Author : R V Bhavani

Published on Oct 19, 2021 Updated 0 Hours ago

দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের ক্রমবিকাশের ছবিটা খুবই হতাশাজনক এবং অতিমারির ফলে সমস্যাগুলি শুধু উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পায়নি, এ ক্ষেত্রে এত দিন পর্যন্ত হওয়া অধিকাংশ অগ্রগতিকেও তা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের উপর অতিমারির কশাঘাত

এই প্রবন্ধটি শিশু এবং অতিমারি : একটি দেশভিত্তিক বিশ্লেষণ সিরিজের অন্তর্গত।


অতিমারির দেড় বছর পেরিয়ে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে স্কুল-কলেজগুলি আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যদিও অতিমারির আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা মাথায় রেখে এ কথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, পুরোদমে ক্লাস শুরু হতে এবং ‘নিউ নর্মাল’-এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে তার চেয়েও বেশি সময় লাগবে অতিমারির ফলে স্কুল বন্ধ থাকা এবং গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবাগুলি ব্যাহত হওয়ার বহুবিধ এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলির ব্যাপকতা স্পষ্ট হয়ে উঠতে। ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে শিক্ষাবর্ষের মোট কার্যকর দিন বা ইনস্ট্রাকশন ডে-র মধ্যে গড়ে ১৪৬ দিন স্কুল বন্ধ থেকেছে। এর ফলে আনুমানিক প্রায় ৯০ লক্ষ শিশু স্থায়ী ভাবে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে এবং এই সংখ্যাটার অর্ধেক হল মেয়েরা। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকাশ করা দক্ষিণ এশিয়ার উপর একটি রিপোর্ট দেখাচ্ছে যে, শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে লার্নিং অ্যাডজাস্টেড ইয়ারস অফ স্কুলিং বা এল এ ওয়াই এস-এর অর্ধবর্ষ সময় নষ্ট হয়েছে যার মধ্যে পাঁচ মাস স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে এল এ ওয়াই এস ৬.৫ থেকে ৬.০-তে নেমে এসেছে। এবং এর প্রভাবে জীবনব্যাপী সম্ভাব্য উপার্জনের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে ৫%। গত এক বছরে এই সমস্যা যে আরও গভীর হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে শিক্ষাবর্ষের মোট কার্যকর দিন বা ইনস্ট্রাকশন ডে-র মধ্যে গড়ে ১৪৬ দিন স্কুল বন্ধ থেকেছে।

গত বছরের অধিকাংশ সময় সমস্ত দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে গর্ভবতী মহিলা, সদ্যোজাত সন্তান, শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলেমেয়েদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি বন্ধ ছিল এবং সব জায়গায় সেগুলি এখনও পুরোপুরি ভাবে চালু হয়নি। ইউনিসেফের অনুমান অনুযায়ী, বেড়েছে বাল্যবিবাহের সংখ্যা। এবং পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় গর্ভধারণের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। সর্বোপরি পুষ্টিকর খাবার না পাওয়া, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী পরিষেবা ও টিকাকরণ বন্ধ থাকার ফলে মা এবং সদ্যোজাত শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। আগামী দিনে শিশুদের পুষ্টির ব্যাপারটি বিশেষ দুশ্চিন্তার কারণ হতে চলেছে। এই অঞ্চলটিতে একটি বৃহৎ অসংগঠিত ক্ষেত্র বিদ্যমান এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে শিশুদের কাজে নিয়োগ তথা শিশুশ্রমের পরিমাণ ইতিমধ্যেই যে বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। এর পাশাপাশি আছে কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে অনাথ হয়ে পড়া শিশু যারা অতিমারিতে তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে। এই সমস্ত অনাথ শিশুদের মধ্যে যারা হতদরিদ্র, তারা আরও বেশি করে গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং শোষণের মুখে পড়েছে, এমন এক সময়ে যখন তারা মা-বাবা হারানোর সুতীব্র মানসিক আঘাত এবং শূন্যতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি শিশুপাচার এবং শিশু নির্যাতনের পরিমাণও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ফলে অতিমারির আগেও যে এই অঞ্চলে শিশুদের অবস্থা মোটেও আশানুরূপ ছিল না, তা বলা বাহুল্য। পৃথিবীর সব দেশেই সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকে, যা দরিদ্র শিশু ও নারীদের আগলে রাখে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভারতে জারি হওয়া নির্দেশিকার কথা। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের কেন্দ্রগুলিতে গর্ভবতী / স্তন্যদাত্রী মহিলা এবং ০-৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য যোগানের উদ্দেশ্যে শুকনো খাবার অথবা নগদ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি আদিবাসী আবাসিক স্কুলগুলি-সহ (আবাসিক স্কুলের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের লকডাউনের সময়ে নিজেদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছিল) সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুপুরে রান্না করা গরম খাবারের সরকারি বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই নির্দেশগুলির বাস্তব প্রয়োগ এবং সেগুলি ফলপ্রসূ করার কাজে ফাঁক রয়ে গেছে অনেকটাই। ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো হাঙ্গার বা ক্ষুধাহীন পৃথিবী নির্মাণের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এস ডি জি ২) বর্তমানে এক দুরূহ আশা মাত্র। পাশাপাশি এস ডি জি ৪-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উচ্চ মানের শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমাজের সকল স্তরের শিশুদের সমান অধিকার ও সুবিধার বিষয়টিও এখন যে মরীচিকাসম, তা অনুমান করা যায়।

