Published on Apr 13, 2023 Updated 0 Hours ago
অভিন্ন দুর্বলতা, বেঁচে থাকার অভিন্ন বাসনা: ভারত ও আফ্রিকা জলবায়ু কূটনীতি কাজে লাগাচ্ছে

এই প্রতিবেদনটি রাইসিনা এডিট ২০২৩ সিরিজের অংশ।


মাথাপিছু গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে কম এবং বর্তমানে মোট নিঃসরণের সামান্য অংশের জন্য দায়ী হলেও ভারত এবং আফ্রিকা এমন দু’টি অঞ্চল যারা জলবায়ু পরিবর্তনের বৈষম্যমূলক প্রভাব বহন করে চলেছে। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি)(১) ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে (এআর৬) সাবধান করা হয়েছে যে ভারত – যা বিশ্বের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের আবাসস্থল – আগামী দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একাধিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে৷ আফ্রিকা মহাদেশের আটটি দেশ ইতিমধ্যেই বিশ্বের সর্বাধিক অরক্ষিত দশটি দেশের তালিকার অন্তর্ভুক্ত।(২)

তবুও জলবায়ু একটি অভিন্ন সাধারণ বৈশ্বিক বিষয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমন একটি বিশ্বজনীন লক্ষ্য। বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রতিরোধ করার অভিন্ন দায়বদ্ধতা ক্রমাগত আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তনের কূটনীতিকে আকার দিয়েছে এবং চুক্তির জন্য প্রশমন, অভিযোজন ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত অর্থায়নের পথকে প্রশস্ত করেছে।(৩) প্রকৃতপক্ষে, জলবায়ু কূটনীতির বিবর্তন বিদ্যমান জলবায়ু প্রশাসন নির্মাণের পূর্ববর্তী সময়ে প্রকৃতি ও মানব অস্তিত্বের নিরিখে দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগের এক যৌক্তিক পরিণতি।(৪)(৫) সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি এবং সমাধান(৬) সংক্রান্ত একটি আলাপ-আলোচনা চালানোর জন্য নতুন নেটওয়ার্ক এবং পদ্ধতির উত্থান ঘটেছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বা আন্তর্জাতিক সৌরজোট (আইএসএ) এবং কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা দুর্যোগ প্রতিরোধী অবকাঠামো জোটের (সিডিআরআই) মতো বহু অংশীদারিত্বের বৈশ্বিক জোটগুলির সূচনা, যেগুলির কথা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে ভারত

জলবায়ু কূটনীতির প্রেক্ষিতে একটি দেশ কীভাবে অবস্থান বদল করতে পারে, ভারত তার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জলবায়ু দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে তার আগের সাবধানী, নব্য-ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকে সরে এসে সাম্প্রতিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ভারত আরও সক্রিয় এবং সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক মনোভাব দর্শিয়েছে। এক বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে নিজের ভূমিকা জোরদার করা এবং অংশীদার দেশগুলির মধ্যে তার প্রভাব বিস্তার করতে দেশটি কূটনীতি এবং স্থিতিশীল শক্তিতে বিনিয়োগের নিরিখে নিজের দায়িত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য একটি সহযোগিতামূলক কৌশল অবলম্বন করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রচেষ্টা উদীয়মান শক্তি বা উন্নয়নশীল বিশ্বের নতুন শিল্পোন্নত দেশগুলিকে একটি জোটের আওতায় সংগঠিত করার এক বহুপাক্ষিক সমাধান সূত্র খোঁজার বাইরেও প্রসারিত হয়েছে।(৭) ভারত তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ জোটের অংশীদার – ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং চিন (বেসিক); ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্রিকস) এবং গ্লোবাল সাউথের গ্রুপ অব ৭৭ (জি-৭৭)।(৮) বেসিক জোটটি কোপেনহেগেন এবং প্যারিস কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিজ (কপ)… উভয় ক্ষেত্রেই এক মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে ভারতকে চুক্তির খসড়া রূপকার হিসাবে স্বীকৃত দেওয়া হয়।(৯) কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড বা চুক্তির অভিযোজনের নেপথ্যে ছিল বেসিক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে ঘটা শেষ মুহূর্তের সমঝোতা।(১০)

