Author : Soumya Bhowmick

Published on Oct 14, 2025 Updated 0 Hours ago

১০০,০০০ মার্কিন ডলারের এইচ-১বি ফি এবং মেধা প্রবাহের পরিবর্তনের মধ্যে, ভারত পরিষেবা নির্ভরতা থেকে সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেমানব মূলধন, ডেলিভারি মডেল এবং বৃহদায়তন উদ্ভাবনের জন্য অংশীদারি পুনর্গঠন করছে।

পে-টু-প্লে ভিসা, মানব-মূলধন বাজি রাখা: ভারতের উপর এইচ-১বি ফি’র প্রভাব

সমসাময়িক বিশ্ব অর্থনীতি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে মেধাবীদের গতিশীলতা জাতীয় প্রতিযোগিতার একটি নির্ধারক হয়ে উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসার উপর ১০০,০০০ মার্কিন ডলারের সিলেকশন ফি আরোপ করা শুধু নীতিগত সমন্বয়ের চেয়েও বেশি কিছু; এটি ডিজিটাল যুগে দেশগুলি কীভাবে মানব পুঁজির জন্য প্রতিযোগিতা করে তার কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পদক্ষেপটি আন্তঃসংযুক্ত অর্থনীতিগুলির বৃদ্ধিতে দক্ষ অভিবাসনের অবদানকে অবমূল্যায়ন করার ঝুঁকি বহন করে। এইচ-১বি সুবিধাভোগীদের প্রায় ৭১ শতাংশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী পেশাদার, এবং গড় ক্ষতিপূরণ ১০৮,০০০ মার্কিন ডলার (অর্থবর্ষ ২০২১) থেকে ১১৮,০০০ মার্কিন ডলারে (অর্থবর্ষ ২০২২অর্থবর্ষ ২০২৩) বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কর্মীরা সাধারণত দেশীয় মেধা প্রতিস্থাপনের পরিবর্তে বিশেষায়িত পরিপূরক ভূমিকা পালন করে।

অর্থনৈতিক তত্ত্ব থেকে স্পষ্ট যে, উৎপাদনের উপকরণগুলির গতিশীলতা রুদ্ধ করলে মানব পুঁজির বরাদ্দে ভুল হতে পারে এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেতে পারে; তবে, ভারতের জন্য নিকট-মেয়াদি খরচের বণ্টন মনোযোগের দাবি রাখে। একটি পে-টু-প্লে ফিল্টার কিন্তু স্টার্ট-আপগুলির তুলনায় বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেশি পছন্দ করে, যার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠাতাদের মার্কিন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া, ভেঞ্চার নেটওয়ার্ক এবং এন্টারপ্রাইজ বিক্রয় শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে যায়। ঐতিহাসিকভাবে সাইট-পরিচালনার নিয়ম, অনুবর্তিতা অনুশীলন, এবং ক্লায়েন্ট এমবেডেডনেস-‌এর মতো অন-সাইট স্টিন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকা পরোক্ষ জ্ঞান সঞ্চয়ের গতি স্তিমিত হতে  পারে, যদি কম দল গ্রাহকদের মুখোমুখি হয়। সংস্থাগুলি পুনর্নিয়োগ এবং বেঞ্চ খরচ, চুক্তি পুনর্বিবেচনার সময় অস্থায়ী মার্জিনের চাপ, এবং বিকল্প পথ অনুসন্ধানের সময় অতিরিক্ত আইনি/অনুবর্তিতার মাথাপিছু খরচের সম্মুখীন হতে পারে।


একটি পে-টু-প্লে ফিল্টার কিন্তু স্টার্ট-আপগুলির তুলনায় বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেশি পছন্দ করে, যার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠাতাদের মার্কিন গ্রাহক খুঁজে পাওয়া, ভেঞ্চার নেটওয়ার্ক এবং এন্টারপ্রাইজ বিক্রয় শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে যায়।



