Author : Kabir Taneja

Published on Dec 17, 2024 Updated 0 Hours ago

তালিবান-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের স্বীকৃতি-সহ আফগানিস্তানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এই অঞ্চলের প্রবণতার বিপরীত নয়

আফগানিস্তানে তালিবানের ইসলামিক আমিরাতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রভাব বিস্তারের মূল্যায়ন

সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই) আনুষ্ঠানিক ভাবে তার ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো তালিবান প্রশাসনকে কাবুলে ক্ষমতায় থাকা বৈধ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেআফগানিস্তানের তথাকথিত ইসলামিক আমিরাতের তালিবান পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার আবুধাবিতে আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে বদরুদ্দিন হাক্কানিকে নিয়োগ করেছে। এই স্বীকৃতি তালিবানদের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক বিজয় হলেও আবুধাবির তরফে তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে এখন আরও বেশি করে সম্পৃক্ততার নেপথ্যের আসল কারণগুলি নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়

সংযুক্ত আরব আমিরশাহিই ছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউএন) সেই তিন সদস্যের একমাত্র সদস্য (অন্য দুই সদস্য হল সৌদি আরব পাকিস্তান), যারা তালিবানের প্রথম পর্যায়ের মেয়াদকেই স্বীকৃতি দিয়েছিল। তালিবানের প্রথম মেয়াদের শাসন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালাতে শুরু করলে তালিবানি শাসনের অবসান হয়। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কাবুলের পতন হলে দীর্ঘ সময়ের পর মার্কিন সৈন্যরা কয়েক দিনের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করে। এটি ছিল একটি বিশৃঙ্খল দিশাহারা যুদ্ধের সমাপ্তি এবং বেশির ভাগ দেশই তালিবানদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল। সে সময়ে বিদ্যমান যুক্তিটি ছিল এই যে, তালিবানের হৃদয় জুড়ে রয়েছে আদর্শগত বিদ্রোহ এবং তারা কী ভাবেই বা একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে যা কেবল জনসাধারণকে পরিচালনা করবে না, বরং সেই স্থিতিশীলতাও আনতে সক্ষম হবে, যার জন্য তালিবান এত দিন ধরে চাপ দিয়ে এসেছিল।

আবুধাবির তরফে তালিবানি দূতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া একাধিক বাস্তবতাকেই দর্শায়, যা আঞ্চলিক আদর্শগত ভাবে বিদ্যমান এবং বর্তমানে তালিবান এই ভূ-রাজনৈতিক চ্যুতির সুযোগ নেওয়ার জন্য আদর্শ স্থানে রয়েছে।

তিন বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ইরান, রাশিয়া এবং চিনের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলি তালিবানের সঙ্গে একটি গঠনমূলক সম্পৃক্ততা বজায় রাখতে চাইছে, অর্থাৎ ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ অবস্থান নিতে চাইছেএমনকি ভারত ২০২২ সাল থেকে কাবুলে একটি প্রযুক্তিগত কার্যালয়’-এর রক্ষণাবেক্ষণ করছে এবং দুই রাজধানীর মধ্যে সরাসরি উড়ান চালনা করছে। আবুধাবির তরফে তালিবানি দূতকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া একাধিক বাস্তবতাকেই দর্শায়, যা আঞ্চলিক আদর্শগত ভাবে বিদ্যমান এবং বর্তমানে তালিবান এই ভূ-রাজনৈতিক চ্যুতির সুযোগ নেওয়ার জন্য আদর্শ স্থানে রয়েছে।

