গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট গভর্নেন্স বা বিশ্ব উন্নয়ন শাসন একটি জটিল সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-স) বৈশ্বিক উন্নয়ন শাসনের প্রধান স্তম্ভ হওয়ায়, এসডিজি অর্জনের সহজাত চ্যালেঞ্জ হল অর্থায়ন ও অর্থায়নের ব্যবধান। সমস্যা নতুন নয়। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আনসিট্যাড)-এর ওয়র্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এসডিজি-গুলি গ্রহণের ঠিক আগে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বার্ষিক বিনিয়োগের ব্যবধানের অঙ্ক ছিল ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের মধ্যমেয়াদী পর্যালোচনার সময় অঙ্কটি ৪-৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের মধ্যে মূলত ঘাটতির কারণে ব্যবধান বেড়েছে, এবং তা অসংখ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ফলে উদ্ভূত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে আরও জটিল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারি এবং ইউক্রেনে চলতি উত্তেজনার কারণে খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের ত্রিমুখী প্রভাব।
এই অবস্থায় বার্ষিক অর্থায়নের ৪-৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবধান বিশাল শোনাতে পারে, কিন্তু বিশ্বের কি এই ব্যবধান পূরণ করার জন্য সংস্থানের অভাব রয়েছে? একটি সংখ্যা সমস্ত সন্দেহ পরিষ্কার করবে। বিশ্বব্যাপী মোট নেট ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আরও বিশাল ৪৫৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে৷ ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ, এটি ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৬২৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তাই, ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক এসডিজি অর্থায়নের ব্যবধান পূরণের জন্য যা প্রয়োজন তা হল মূলত ব্যক্তিগত সম্পদের ১ শতাংশেরও কম বণ্টন ও সংগঠিত করা। এখানেই জনহিতৈষণা (ফিলানথ্রপি) তার ভূমিকা পালন করতে পারে: অসম্পূর্ণ উন্নয়নমূলক আর্থিক লক্ষ্যপূরণের জন্য ব্যক্তিগত সম্পদের উপাদানগুলিকে একত্রিত করা।
২০১৫ সাল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের মধ্যে মূলত ঘাটতির কারণে ব্যবধান বেড়েছে, এবং তা অসংখ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ফলে উদ্ভূত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে আরও জটিল হয়েছে।
জনহিতৈষী সংস্থাগুলি হল অর্থায়নের চাকায় এমনই একটি অংশ যা শুধুমাত্র সম্পদ সংগ্রহই করতে পারে না, বরং তাদের নিজস্ব অধিকারে উন্নয়নের চালক হিসাবেও কাজ করতে পারে। প্রথাগত বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলি আছে, যার লক্ষ্য হল প্রত্যাবর্তনের (রিটার্ন) হার সর্বাধিক করা, যদিও তা বৃহত্তর বৈশ্বিক ভালর লক্ষ্য পূরণ করতে পারে বা নাও করতে পারে। তারপর কিছু বিনিয়োগ ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব ও ফলাফলের উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে আসে। এখানেই 'প্রভাব বিনিয়োগ' বা 'সামাজিক প্রভাব বিনিয়োগ' -এর কথা উঠে আসে।
স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য জনহিতৈষণা এবং প্রভাব বিনিয়োগ
জনহিতৈষণা ও প্রভাব বিনিয়োগের মধ্যে সীমানাগুলি কিছুটা অস্পষ্ট, তবে একটি পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা ক্ষেত্রের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি জনহিতৈষণা বলতে বেসরকারি বা অ–লাভজনক খাত দ্বারা সূচিত লেনদেনগুলিকে বোঝায়, যেগুলির লক্ষ্য মানবহিতৈষী অবদানের জন্য উৎসর্গীকৃত তহবিলগুলির কাছে থাকা অর্থের ভিত্তিতে গবেষণা, শিক্ষা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনৈতিক সুবিধার প্রসার করা। এটি সাধারণত প্রত্যাবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে না, বরং এগুলি উদ্দেশ্য ও মানবতার সেবার গভীর অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত থাকে। ওইসিডি দ্বারা প্রকাশিত বেসরকারি জনহিতৈষণা সংক্রান্ত ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে প্রায় ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেসরকারি জনহিতৈষী সংস্থাগুলির অনুদান হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল (চিত্র ১)।
চিত্র ১: উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত জনহিতকর প্রবাহ (২০০৯-২০২১)
সূত্র: ওইসিডি, ২০২৩
যদি এই অর্থের আঞ্চলিক বরাদ্দের দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যায় যে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলি সর্ববৃহৎ পরিমাণে জনহিতকর অর্থায়ন পেয়েছে, যথাক্রমে ৬১ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ (চিত্র ২)।
চিত্র ২: বেসরকারি জনহিতকর প্রবাহের আঞ্চলিক বরাদ্দের (২০১৮-২০২০) গড়
সূত্র: ওইসিডি, ২০২৩
