Published on Jul 25, 2022 Updated 0 Hours ago
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প: এক উদীয়মান বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

গত ২৫ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংযোগব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনাকারী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্রজেক্ট (পি এম বি পি) বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশের পরে গঙ্গা নদীর নিম্ন ধারা পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত একটি বহুমুখী রেল-সড়ক সেতু প্রকল্প। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান সেতুটি দেশের দীর্ঘতম সেতু এবং ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমির দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। এই প্রকল্প এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক উদ্ভাবনী এক প্রকল্প হওয়ার পাশাপাশি সে দেশের ইতিহাসে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। বর্তমান সময়ে যখন প্রতিযোগিতামূলক সংযোগব্যবস্থা স্থাপনের কৌশল এবং বিনিয়োগে দক্ষিণ এশিয়ার বাজার ছেয়ে গিয়েছে, তখন এই ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ বা ‘স্বপ্নের প্রকল্প’টির অর্থায়ন সম্পূর্ণ রূপে বাংলাদেশ সরকারের তরফে করা হয়েছে। তাই বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন যে, কী ভাবে এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে; এই সেতু প্রকল্প কি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে এবং তেমনটা হলে তা কি ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা চালিত আওয়ামি লিগ সরকারকে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন জিততে সাহায্য করবে?

এই সমস্যার সমাধান এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ ব্যবস্থার সুদৃঢ়করণই পি এম বি পি-র প্রধান লক্ষ্য। পদ্মার মাওয়া ও জঞ্জিরা নামক দুই নদীতীরকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে এই সেতু ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ভোলা এবং বরিশালের মতো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলির সঙ্গে দেশের উত্তর এবং পূর্ব অংশের সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে।

দেশ এবং অঞ্চলটিকে সংযুক্ত করা

বর্ষার সময়ে অশান্ত পদ্মা অতিক্রম করা এক দুরূহ কাজ এবং সেই সময়ে ফেরি ঘাটগুলিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়া এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগ ব্যবস্থার সুদৃঢ়করণই পি এম বি পি-র প্রধান লক্ষ্য। পদ্মার মাওয়া ও জঞ্জিরা নামক দুই নদীতীরকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে এই সেতু ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ভোলা এবং বরিশালের মতো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলির সঙ্গে দেশের উত্তর এবং পূর্ব অংশের সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও সেতুটি পণ্য, পরিষেবা এবং জনসাধারণের চলাচল সুগম করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও সংযোগ ব্যবস্থা জোরদার করবে। যেমনটা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই প্রকল্পের ফলে ‘যৌথ সমৃদ্ধি, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং উন্নততর আঞ্চলিক আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা’ সুনিশ্চিত হবে। সর্বোপরি, পি এম বি পি একটি দ্বিস্তরীয় ইস্পাত দ্বারা নির্মিত ট্রাস ব্রিজ যেটির প্রথম স্তরটি ট্রেন চলাচলের জন্য রেলওয়ে ট্র্যাকবিশিষ্ট এবং দ্বিতীয় স্তরটি মালবাহী বা যাত্রীবাহী ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হবে। রেলপথটি যশোর এবং ঢাকার মতো প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে এবং বঙ্গবন্ধু ব্রিজ নির্ভর ৮ ঘণ্টার দীর্ঘ সফরের সময়কালকে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এই সেতুটি ২০২৪ সালের মধ্যে কার্যকর হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।

আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই রেলপথ বাংলাদেশ এবং তার প্রতিবেশ অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তুলতে পারে, যা দেশটির বিদেশনীতি্র অগ্রাধিকারকেই তুলে ধরে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ রেলওয়ে আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে কলকাতা সফরের সময়সীমা কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা। এই প্রকল্পকে যদি পদ্মা সেতু থেকে মাত্র ১৫৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আখাউরা-আগরতলা রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, তা হলে সেটি বাংলাদেশকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষিতে সংযো্গস্থাপনকারী উদ্যোগের প্রচার পারস্পরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার সহজাত পন্থা। গত মাসগুলিতে, এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলিতেও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা প্রায়শই ভারতকে বাংলাদেশের সংযোগব্যবস্থার সুবিধা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে্র সংযোগব্যবস্থা উন্নত করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার অনুরোধ, যাতে অঞ্চলটি সহজেই সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে।

