Published on Sep 19, 2024 Updated 0 Hours ago

পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ ভারতের প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্বকে বাধা দিতে পারে এবং আঞ্চলিক সুবিধা অর্জনের সুযোগ হ্রাস করতে পারে। এর পাশাপাশি কৌশলগত পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির হুমকি ভারতকে সংঘাতে পরিমিত প্রতিক্রিয়া বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে।

পাকিস্তানের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ভারতের প্রচলিত সামরিক বিকল্পগুলিকে সীমিত করেছে

১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তানের প্রকাশ্য পারমাণবিকীকরণের পর ভারতীয় উপমহাদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের অশুভ ছায়া গাঢ় হয়ে আসে। ঐতিহাসিক চাপানউতোর এবং আঞ্চলিক বিরোধের কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতার প্রভাব দুই দেশের পারমাণবিক ক্ষেত্রেও প্রকাশ পেয়েছে। যখন পারমাণবিক অস্ত্রের দখল উভয় দেশের সম্পর্কে একটি নতুন প্রাণঘাতী মাত্রা যোগ করেছে, তখন পাকিস্তান কর্তৃক কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা ট্যাকটিকাল নিউক্লিয়ার ওয়েপন-এর (টিএনডব্লিউ) প্রবর্তন এই অস্থির সম্পর্কের মধ্যে অনিশ্চয়তাকে উস্কে দিয়েছে। ভারতের কাছ থেকে পাকিস্তানের অনুভূত হুমকির দরুন - যা তার কাঠামোগত, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামরিক দুর্বলতা থেকে উদ্ভূত – পাকিস্তানকে ১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে প্ররোচিত করেছে। তবে তাতে ব্যর্থ হয়ে পাকিস্তান বিস্তৃত কৌশলগত উপসংহারে এসেছে যে, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দ্বারা সক্ষম ভারতীয় সামরিক আধুনিকীকরণ ভারতকে চিরাচরিত ভাবে উচ্চতর শক্তি করে তোলে। ভারতের প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ-এর মাধ্যমে সেই বিষয়টিকে মোকাবিলা করার আকাঙ্ক্ষা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গঠন এবং সামগ্রিক ভাবে তার পারমাণবিক মতবাদকে আকার দিয়েছে।

যখন পারমাণবিক অস্ত্রের দখল উভয় দেশের সম্পর্কে একটি নতুন প্রাণঘাতী মাত্রা যোগ করেছে, তখন পাকিস্তান কর্তৃক কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা ট্যাকটিকাল নিউক্লিয়ার ওয়েপন-এর (টিএনডব্লিউ) প্রবর্তন এই অস্থির সম্পর্কের মধ্যে অনিশ্চয়তাকে উস্কে দিয়েছে।

পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ কর্মসূচিকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছেপ্রবক্তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এই অস্ত্রগুলি ভারতের বড় আকারের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করে। ক্রমবর্ধমান চাপানউতোরে আর একটি নতুন ‘স্তর’ যোগ করে টিএনডব্লিউ অনুমিত ভাবে পারমাণবিক বিনিময়ে দ্রুত বৃদ্ধির সম্ভাবনার ভয়ের দরুন একটি প্রচলিত সংঘাত শুরু করার জন্য ভারতকে সংযম অনুশীলন করতে বাধ্য করেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি তাত্ত্বিক ভাবে প্রতিরোধের স্থিতিশীলতার একটি অনিশ্চিত রূপ বজায় রাখে। যাই হোক, সমালোচকরা কঠোর ভাবে এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে, টিএনডব্লিউ পারমাণবিক থ্রেশহোল্ড কমিয়ে দেয় এবং অনিচ্ছাকৃত বৃদ্ধি বা ভুল গণনার মতো ঝুঁকির সুযোগ করে দেয়। এটি পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ নীতির প্রভাব বোঝার জন্য কেন্দ্রীয় বিষয়ও বটে। এই নীতির অনুমিত প্রতিরোধ ক্ষমতা সত্যিই স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, না অনিচ্ছাকৃত ভাবে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি যে কোনো সম্ভাব্য লাভের তুলনায় অনেক বেশি, তার উপরেই বিষয়টি নির্ভর করে।

