েছে। তবে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের উপর হুতি বিদ্রোহীদের ধারাবাহিক আক্রমণের দরুন ভারত মহাসাগরের বৈশ্বিক তাৎপর্যই শুধু বৃদ্ধি পায়নি, বরং এই অঞ্চলটির ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক বিভাজনও স্পষ্ট হয়েছে। সেই সময় থেকে ১০০টিরও বেশি আক্রমণের পর বেশিরভাগ জাহাজ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশে ব্যয়বহুল পথ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে ইরানি, চিনা ও রুশ জাহাজগুলি লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে অবাধে যাতায়াত করে চলেছে।(৩)
ভারত মহাসাগরে বহিরাগত শক্তিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এই অঞ্চলে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। এর আগে ভারত এবং ফ্রান্স ছিল প্রভাবশালী শক্তি। ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্য ভারত মহাসাগরে দিয়েগো গার্সিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটি বজায় রেখেছে(ক) এবং ভারত দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এই অঞ্চলের নেট নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসেবে মনে করে আসছে।(৪) ২০১৫ সালের জাতীয় সামুদ্রিক কৌশলে এটি সমগ্র ভারত মহাসাগরকে (পূর্ব আফ্রিকা থেকে লম্বক প্রণালী পর্যন্ত) তার ‘আগ্রহের প্রাথমিক ক্ষেত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এই অঞ্চল জুড়ে প্রায় ১৫০টি জাহাজ ও ডুবোজাহাজের একটি নৌবাহিনী রয়েছে।(৫) ইতিমধ্যে, ফ্রান্স - রিইউনিয়ন ও মায়োটে উপনিবেশ থাকার দরুন একটি ভারত মহাসাগরীয় দেশ হয়ে উঠেছে - পশ্চিম ভারত মহাসাগরে ব্যাপক ভাবে নিযুক্ত রয়েছে, যেখানে দেশটি বার্ষিক প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক উল্লেখযোগ্য সাহায্য দাতা। ফ্রান্স রিইউনিয়নে ২,০০০ কর্মীর একটি আবাসিক সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখে চলেছে।(৬)
গত দেড় দশক ধরে আরও অনেক দেশ বাণিজ্যের সুযোগ, কৌশলগত সহায়তা অর্জন ও সামুদ্রিক যোগাযোগের শৃঙ্খলে প্রবেশাধিকার বজায় রাখার জন্য ভারত মহাসাগরের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপান (একটি প্রধান উন্নয়ন অংশীদার), তুরস্ক (সোমালিয়ায় একটি বন্দরে অর্থায়ন করে এবং মলদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা-সহ তার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করে)(৭) এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (উভয় দেশই সাহায্য ও বাণিজ্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, এর পাশাপাশি কোমোরোস ও মলদ্বীপের মতো ইসলামি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে)।(৮) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তার উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে এবং ২০২৩ সালে সেশেলস-এ তার দূতাবাস পুনরায় খুলেছে।(খ) এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মলদ্বীপে নতুন সংযোগ স্থাপন করেছে এবং ২০২৪ সালে কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় বিল অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ওশান স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ অ্যাক্ট পেশ করেছে, যা এই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থ নিরীক্ষণ করার জন্য গৃহীত এবং দ্বীপরাষ্ট্রগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে চিহ্নিত করে।(৯)
রাশিয়াও নিজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছ। ২০২০ সালে রাশিয়া সুদানে একটি বন্দর প্রতিষ্ঠা করে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। কিছু বিশ্লেষক এই অঞ্চলে ফরাসি-বিরোধী মনোভাবের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেছেন।(১০) গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী ভিক্টর বাউট (বর্তমানে রাশিয়ার রাজ্য সংসদের সদস্য) ২০২৪ সালের শেষের দিকে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহের জন্য আলোচনায় বসেছিলেন, যে বিষয়টি অবশ্য ক্রেমলিন অস্বীকার করেছে।(১১)
ভারত মহাসাগরে চিনের পদক্ষেপ
এই অঞ্চলে অবস্থানকারী সকল দেশের মধ্যে, চিনই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং তার সম্পৃক্ততার মাত্রা বন্দর, যোগাযোগ ও নিরাপত্তা সব ক্ষেত্র জুড়েই বিদ্যমান।