বাস্তববাদকে সচল করা

গত কয়েক মাস ধরে তাদের অবস্থান কী হতে চলেছে সে সম্পর্কে বিশ্বকে আরও স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে তালিবান অগ্রসর হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, কাবুলের বিষয়টি কী ভাবে মোকাবিলা করা যায় সে সম্পর্কে তাদের নিজস্ব নীতি বিকাশের জন্য দেশগুলিকে আরও সুযোগ করে দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি তাঁর ভাই আনাস হাক্কানির সঙ্গে মিলে কিছু দিন আগে আবুধাবির সঙ্গে একটি আউটরিচ বা প্রসারমূলক উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। সম্ভবত, এই প্রসারের প্রধান উপাদানগুলি জনসাধারণের সমক্ষে নয়, বরং গোপনে সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭০-এর দশকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জালালুদ্দিন হাক্কানি কাবুলে সোভিয়েতপন্থী রাজনৈতিক বাস্তুতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং পরে দেশটিতে সোভিয়েত আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক ও কর্মী সংক্রান্ত সহায়তা পেয়েছিলেন সে সময়ে পাকিস্তান, আরব রাষ্ট্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাঁকে সহায়তা করেছিল। তবে জালালুদ্দিন হাক্কানি ২০১৮ সালে মারা যানতাঁর ছেলে সিরাজুদ্দিন এখন এই পূর্ববর্তী শৃঙ্খল সাম্রাজ্যের প্রধান, যেটি তালিবানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সূক্ষ্ম ভারসাম্যে মিশে গিয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে এই গোষ্ঠীগুলির এই ধরনের ইতিহাস পশ্চিম সহ-ইসলামি আমিরাতের নতুন পুনরাবৃত্তির সঙ্গে প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে সমাপতিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আরব বিশ্ব জেড্ডার সদর দফতর অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন-কে (ওআইসি) ইসলামি বিশ্বের সঙ্গে তালিবানদের সম্পৃক্ত করার প্রাথমিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি ওআইসি বৈঠকে অংশ নিতে আফ্রিকার ক্যামেরুনে গিয়েছিলেন। ওআইসি এর আগে কান্দাহার-সহ তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কান্দাহার এই আন্দোলনের আদর্শগত শক্তির কেন্দ্র এবং আমির আল-মুমিনিন হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আবাসস্থলও বটে। এর লক্ষ্য ছিল দলটির মতাদর্শগত ভিত্তিগুলিকে তার পশ্চাদগামী প্রকৃতি থেকে দূরে সরিয়ে আনা। এই প্রচেষ্টাগুলি তেমন সফল হয়নি। কারণ তালিবান তার ভাইস অ্যান্ড ভার্চু ল-কে আরও শক্তিশালী করেছে। সাম্প্রতিক (এবং বিরল) উদাহরণ অনুযায়ী, আখুন্দজাদা কান্দাহার ত্যাগ করেন এবং তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে দেশের সীমান্তে অবস্থিত ফারিয়াব প্রদেশে যান। তাঁর এই পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরে একতা আনার জন্য একটি সাধনী হিসেবে কঠোর ভাবে তালিবানের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু ল-কে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রদেশের প্রধানদের জোর দেওয়া। অন্য কথায় বললে, শরিয়া ব্যবহার করে তালিবান নারীর অধিকার, মানবাধিকার, জাতিগত অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদির আন্তর্জাতিক দাবিগুলি উপেক্ষা করে আন্তঃ-উপজাতি জাতিগত পার্থক্য পরিচালনা করছে।

ওআইসি এর আগে কান্দাহার-সহ তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কান্দাহার এই আন্দোলনের আদর্শগত শক্তির কেন্দ্র এবং আমির আল-মুমিনিন হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আবাসস্থলও বটে। এর লক্ষ্য ছিল দলটির মতাদর্শগত ভিত্তিগুলিকে তার পশ্চাদগামী প্রকৃতি থেকে দূরে সরিয়ে আনা।

ধর্মতত্ত্ব এবং আদর্শের উপর ভিত্তি করে ওআইসি-কে একটি ব্যস্ততার সাধনী হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাভ তেমন নেই। যাই হোক, ই লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া অবশ্যই সর্বোত্তম বাজি হতে পারেকারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা চায় না, কোনআকার বা প্রকাশে দেশে সশস্ত্র সংঘাত চালু হোক আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের জন্য তালিবান হল এমন একটি বাস্তবতা, সশস্ত্র সংঘর্ষ ছাড়া যা মোকাবিলা করার জন্য ক্রমাগত অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে নীতি বদলের প্রয়োজন।

কাবুলের জন্য আবুধাবির পন্থা

এই অঞ্চলে অনেক বিশ্লেষক এবং ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বিশ্বাস করেন যে, নতুন ইসলামিক আমিরাত পরিচালনার জন্য পাকিস্তান একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসাবে উঠে এসেছে। যাই হোক, তালিবানের সঙ্গে ইসলামাবাদের নিজস্ব ভিন্নতার অর্থ হল এই ধারণা, যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশে রয়েছে এবং তার পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক চ্যুতিরেখাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আবুধাবিতে জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে দূরে থাকেন। তালিবানদের শান্ত করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নিকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে কোনও প্রকার রাজনৈতিক প্রচার চালানোর জন্য তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে নিষিদ্ধ করেছিল বলে জানা গিয়েছে এই তুলনামূলক ভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন তালিবানের অন্তত একটি অংশকে আরও সহজলভ্য করে তুলেছে।