আফ্রিকার ক্ষেত্রে মহাদেশের সব ক’টি দেশই জি৭৭-এর অংশ। গোষ্ঠীটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিকে তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক স্বার্থ প্রকাশ করার উপায় প্রদান করে, রাষ্ট্রপুঞ্জ ব্যবস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিষয়ে তাদের যৌথ আলোচনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং উন্নয়নের জন্য সাউথ-সাউথ সহযোগিতার প্রচার চালায়।(১১) ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের অধীনে ‘অভিন্ন অথচ পৃথগীকৃত দায়িত্বের’ নীতির উপর ভিত্তি করে জি৭৭ ও চিন জোট উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন করতে এবং ইতিমধ্যেই পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চিরাচরিতভাবে ধনী দেশগুলির কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছে।

২০২২ সাল থেকে কপ২৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত এক দৃঢ় অথচ সহযোগী শক্তির ভূমিকা পালন করে। লস অ্যান্ড ড্যামেজ বা ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের সূচনাকে স্বাগত জানিয়ে ভারত এ কথা স্পষ্ট করে যে, নিজের প্রাপ্য দাবির আবেদন জানালেও সে কোনও মতেই তহবিলটিতে অবদান রাখবে না। ভারতীয় প্রতিনিধিরা প্রস্তাব দেন, যেন সকল দেশই শুধুমাত্র কয়লা নয়, সব ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই পর্যায়ক্রমিকভাবে কমিয়ে আনে। বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার এবং সাম্যের আদর্শের পক্ষে সওয়াল তুলে ভারত শীর্ষ সম্মেলনটির মুখবন্ধতে ধনী দেশগুলির ‘প্রধান নিঃসরণকারী’ এবং ‘শীর্ষ নিঃসরণকারী’র মতো শব্দবন্ধ ব্যবহারের প্রচেষ্টাকে বাধা দান করেছে। এই পদক্ষেপ চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান দ্বারা সমর্থিত হয়। একই কনফারেন্স অব পার্টিজ-এ ভারত আইএসএ এবং সিডিয়ারআই-এর মতো মঞ্চগুলির মাধ্যমে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

আন্তর্জাতিক সৌরজোটের ঘটনা

ফ্রান্সের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের উপস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্যারিসের কপ২১ শীর্ষ সম্মেলনে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘এক বিশ্ব, এক সূর্য, এক গ্রিড’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সৌরজোটের (আইএসএ) সূচনার কথা ঘোষণা করেন। ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথভাবে আইএসএ গঠনের মাধ্যমে জলবায়ু কর্মসূচিতে এক প্রভাবশালী বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে ভারত তার উপস্থিতি সুদৃঢ় করে। ‘সানশাইন বেল্ট’-এর অন্তর্গত ক্রান্তীয় ও মকরক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবস্থিত দেশগুলির সদস্যপদ-সহ এক বহুদেশীয় অংশীদারিত্ব সংস্থা হিসেবে আইএসএ-র প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।(১২) রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর আইএসএ-কে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির তকমা দেয়। আইএসএ-কে সৌরশক্তি, নতুন প্রযুক্তির প্রচার এবং বৈশ্বিক শক্তি সমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নে সহযোগিতার এক মঞ্চ হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। এটির লক্ষ্য হল বৈশ্বিকভাবে ১০০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের জন্য ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ কাজে লাগানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দূষণমুক্ত শক্তিকে সাশ্রয়ী ও বিশ্বব্যাপী সুলভ করে তোলা।(১৩)

নয়াদিল্লিতে সদর দফতর হওয়ার সুবাদে আইএসএ আফ্রিকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলিতে ভারতীয় সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করেছে।(১৪) এটির লক্ষ্য হল উন্নততর শক্তি লভ্যতার অভিন্ন লক্ষ্যগুলিতে ইতিবাচক অবদান রাখা, বর্ধিত শক্তি নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নততর জীবিকার জন্য আরও বেশি সুযোগের প্রবিধান করা।(১৫)