মাত্রাগত ভাবে চিনের তুলনা অন্য কোনও অংশীদারের সঙ্গেই চলে না। ভারত মহাসাগরের প্রতিটি দেশে (সমস্ত দ্বীপরাষ্ট্রের মধ্যেই, চিনই একমাত্র দেশ যারা এটি করেছে), সমস্ত আঞ্চলিক সংস্থার সদস্য বা পর্যবেক্ষক (ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন-সহ) এবং এই অঞ্চলের প্রায় সকল দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদারদের অন্যতম হল চিন। বন্দর ও যোগাযোগ অবকাঠামোতে চিনের বিনিয়োগ ভবিষ্যতের যে কোনও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। চিন ২০১৬ সালে জিবুতিতে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে (যা যে কোনও সময়ে ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণায়মান তিন থেকে আটটি চিনা যুদ্ধজাহাজকে সমর্থন জোগাতে সক্ষম) এবং ভারত মহাসাগরের তীরে ১৭টি বন্দরে বিনিয়োগ করেছে বা নির্মাণ করেছে (পাকিস্তানের গোয়াদর এবং শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা সবচেয়ে সুপরিচিত হলেও জিবুতি, মাদাগাস্কার, কেনিয়া ও তানজানিয়ায় ছোট প্রকল্পগুলিও অন্তর্ভুক্ত)।(১২) হুয়াইয়ের মাধ্যমে চিন সেশেলস, কোমোরোস, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও অন্যান্য দেশে সমুদ্রের তলদেশের মাধ্যমে কেবল সরবরাহ করেছে, যা চিনকে তথ্য পেতে সাহায্য করে।
সাম্প্রতিক সময়ে চিনের নজরদারি জাহাজগুলি ভারত মহাসাগরে, বিশেষ করে বিতর্কিত সেই বঙ্গোপসাগরে তাদের সমুদ্র মানচিত্র অনুশীলনের মাত্রা বাড়িয়েছে, যেখানে ভারতীয় পারমাণবিক ডুবোজাহাজগুলি কাজ করে।(১৩) এ ছাড়াও চিন এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। মলদ্বীপের সঙ্গে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা চুক্তি থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ‘দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রচার’ করার জন্য শ্রীলঙ্কায় একটি সামরিক প্রতিনিধিদল পাঠানো কিংবা ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সামরিক মহড়া পর্যন্ত… চিন সর্বত্রই সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে।(১৪)
নিশ্চিত ভাবেই চিন ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নেট নিরাপত্তা প্রদানকারী হিসাবে ভারতকে প্রতিস্থাপন করেনি। তা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে কিন্তু ধারাবাহিক গঠন নয়াদিল্লি ও অন্যদের চিন্তার কারণ হয়েছে। কারণ এটি একটি অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যের ভঙ্গুরতাকেই দর্শায়।
ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের শক্তিশালী উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলির দৃষ্টিভঙ্গি ও চাহিদার প্রতি কম মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পছন্দ এই অঞ্চলের গতিপথের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, অর্থনৈতিক দুর্বলতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ঝুঁকি এবং সুবিশাল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারণে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, মরিশাসে (যার জনসংখ্যা ১.২ মিলিয়ন) প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার সমুদ্র রয়েছে। নিকটবর্তী প্রতিবেশী ভারত এই অঞ্চলের দ্বিগুণ অর্থাৎ ২.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার তত্ত্বাবধান করে। তবে ভারতের কাছে রয়েছে সুবিশাল মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক সম্পদ। এই ধরনের ক্ষেত্রে ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির জন্য সর্বোত্তম বিকল্প হল সাহায্য চাওয়া।
