-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন অনুরা কুমারা দিসানায়েকে (একেডি) শ্রীলঙ্কার নবম কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন, তখন জনগণ দ্রুত সর্বাত্মক রাজনৈতিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করেছিল। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, নতুন সরকারের কাছে বাস্তববাদী হওয়া এবং ভারত ও চিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। উভয় দেশই শ্রীলঙ্কার আইএমএফ-এর ঋণ পুনর্গঠন ও দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাস একেডি-র শ্রীলঙ্কা অনুদান ও বিনিয়োগের আকারে উভয় দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতার একটি নতুন পর্ব প্রত্যক্ষ করছে এবং ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। একেডি-র সাম্প্রতিক চিন সফর শ্রীলঙ্কার বিদেশনীতিতে বেশ কিছু স্পষ্টতা প্রদান করলেও ভারতের উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি নতুন পর্যায়ের উন্মোচন: বিনিয়োগ ও অনুদান
ভারতের সঙ্গে নতুন শাসকের সম্পর্ক চিরাচরিত ও আদর্শগত শত্রুতা থেকে বেরিয়ে এসে অনেকটা দূর এগিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (ইএএম) এস জয়শঙ্কর ছিলেন নির্বাচনের পর শ্রীলঙ্কা সফরকারী প্রথম উচ্চ-স্তরের বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি একেডিও এর প্রত্যুত্তরে তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য ভারতে এসেছিলেন। একই ভাবে, শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারকে যে সরকারগুলি প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছিল, চিন তাদের মধ্যে অন্যতম এবং একেডি-র রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য হল চিন। এই সম্পৃক্ততা প্রায়শই আরও বিনিয়োগ ও অনুদান প্রদানকে কেন্দ্র করেই হয়েছে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরে ভারত ও চিন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে… এমন একটি সাধারণ কৌশলও স্পষ্ট হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারকে যে সরকারগুলি প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছিল, চিন তাদের মধ্যে অন্যতম এবং একেডি-র রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য হল চিন।
ভারত ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার উপর ভিত্তি করে একেডি-র সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে। আগেকার সহায়তা অনুদান, ত্রাণ, ঋণ ও ক্রেডিট লাইনের আকারে থাকলেও এটি এখন বিনিয়োগের নেতৃত্বে বৃদ্ধি, সংযোগ এবং অনুদান সহায়তার উপর মনোযোগ দিতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত ত্রিনকোমালিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্যসম্পদকে কেন্দ্র করে ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যার মূল্য প্রায় ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৩৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অনুদান সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদ্যমান প্রকল্পগুলির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং বাকি ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করার কথা রয়েছে। ভারত তার ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ/ক্রেডিট লাইনকে অনুদানে রূপান্তর করেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত শিক্ষা পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্য ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান, জাফনা বন্দরের জন্য ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কার রেলওয়ের একটি সিগন্যালিং সিস্টেমের জন্য ১৪.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কা পুলিশের যানবাহনের প্রয়োজনীয়তার জন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং উত্তরে একটি বোটইয়ার্ডে পুনর্বাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বা পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ভারত ২০টি ব্যবহৃত লোকোমোটিভ ইঞ্জিনও হস্তান্তর করছে।
চিন অবশ্য নতুন ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে ঋণ পুনর্গঠন, অনুদান ও বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করেছে। চিন তার পূর্ববর্তী আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং নতুন সরকারের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্যিক ঋণ পুনর্গঠন করতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বন্যার সময় চিন ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জরুরি ও মানবিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এর পাশাপাশি চিন হাম্বানটোটা অঞ্চলের উন্নয়নে আগ্রহী, কমফোর্ট ম্যাট্রেস লঙ্কায় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ক্রেন প্রযুক্তিতে ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। স্কুল ইউনিফর্ম সামগ্রীর আকারেও চিন অনুদান দিয়েছে। চিন দেশে চিনা সাইবার অপরাধীদের তদন্ত ও দমনে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে সহযোগিতা করেছে।
ভারত ও চিন সফর
সুবিধার প্রেক্ষিতে দেখলে একেডি উভয় প্রধান শক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন। দিল্লি ও বেজিংয়ের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার যৌথ বিবৃতি একই রকম বিস্তৃত এবং সামগ্রিক ভাবনাকেই দর্শায়। তিনি উভয় দেশকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং রাজনৈতিক, সংসদীয় ও নেতৃত্বের আদান-প্রদান জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন। একেডি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ কৃষি ও দুগ্ধজাত উত্পাদন, বিমান সংযোগ, পর্যটন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো ও ডিজিটালকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিতে আগ্রহী।
শক্তি সংযোগের ক্ষেত্রে, নতুন সরকার পাওয়ার গ্রিড আন্তঃসংযোগ, এলএনজি সরবরাহ, বহু-পণ্য পাইপলাইন, বায়ু শক্তি প্রকল্প, সামপুর সৌর প্রকল্প এবং ত্রিনকোমালি তেল ট্যাঙ্ক খামারে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
