Author : Premesha Saha

Published on Jul 26, 2024 Updated 0 Hours ago
ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রশাসনের অধীনে সুযোগ: ভারত-ইন্দোনেশিয়া প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করা

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো (জোকোই) উইডোডোর মেয়াদ শেষ হওয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-‌এর নির্বাচনে প্রবোও সুবিয়ান্তোর জয় নিশ্চিত করে জানানোর পর, প্রবোও প্রশাসনের অধীনে ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক কীভাবে এগোবে তা দেখার সময় এসেছে। প্রবোও চলতি বছরের অক্টোবরে জোকোইয়ের কাছ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব নেবেন। এই প্রথম ইন্দোনেশিয়া একই রাজনৈতিক জোটের দুটি প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রত্যক্ষ করবে। জোকোই এই বছর প্রেসিডেন্ট পদে প্রবোওর প্রার্থীপদ এবং তাঁর বড় ছেলে জিব্রান রাকাবুমিং রাকাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করেছেন। উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘‌পরবর্তী প্রশাসন জোকোইয়ের জন্য কার্যত তৃতীয় মেয়াদ হিসাবে প্রদর্শিত হবে, বা অন্তত ধারাবাহিকতার প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে’‌। অতএব, প্রশ্ন ওঠে যে, আমরা কি শুধু দেশীয় রাজনীতি ও ইস্যুতেই নয়, বিদেশনীতিতেও পূর্বসূরির নীতির ধারাবাহিকতা ও অনুসরণ দেখতে পাব? প্রবোওয়ের অধীনে ইন্দোনেশিয়ার বিদেশনীতি কেমন হবে এবং ভারত এতে কোথায় স্থান পাবে?

প্রবোও-‌এর নীতির গুরুত্ব

নিজের নির্বাচনী প্রচারের বেশিরভাগ সময় প্রবোও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকোইয়ের নীতিগুলির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রবোও ইন্দোনেশিয়ার বিদেশনীতির ক্ষেত্রে মুক্ত ও সক্রিয় (বেবাস ড্যান অ্যাক্টিফ) এবং নির্জোট বিদেশনীতির মতো দীর্ঘকালের পবিত্র নীতিগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে জোকোইয়ের মতো তাঁর বিদেশনীতির মূল নজর প্রাথমিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতির দিকে থাকে কি না তা দেখতে হবে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে প্রবোও প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির ঝোঁক
‘‌অর্থনীতি-নির্ভর কূটনীতি’‌ হবে না, বরং তিনি ইন্দোনেশিয়াকে বৈশ্বিক বিষয়ে আরও বড় ভূমিকা পালনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে চাইবেন। অর্থনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তায় একইভাবে মনোযোগ দেওয়া হবে। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে ইন্দোনেশিয়া একটি জোটনিরপেক্ষ দেশ এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, "জাতীয় শক্তি অবশ্যই সামরিক শক্তি হতে হবে। সামরিক শক্তি না থাকলে, মানব সভ্যতার ইতিহাস আমাদের শেখায় যে একটি জাতি বর্তমান গাজার মতো পিষ্ট হবে।” অতএব, আশা করা যায় যে প্রবোওর অধীনে ইন্দোনেশিয়ার বিদেশনীতি নিরাপত্তার দিকে আরও বেশি মনোযোগী হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বে প্রবেশ করা এই প্রশাসনের জন্য একটি অগ্রাধিকার হবে।


প্রবোও ইন্দোনেশিয়ার বিদেশনীতির ক্ষেত্রে মুক্ত ও সক্রিয় (বেবাস ড্যান অ্যাক্টিফ) এবং নির্জোট বিদেশ নীতির মতো দীর্ঘকালের পবিত্র নীতিগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।