তবে ছোট রাষ্ট্রগুলি একেবারে নিষ্ক্রিয়ও নয়। অসম হলেও তাদের কিছু ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা কার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং কোন দ্বীপরাষ্ট্র কী সুযোগ পায় (বিশেষ করে বন্দর এবং লজিস্টিক সুবিধা), তার উপরে নির্ভর করে এই ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিছু রাষ্ট্রের অন্যদের তুলনায় বেশি বিকল্প রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তুলনামূলক ভাবে উন্নত মরিশাসের ভারত ও অন্য অনেক দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব রয়েছে। কোমোরোসের বিকল্প অবশ্য অনেক কম। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রায় ২০টি অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছে। কিছু অভ্যুত্থান সফল হয়েছে এবং কিছু ব্যর্থ। বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রস্তুত করার অভিযোগও উঠেছে। সেই দ্বীপরাষ্ট্র কোমোরোসে চিনই হল শীর্ষস্থানীয় ঋণদাতা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতা।(১৫)
দ্বিতীয়ত, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট রাষ্ট্রগুলির জোটনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারও তীব্রতর হবে। তবে জোটনিরপেক্ষতা যেভাবে প্রকাশ করা হয় তা সর্বদা বৃহত্তর রাষ্ট্রগুলির পছন্দের হবে না। সুতরাং, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কিছু দেশ ইউক্রেনের বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোটদান করা থেকে বিরত ছিল এই কারণে যে, এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত যেখানে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।(১গ)(১৬)
ছোট রাষ্ট্রের সরকারগুলিও উদ্বিগ্ন জনগোষ্ঠীর তরফে আরও চাপের মুখে পড়বে, যারা ক্রমবর্ধমান ভাবে তাদের দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তেরই ‘পক্ষ নেওয়া’র কথা ভাবে। সেশেলস যখন অপারেশন প্রসপারিটি গার্ডিয়ানে (লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ মোকাবিলার জন্য বহুদেশীয় প্রচেষ্টা) যোগদান করে, তখন তার সরকার দ্বীপের জনগণের ‘মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা’ হিসাবে বিবেচিত বিষয়গুলিতে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য জনসাধারণের তরফে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।(১৭) আগালেগা দ্বীপে ভারতকে একটি সামরিক স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া অর্থাৎ সার্বভৌম অঞ্চলে বৃহত্তর ক্ষমতার প্রবেশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মরিশাসের সরকারের সিদ্ধান্তও একই রকম প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল।(১৮)
তৃতীয়ত, এই অঞ্চলের ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলি তাই চিনকে হুমকি বলে মনে করে না। বরং তারা চিনকে কখনও কখনও ভাল পছন্দ বলেই মনে করে।(১৯) মলদ্বীপ এ হেন দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে, যেখানে ২০১৩ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে মলদ্বীপের সরকারগুলি ভারতপন্থী ও চিনপন্থী প্রেসিডেন্টদের নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত।(২০) ভারতও এই অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ ২০২৩ ও ২০২৪ সালে মলদ্বীপ ও বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচারে ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ‘ভারত তাড়াও’ প্রচারের ধুয়ো উঠেছিল এবং অতীতে শ্রীলঙ্কাতেও এই ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে।(২১) সেশেলস অ্যাসাম্পশন দ্বীপে নৌ ঘাঁটি স্থাপনের ভারতের প্রচেষ্টা ২০২০ সালে সেশেলস সরকার দ্বারা নস্যাৎ করা হয়েছিল।(২২) এমনকি মরিশাসেও - যেখানে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত - প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ বেশ কয়েক বছর ধরে সংসদে অতিরিক্ত ‘ভারতপন্থী’ হওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।(২৩)
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ভবিষ্যৎ এক দশক আগের তুলনায় অনেক বেশি অস্থির এবং অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আগের তুলনায় আরও স্থিতিশীল ও সমন্বিত সম্পৃক্ততার প্রয়োজন হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যদি এই ধরনের সম্পৃক্ততাকে কার্যকর হতে হয়, তা হলে এতে দ্বীপরাষ্ট্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক ক্ষেত্র সচেতনতা, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমন্বিতকরণ এবং মানব সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলি মোকাবিলা করতে হবে। ভারত, ফ্রান্স, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বৃহৎ শক্তিগুলি এই অঞ্চলে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তাই তারা সমন্বিত ইন্দো-প্যাসিফিক দ্বীপ কৌশল তৈরির কথা বিবেচনা করতে পারে। এমনটা করার ক্ষেত্রে, ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির কণ্ঠস্বরকেও মন দিয়ে শুনতে হবে ও আলোচনার কেন্দ্রে তুলে ধরতে হবে।