ব্যাপক ধ্বংস: কৌশলগত মাত্রা

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা, শক্তি নির্গমনের উচ্চ হার (হাই ইল্ড), দীর্ঘায়িত অবশেষমূলক বিকিরণ (প্রলংড রেসিডুয়াল রেডিয়েশন) এবং অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় উপাদান বর্ষিত হওয়ার (এক্সটেন্ডেড নিউক্লিয়ার ফল আউট) ধারণা সুপরিচিত। যাই হোক, এর কৌশলগত সংস্করণের নেপথ্যে প্রধানত চারটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, ডেলিভারি ভেহিকলের পরিসীমা এবং পেলোড ক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, ডিভাইসটি নিক্ষেপের ফলাফল। তৃতীয়ত, অস্ত্রের ভৌগোলিক অবস্থান বা স্থাপনার এলাকা। চতুর্থ, নির্দেশ নিয়ন্ত্রণ। কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলির একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এলাকায় ধ্বংস সীমাবদ্ধ করার জন্য স্বল্প পাল্লা এবং স্বল্প শক্তি নির্গমন ক্ষমতা রয়েছে। স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে যেমন কাউন্টার ভ্যালু বা কাউন্টারফোর্স টার্গেট থাকে, টিএনডব্লিউ-র ক্ষেত্রে অনুমিত এলাকাটি হল যুদ্ধক্ষেত্র। টিএনডব্লিউ-নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণ আপাতদৃষ্টিতে এরিয়া কম্যান্ডার বা সরেজমিনে কৌশলগত অপারেশন পরিচালনাকারী মধ্যম পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তার কাছে অর্পণ করা হয়।

পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক সম্ভাবনা, শক্তি নির্গমনের উচ্চ হার (হাই ইল্ড), দীর্ঘায়িত অবশেষমূলক বিকিরণ (প্রলংড রেসিডুয়াল রেডিয়েশন) এবং অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় উপাদান বর্ষিত হওয়ার (এক্সটেন্ডেড নিউক্লিয়ার ফল আউট) ধারণা সুপরিচিত। যাই হোক, এর কৌশলগত সংস্করণের নেপথ্যে প্রধানত চারটি প্রধান কারণ রয়েছে।

এই বিষয়টির তাত্ত্বিক কাঠামো বোঝার জন্য পাকিস্তানের এই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা বোঝা অপরিহার্য। এই বিষয়ে দুটি প্রধান মতামত আছে। একটি হল একটি স্বল্প-মেয়াদি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, যা আদতে বলে যে, এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হয়েছে এবং যা শত্রুর উপর উল্লেখযোগ্য আক্রমণ ঘটাতে আগে থেকে উদ্দেশ্যমূলক উপায়ে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে দ্রুত সামরিক হামলা চালানোর কাজটিকে সহজতর করে২০০২ এবং ২০০৩ সালের মধ্যে অভিযানের পরাক্রমের পরে এই কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের আবির্ভাব ঘটে।

একটি প্রতিরোধ হিসাবে টিএনডব্লিউ: ভারসাম্যহীনতা ক্ষতিপূরণ

সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজের স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের বিদেশনীতি এবং তার বৃহত্তর নিরাপত্তা কৌশল এই প্রশ্নের চারপাশে আবর্তিত হয়েছে যে, কী ভাবে ভারতীয় হুমকির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে, হুমকির মোকাবিলা করা যাবে বা তাকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে। বিশেষজ্ঞরা তিনটি পন্থা অবলম্বন করে এই দ্বিধাকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন: উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনের জন্য বড়  শক্তির সঙ্গে জোট, সন্ত্রাসবাদ প্রক্সি যুদ্ধ এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ। যাই হোক, সবচেয়ে স্থিতিশীল বিকল্প হল পারমাণবিক প্রতিরোধ, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত সমীকরণকে আরও অনিশ্চিত করে তোলে। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত জি পার্থসারথির মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের কারণ এই নয় যে, ভারতের কাছে এই ধরনের অস্ত্র ছিল, বরং আসল কারণ হল এই যে, ভারতের প্রচলিত যুদ্ধে শ্রেষ্ঠত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানেরও এই ধরনের অস্ত্রের প্রয়োজন ছিল। পূর্ণ মাত্রার পারমাণবিক প্রতিরোধের প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি মানে টিএনডব্লিউ-র ব্যবহার এটির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