ঘটনাটি ভারতকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে তার কৌশলগত ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার সুযোগ দেয়। ভারত তার নিজস্ব প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি ফিলিপিনসে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের
প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করেছে। ২০২২ সালে ভারত ভিয়েতনামে ১২টি উচ্চগতির টহলদারি বোট সরবরাহ করে এবং দেশটির সঙ্গে একটি পারস্পরিক লজিস্টিক শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ ছাড়াও দুটি দেশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি ভিশন স্টেটমেন্ট স্বাক্ষর করেছে ৷ ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করতে চাইছে৷ ইতিমধ্যে ফিলি্পিনস ও ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি ভারতের  এক বিশ্বব্যাপী খেলোয়াড় এবং গ্লোবাল সাউথের একটি নেতৃস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সারিবদ্ধ। ভারতের জন্য সময় এসেছে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে অনুরূপ প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ চুক্তিতে প্রবেশের দিকে নজর দেওয়ার, যে দেশটি শুধু ভারত মহাসাগরে ভারতের সামুদ্রিক প্রতিবেশীই নয়, সেইসঙ্গেই আসিয়ানের মধ্যে তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে বলেও মনে করা হয়। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রবোও ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভারত সফর করেছিলেন। দুই দেশ ২০১৮ সালে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বে প্রবেশ করে এবং ২০১৮ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক নৌ-‌মহড়া সমুদ্র শক্তি-‌তে নিয়োজিত রয়েছে। দুই দেশ ২০১৮ সালে 'শেয়ার্ড ভিশন অফ ইন্ডিয়া-ইন্দোনেশিয়া মেরিটাইম কোঅপারেশন ইন ইন্দো-প্যাসিফিক' প্রত্যয়িত করেছে। এখন ভারতের জন্য সময় এসেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

প্রবোওর সামরিক পটভূমি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে তাঁর চলতি মেয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবোওর অধীনে ইন্দোনেশিয়ার বিদেশনীতিতে পরিবর্তন দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে তাঁর মেয়াদে প্রবোও লাও পিডিআর, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি করেছেন, এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কিয়ে, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রিটেন থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রবোও একটি প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যার ফলে প্রতিরক্ষা ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২০ সালে ছিল ১৫.১ শতাংশ এবং ২০২২ সালে খরচ বেড়ে হয়েছে ১০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৪-২০২৯ সময়কালে আরও ৪৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে প্রধানত সরঞ্জাম ক্রয় এবং একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলার জন্য। প্রবোও দ্বীপপুঞ্জ দেশটির সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে উন্নত করার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা  আধুনিকীকরণ  কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেবেন। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবোও নজরদারি ক্ষমতা জোরদার করতে এবং দেশের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে বর্ধিত সামুদ্রিক উপস্থিতি সহজতর করতে নতুন টহলদার বোট ও ফ্রিগেট ক্রয় করে বহরের উন্নতি করতে পারেন। নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে উন্নত সামুদ্রিক পরিসর সচেতনতা আসতে পারে উন্নত রাডার সিস্টেম স্থাপন, সামুদ্রিক টহল বিমান ও এরিয়াল ড্রোন-‌এর  মাধ্যমে। দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় ফিলিপিনসের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলির সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। ইন্দোনেশিয়া ও চিনের নাতুনা সাগরে পরস্পর-‌বিরোধী দাবি রয়েছে।


প্রবোও দ্বীপপুঞ্জ দেশটির সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে উন্নত করার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেবেন



নির্বাচনের পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফর ছিল চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে জাপান, চিন ও মালয়েশিয়ায়। সুতরাং এটাও স্পষ্ট যে ইন্দোনেশিয়ার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে চিনের সঙ্গে প্রবোও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইবেন। জাকার্তা ও বান্দুংকে যুক্ত করে যে হুশ হাই-স্পিড রেললাইন তা আরও ৭০০ কিলোমিটার প্রসারিত করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। একই সময়ে
ইন্দোনেশিয়ার বিশ্লেষকদের অভিমত যে, প্রবোও আসার পর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ চিন সাগর নীতির পুনর্নির্মাণ আশা করা যেতে পারে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রবোও সম্ভবত নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের জলে, যেখানে চিনা মাছ ধরার জাহাজ এবং টহলদারদের অনুপ্রবেশ নিয়মিত হয়ে উঠেছে, প্রতিরোধক হিসেবে নৌ-‌বাহিনী তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করবেন। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক সক্ষমতা সম্প্রসারণে নজর দেওয়া হবে। এই ধরনের একটি কৌশলের মাধ্যমে প্রবোও উত্তর নাতুনা সাগরে আরও দৃঢ় নীতি বাস্তবায়ন করবেন। তিনি যে জাপান ও চিন উভয় দেশেই সফর করেছেন তা প্রতিফলিত করে যে, "প্রবোও জাপানকে চিনের মতো সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দেখেন।" উল্লেখ করা হয়েছে যে তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম হস্তান্তরের জন্য ২০২১ সালের নিরাপত্তা চুক্তি আধুনিকীকৃত করা। তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন ও ভারতের মতো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইন্দোনেশিয়া সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে।