এই কাজ অবশ্যই সহজ হবে না। দুর্বল আঞ্চলিক কাঠামোর পাশাপাশি অঞ্চলের বৈচিত্র্য ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার বিষয়টিকে কঠিন করে তোলে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের প্রেক্ষাপটে বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিদ্যমান সহযোগিতার অভ্যাস ভারত মহাসাগরের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। কিন্তু নিষ্ক্রিয় থাকার মূল্য নেহাত কম নয়। ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিনিয়োগকারী দেশগুলির জন্য (অঞ্চলের ভিতর এবং বাইরে উভয় দিক থেকেই) ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলির কথা আরও নিবিড় ভাবে শোনা অত্যন্ত জরুরি।
পাদটিকা
ক) সামরিক ঘাঁটিটি মরিশাস এবং সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সার্বভৌমত্ব বিরোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬৫ সালে ঠান্ডা লড়াই তুঙ্গে থাকাকালীন সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মরিশাসের স্বাধীনতা অর্জনের তিন বছর আগে চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে তার তৎকালীন উপনিবেশ মরিশাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে। সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল রাখে এবং বলপূর্বক চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে মরিশাস ও সেশেলস থেকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি পোলারিস পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের উপর ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ের বিনিময়ে দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে লিজ দেয়। আগামী বছরগুলিতে দিয়েগো গার্সিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক সম্পদ হয়ে ওঠে। এটি ভারত মহাসাগরে বিদ্যুৎ প্রক্ষেপণের জন্য অপরিহার্য এবং ৯/১১-এর পর আফগানিস্তান ও ইরাক-সহ মধ্যপ্রাচ্যে অভিযানের জন্য একটি মঞ্চস্থল। ২০২৪ সালের শেষের দিকে সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং মরিশাস সরকার চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে মরিশাসে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছয় যে, সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র আরও ৯৯ বছরের জন্য দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপের উপর মরিশাসের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করবে। কিন্তু মার্কিন নির্বাচনের পর সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে, নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বিষয়টি বিবেচনা করার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বিলম্ব করবে।
খ) ১৯৯৬ সালে সেশেলসের মূল মার্কিন দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে একটি মার্কিন বিমান বাহিনী স্যাটেলাইট কন্ট্রোল নেটওয়ার্ক ট্র্যাকিং স্টেশন (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শাটল অপারেশনে সহায়তাকারী ন’টি বিশ্বব্যাপী ট্র্যাকিং স্টেশনের মধ্যে একটি) বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী ২৭ বছর ধরে সেশেলসের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক মরিশাসের দূতাবাস থেকে পরিচালিত হয়েছিল।
১গ) এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ভারত।
১) অনারেবল পেনি ওং, ‘কিনোট অ্যাড্রেস টু দ্য সেভেন্থ ইন্ডিয়ান ওশন কনফারেন্স’, পার্থ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, https://www.foreignminister.gov.au/minister/penny-wong/speech/keynote-address-7th-indianocean- conference
২) চেন আইঝু এবং মেং মেন, ‘চায়না ক্রুড অয়েল ইমপোর্টস শ্যাটার রেকর্ড, টপ ইউএস ইনটেক’, রয়টার্স, এপ্রিল ১২, ২০১৭, https://www.reuters.com/article/china-economy-trade-crude-idUSL3N1HK1DG?rpc=401&.