স্থানীয়ভাবে, আরও প্রত্যাবর্তনকারী বা ধরে-‌রাখা প্রতিভার শোষণ নগর পরিকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনাগত ব্যান্ডউইডথকে শক্ত করতে পারে, যদিও নতুন চাহিদা সরবরাহকে কাজে লাগানোর আগে কিছু বিভাগে বেতন সঙ্কুচিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলি অতিক্রমণকালীন কিন্তু বস্তুগত সংঘাত; এগুলি কঠোর কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা, দ্রুত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার প্রবেশাধিকারের জন্য সক্রিয় সহায়তার আহ্বান জানায়। এই সমন্বয়গুলির বিপরীতে, ভারতের কৌশলগত মূলনীতিনির্ভরতা থেকে সক্ষমতাস্বল্পমেয়াদি ব্যাঘাতকে স্থিতিশীল সুবিধায়  রূপান্তর করার উপর নির্ভরশীল, এবং বৃহদায়তনে স্বনির্ভরতা উদ্ভাবনের জন্য একটি প্রাকৃতিক সেতু প্রদান করে।

ভারতের কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দু: নির্ভরতা থেকে আত্মনির্ভরতা

এই নীতিগত পরিবর্তন ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরের পাশাপাশি ঘটে  ২০২০- দশকের মাঝামাঝি সময়ে জিডিপি-‌তে প্রায় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছেএবং তা শক্তিশালী প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো এবং ডিজিটালি দক্ষ পেশাদারদের দ্রুত বর্ধনশীল ভিত্তির দ্বারা পরিচালিত হয়। অন্য দেশের উপর নির্ভরতা ভারতের ‘‌প্রকৃত শত্রু’‌ বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি এবং ‘‌আত্মনির্ভরতা’‌ জন্য তাঁর আহ্বান উন্নয়ন কৌশলের একটি ইচ্ছাকৃত পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দেয়।

ভারতীয় আইটি পরিষেবা সংস্থাগুলি, যাদের আয়ের ৫০-৬০ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, তারা ইতিমধ্যেই মানিয়ে নিচ্ছে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ইনফোসিস উইপ্রো-‌ মতো প্রধান সংস্থাগুলি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এইচ-১বি ভিসার উপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস করেছে, এবং অফশোর ডেলিভারি, স্থানীয় নিয়োগ বিশ্বব্যাপী সক্ষমতা কেন্দ্রগুলির (জিসিসি) উপর বেশি নির্ভর করছে। এটি তাদের প্রযুক্তি মূল্য শৃঙ্খলের বৃহত্তর অংশ দখল করার উপযুক্ত, কারণ মার্কিন ক্লায়েন্টরা অন-সাইট মোতায়েনের পরিবর্তে সাশ্রয়ী বিকল্প খুঁজছেন। এর প্রভাব পৃথক সংস্থাগুলির বাইরে ভারতের উদ্ভাবন ব্যবস্থায় প্রসারিত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ১০০ টিরও বেশি ইউনিকর্ন-‌সহ স্টার্ট-আপ ভূদৃশ্য দ্রুত প্রসারিত হয়েছে এবং বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ পুনের মতো শহরগুলি প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসাবে তাদের ভূমিকা আরও গভীর করে চলেছে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে, এবং দেশীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে।

ভারতের শিক্ষাগত পরিকাঠামো এই পথের ভিত্তি তৈরি করে। দেশটি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ স্টেম স্নাতক তৈরি করে, যা বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসারে একটি গভীর পাইপলাইন। সেমিকন্ডাক্টরগুলির জন্য উৎপাদন সংযুক্ত প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্পের মতো সরকারি উদ্যোগগুলি ভারতের সীমান্তের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য কাঠামো তৈরি করছে। ২০২০ সাল থেকে গবেষণা উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশীয় সংস্থাগুলি এবং আন্তর্জাতিক কর্পোরেশনগুলি দেশে প্রধান উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করছে। গুগল, মাইক্রোসফট অ্যামাজন সহ কোম্পানিগুলি  ভারতীয় প্রকৌশল এবং গবেষণা উন্নয়নে বহু বিলিয়ন বিনিয়োগ করছে, ভারতীয় বাজারকে শুধু আউটসোর্সড পরিষেবার গন্তব্যস্থল হিসাবে নয়, বরং উদ্ভাবনের উৎস হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