আফ্রিকাকে প্রায়শই ‘সূর্য মহাদেশ’ বলে উল্লেখ করা হয়। এটি এমন এক মহাদেশ, যেখানে সৌর বিকিরণের পরিমাণ সর্বাধিক।(১৬) এটি ৩৭ ডিগ্রি উত্তর ও ৩২ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং মহাদেশটি এক বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ব্যাপ্ত, যা বিষুবরেখা এবং উভয় গ্রীষ্মমণ্ডলকে অতিক্রম করে। আফ্রিকার সৌরশক্তির সম্ভাবনা তর্কাতীতভাবে অসীম। তবুও অধিকাংশ আফ্রিকান দেশ এখনও তাদের কাছে উপলব্ধ অফুরান সৌরশক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি। এ কথা সন্দেহাতীত যে, গত দশকে ক্রমহ্রাসমান সৌরশক্তি উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে সৌরশক্তি আফ্রিকায় বিদ্যুতের সবচেয়ে সাশ্রয়ী উৎস হতে পারে।(১৭) মহাদেশটির সকল দেশই সৌরশক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনাসম্পন্ন এবং প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটার পরিসরে গড়ে ৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা (কেডব্লিউএইচ) সৌরশক্তি লভ্য।(১৮) শুধুমাত্র সাব সাহারান আফ্রিকার সকল দেশের সম্মিলিত সম্ভাব্য সৌরশক্তির পরিমাণ প্রায় ১০০০০ গিগাওয়াট।(১৯)

নয়াদিল্লিতে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম আইএসএস শীর্ষ সম্মেলনের হাত ধরে ভারত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ তহবিল আফ্রিকার দেশগুলির ১৭৯টি সৌর সম্পর্কিত প্রকল্পের জন্য ধার্য করা হয়েছে।(২০) আইএসএ সাহেল অঞ্চল জুড়ে ১০০০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সূচনা করেছে, যার লক্ষ্য হল ৬০০ মিলিয়ন আফ্রিকান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া, যাঁরা অফ-গ্রিড রয়েছেন।(২১)

স্কেলিং রেসিডেন্সিয়াল রুফটপ সোলার এবং স্কেলিং সোলার ই-মোবিলিটি অ্যান্ড স্টোরেজের মতো দু’টি অতিরিক্ত কর্মসূচি গৃহীত হতে চলেছে। সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে গৃহীত আইএসএ প্রকল্পগুলির মধ্যে সৌর পিভি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, মিনি গ্রিড এবং অফ গ্রিড উৎপাদনকেন্দ্র, সৌরশক্তিচালিত সেচ ব্যবস্থা, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুদয়ন, সড়কগুলিতে আলোর ব্যবস্থা, সৌরশক্তি সম্পর্কিত কোল্ড চেন ও শীতলীকরণ ব্যবস্থা এবং হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মতো সৌরশক্তিচালিত নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা। অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে মালিতে ৫০০ মেগাওয়াটসম্পন্ন সৌর উদ্যান, বুরকিনা ফাসো, উগান্ডা ও তানজানিয়াতে সৌরশক্তি ব্যবস্থা এবং সৌর আবাসন ব্যবস্থা, নাইজিরিয়ায় সৌরায়িত ও দক্ষ শীতল খাদ্য শৃঙ্খল নির্মাণ এবং সেনেগাল ও ঘানায় সৌরশক্তিচালিত আবাসন ও হিমাগার নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।(২২)

আফ্রিকায় আইএসএ-র উদ্যোগ ও কর্মসূচির একটি মূল্যায়ন জীবিকার সৃষ্টি, বর্ধিত আয়, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত উৎপাদনশীলতা, গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে স্থিতিশীল জীবনযাত্রা প্রদানে জোটটির গুরুত্বপূর্ণ অবদানকেই দর্শায়। সৌরশক্তির উন্নততর লভ্যতা স্থিতিশীল ব্যবহার এবং উৎপাদন সুনিশ্চিত করে এবং বনভূমি ও জমির ক্ষয় হ্রাস করে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখে।

আফ্রিকা মহাদেশে আইএসএ-র কর্মকাণ্ড দুই অঞ্চলের মধ্যে প্রাণবন্ত এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ককেই প্রতিফলিত করে, যার নেপথ্যে রয়েছে এক সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য।(২৩)(২৪) বিগত বছরগুলিতে ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ক রাজনৈতিক সংহতির সীমানা অতিক্রম করে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সহ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় প্রসারিত হয়েছে।(২৫)