৩) ‘ইয়েমেন’স হুতিস রিলিজ ক্রু অফ সিজড শিপ আফটার গাজা সিজফায়ার ডিল’, আল জাজিরা, জানুয়ারি ২২, ২০২৫, https://www.aljazeera.com/news/2025/1/22/yemens-houthis-release-crew-of-seized-ship-aftergaza- ceasefire-deal
৪) কেট ও’শনেসি, ‘দি ইউকে ডিল অন দিয়েগো গার্সিয়া ইজ পজিটিভ, বাট ইট ওন্ট রিভার্স ডিক্লাইনিং সাপোর্ট ফর দ্য রুলস-বেসড অর্ডার’, দি ইন্টারপ্রেটার, অক্টোবর ৮, ২০২৪, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/uk-deal-diego-garcia-positive-it-won-t-reversedeclining- support-rules-based-order; ‘ইউকে স্টলস চাগোস আইল্যান্ডস ডিল আনটিল ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্যান ‘কনসিডার ডিটেল’, দ্য গার্ডিয়ান, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, https://www.theguardian.com/world/2025/jan/15/uk-chagos-islands-handover-mauritius-donaldtrump- diego-garcia.
৫) মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ‘হোয়াট আর দ্য কারেন্ট ফোর্স লেভেলস অফ দি ইন্ডিয়ান নেভি?’ https://mod.gov.in/faqs/q-1-what-are-current-force-levels-indian-navy-what-are-ongoing-projectswhat- steps-are-being
৬) হিউ পাইপার এবং কেট ও’শনেসি, ‘হাউ অস্ট্রেলিয়া ক্যান ওয়ার্ক উইথ ফ্রান্স ইন দি ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওশান’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, জুলাই ১২, ২০২৩, https://www.aspistrategist.org.au/how-australia-can-work-with-france-in-the-western-indianocean/; ‘ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন প্রোফাইলস’, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’, জুন ১৭, ২০২৪, https://www.oecd.org/en/publications/2023/06/development-co-operation-profiles_17afa013/fullreport/ component-20.html#section-d1e14956-9f6d40b786
৭) চিউক উই কোং, ‘টার্কিস ইনফ্লুয়েন্স গ্রোজ ইস্টওয়ে। দ্যাটস ওয়েলকাম’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, এপ্রিল ২২, ২০২৪, https://www.aspistrategist.org.au/turkeys-influence-grows-eastwards-thats-welcome/
৮) দর্শনা এম বড়ুয়া, নিত্য লাভ এবং জেসিকা গ্রিলি, ‘ম্যাপিং দি ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন’, কার্নেগি এনডাওমেন্ট, জুন ১৫, ২০২৩, https://carnegieendowment.org/research/2023/06/mapping-the-indian-ocean-region?lang=en
৯) নীলান্থি সমরনায়েকে, ‘কানেক্টিং ওয়েস্ট অ্যান্ড ইস্ট – ইন্ডিয়ান ওশান সিকিউরিটি অ্যান্ড দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’, এশিয়া প্যাসিফিক বুলেটিন, অক্টোবর ১৮, ২০২৪, https://www.eastwestcenter.org/publications/connecting-west-and-east-indian-ocean-security-andus- indo-pacific-strategy; রায়ান অ্যাডেলিন, ‘সেশেলেস – ইন্ডিয়ান ওশান সিকিউরিটি অ্যান্ড দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’, ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪, https://www.eastwestcenter.org/publications/seychelles-indian-ocean-security-and-us-indo-pacificstrategy.