চিত্র ৩: বেসরকারি জনহিতৈষী অর্থের ক্ষেত্র অনুযায়ী বরাদ্দের (২০১৮-২০২০) গড়
সূত্র: ওইসিডি, ২০২৩
উদাহরণ স্বরূপ, গ্লোবাল ফিলানথ্রপি ট্র্যাকার ২০২৩ অনুসারে, খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত ৪৭টি দেশ মানবহিতৈষী বহিঃপ্রবাহ হিসাবে প্রায় ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং চারটি আন্তঃসীমান্ত সম্পদ প্রবাহকে—জনহিতকর বহিঃপ্রবাহ, ওডিএ, ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স ও ব্যক্তিগত পুঁজি— একত্রিত করলে ৮৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে। তবে জনহিতৈষীরা যে তহবিল সরবরাহ করে তা বেশিরভাগই নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বা প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত। যেমন, ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রভিত্তিক দিকে তাকালে দেখা যায় যে অর্থায়নের বেশির ভাগই পেয়েছে স্বাস্থ্য (এসডিজি ৩) ও সুশীল সমাজ (এসডিজি ১৭), যথাক্রমে ৫৬ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ (চিত্র ৩)। এই ঘটনাটি জনহিতৈষী সংস্থাগুলির জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করা থেকে এগিয়ে গিয়ে বিস্তৃত স্থায়িত্বের বর্ণনের দিকে অসংযুক্ত ও অচিহ্নিত সাধারণ সমর্থন প্রদানের প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত করে। যাই হোক, জনহিতকর অবদান কি প্রকৃতই বৃহত্তর সমাজের সুবিধার জন্য ভাল করার নিঃস্বার্থ কাজের প্রতিনিধিত্ব করে? প্রকৃতপক্ষে, প্রচুর হৈচৈ রয়েছে এমন পথে স্থানান্তর নিয়ে যা হবে 'নো স্ট্রিং অ্যাটাচড' এবং আরও ‘বিশ্বাস-ভিত্তিক জনহিতৈষণা’ — হুইটম্যান ইনস্টিটিউট দ্বারা ২০১৪ সালে তৈরি করা এই শব্দবন্ধটি বোঝায় "দান করার এমন একটি পদ্ধতি যা তহবিলদাতা, অলাভজনক সংস্থা এবং তারা যে জনসম্প্রদায়গুলিকে পরিবেশন করে তাদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার অন্তর্নিহিত বিষয়গুলিকে সম্বোধন করে […] বাস্তবিক পর্যায়ে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় বহুস্তরীয় বিধিনিষেধহীন দান, সহজতর প্রয়োগ ও প্রতিবেদন।” বিশেষজ্ঞরাও নমনীয় অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তাগুলি চিহ্নিত করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে, উন্নয়ন ফলাফল সর্বোত্তম করার জন্য সরকার ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলিকে নীতি আলোচনায় জনহিতকর সংস্থাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর অর্থ, প্রভাব বিনিয়োগে পরিবর্তন। তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণা হিসাবে যদিও এই বিনিয়োগগুলি ইতিবাচক সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব সঞ্চালিত করার লক্ষ্যে কর্মক্ষমতা-চালিত, তবে লাভ, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতার পরিমাপের একটি দিক রয়েছে।
কেন উন্নয়ন অর্থায়ন হিসাবে পাইলট ফিলানথ্রপি?
স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বেসরকারি ফাউন্ডেশন ও অলাভজনক সংস্থাগুলি থেকে ইতিবাচক অর্থায়ন অর্জন একটি অনুকূল সম্ভাবনা বহন করে। তাদের শিকড়গুলি যেহেতু সামগ্রিক সামাজিক ভাল করার নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি, জনহিতৈষণা তাই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও প্রকল্পের জন্য অনুদান তহবিলের গতিশীলতা অন্বেষণ করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শুধুমাত্র সুবিধাভোগীদের মধ্যে আস্থা তৈরির জন্য নয়, এই ক্ষেত্রের জন্য সাধারণ সমর্থনের বিষয়েও নমনীয় অর্থায়নের দিকে একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও ততটা ঘনঘন ঘটছে না, তবে নমনীয় অর্থায়ন জনহিতৈষীদের মধ্যে গতি সংগ্রহ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৬-২০১৯-এর মধ্যে তাদের সামগ্রিক অনুদানের প্রায় ১৬ শতাংশ সমাজের জরুরি প্রয়োজনগুলি মোকাবিলা করার জন্য নমনীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। অধিকন্তু, ২০টি বড় আন্তর্জাতিক মানবহিতৈষী দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে ওইসিডি রিপোর্টটি আরও নমনীয় দানের দিকে একটি সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শনাক্ত করেছে, যা ২০২১ সালে বার্ষিক দানের ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২১ সালে পরিচালিত একটি ওইসিডি সমীক্ষা অনুসারে নমনীয় অর্থায়নের অবস্থাকে চিত্রিত করে চিত্র ৩। নির্বাচিত ৬৪,৯৪৮ অনুদান বা প্রকল্পের মধ্যে অচিহ্নিত বা সাধারণ উদ্দেশ্যসম্পন্ন ছিল শুধু ১০,১১৭টি যা ৬.৮ বিলিয়ন অর্থায়ন করেছিল ও মোটের ১৬ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট প্রকল্প বা কর্মসূচির জন্য ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও অনুদান বা প্রকল্পগুলির প্রায় ১৬ শতাংশ সাধারণ বাজেট সমর্থন হিসাবে মনোনীত করা হয়, এই নমনীয় অনুদানগুলি মোট অনুদানের প্রায় ১৯ শতাংশ।