এগুলি অতিক্রমণকালীন কিন্তু বস্তুগত সংঘাত; এগুলি কঠোর কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা, দ্রুত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার প্রবেশাধিকারের জন্য সক্রিয় সহায়তার আহ্বান জানায়।



এই ভিত্তি যত গভীর হচ্ছে, মার্কিন অন-সাইট ভূমিকা থেকে অব্যাহত পুনর্ভারসাম্য তৈরির ফলে ভারতের দক্ষতার সঙ্গে দেশের চাহিদার মিল যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাও উন্নত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী সক্ষমতা কেন্দ্র এবং পণ্য সংস্থাগুলির অভ্যন্তরীণভাবে আয়তনবৃদ্ধির সাথে সাথে সূক্ষ্ম চাহিদাগুলিনির্দিষ্ট স্ট্যাক, অনুবর্তিতা প্রয়োজনীয়তা ডোমেন দক্ষতাআগেভাগে এবং আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশিক্ষণ প্রদানকারীরা তাদের পাঠ্যক্রম আরও দ্রুত সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে পারে, নিয়োগ চক্র সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে, এবং স্থানান্তর/ভিসা সংঘাত হ্রাস করা যেতে পারে। চিপ ডিজাইন, ক্লাউড সুরক্ষা, ডেটা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পণ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ক্ষমতা বিদেশি অ্যাসাইনমেন্ট উইন্ডোর জন্য অপেক্ষা না করেই ক্রেতা খুঁজে পায়। শহর এবং ফার্ম স্তর জুড়ে মজুরি সংকেত স্বাভাবিক হয়, ধরে রাখার ক্ষমতার উন্নতি হয়, এবং শিক্ষানবিশ শিল্প সার্টিফিকেশন সরাসরি কার্যকরী ভূমিকার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এই লাভগুলি উন্নত শ্রম-বাজার ডেটা, পোর্টেবল শংসাপত্র এবং আন্তঃরাজ্য গতিশীলতা সমর্থনকারী নীতিগুলির উপর নির্ভর করে।

ভূ-রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস এবং শ্রম-বাজার গতিশীলতা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, অন্য দেশগুলি বিশ্বব্যাপী প্রতিভার জন্য আরও সক্রিয়ভাবে প্রতিযোগিতা করছে। কানাডার এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিভাগ, যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা এবং অস্ট্রেলিয়ার দক্ষ অভিবাসন সংস্কারগুলি এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ভারতের জন্য এই উন্নয়নগুলি বৈচিত্র্যময় অংশীদারিত্বের জায়গা উন্মুক্ত করছেদেশটি ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও গভীর করছে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সরবরাহ-শৃঙ্খল কাঠামোতে নিজের পছন্দমতো জড়িত হচ্ছে, যার ফলে মার্কিন বাজারের উপর তার অতিরিক্ত নির্ভরতা হ্রাস পাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী শ্রম বাজারের রূপান্তর একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিবর্তন। ‘‌রিভার্স ব্রেন ড্রেন’‌ ক্রমবর্ধমানভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে, কারণ দেশীয় বাস্তুতন্ত্র শীর্ষ প্রতিভা ধরে রাখা এবং আকর্ষণ করার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠছে। বেঙ্গালুরুতে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠায় ভারতীয় পেশাদারদের প্রত্যাবর্তন, সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক ভারত-ভিত্তিক ইউনিকর্নের উত্থান, এই পরিবর্তনকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। আধুনিক কাজের ডিজিটাল প্রকৃতি আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতাকে আরও সক্ষম করে, যা ঐতিহ্যবাহী অভিবাসন সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে। ভারতীয় সংস্থাগুলি এখন বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের সেবা করতে পারে এবং ভারতে তাদের মূল দলগুলিকে বজায় রাখতে পারে, এবং এমন মূল্য অর্জন করতে পারে যার জন্য এক সময় ক্লায়েন্ট দেশগুলিতে শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন হত।