এর পাশাপাশি আছে কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে অনাথ হয়ে পড়া শিশু যারা অতিমারিতে তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে। এই সমস্ত অনাথ শিশুদের মধ্যে যারা হতদরিদ্র, তারা আরও বেশি করে গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং শোষণের মুখে পড়েছে, এমন এক সময়ে যখন তারা মা-বাবা হারানোর সুতীব্র মানসিক আঘাত এবং শূন্যতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আই এল ও-এর ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুশ্রমের ব্যাপকতার নিরিখে দক্ষিণ এশিয়া পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর এই অংশে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ শিশু (৫-১৭ বছর বয়সী) শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। জীবিকা হারানো এবং খাবারের অভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি অতিমারি নিয়ন্ত্রণে জারি করা লকডাউনের প্রভাবগুলির অন্যতম। এই প্রতিবেদনের লেখক ঢাকায় বাস করেন যেখানে অতিমারির দ্বিতীয় প্রবাহ রুখতে গত জুলাই মাসে জারি করা লকডাউনের ফলে রাস্তায় ভিক্ষা করে মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে। স্থানীয় মুদিখানায় জিনিসপত্র কিনতে গেলে প্রায় সব সময়ই দোকানের বাইরে ভিক্ষারত মহিলা অথবা শিশুদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। শহরের যানজটপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ছোট ছোট শিশুদের কোলে নিয়ে অপেক্ষাকৃত একটু বড় ছেলেমেয়েদের গাড়ির জানালার কাচে টোকা দিয়ে ভিক্ষা চাওয়ার দৃশ্য এখন চরম বাস্তব। কয়েক মাস আগেও পরিস্থিতি এ রকম ছিল না। বাংলাদেশে বরাবরই বাল্যবিবাহের হার অত্যন্ত বেশি। বর্তমানে যে সমস্ত বিবাহিত মেয়েদের বয়স কুড়ি থেকে তিরিশের মাঝামাঝি, তাদের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক মেয়ে ১৮ বছর বয়েসের অনেক আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে আগামী দিনে দারিদ্র ও ক্ষুধার সম্মুখীন হয়ে যে আরও কত সংখ্যক কন্যাসন্তানদের বাধ্যতামূলক বাল্যবিবাহে নিজেদের সঁপে দিতে হবে, সে কথা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।