২০১৮ সালের জুলাই মাসে কাম্পালায় উগান্ডার পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-আফ্রিকা সম্পৃক্ততার ১০টি নির্দেশক নীতির উল্লেখ করেন। আফ্রিকার জন্য এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারত-আফ্রিকা অংশীদারিত্বে ঐতিহাসিকভাবে সংজ্ঞায়িত নীতিগুলির ধারাবাহিকতার প্রতিনিধিত্ব করে।(২৬) এটির লক্ষ্য হল আফ্রিকার এজেন্ডা ২০৬৩-র সঙ্গে ভারতের উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করা এবং পারস্পরিক পুনরুত্থানে অনুপ্রেরণা জোগানো।(২৭)

ইন্ডিয়া-আফ্রিকা ফোরাম সামিট বা ভারত-আফ্রিকা ফোরাম সম্মেলনের (আইএএফএস) কাঠামোর অধীনে আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে একটি কাঠামোগত সম্পৃক্ততায় প্রবেশ করার ভারতের সিদ্ধান্ত ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ককে আরও বেশি প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছে। এ পর্যন্ত এই শীর্ষ সম্মেলনের চারটি সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছে — ২০০৮, ২০১১, ২০১৫ এবং ২০২০ সালে। এই শীর্ষ সম্মেলনগুলি বাণিজ্য শুল্কমুক্ত স্কিম, অনুদান ও ঋণের ছাড়পত্র, জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া, সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি, প্রযুক্তি স্থানান্তর-সহ বিনিয়োগের মাধ্যমে ভারত-আফ্রিকা সম্পৃক্ততাকে তীব্রতর করেছে। ভারতীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিশেষ কমনওয়েলথ আফ্রিকান সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ভারত আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে তার উন্নয়নমূলক অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছে।(২৮) ২০২১ সালে প্রায় ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত আফ্রিকার শীর্ষ পাঁচ বিনিয়োগকারীর অন্যতম হিসেবেও উঠে এসেছে।(২৯)

দুর্যোগ-প্রতিরোধী পরিকাঠামোর জন্য জোট

উষ্ণায়িত বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দুর্যোগ-প্রতিরোধী পরিকাঠামোর গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু কর্মসূচি সংক্রান্ত সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিডিআরআই চালু করেছিলেন। সিডিআরআই-এর আফ্রিকার সদস্য দেশগুলি হল ঘানা, মাদাগাস্কার, মরিশাস এবং দক্ষিণ সুদান।

আইএসএ-র মতো সিডিআরআই হল জলবায়ু কর্ম এবং দুর্যোগের স্থিতিস্থাপকতায় ভারতের বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকার একটি প্রদর্শন। সিডিআরআই হল দেশের সরকার, রাষ্ট্রপুঞ্জ সংস্থা এবং কর্মসূচি, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাঙ্ক ও অর্থায়ন ব্যবস্থা, বেসরকারি খাত ও জ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলির একটি বহু অংশীদারসম্পন্ন বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব। কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোর বিকাশ ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য বিদ্যমান পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে জ্ঞান বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সুবিধার্থে সিডিআরআই-কে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের অফিস সমর্থন জুগিয়েছে। এটি প্রশাসন ও নীতি, উদীয়মান প্রযুক্তি, ঝুঁকি শনাক্তকরণ ও অনুমান, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন, স্থিতিস্থাপকতার মান ও শংসাপত্র, অর্থ ও ক্ষমতা বিকাশের ক্ষেত্রগুলিকে আওতায় আনে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বড় হুমকির সম্মুখীন উন্নয়নশীল দেশ এবং দ্বীপ দেশগুলিতে দুর্যোগ সহনশীল পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সিডিআরআই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দুর্যোগ ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যাক্সিলারেটর ফান্ড (আইআরএএফ) নামে এই তহবিলটি কপ২৭-এ ঘোষণা করা হয়েছিল। আইআরএএফ সিডিআরআইকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে সক্ষম করবে, যার ফলে জনসংখ্যার দুর্বলতা এবং পরিকাঠামোয় চরম ঘটনা ও বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস পাবে।

