-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণাপত্রে কাগজ-কলমে মস্কো-জাকার্তা সম্পর্কের উন্নতির কথা বললেও এই সম্পর্ক নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা, বাজেটের বাস্তবতা এবং ইন্দোনেশিয়ার জোটনিরপেক্ষ অবস্থানের দরুন প্রভাবিত হবে।
ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য এবং উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক আদান-প্রদান থেকে শুরু করে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিদ্যমান আলোচনা ও বিয়াক দ্বীপের বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত অপ্রমাণিত গুজব… রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক তাদের ৭৫তম বার্ষিকীতে সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। জুন মাসে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর রাশিয়া সফরের সময় মস্কো ও জাকার্তা কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণা করে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে, যার লক্ষ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করা।
প্রতীকবাদ এবং সারমর্ম
২০২৪ সালের শেষের দিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট প্রাবোওর সেন্ট পিটার্সবার্গ সফর ছিল তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। তিনি এর আগে ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশটিতে সফর করেছিলেন। এই সফর দুই দেশের মধ্যে ধারাবাহিক কূটনৈতিক আদান-প্রদানকেই দর্শায়। কাজানে ব্রিকস প্লাস শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু করে ইন্দোনেশিয়ার ফরেন মিনিস্টার সুগিওনো আট মাস ধরে তিন বার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডেনিস মান্তুরভ দু’বার ইন্দোনেশিয়া সফর করেছিলেন: ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রাবোওর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে আন্তঃসরকারি কমিশনের সহ-সভাপতিত্ব করতে। রাজনৈতিক-কূটনৈতিক পথের সক্রিয়তা স্পষ্ট ভাবেই ইঙ্গিত দেয় যে, ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্ব রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছা পোষণ করে এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ইন্দোনেশিয়ার ব্রিকস-এ পূর্ণ সদস্যপদ লাভের ফলে এই অনুভূতি আরও জোরদার হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদানের সময় প্রাবোও গ্লোবাল সাউথে রাশিয়া ও চিনের ‘নেতৃত্ব’র প্রশংসা করেন, জোটনিরপেক্ষতার প্রতি জাকার্তার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন এবং বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা প্রকাশ করেন। তবে তিনি কৌশলে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়টি এড়িয়ে যান। ২০২৩ সালের শাংগ্রি-লা ডায়লগ ডিফেন্স মিটিংয়ে প্রাবোও ইউক্রেনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিরতি, সম্মুখ সারিতে একটি সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের তত্ত্বাবধানে ‘বিতর্কিত অঞ্চলে’ গণভোট আয়োজন। ২০২৪ সালের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
নতুন মর্যাদার বাস্তব প্রভাব অস্পষ্ট থাকলেও সম্পর্ক উন্নত করার জাকার্তার সিদ্ধান্তকে মস্কোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রাবোওয়ের বৈঠকের প্রাথমিক ফলাফল - কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর - দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আর একটি ইঙ্গিত দর্শিয়েছে। এই নথিতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চুক্তিতে ‘টু-প্লাস-টু’ ফরম্যাটে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক, সংসদীয় বিনিময় সম্প্রসারণ এবং আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার সঙ্গে বহুপাক্ষিক মিথস্ক্রিয়ার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা জোরদার করা এবং সামরিক প্রতিনিধিদল বিনিময় ও নৌ জাহাজ বন্দর ডাক (পোর্ট কল) বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাবও করে।
অন্যান্য ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তির মতো ঘোষণাপত্রের জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় এই ধরনের কৌশলগত পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। নতুন মর্যাদার বাস্তব প্রভাব অস্পষ্ট থাকলেও সম্পর্ক উন্নত করার জাকার্তার সিদ্ধান্তকে মস্কোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী সম্পদ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমি প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জটিলতা