কিন্তু এই সমীকরণের মধ্যেই আর অন্তর্নিহিত সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দেশের শাসক হিসেবে রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বাভাবিকীকরণে তালিবানদের ইচ্ছা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার সমস্যাগুলির বিষয়ে তাদের পদক্ষেপের উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল। তালিবান শাসনের অধীনে আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীরা নিরাপত্তা ভোগ করে চলেছে এবং ওসামা বিন লাদেনের উত্তরাধিকার - যার মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে - তার উপর নজর রাখতে ব্যর্থ হওয়া রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়। প্রাক্তন আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে ২০২২ সালে মার্কিন ড্রোন হামলার মাধ্যমে কাবুলে নির্মূল করা হয়েছিল এবং তার পর থেকে কোনও উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয়নি। এটিই দর্শায় যে, আল কায়েদার সঙ্গে তালিবানের যথেষ্ট বোঝাপড়া রয়েছে। সর্বোপরি, এই অঞ্চলে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএসকেপি) বিরুদ্ধে তালিবানদের লড়াইকে একটি উপরি পাওনা হিসাবে দেখা হয়। গাজার মতো বিদ্যমান সঙ্কট বিন্দুর সম্ভাবনা সম্ভাব্য ভাবে আল কায়েদাকে গোষ্ঠী হিসাবে রাজনৈতিক ইসলামকে আদর্শ হিসাবে একটি নতুন জীবন দান করার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে এবং এই সব কিছুই ঝুঁকিকে আরও গভীর করছে।

প্রাক্তন আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে ২০২২ সালে মার্কিন ড্রোন হামলার মাধ্যমে কাবুলে নির্মূল করা হয়েছিল এবং তার পর থেকে কোনও উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয়নি। এটিই দর্শায় যে, আল কায়েদার সঙ্গে তালিবানের যথেষ্ট বোঝাপড়া রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জন্য আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উপস্থিতি এই অঞ্চলে ক্ষমতার খেলার অংশ, যা প্রায়শই সৌদি, আমিরাত, তুর্কি এবং কাতারিদের একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে স্পষ্ট২০২০ সালে প্রস্থান চুক্তিস্বাক্ষর-সহ একাধিক মার্কিন-তালিবান আলাপ-আলোচনার জন্য বহু বছর যাবৎ দোহা মধ্যস্থতাকারী কেন্দ্র হয়ে উঠলেও দেশটির কাতার এবং তুরস্কে ক্রমবর্ধমান একচেটিয়া প্রভাবকে অযাচিত বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তালিবানদের মধ্যে দেশটির প্রধান বিমানবন্দরগুলি চালানোর জন্য একাধিক চুক্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে পরবর্তী কালে কাবুলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আরও উপস্থিতি এবং সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রভাবের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসাবে মনে করা হয়েছিল। নাগরিক উড়ানের পরিসরে কাতার তুরস্কের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার বিষয়টি ক্ষুদ্র হলেও উল্লেখযোগ্য ক্ষমতার সংঘর্ষকেই দর্শায়।

উপসংহার

তালিবান-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের স্বীকৃতি-সহ আফগানিস্তানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এই অঞ্চলের প্রবণতার বিপরীত নয়। অনেক আঞ্চলিক দেশ, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলি তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা এবং সীমান্তের বাইরে আদর্শগত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য তালিবানদের সঙ্গে অত্যন্ত বাস্তববাদী ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে। এখন প্রশ্ন রয়েই যায় যে, তালিবানরা দীর্ঘমেয়াদে এই দায়িত্ব পূরণ করতে পারবে কি না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিমতো দেশ গত কয়েক দশক ধরে দুবাই এবং আবুধাবির অর্থনৈতিক সাফল্যের আখ্যান তৈরি করতে এবং তাদের উত্তরাধিকারকে অর্থনৈতিক শক্তি স্থিতিশীলতার পরিসর হিসাবে তুলে ধরতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। এই দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য ধরে রাখার জন্য বাস্তববাদের পাশাপাশি নমনীয়তার প্রয়োজন, বিশেষ করে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।

অনেক আঞ্চলিক দেশ, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলি তাদের সীমান্তে নিরাপত্তা এবং সীমান্তের বাইরে আদর্শগত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য তালিবানদের সঙ্গে অত্যন্ত বাস্তববাদী ভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে।

অবশেষে, তালিবানদের জন্য এই অস্থিতিশীলতা এবং বৃহৎ শক্তি প্রতিযোগিতার যুগ সুযোগ প্রদান করেছে। অর্থাৎ, সব দিকে সমান ভাবে নিজেদের প্রসারিত করতে পারে, বৈদেশিক শক্তির কাছ থেকে তাদের রাজনীতি সুরক্ষিত করা এবং পশ্চিমে যুদ্ধের ক্লান্তির দীর্ঘস্থায়ী স্তরের সুযোগ নেওয়ার কাজ করতে পারে তালিবান। আফগানিস্তানের বেশির ভাগ প্রতিবেশী এবং অংশীদাররা তাদের প্রয়োজনীয়তাগুলি সুরক্ষিত করার জন্য তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। তালিবানরা তার অভ্যন্তরীণ বিচ্যুতি সামলাতে পারবে কি না এবং নিজেদের টিকে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়টিতে অবদান রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।

 


কবীর তানেজা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.