সিডিআরআই তার সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষণ এবং প্রকল্পের সুবিধার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোকে সুনিশ্চিত করার জন্য সরকার, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করে। কর্মসূচিটির লক্ষ্য হল আরও কার্যকর ও স্থিতিশীল পরিকাঠামো ব্যবস্থা ও পরিষেবাগুলিকে সক্ষম করে সংগঠন ও সম্প্রদায়ের প্রক্রিয়া, সংস্থান ও দক্ষতা বিকাশ ও সশক্ত করা। আফ্রিকায় সিডিআরআই-এর সাম্প্রতিক সক্ষমতা উন্নয়ন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে: মরিশাসের অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও পরিকাঠামো পেশাদারদের সক্ষমতা উন্নয়নের প্রস্তাবের সুপারিশ; দেশের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় মরিশাসে পরিবহণ, টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য দ্রুত শিক্ষার প্রয়োজন মূল্যায়ন ও অধ্যয়ন; এবং এর পাশাপাশি মরিশাসের সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জন্য দুর্যোগ স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য একটি কোর্সের বিবরণ নির্মাণ এবং ভাগ করা। অন্যান্য সিডিআরআই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মরিশাসের স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামোর বিষয়ে পরামর্শ এবং দুর্যোগ-প্রতিরোধী পরিকাঠামো প্রকল্পে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়ে মাদাগাস্কার ও রোয়ান্ডা সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা।

উপসংহার

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানব জাতির অস্তিত্বগত ঝুঁকি ভারতের নেতৃত্বাধীন আইএসএ এবং সিডিআরআই-এর মতো বহু অংশীদারসম্পন্ন বৈশ্বিক অংশীদারি সংস্থাগুলির উত্থানের দিকে পরিচালিত করেছে। আইএসএ এবং সিডিআরআই উভয়েরই প্রতিষ্ঠা হল অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গঠন ও শক্তিশালী করার জন্য ভারতের প্রগতিশীল ও সহযোগিতামূলক জলবায়ু সম্পৃক্ততার একটি অন্যতম উদাহরণ। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে আফ্রিকার সরকারগুলির প্রতি সমর্থন জোগানো এবং তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব নয়াদিল্লির জন্য আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় কর্মসূচিগুলিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তার পরোক্ষ শক্তি প্রয়োগ করার পথ খুলে দেয়।

আফ্রিকায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মধ্যে সংযোগটি দ্বিমুখী এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন… উভয়ের জন্যই বিপুল সম্পদের প্রয়োজন। আফ্রিকা জুড়ে আইএসএ দ্বারা প্রভাবিত ক্ষেত্র থেকে জলবায়ু প্রশমন এবং লক্ষ লক্ষ আফ্রিকানদের স্থিতিশীল জীবিকার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাবগুলি অভিযোজনের বাইরেও প্রসারিত হয়েছে। মহাদেশে সিডিআরআই কার্যকলাপগুলি বিক্ষিপ্ত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশগুলির সক্ষমতায় তার সীমিত অবদান রয়েছে৷ আফ্রিকার জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং সে দেশের জনগণকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য জলবায়ু সহনশীল পরিকাঠামো প্রয়োজন। আফ্রিকা জুড়ে মূল অঞ্চলে জলবায়ু স্থিতিস্থাপক পরিকাঠামো বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে বার্ষিক প্রায় ১৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।(৩০) এটি আইএসএ-র প্রচেষ্টাকে পরিপূরক করে তোলার জন্য সিডিআরআই-এর উদ্যোগ এবং প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অভিন্ন অসামঞ্জস্যপূর্ণ দুর্বলতা ছাড়াও ভারত এবং আফ্রিকার অনেক সুবিধা রয়েছে, যাকে পারস্পরিক স্বার্থে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলির মধ্যে রয়েছে দুই দেশের উদ্ভাবনী যুব প্রজন্ম, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, সুবিশাল বাজার এবং বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। সামনের দিকে তাকালে বেজিংয়ের তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে আফ্রিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জলবায়ু কূটনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কার্যকরভাবে ভারত সরকারকে আফ্রিকার মেজাজ এবং পরিবর্তনগুলি উপলব্ধি করতে একগুচ্ছ পরোক্ষ শক্তির বাস্তবায়ন করতে হবে এবং একই সঙ্গে গ্লোবাল সাউথ – যা আফ্রিকার কেন্দ্রবিন্দু – তার স্বর হয়ে উঠতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উচ্চাভিলাষী নয়াদিল্লির কাছ থেকে আফ্রিকাকে আরও বেশি উপকৃত হতে গেলে আফ্রিকার নেতাদের অবশ্যই জলবায়ু কূটনীতির সঙ্গে ভারতের অভিজ্ঞতার গুণাগুণ অধ্যয়ন করতে হবে, শিখতে হবে এবং তার যোগ্যতার ভিত্তিতে নিজেদের তৈরি করতে হবে।