প্রাবোওর অধীনে সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার সমন্বয়ের উপর জাকার্তার পুনর্নবীকরণের ফলে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাশিয়া আগে ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ছিল, এসইউ-২৭ ও এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান এবং এমআই-৩৫ ও এমআই-১৭ হেলিকপ্টার সরবরাহ করেছিল। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো ও জাকার্তা ১.১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১১টি এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কাউন্টারিং আমেরিকা’জ অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাঙ্কশনস অ্যাক্ট-এর (সিএএটিএসএ) অধীনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকির কারণে চুক্তিটি স্থগিত থাকলেও ইন্দোনেশিয়ান এবং রাশিয়ান উভয় প্রতিনিধিই দাবি করেন যে চুক্তিটি ‘অব্যাহত’ রয়েছে।
মস্কো আশা করে যে, প্রাবোওর সামরিক পটভূমির কারণে তিনি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তুলতে ইচ্ছুক হবেন। রাশিয়ার রোসোবোরোনেক্সপোর্ট ইন্দোনেশিয়ার কারখানা ও শিপইয়ার্ডে সামরিক মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা মঞ্চের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে এসইউ-৫৭ ও এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেএ-৫২ ও এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং ড্রোন। রাশিয়া ইন্দোনেশিয়াকে সাবমেরিন, উপকূলীয় জাহাজ, মোবাইল উপকূলীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানের প্রস্তাবও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এস-৪০০ ‘ট্রিয়াম্ফ’ ও এস-৩৫০এ ‘ভিতায়জ’ সারফেস-টু-এয়ার সিস্টেম, প্যান্টসর-এস১এম স্ব-চালিত বিমান-বিধ্বংসী বন্দুক-ক্ষেপণাস্ত্র (এসপিএএজিএম) ব্যবস্থা, ‘ভার্বা’ ম্যান-পোর্টেবল এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেম (ম্যানপ্যাডস) এবং কাউন্টার-ড্রোন ব্যবস্থা।
রুশ বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়া প্রতিরক্ষা সম্পর্ক প্রাসঙ্গিক থাকবে, যদিও চুক্তি বাস্তবায়ন নির্ভর করে অর্থপ্রদানের সমস্যা সমাধান ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি এড়াতে সক্ষমতার উপর। ইন্দোনেশিয়ার সীমিত বাজেট ক্ষমতাও নতুন চুক্তির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
মস্কো যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার শক্তি প্রদর্শন ও প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী হয় - যা বর্তমানে সন্দেহজনক - তবুও ইন্দোনেশিয়ার জোটনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে সরে আসা অত্যন্ত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
অস্ত্র বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের পরিপ্রেক্ষিতে উঠে এসেছে: ২০২৪ সালের নভেম্বরে জাভা সাগরে অনুষ্ঠিত প্রথম রাশিয়া-ইন্দোনেশিয়া যৌথ নৌ মহড়া। এই মহড়াগুলি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি ‘অগ্রসরমূলক পদক্ষেপ’কেই দর্শায়, যা ২০২১ সালের আসিয়ান-রাশিয়া নৌ মহড়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছিল এবং যেখানে ইন্দোনেশিয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। পর্যবেক্ষকরা এগুলিকে বিভিন্ন প্রধান আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য জাকার্তার ইচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবেও দেখেছেন।
তবে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার সম্ভাবনাকে অতিরঞ্জিত করা উচিত নয়। প্রথমত, ইন্দোনেশিয়া ক্রমাগত তার অস্ত্র ক্রয়কে বৈচিত্র্যময় করে তুলছে, যার সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে তুরস্কের পঞ্চম প্রজন্মের কেএএএন যুদ্ধবিমান চুক্তিটির কথা বলা যায়। দ্বিতীয়ত, জাকার্তার সামরিক কূটনীতি সবচেয়ে ভাল ভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল যখন ইন্দোনেশিয়া রুশ নৌবাহিনীর সঙ্গে তার মহড়ার সময় অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও মার্কিন মেরিনদের সঙ্গে পৃথক বৃহৎ আকারের মহড়া পরিচালনা করেছিল। তৃতীয়ত, মস্কো যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার শক্তি প্রদর্শন ও প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী হয় - যা বর্তমানে সন্দেহজনক - তবুও ইন্দোনেশিয়ার জোটনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে সরে আসা অত্যন্ত অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। এই ধরনের যে কোনও পদক্ষেপ অনিবার্য ভাবে ইন্দোনেশিয়ার অংশীদারদের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দেবে, যেমনটা মস্কোর বিয়াক বিমানঘাঁটিতে রুশ কৌশলগত বিমান চলাচল স্থাপনের গুজবের অনুরোধের প্রতি ক্যানবেরার তীব্র প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট হয়েছিল।
অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের বৈচিত্র্যকরণ
মস্কো-জাকার্তা সামরিক সম্পর্কের পুনরুত্থান এবং ব্রিকস-এ দেশগুলির পারস্পরিক যোগাযোগ যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও নতুন প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়া বেশ কয়েকটি কারণে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে আগ্রহী। প্রথমত, মস্কো তার দু’টি বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য অর্থাৎ চিন ও ভারতের উপর নির্ভরতা কমাতে তার খনিজ সম্পদ সরবরাহে বৈচিত্র্য আনতে চায়। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমি বাজার থেকে পাওয়া যায় না এমন উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্যের জন্য রাশিয়ার ইন্দোনেশিয়াকে প্রয়োজন।
রাশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া কেউই একে অপরের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারদের তালিকায় নেই। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ কেবল সামান্যই ছিল। ২০২৪ সালে মাত্র ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে এই সংখ্যাটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই বৃদ্ধির স্থায়িত্ব এখনও দেখা যায়নি।
দ্বিপাক্ষিক সমীকরণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা ইন্দোনেশিয়ায় কয়লা ব্রিকেট, গম, মেসলিন এবং সারের মতো নির্দিষ্ট পণ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী। ২০২৪ সালে কৃষি পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়ায় শস্য রফতানি ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোপরি জাকার্তার অ্যাসবেস্টসের প্রধান উৎস রাশিয়া, যা ইন্দোনেশিয়ার মোট আমদানির ৭৭ শতাংশ। এর পরিবর্তে, পাম তেল, নারকেল তেল এবং পাম বীজ তেলের সরবরাহকারী হিসেবে ইন্দোনেশিয়া রাশিয়ার বাজারে একটি প্রভাবশালী অবস্থান ধরে রেখেছে।
দ্বিপাক্ষিক সমীকরণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং তারা ইন্দোনেশিয়ায় কয়লা ব্রিকেট, গম, মেসলিন এবং সারের মতো নির্দিষ্ট পণ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী।
ইন্দোনেশিয়া ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন-এর (ইএইইউ) সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে পারে বলে মনে করা হলেও রাশিয়ার সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রভাব অনিশ্চিত। ইএইইউ-ভিয়েতনাম ঘটনাপ্রবাহ থেকে দেখা যায় যে, এফটিএ তাৎক্ষণিক ফলাফল না-ও প্রদান করতে পারে অথবা বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি না-ও ঘটাতে পারে।
বাণিজ্যের ঊর্ধ্বে উঠে রাশিয়া জ্বালানি খাতের পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তিতে বেশ কয়েকটি যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে। জাকার্তা ২০৩৪ সালের মধ্যে তার প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (এনপিপি) চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে কানাডা ও চিনের পাশাপাশি রাশিয়াকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভরতা কমাতে ইন্দোনেশিয়ার প্রচেষ্টায় মস্কো যে ভাবে অবদান রাখতে পারে তা হল, ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (এসএমআর) নির্মাণ করা। ইন্দোনেশিয়ার সরকার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এসএমআর নির্মাণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। এনপিপি বা এসএমআর বিকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটি সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের ফলাফলের উপর নির্ভরশীল।
মস্কো ও জাকার্তা উভয়ই তাদের সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হলেও ইন্দোনেশিয়ার জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি ও রাশিয়ার বর্তমান আন্তর্জাতিক অবস্থানের কারণে গুণগত অগ্রগতির সুযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় এর ফলে সৃষ্ট অসুবিধাগুলি উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
আলেক্সেই জাখারভ অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aleksei Zakharov is a Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. His research focuses on the geopolitics and geo-economics of Eurasia and the Indo-Pacific, with particular ...
Read More +