স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় মুদিখানায় যে কোনও সম্ভাবনাময় কিশোরকে তার বাবার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। এ রকম ছেলেমেয়ের সংখ্যা বাংলাদেশে কম নয়। যদিও কিশোরটি তার বাবাকে কাজে সাহায্য করছে এবং নিজেকে উৎপাদনক্ষম ভাবে সক্রিয় রেখেছে, তবুও বয়স অনুযায়ী এখন তার পড়াশোনা করার কথা এবং সমবয়সি বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করার সময়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল এবং কলেজগুলিতে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা চলছে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ক্লাস করানো এবং ক্লাস করা তথা মূল্যায়ন বা পরীক্ষার বিষয়টি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী দু-পক্ষের কাছেই একটা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ছাত্রছাত্রীরা যারা আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর। আর্থিক অনটনের ফলে তাদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস করার জন্য স্মার্টফোন কেনাই বিলাসিতা, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার তো দূরের কথা। ফোন থাকলেও পরিবারের সব ক’টি ছেলেমেয়েকেই সেটি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। বাবা-মা স্মার্টফোন কিনে দিতে না পারায় ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, ভারতের সংবাদ মাধ্যমে এই ধরনের খবরও দেখা গেছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলটির অন্তর্গত দেশগুলির অধিকাংশ গ্রামাঞ্চল এবং প্রান্তিক জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা ভাল নয়। মিডিয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ফোনে নেটওয়ার্ক সংযোগের অসুবিধের জন্য বহু সংখ্যক ছেলেমেয়েকে বাড়ি থেকে বহু দূর হেঁটে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার জন্য হাউসহোল্ড সোশ্যাল কনসাম্পশন-এর নিরিখে ২০১৯ সালে ভারতে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশনের দেওয়া একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, ২০১৭-১৮ বর্ষে ভারতের মাত্র ৪.৪% গ্রামীণ পরিবারে একটি করে কম্পিউটার ছিল এবং তার ১৪.৯% ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধে ছিল। শহরে এই সংখ্যা দুটি যথাক্রমে ২৩.৪% এবং ৪২%। এই পরিসংখ্যানই ভারতে ই-লার্নিং এবং তার কার্যকারিতার বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট। কোভিড-১৯ অতিমারি সমাজের এই অসাম্য এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন স্তরের মানুষদের মধ্যে বৈষম্যের বিভাজনটিকে আরও স্পষ্ট করেছে।

এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ছাত্রছাত্রীরা যারা আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর। আর্থিক অনটনের ফলে তাদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস করার জন্য স্মার্টফোন কেনাই বিলাসিতা, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার তো দূরের কথা। ফোন থাকলেও পরিবারের সব ক’টি ছেলেমেয়েকেই সেটি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে হয়।

কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের ফলে দীর্ঘ সময়ব্যাপী স্কুল বন্ধ থাকা এবং বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হওয়া, খেলাধুলো, কথাবার্তা ও একসঙ্গে পড়াশোনা করার মতো পারস্পরিক বিষয়গুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ফলে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। বহু ক্ষেত্রে এই বিষাদগ্রস্ততা ও মানসিক চাপ কাটাতে অনেক শিশুকেই কাউন্সেলিং কেয়ারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। এক কথায় অতিমারির ফলে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত সামাজিক স্তরের শিশুরাই নানাবিধ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এ কথা সম্ভবত বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের জীবনে অতিমারির প্রভাবগুলি চিহ্নিত করতে এবং অতিমারির নতুন বাস্তবের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজিত করে নেওয়ার জন্য এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। দুঃখজনক ভাবে অতিমারি বহু শিশুর শৈশব কেড়ে নিয়েছে এবং সারা জীবনের জন্য তাদের এক গভীর ক্ষতের মুখে ঠেলে দিয়েছে। শিশুদের উপর অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব কাটাতে যত্ন এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে তাদের দেখাশোনা করা এবং সর্বোপরি তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সমাজের সর্বস্তরের সমবেত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

সরকারি নীতি নির্ধারক, শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বাবা-মা… সবাইকেই এই বাস্তব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং সম্মিলিত ভাবে এই প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। সরকারি নীতি নির্ধারকদের উচিত অতিমারির এই কঠোর বাস্তবকে সমাজের নানা স্তরের মধ্যে অসাম্য দূরীকরণের এক সুযোগ হিসেবে দেখা এবং সমাজের অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে সকল শিশুর জন্য এক উন্নততর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.