এক জাতীয় সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার সেতু নির্মাণের কাজে স্ব-অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নেয়, যা দেশটিকে তার ‘সাহায্যপ্রার্থী মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে’ এবং নিজের স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রমাণ দিতে সক্ষম করেছে।

এই ‘মহা-সেতু’র মাধ্যমে বাংলাদেশও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে  উঠবে, যেটি সড়কপথে ৩২টি দেশকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে এশিয়ান হাইওয়ে ১ (এ এইচ ১), এশিয়ান হাইওয়ে ২ (এ এইচ ২) এবং এশিয়ান হাইওয়ে ৪১ (এ এইচ ৪১)… এই তিনটি সড়কের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট সেতুটি এ এইচ ১-এর একটি অপরিহার্য অংশ। এ ছাড়াও, পদ্মা সেতুর রেলপথটি ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটের সঙ্গে সংযুক্ত, যেটি বাংলাদেশকে ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার এবং চিনের মতো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রেলপথে যুক্ত করবে। এই নতুন রেলপথ দেশে বিদ্যমান তিনটি রেলপথের পর চতুর্থতম সংযোজন। সংযোগপথের এই আন্তর্জালের সাহায্যে পদ্মা সেতু মংলা এবং পায়রা বন্দরকে এক নতুন গতিশীলতা প্রদান করতে পারে, যার ফলে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে আদানপ্রদান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এখানে দু’টি ছবি যাবে

সূত্র : দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
সূত্র : ডেলি বাংলাদেশ

আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করে তোলা ছাড়াও পদ্মা সেতুর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা এবং আত্মনির্ভরশীলতার সাক্ষ্য বহন করে, যে বৈশিষ্ট্যগুলি বাংলাদেশকে এক প্রতিকূল পরিস্থিতিকে নিজ সংকল্প পূরণের পথে সদর্থক ভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম করেছে।

গর্বের সেতু

প্রখ্যাত আমেরিকান কূটনীতিবিদ হেনরি কিসিঙ্গার একদা বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ বা ‘নড়বড়ে’ তকমা দিয়েছিলেন। বাস্তবিক ভাবেই বাংলাদেশ এই চিরাচরিত সত্যের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয় যখন বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট বাংকা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি এবং ইন্টার-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তথাকথিত ‘দুর্নীতি’র কারণে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন প্রত্যাখ্যান করে। এক জাতীয় সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার সেতু নির্মাণের কাজে স্ব-অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নেয়, যা দেশটিকে তার ‘সাহায্যপ্রার্থী মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে’ এবং নিজের স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রমাণ দিতে সক্ষম করেছে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে সেতুটির অর্থায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর পাশাপাশি, দেশের প্রতিটি নাগরিকও এক স্বতঃপ্রণোদিত সেতু তহবিলে মাথা পিছু ৫ টাকা (ভারতীয় ৪.২ টাকা) এবং ১০ টাকা (ভারতীয় ৮.৪ টাকা) করে দান করেন।

সেতু নির্মাণের কাজে কোনও রকমের বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যবহার না করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটিকে একটি একক উদ্যোগে সীমিত রেখেছে। ২০১৮ সালে পদ্মা রেল সংযোগপথের অর্থায়নে চিন আগ্রহী থাকলেও বাংলাদেশ এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সেতুটি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বি আর আই) অংশ নয় এবং সেটির দ্বারা অর্থায়িতও নয়। এ কথা সত্যি যে, পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চিনা বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাপক এবং দাশেরকান্দি সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট  ও ঢাকা বাইপাসের মতো একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চিনা অর্থে অর্থায়িত। যদিও সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো চিনা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে চিনের সঙ্গে তার আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। দেশটি চিনা বিনিয়োগের সাহায্যে সোনাদিয়া বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা ত্যাগ করেছে। পদ্মা সেতু তুলনামূলক ভাবে একটি সাম্প্রতিকতর উদাহরণ। এমনটা করার ফলে এক দিকে বাংলাদেশ, যেমন পদ্মা সেতুটিকে বৈদেশিক সাহায্যের সঙ্গে থাকা অদৃশ্য দায়বদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে, তেমনই অন্য দিকে শুধু নিজেরই নয়, সমগ্র অঞ্চলটির সংযোগব্যবস্থার রূপান্তর ঘটিয়ে নিজের ‘নড়বড়ে’ ভাবমূর্তি পালটে দিতেও সমর্থ হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রকল্প আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়লাভের উদ্দেশ্য সিদ্ধির অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।