১০) বড়ুয়া, লাভ এবং গ্রিলি, ‘ম্যাপিং দি ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন’; এলিজাবেথ ব্র, ‘রাশিয়াজ মোস্ট ইনফেমাস আর্মস ডিলার ইজ ব্যাকিং মেরিটাইম টেরর’, ফরেন পলিসি, অক্টোবর ২২, ২০২৪, https://foreignpolicy.com/2024/10/22/russia-arms-dealer-viktor-bout-houthis-red-sea-yemen/; দানি মাদ্রিদ-মোরালস, হারমান ওয়াসেনমান, সইফুদ্দিন আহমেদ, ‘চাইনিজ অ্যান্ড রাশিয়ান ডিসইনফর্মেশন ফ্লারিশেস ইন সাম আফ্রিকান কান্ট্রিজ – অ্যান্টি-ইউএস সেন্টিমেন্ট হেল্পস ইট টেক হোল্ড’, দ্য কনভার্সেশন, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, https://theconversation.com/chinese-and-russian-disinformation-flourishes-in-some-africancountries- anti-us-sentiment-helps-it-take-hold-238101; ‘ম্যাপিং আ সার্জ অফ ডিসইনফর্মেশন ইন আফ্রিকা’, আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, মার্চ ১৩, ২০২৪, https://africacenter.org/spotlight/mapping-a-surge-of-disinformation-in-africa/; ফ্রেডেরিক গ্রেয়ার, ‘রাশিয়া, আজারবাইজান এক্সপ্লয়েট নিউ ক্যালেডোনিয়ান স্ট্রাইফ এগেনস্ট ফ্রান্স; চায়না স্টেজ মাম’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, জুন ১২, ২০২৪, https://www.aspistrategist.org.au/russia-azerbaijan-exploit-new-caledonian-strife-against-francechina- stays-mum/
১১) ‘বাকু হোস্টস কনফারেন্স অন ‘রিইউনিয়ন্স ইন্ডিপেন্ডেন্স – ভিউ অন ফ্রা্নসেস কলোনিয়ান লেগ্যাসি অ্যান্ড পাথ টু সভেরনটি’, আজারবাইজান স্টেট নিউজ এজেন্সি, জানুয়ারি ২১, ২০২৫, https://azertag.az/en/xeber/baku_hosts_conference_on_reunion_039s_independence_view_on_ france_039s_colonial_legacy_and_path_to_sovereignty-3381679
১২) বেঞ্জামিন রেলি এবং পিটার ডিন, ‘ইন্ডিয়ান ওশান সিকিউরিটি মিনস মোর উইল বি আস্কড অফ ইউএস অ্যালাইজ’, ইস্ট ওয়েস্ট বুলেটিন, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, https://www.eastwestcenter.org/publications/indian-ocean-security-means-more-will-be-asked-usallies; সইদুদ্দিন ফারিদি, ‘চায়নাজ পোর্টস ইন দি ইন্ডিয়ান ওশান’, গেটওয়ে হাউস, অগস্ট ১৯, ২০২১, https://www.gatewayhouse.in/chinas-ports-in-the-indian-ocean-region/.
১৩) কেট ও’শনেসি, ‘চায়নাজ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ওশান স্টেপ আপ’, অস্ট্রেলিয়ান আউটলুক, অক্টোবর ১৬, ২০২৩, https://www.internationalaffairs.org.au/australianoutlook/chinas-western-indian-ocean-step-up/; ডেভিভ ব্রিউস্টার, ‘ম্যাপিং দ্য ওশানস ইন দ্য নিউ ফ্রন্ট ইন দ্য ব্যাটল ফর ইনফ্লুয়েন্স ইন দি ইন্ডিয়ান ওশান’, দি ইন্টারপ্রেটার, মার্চ ২৭, ২০২৪, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/mapping-oceans-new-front-battle-influence-indianocean.
১৪) উইলিয়াম ইয়াং, ‘চায়না, ইন্ডিয়া কম্পিট ফর ইনফ্লুয়েন্স ইন ইন্ডিয়ান ওশান’, ভয়েস অফ আমেরিকা, মার্চ ১৯, ২০২৪, https://www.voanews.com/a/china-and-india-compete-for-influence-in-indian-ocean/7533717. html; ফ্রেডেরিক গ্রেয়ার, ‘হাসিনাজ ডাউনফল মে ক্রিয়েট নিউ অপারচুনিটিজ ইন বাংলাদেশ ফর চায়না’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, অগস্ট ১৩, ২০২৪, https://www.aspistrategist.org.au/hasinas-downfall-may-create-new-opportunities-in-bangladeshfor- china/.