পাদটীকা

১) ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২২: ইমপ্যাক্টস, অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি’, কন্ট্রিবিউশন অফ ওয়ার্কিং গ্রুপ ২ টু দ্য সিক্সথ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট অব দি ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, জেনেভা, ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, ২০২২

২) রিচার্ড মারকনতোনিয়ো প্রমুখ, ‘গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড কোইনসিডেন্স অব পলিউশন, ক্লাইমেট ইমপ্যাক্টস, অ্যান্ড হেলথ রিস্ক ইন দি অ্যানথ্রোপোসিন’, পিএলওএস ওয়ান, ১৬ (২০২১): ই০২৫৪০৬০

৩) ওলুয়াসেন ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসিজ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’, দ্য রিপাবলিক, অগস্ট ১৬, ২০২১

৪) নিক মাবে প্রমুখ, ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – বিল্ডিং ডিপ্লোম্যাটিক ক্যাপাসিটি অ্যান্ড সিস্টেমস টু অ্যাভয়েড ডেঞ্জারাস ক্লাইমেট চেঞ্জ’, অক্টোবর ২০১৩, ই৩জি (থার্ড জেনারেশন এনভায়রনমেন্টালিজম)

৫) আনা রিতসোভা এবং দোব্রিঙ্কা চানকোভা, ‘ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – আ গ্রোয়িং ফরেন পলিসি চেঞ্জ’, জুরিডিক্যাল ট্রিবিউন ১০ (২০২০), ১৯৪-২০৬

৬) রিতসোভা এবং চানকোভা, ‘ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি – আ গ্রোয়িং ফরেন পলিসি চেঞ্জ’

৭) আমন ওয়াই ঠক্কর, ‘ইন্ডিয়া অ্যাট দি ইউনাইটেড নেশনস: অ্যান অ্যানালিসিস অফ ইন্ডিয়ান মাল্টিল্যাটেরাল স্ট্র্যাটেজিজ অন ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’, ওআরএফ অকেশনাল পেপার নম্বর ১৪৮, মার্চ ২০১৮, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

৮) রেণু মোদী এবং মীরা বেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’, ইন ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপস ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সম্পাদনা: আর মোদী এবং এম বেঙ্কটচলম (ক্যাম, প্যাল্গ্রেভ ম্যাকমিলান, ২০২১), ১-২২

৯) নভরোজ কে দুবাস, ‘অফ ম্যাপস অ্যান্ড কম্পাসেস: ইন্ডিয়া ইন মাল্টিল্যাটেরাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনস’, ইন শেপিং দি ইমার্জিং ওয়ার্ল্ড: ইন্ডিয়া অ্যান্ড মাল্টিল্যাটেরাল অর্ডার, সম্পাদনা: ওয়াহেগুরু পি এস সিধু প্রমুখ (ওয়াশিংটন, ডিসি: ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন প্রেস, ২০১৩), ২৬১

১০) ফিয়োনা হার্ভে এবং সুজান গোল্ডেনবার্গ, ‘দ্য কি প্লেয়ার্স অ্যাট দ্য প্যারিস ক্লাইমেট সামিট’, দ্য গার্ডিয়ান, ডিসেম্বর ৭, ২০১৫

১১) ডেভিড লেসোল, ‘দ্য গ্রুপ অব ৭৭ অ্যান্ড চায়নাজ পার্টিসিপেশন ইন ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশনস’, হাইনরিখ বল স্টিফটাং, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪

১২) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসিজ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’

১৩) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসিজ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’

১৪) মোদী এবং বেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’

১৫) ওগুনতুয়াসে, ‘হোয়াট দি আইপিসিসিজ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা’