পাকিস্তান কখন তার টিএনডব্লিউ ব্যবহার করবে এবং তাদের ব্যবহারের জন্য বিপদসঙ্কেত হিসেবে কোন বিষয়গুলি নির্ধারণ করা হয়েছে? পাকিস্তানের পারমাণবিক নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানকারী কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের (এসপিডি) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল খালিদ কিদওয়াই দাবি করেছেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র (কৌশলগত বা পরিকল্পিত) তখনই ব্যবহার করা হবে যদি পাকিস্তানের অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে পড়ে প্রতিরোধ ব্যর্থ হলে এই টিএনডব্লিউ ব্যবহারের জন্য একটি কাঠামো তিনি বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন

যদি ভারত,

১. আক্রমণ করে এবং পাকিস্তানের একটি বড় অংশ জয় করে (টেরিটোরিয়াল বা স্পেস থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ আঞ্চলিক বা পরিসরভিত্তিক প্রেক্ষিত)

২. পাকিস্তানের স্থল বা বিমান বাহিনীর একটি বড় অংশ ধ্বংস করে (মিলিটারি থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ সামরিক প্রেক্ষিত)

৩. অর্থনৈতিক ভাবে পাকিস্তানের শ্বাসরোধ করার কাজে এগিয়ে আসে (ইকোনমিক থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত)

৪. পাকিস্তানকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয় বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ সৃষ্টি করে (ডোমেস্টিক থ্রেশহোল্ড অর্থাৎ গার্হস্থ্য বা অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষিত)

টিএনডব্লিউ: ভুল গণনার উচ্চ সম্ভাবনা

প্রচলিত যুদ্ধক্ষেত্রে টিএনডব্লিউ-র প্রবর্তন আশঙ্কা তৈরি করে। মার্কিন বিশেষজ্ঞ পিটার আর ল্যাভয় পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, পাকিস্তানের তৈরি শেষ দুটি বিপদ সঙ্কেত অর্থা অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা অস্পষ্ট ভাবে দেওয়া হয়েছে এবং এটি প্রচলিত যুদ্ধের পূর্বসূচি। পাকিস্তানের দ্বারা টিএনডব্লিউ-র বিকাশ স্থাপনা পারমাণবিক ব্যবহারের থ্রেশহোল্ড কমিয়ে দেবে। অস্পষ্ট ভাবে দেওয়া পাকিস্তানের বিপদসঙ্কেতগুলি এটিকে ভারতের বিরুদ্ধে নিম্ন স্তরের আক্রমণ উস্কে দেওয়া এবং আক্রমণ সূচনা করার সুযোগ  দেবে। কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র কিছু পরিমাণে হলেও দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে একটি বড় সর্বাত্মক যুদ্ধ প্রতিরোধ করে এবং দুই দেশকে ছোট ন্যূনতম আকারে সংঘাত বৃদ্ধির জন্য একটি সুযোগের পরিসর প্রদান করে। এটি পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ-র কারণে সম্পর্কের জন্য একটি অস্থিতিশীল পরিবেশেরও সৃষ্টি করে। রাওয়ালপিন্ডির অঘোষিত ফার্স্ট ইউজ বা প্রথম ব্যবহারের (এফইউ) মতবাদের পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের দীর্ঘকাল ধরে এই বিশ্বাস রয়েছে যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্বল রাষ্ট্র হওয়ায় পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে একটি প্রচলিত যুদ্ধে নিজের টিএনডব্লিউ ব্যবহার করে তার ক্ষতিপূরণ করতে পারে। পাকিস্তানের দ্বারা পরমাণু অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার স্বাভাবিক ভাবে বিরোধকে একটি প্রচলিত যুদ্ধ থেকে পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত করবে। আর কটি প্রেক্ষিত যা সম্পর্কে পাকিস্তানিরা অবগত নন যে, ভারতের পারমাণবিক মতবাদে নিহিত রয়েছে সর্বাত্মক প্রতিশোধ। যদি পাকিস্তান একটি প্রচলিত যুদ্ধে নিজের টিএনডব্লিউ ব্যবহার করে, তা হলে ভারতের সর্বাত্মক প্রতিশোধ কৌশলগত পারমাণবিক বিনিময়ের যুদ্ধের কৌশলগত ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না-ও থাকতে পারে। তবে বৃহত্তর প্রশ্নটি এখনও রয়ে গিয়েছে, পাকিস্তানের কি সংঘাত বাড়ানোর জন্য আদৌ প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক আগ্রহ আছে?