১৫) সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক, ‘কোমোরোস’, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, https://www.cia.gov/the-world-factbook/countries/ comoros/; গ্লোরিয়া আরাদি, ‘কোমোরোস প্রেসিডেন্ট আজালি আসুমানি উইনস ফোর্থ টার্ম ইন ডিসপিউটেড পোল’, বিবিসি নিউজ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, https://www.bbc.com/news/world-africa-68002934; ডিরেকশন জেনেরালে দু ট্রেসর, ‘লা চিনে, প্রিমিয়ার বাইলিউর বাইল্যাটেরাল অক্স কোমোরোস’, chrome-extension://efaidnbmnnnibpcajpcglclefindmkaj/https:/www.tresor.economie.gouv.fr/ PagesInternationales/Pages/2d677a2f-f7a7-4236-9efd-c73c6207c6fa/files/73992267-e3eb-4442-9d67- 7777f2aed1ab.
১৬) ‘ইউএন টেলস রাশিয়া ও লিভ ইউক্রেন – হাউ ডিড কান্ট্রিজ ভোট?’ আল জাজিরা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, https://www.aljazeera.com/news/2023/2/24/un-tells-russia-to-leave-ukraine-how-did-countriesvote.
১৭) অ্যাডেলিন, ‘সেশেলেস – ইন্ডিয়ান ওশান সিকিউরিটি অ্যান্ড দি ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’
১৮) কেট ও’শনেসি, ‘ইন্ডিয়াজ ব্যাটল ওভার ডিসইনফর্মেশন ইন দি ইন্ডিয়ান ওশান’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, মে ৩, ২০২৩, https://www.aspistrategist.org.au/indias-battle-over-disinformation-in-the-indian-ocean/.
১৯) পিয়া ড্যানহিউর, ‘অস্ট্রেলিয়াজ স্ট্র্যাটেজিক মেসেজিং চ্যালেঞ্জ ইন সাউথইস্ট এশিয়া’, এশিয়ালিঙ্ক, নভেম্বর ২৮, ২০২৪, https://asialink.unimelb.edu.au/diplomacy/article/australias-strategic-messaging-challengesoutheast- asia/.
২০) ঊর্মিকা দেব, ‘মলদ্বীপস ওয়াকস আ ডিপ্লোমেটিক টাইটরোপ উইথ ইন্ডিয়া’, দ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, https://www.aspistrategist.org.au/maldives-walks-a-diplomatic-tightrope-with-india/.
২১) আতাউল্লা এ রশিদ, ‘ভোটারস ব্যাক মলদ্বীপস চেঞ্জ ইন ফরেন পলিসি’, দ্য ডিপ্লোম্যাট, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, https://thediplomat.com/2024/04/voters-back-maldives-change-in-foreign-policy/; ফইজ আহমেদ তায়েব, ‘অ্যান ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন গ্যাদারস পেস ইন বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া’, দ্য ডিপ্লোম্যাট, মার্চ ১৫, ২০২৪, https://thediplomat.com/2024/03/an-india-out-campaign-gathers-pace-in-bangladeshi-socialmedia/; ‘ইন্ডিয়া আউট কিকস অফ ইন শ্রীলঙ্কা?’, শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান, মে ৩, ২০২৪, https://slguardian.org/india-out-kicks-off-in-sri-lanka/; অশোক কে বেহুরিয়া, ‘ভিজিট অফ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট টু ইন্ডিয়া – ইস্যুজ অ্যাট স্টেক’, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, https://www.icpsnet.org/issuebrief/Visit-of-Sri-Lankan-President-to-India.
২২) অ্যাশটন রবিনসন, ‘সেশেলেস – ওয়াশিংটন কামস কলিং’, দি ইন্টারপ্রেটার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, https://www.lowyinstitute.org/the-interpreter/seychelles-washington-comes-calling.
২৩) কবিনা রামপ্রসাদ, ‘প্রবিন্দ জুগ্নাউথ আ রেজা উতিম – হোয়াট হ্যাভ ইউ গট এগেনস্ট ইন্ডিয়া?’ ডেফি মিডিয়া, জুলাই ১৯, ২০২২, https://defimedia.info/pravind-jugnauth-reza-uteem-what-have-you-got-against-india.
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kate O’Shaughnessy is Research Director at the Perth USAsia Centre, and a former Australian diplomat. ...
Read More +