স্থিতিশীল সমৃদ্ধি শুধু বিদেশি শ্রম বাজারে প্রবেশাধিকারের উপর নয়, স্বাধীন ক্ষমতা এবং স্থিতিস্থাপক মানব-পুঁজি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর নির্ভর করবে।



দক্ষ অভিবাসন সম্পর্কিত অর্থনৈতিক গবেষণা ধারাবাহিকভাবে দেখায় যে উচ্চ-দক্ষ শ্রম চলাচলের উপর বিধিনিষেধ দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণকারী অর্থনীতিরই ক্ষতি করে, অন্যদিকে উৎস দেশগুলি যদি কার্যকরভাবে ধরে-‌রাখা প্রতিভা শোষণ এবং স্থাপন করে তবে তারা উপকৃত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান,  এবং  ইজরায়েলের ঐতিহাসিক উদাহরণগুলি দেখায় যে মানব পুঁজি দেশে থাকলে এবং প্রতিষ্ঠানগুলি কার্যকরভাবে বাজার প্রয়োগের সঙ্গে গবেষণার সেতুবন্ধন করতে পারলে দেশীয় উদ্ভাবন ক্ষমতা ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। ভারতের নিজস্ব অভিজ্ঞতাও একই রকম। সফটওয়্যার শিল্পটি ব্যয়-দক্ষ পরিষেবা সরবরাহ করা থেকে একটি অত্যাধুনিক উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্রে বিকশিত হয়েছে, যা ফিনটেক, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং কৃষি-প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতিকে চালিত করে। ফ্লিপকার্ট, পেটিএম ওলার মতো সংস্থাগুলি ভারতীয় অবস্থার সঙ্গে মানানসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করেছে যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে রপ্তানি করা হয়। ভবিষ্যতে, এই পথের স্থায়িত্ব নির্ভর করবে শিক্ষার মান, গবেষণা পরিকাঠামো এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এমন প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলিতে টেকসই বিনিয়োগের উপর।

পরিশেষে, ট্রাম্পের বিধিনিষেধযুক্ত এইচ-১বি ফি উচ্চ-দক্ষতার গতিশীলতার উপর কর আরোপের মাধ্যমে মার্কিন উদ্ভাবনকে নিস্তেজ করে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে, এবং একইসঙ্গে মেধা, বিনিয়োগ ধারণাগুলিকে প্রতিযোগীদের দিকে ঠেলে দেয়। ভারত আত্মনির্ভরতা গভীর করে, অভ্যন্তরীণ উদ্ভাবন ক্ষমতা জোরদার করে, এবং বহিরাগত অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ করে এই ব্যাঘাতকে সুবিধায় রূপান্তরিত করতে পারে। স্থিতিশীল সমৃদ্ধি শুধু বিদেশি শ্রম বাজারে প্রবেশাধিকারের উপর নয়, স্বাধীন ক্ষমতা এবং স্থিতিস্থাপক মানব-পুঁজি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর নির্ভর করবে। একটি অভিবাসন পুনর্বিন্যাস চলছে যা দল গঠন এবং বৌদ্ধিক সম্পত্তি তৈরির স্থান পরিবর্তন করার মাধ্যমে সম্ভাব্যভাবে পরিষেবা নির্ভরতা থেকে উদ্ভাবনী নেতৃত্বের দিকে ভারতের পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করবে। যারা এই মানব-পুঁজি প্রতিযোগিতার সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবে তারা আগামী দিনের বিশ্ব অর্থনীতিকে সংজ্ঞায়িত করবে।



সৌম্য ভৌমিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসি (সিএনইডি)- ফেলো এবং লিড, ওয়ার্ল্ড ইকনমিজ অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.