টিএনডব্লিউ: একটি রাজনৈতিক সঙ্কেত সাধনী

বার্নার্ড ব্রডির মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের আবির্ভাবের পর রাষ্ট্রগুলির প্রধান উদ্দেশ্য হতে হবে যুদ্ধে জয়ী হওয়া নয়, বরং যুদ্ধটাই এড়িয়ে যাওয়া। যুদ্ধ এড়ানোর অর্থ হবে যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য উভয় পক্ষের সক্রিয় প্রচেষ্টা, কিন্তু একই সঙ্গে জয়ী না হওয়ার আসল অর্থ হল, কোনও যুদ্ধ যদি-ও বা হয়, তা হলে যেন কোনও নিরঙ্কুশ বা সিদ্ধান্তমূলক লক্ষ্য অর্জন করা না যায়। পারস্পরিক নিশ্চিত ধ্বংস’ বা ‘মিউচুয়ালি অ্যাশিওরড ডেস্ট্রাকশন’-এর (এমএডি বা ম্যাড) কারণে যা আসলে প্রতিরোধের ভিত্তিও বটে – কোনদুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ কখনই জয়ী হবে না, যদি কোন সংঘর্ষে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে বরং ধ্বংস পারস্পরিক ভাবে নিশ্চিত করা হবে, তা কৌশলগত হোক বা পরিকল্পিতই হোক না কেনএর ফলস্বরূপ, পারমাণবিক প্রতিপক্ষরা পারমাণবিক বা প্রচলিত সংঘর্ষের যে কোনও সম্ভাবনা এড়াতে পরস্পরের মধ্যে নিজেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও জোরদার করতে থাকবে।

পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ ভারতের প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্বকে আঞ্চলিক লাভে পরিণত করা থেকে বিরত রাখতে পারে। এমনকি কৌশলগত পর্যায়েও পারমাণবিক বৃদ্ধির নিছক হুমকি ভারতকে সম্ভাব্য সংঘাতে একটি পরিমিত প্রতিক্রিয়া বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে। যাই হোক, টিএনডব্লিউ-র প্রকৃত ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতির বিশাল ঝুঁকি বহন করে।  তাই, পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ কর্মসূচি সম্ভবত বিশ্বাসযোগ্য সঙ্কেতের মাধ্যমে একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং এটি প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্র ব্যবহারের জন্য কোনও হাতিয়ার বা সাধনী নয়।

পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ ভারতের প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্বকে আঞ্চলিক লাভে পরিণত করা থেকে বিরত রাখতে পারে। এমনকি কৌশলগত পর্যায়েও পারমাণবিক বৃদ্ধির নিছক হুমকি ভারতকে একটি সম্ভাব্য সংঘাতে একটি পরিমিত প্রতিক্রিয়া বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে।

যাই হোক, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতা অদূর ভবিষ্যতে প্রথাগত শক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসামঞ্জস্য কৌশলগত শক্তির আধুনিকীকরণ দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সংক্ষেপে বললে, কৌশলগত স্থিতিশীলতা উভয় পক্ষের অপরের ব্লাফ কল করার ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছাকেও দমন করবে। এই ধরনের পদক্ষেপের ঝুঁকিও অনেক বেশি কারণ পাকিস্তানের দ্বারা শুরু করা সীমিত যুদ্ধ - যাতে টিএনডব্লিউ ব্যবহার জড়িত থাকে - তা সম্ভবত সম্পূর্ণ ধ্বংসের যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।

 


অময় ভেলাঙ্গি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

কার্তিক বোম্মাকান্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.