অনেক জনহিতৈষী সংস্থা সরকার, ব্যবসা, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে একযোগে কাজ করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য জ্ঞান তৈরি করে, এবং তাদের তহবিলগুলিকে আরও ভালভাবে সংগঠিত করার জন্য সেই কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে।
এ কথা পুনর্ব্যক্ত করার দরকার নেই যে এটি অতিরিক্ত সংস্থান এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। অনেক জনহিতৈষী সংস্থা সরকার, ব্যবসা, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে একযোগে কাজ করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য জ্ঞান তৈরি করে, এবং তাদের তহবিলগুলিকে আরও ভালভাবে সংগঠিত করার জন্য সেই কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমর্থনের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে। এছাড়াও প্রচার প্রচেষ্টার জন্য জনহিতৈষী সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির বিশ্বব্যাপী আলোচ্যসূচিতে থেকে যাওয়া নিশ্চিত করে, নীতিকে প্রভাবিত করে, এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্র থেকে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে।
চিত্র ৩: উন্নয়নের জন্য বেসরকারি জনহিতৈষী নমনীয় অর্থায়নের অবস্থা (২০১৬-২০১৯)
সূত্র: ওইসিডি, ২০২৩
যাই হোক, চ্যালেঞ্জ অব্যাহত আছে। জনহিতৈষী ফাউন্ডেশন এবং সুবিধাভোগী/অনুদানকারীদের মধ্যে স্বার্থের বিভ্রান্তির সমস্যা, ফাউন্ডেশন দ্বারা অনুদানপ্রাপ্তদের নির্বাচনের মানদণ্ড, নির্দিষ্ট অর্থায়নকৃত অনুদানের জনপ্রিয়তা ইত্যাদি উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে একটি দৃশ্যমান বাধা তৈরি করে।
রিটার্নের অর্থনৈতিক হার বনাম আর\রিটার্নের সামাজিক হার
জনহিতৈষী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় আর্থিক শক্তি ও ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, যা প্রায়শই সরকারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়। এই সজীবতা সমাধানগুলি উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন করতে দেয়, এবং তা পরে বড় সত্তাদের দ্বারা পরিমাপ ও গ্রহণ করা যেতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, এমন কিছু পরিসর রয়েছে যেখানে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি প্রায়শই তাদের অর্থ দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকে। এটি মূলত জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নের ক্ষেত্রে ঘটেছে, যা প্রায়শই ডিএফআই ও এমএফআই-এর উন্নয়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন পোর্টফোলিওতে সৎ-মাতৃত্বের আচরণ পেয়েছে, কারণ তারা প্রায়শই বিনিয়োগের সমন্বিত রিটার্ন (আরওআই) ছাড়াই "জনসাধারণের পণ্য" তৈরি করে। স্বল্পমেয়াদে লাভের একটি দুর্বোধ্য বা নিম্ন অর্থনৈতিক হার সত্ত্বেও এই জাতীয় প্রকল্পগুলি দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সামাজিক প্রত্যাবর্তনের হার প্রকাশ করে। এগুলি হল এমন কিছু পরিসর যেখানে জনহিতৈষীকে তার আর্থিক পেশী এবং ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা নিয়ে ঝাঁপ দিতে হবে এবং উন্নয়ন তহবিলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও হ্রাসপ্রাপ্ত সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করতে হবে।
জনহিতৈষী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় আর্থিক শক্তি ও ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, যা প্রায়শই সরকারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়।
উপসংহার: সরকারের ভূমিকা
যদিও এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সরকারগুলিকে এই সম্পদসমৃদ্ধ বেসরকারি ক্ষেত্রকে এই ধরনের জনহিতকর কাজে নিয়োজিত করার জন্য এবং এসডিজি তহবিলের জন্য আর্থিক সংস্থানগুলিকে চালিত করতে সক্ষম করার শর্ত তৈরি করতে হবে। শুধু করছাড় প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক পরিসরে উদ্ভাবন আনা যথেষ্ট নয়। অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সহজে প্রবেশ ও প্রস্থানের নিয়ম তৈরি করা, অর্থ পরিচালনা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করার সহজ নিয়ম তৈরি করা, তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতির মাধ্যমে এসডিজি পরিসরে অনুকরণীয় পারফরম্যান্সের জন্য তাদের পুরস্কৃত করা, এবং যেখানে জনহিতৈষীদের অর্থ সংগ্রহের একটি সহজ পথ আছে সেই ব্লেন্ডেড ফাইন্যান্সের পরিসরে চমকপ্রদ পণ্য উদ্ভাবন আনতে সহায়তা করার জন্য সক্রিয় কারণ তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ।
নীলাঞ্জন ঘোষ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডিরেক্টর
স্বাতী প্রভু অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাসোসিয়েট ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.