১৬) জি বামুন্দেকর, ‘কন্ট্রিবিউশনস অব রিনিউয়েবল এনার্জি রিসোর্সেস টু সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন আফ্রিকা: কেস স্টাডি ফর সোলার এনার্জি সোর্স ইন রোয়ান্ডা’ (এমএসসি ডিসার্টেশন, প্যান আফ্রিকান ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড এনার্জি সায়েন্স, ২০১৯) পৃষ্ঠা ২

১৭) মণীশ রাম প্রমুখ, গ্লোবাল এনার্জি সিস্টেম বেসড অন ১০০% রিনিউয়েবল এনার্জি-পাওয়ার, হিট, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ডিস্যালিনেশন সেক্টর (বার্লিন: ল্যাপেনরান্তা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড এনার্জি ওয়াচ গ্রুপ, ২০১৯), পৃষ্ঠা ১০১-১১৪

১৮) সেবন্তী আর দাদওয়াল, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড আফ্রিকা: টুওয়ার্ডস আ সাসটেনেবল এনার্জি পার্টনারশিপ’, সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অকেশনাল পেপার ৭৫, ফেব্রুয়ারি, ২০১১, সাউথ আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স

১৯) আন্তন কার্টরাইট, ‘বেটার গ্রোথ, বেটার সিটিজ: রিথিঙ্কিং অ্যান্ড রিডাইরেক্টিং আর্বানাইজেশন ইন আফ্রিকা’, ওয়ার্কিং পেপার, সেপ্টেম্বর ২০১৫, দ্য নিউ ক্লাইমেট ইকনমি

২০) এমা হাকালা, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল জিওইকনমিকস অব ক্লাইমেট চেঞ্জ: গেনস ফ্রম কোঅপারেশন?’ ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ২৯১, মে ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

২১) আস্থা কল, ‘দি ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপ ফর সাসটেনেবিলিটি’, ওআরএফ স্পেশাল রিপোর্ট নম্বর ৮৮, এপ্রিল ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

২২) আ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি, হোয়াট দি আইপিসিসিজ ২০২১ রিপোর্ট মিনস ফর আফ্রিকা। ওলুয়াসেউন ওগুনতুয়াসে

২৩) উমানাথ সিং, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা রিলেশনস প্রসপারিং অন মিউচুয়াল রেসপেক্টস অ্যান্ড কো-অপারেশনস অ্যামং আদারস’, নিউজ অন এয়ার, জুন ২, ২০২২

২৪) হর্ন অফ আফ্রিকা অ্যান্ড সাউথ এশিয়া, সম্পাদনা: অ্যান্ড্রু আর মিকলবার্গ, ইন অক্সফোর্ড বিবলিয়োগ্রাফিজ

২৫) ওলুয়াসেউন জে ওগুনতুয়াসে, ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল কমনস: আ কেস স্টাডি অব দি ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স’, ওআরএফ ইস্যু ব্রিফ নম্বর ৫২৮, মার্চ ২০২২, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

২৬) এইচএইচএস বিশ্বনাথন এবং অভিষেক মিশ্র, ‘দ্য টেন গাইডিং প্রিন্সিপলস ফর ইন্ডিয়া-আফ্রিকা এনগেজমেন্ট: ফাইন্ডিং কোহেরেন্স ইন ইন্ডিয়াজ আফ্রিকা পলিসি’, ওআরএফ অকেশনাল পেপার নম্বর ২০০, জুলাই ২০১৯, অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন

২৭) মঞ্জু শেঠ, ‘দ্য প্রসপেক্টস অফ ইন্ডিয়া-আফ্রিকা রিলেশনস ইন ২০২২’, ডিপ্লোমেটিস্ট, জানুয়ারি ২০, ২০২২

২৮) রেণু মোদী এবং মীরা বেঙ্কটচলম, ‘ইন্ডিয়া-আফ্রিকা – পার্টনারিং ফর ফুড সিকিউরিটি’, ইন ইন্ডিয়া-আফ্রিকা পার্টনারশিপস ফর ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সম্পাদনা: আর মোদী এবং এম বেঙ্কটচলম (ক্যাম,

প্যাল্গ্রেভ ম্যাকমিলান, ২০২১), ১-২২

২৯) রোশনি মজুমদার, ‘ইন্ডিয়া ঊজ আফ্রিকা উইথ ট্রেড, টেক অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’, ডয়েশে ভেলে, অক্টোবর ৮, ২০২২

৩০) ইকনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.