ভারত-ইন্দোনেশিয়া প্রতিরক্ষা সম্পর্ক

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বছর উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ভারত-ইন্দোনেশিয়া প্রতিরক্ষা শিল্প প্রদর্শনী-ও-সেমিনার ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের দ্বারা ৩০ এপ্রিল ২০২৪-এ জাকার্তায়
আয়োজিত হয়েছিল, এবং উদ্যোক্তা ছিল ভারতের দূতাবাস, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ভারত সরকার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ইন্দোনেশিয়া। এই অনুষ্ঠানে ১২টি প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (ডিপিএসইউ বা ওসওই) এবং ২৫টি বেসরকারি কোম্পানি সহ ভারতের ৩৬টি বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা সংস্থার অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন প্রতিরক্ষর উদ্যোগ এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানও ছিল৷ এটা প্রকৃতই সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ। তবে বিদ্যমান ভারত-ইন্দোনেশিয়া জয়েন্ট ডিফেন্স কমিটির মিটিং ছাড়াও দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও মন্ত্রীরা, এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের একটি 'প্রতিরক্ষা উন্নয়নে সহযোগিতামূলক পদ্ধতি' নিয়ে নিয়মিত বৈঠক ও আলোচনা হওয়া দরকার। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার জন্য ভবিষ্যতে ২+২ বৈঠকের আয়োজনের সম্ভাবনা বিবেচনা করার জন্য এটি উপযুক্ত সময় বলে মনে হচ্ছে।


সামুদ্রিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক সংযোগ এবং সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রবোওয়ের অধীনে ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রধান চালিকাশক্তি হওয়া উচিত। 

এই ধরনের প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী এবং সেমিনারগুলিতে ভবিষ্যতে ভারতীয় এবং ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক ও জাহাজ নির্মাণ সংস্থাগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সামুদ্রিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক সংযোগ ও সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রবোওয়ের অধীনে ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রধান চালিকাশক্তি হওয়া উচিত। উপরে যেমন উল্লিখিত হয়েছে, প্রবোও প্রশাসনের প্রধান নীতিগুলির মধ্যে একটি হতে পারে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণ, বিশেষ করে নৌবাহিনীর। তাই এর অর্জনে ইন্দোনেশিয়াকে সাহায্য করার জন্য ভারতের দিক থেকে অনেক বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। এমন প্রতিবেদিত হয়েছে যে, বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণের লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ এবং সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর জন্য যথাক্রমে ৬০ শতাংশ ও ৭৬ শতাংশ পূরণ করা গিয়েছে। ‘সম্মিলিত সামুদ্রিক নিরাপত্তা ভঙ্গি’ শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করা ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি উদীয়মান কৌশলগত, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খেলোয়াড় হিসাবে তুলে ধরতে সাহায্য করবে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ভারত এই দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পিছিয়ে আছে, এবং দেশটিকে এই অঞ্চলে কৌশলগতভাবে সবচেয়ে কম প্রাসঙ্গিক খেলোয়াড় হিসাবে দেখা হচ্ছে। উপরন্তু, এটি ভারতকে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা রপ্তানিকারক হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।



প্রেমেশা সাহা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের  ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Premesha Saha

Premesha Saha

Premesha Saha is a Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses on Southeast Asia, East Asia, Oceania and the emerging dynamics of the ...

Read More +