পি এম বি পি-র বাস্তবায়নের দীর্ঘ সময়জনিত বিলম্ব এবং আহরণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীপক্ষ তাদের নির্বাচনী প্রচারে সওয়াল তুলবে, এ কথা সহজেই অনুমেয়।

উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ প্রাপ্তি

পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের তীব্র রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। ২০২৩ সালের আগামী নির্বাচনের পূর্বে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা না গেলে জনসাধারণ এই ঘোষণাকে আওয়ামি লিগের নির্বাচনী ইস্তাহারের ফাঁপা প্রতিশ্রুতি বলে মনে করতেন এবং এমনটা হলে দলটির পরপর চার বার নির্বাচনে জয়লাভ করার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়্ত। পি এম বি পি-র বাস্তবায়নের দীর্ঘ সময়জনিত বিলম্ব এবং আহরণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীপক্ষ তাদের নির্বাচনী প্রচারে সওয়াল তুলবে, এ কথা সহজেই অনুমেয়। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ। পি এম বি পি সংক্রান্ত বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট দর্শাচ্ছে যে, প্রধান সেতুটির ক্ষেত্রে আর মাত্র ৫ শতাংশের চেয়েও কম কাজ বাকি রয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করে নির্মাণ করার ফলে সরকারি পুঁজি দ্বারা অর্থায়িত প্রকল্পগুলি প্রায়শই তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। যদিও এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সাফল্যের অনুকূল বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাস্তবিক ভাবেই বিশ্বব্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক স্থিতি পুনরুদ্ধারে সফল হয়েছে এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ১২.৫ শতাংশের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে অঞ্চলটিতে দারিদ্রের আনুমানিক পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৯ শতাংশে। একই সঙ্গে দেশটির মাথা পিছু মোট জাতীয় আয়ের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ২৩২৬ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে হয়েছে ২৫৯১ মার্কিন ডলার। এই সব পরিসংখ্যান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের ছবিকেই তুলে ধরে যা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় আসীন হওয়ার সম্ভাবনাকেই শক্তিশালী করে।

ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড দ্বারা দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ সঙ্কটের মধ্যেও ভাল স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। এর পাশাপাশি, পি এম বি পি-কে সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনসাধারণ-সহ আঞ্চলিক দেশগুলির মধ্যেও এই বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে যে, বাংলাদেশ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে। এই ভাবে প্রকল্পটি তিনটি উদ্দেশ্য পূরণ করে: এটি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সংযোগব্যবস্থার প্রসার ঘটায়; ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের সাফল্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে এবং সর্বোপরি সমগ্র বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের পরিবর্তনের এক ইতিবাচক ছবি তুলে ধরে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Anasua Basu Ray Chaudhury

Anasua Basu Ray Chaudhury

Anasua Basu Ray Chaudhury is Senior Fellow with ORF’s Neighbourhood Initiative. She is the Editor, ORF Bangla. She specialises in regional and sub-regional cooperation in ...

Read More +
Sohini Bose

Sohini Bose

Sohini Bose is an Associate Fellow at Observer Research Foundation (ORF), Kolkata with the Strategic Studies Programme. Her area of research is India’s eastern maritime ...

Read More +
Prarthana Sen

Prarthana Sen

Prarthana Sen was Research Assistant with ORF Kolkata. Her interests include gender development cooperation SDGs and forced migration.

Read More +