একেডি-র ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য আরও আশ্বাস ও দিকনির্দেশনা দিয়েছে বলে মনে হয়। শক্তি সংযোগের ক্ষেত্রে, নতুন সরকার পাওয়ার গ্রিড আন্তঃসংযোগ, এলএনজি সরবরাহ, বহু-পণ্য পাইপলাইন, বায়ু শক্তি প্রকল্প, সামপুর সৌর প্রকল্প এবং ত্রিনকোমালি তেল ট্যাঙ্ক খামারে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ (জেভি) বা অনুদানের আকারে সঞ্চালিত হতে পারে এবং শক্তি নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও বৈদেশিক ভাণ্ডার তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংযোগের ক্ষেত্রে, উভয় দেশ অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চুক্তি (ইটিসিএ) এগিয়ে নিতে এবং স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই যে, ভারত ও শ্রীলঙ্কা পাচার, এইচএডিআর এবং সন্ত্রাসবাদ-সহ অপ্রথাগত বিষয়গুলিতে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে। ভারত হাইড্রোগ্রাফি-সহ সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতার সাথে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উভয় দেশ দ্রুতই প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো চূড়ান্ত করবে। মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চিনা আগ্রাসন এবং গুপ্তচর জাহাজের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাকে ভারত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
অন্য দিকে, একেডি-র সাম্প্রতিক চিন সফর কলম্বোকে আরও বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে ও কলম্বোর জন্য স্বস্তি এনেছে। চিন ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ১.৫ বিলিয়ন মুদ্রা অদলবদল চুক্তি পুনর্নবীকরণ করতে সম্মত হয়েছে। চিনে একেডি-র সফরটি ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ অর্জন করতে পারে। সিনোপেক হাম্বানটোটায় একটি তেল শোধনাগারে ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (আগে আনুমানিক ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। চিন সরকার গণমাধ্যম, পর্যটন ও কৃষি পণ্যের বাজারে প্রবেশের জন্য সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের প্রস্তাবও দিয়েছে। চিন অনুদান হিসেবে কলম্বো পোর্ট সিটিতে একটি প্রদর্শনমূলক ও সম্মেলন কেন্দ্রও নির্মাণ করবে। বিআরআই-এর ‘স্মল ইজ বিউটিফুল’ (বা ‘ছোট প্রকল্পই সুন্দর’) পর্যায়ের ক্ষেত্রে চিনের চাপের ফলে - যেখানে এটি মেগা-অবকাঠামো বিআরআই প্রকল্পে বিনিয়োগ বা নতুন ঋণের প্রস্তাব করা থেকে বিরত থেকেছে - উভয় দেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, মিডিয়া এবং সংস্কৃতি সম্পর্কিত ১৫টিরও বেশি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করেছে।
সফরের সময় চিন ও শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে সংরক্ষণ, সামুদ্রিক পরিসরের সচেতনতা, দুর্যোগ ত্রাণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিয়মিত একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করতে রাজি হয়েছে। দুই দেশই সামুদ্রিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার জন্য একটি মউ স্বাক্ষর করবে। শ্রীলঙ্কাও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের প্রতি নিজের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং উভয় পক্ষই নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগ ও পুলিশ সরবরাহে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।
ভারতের জন্য উদ্বেগ
দিল্লির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, একেডি-র বেজিং সফর এই ইঙ্গিতই দেয় যে, শ্রীলঙ্কা চিনের প্রভাব ও চাপের মুখে অরক্ষিত রয়েছে, যা শুধুমাত্র তার ‘বোঝামুক্ত’ বিনিয়োগ ও অনুদানের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে। শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার ‘ওয়ান চায়না’ নীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা এবং রাষ্ট্রপতির সফরের সময় তা পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজনীয়তা আসলে এই বাড়তে থাকা চাপকেই দর্শায়। কলম্বোকেও অঙ্গীকার করতে হয়েছিল যে, তারা তিব্বত ও জিনজিয়াং সংক্রান্ত কোনও চিন-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য শ্রীলঙ্কার কোনও অঞ্চলে সক্রিয়তার অনুমতি দেবে না। দালাই লামার উত্তরাধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য লাভ করায় চিনের প্রতি আরও বেশি আশ্বাস প্রদান সময়োপযোগী হয়ে উঠেছে। দিল্লি এ ভাবে এফটিএ, বিনিয়োগ ও গবেষণা জাহাজের মতো কিছু বিষয়ে শ্রীলঙ্কার উপর আরও চাপের প্রত্যাশা করে। কারণ বেজিং অতীতে এই বিষয়গুলি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সর্বোপরি এই বছরের শুরুতে মলদ্বীপ চিনের সঙ্গে এফটিএ বাস্তবায়ন করায় দিল্লিতে চিনা চাপের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার ‘ওয়ান চায়না’ নীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা এবং রাষ্ট্রপতির সফরের সময় তা পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজনীয়তা আসলে এই বাড়তে থাকা চাপকেই দর্শায়।
ভারতের জন্য শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চিনের সামুদ্রিক সহযোগিতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। একেডি সরকার ভারতকে আশ্বস্ত করেছে যে এটি ভারতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের ক্ষতি করবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা চিনের সঙ্গে সামুদ্রিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি চিনের মতো একটি অঞ্চল বহির্ভূত শক্তির সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কারণ ভারত ইতিমধ্যেই হাইড্রোগ্রাফি নজরদারি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ সামুদ্রিক সুরক্ষায় কলম্বোকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর পাশাপাশি চিনের সহায়তা ও বিনিয়োগকে কাজে লাগানো, এবং নতুন সরকারের বিদেশী গবেষণা জাহাজের জন্য কোনও নীতি না-থাকা ভারতকে উদ্বিগ্ন করে চলেছে।
অবশেষে, ভারত তার প্রকল্পের রাজনীতিকরণ নিয়ে চিন্তিত। কয়েক বছর ধরে ভারত ও চিন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম এফডিআই এবং বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ভবিষ্যতে উভয় দেশ একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এই প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে। যাই হোক, অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর থেকে ভারতীয় প্রকল্প ও সংযোগ প্রচেষ্টা বহুগুণ বেড়েছে বলে সেগুলির চিনের তুলনায় আরও বেশি রাজনীতিকরণের প্রবণতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্থল সেতু প্রকল্পটির কাজ নতুন সরকারের অধীনে পিছিয়ে গিয়েছে এবং হাম্বানটোটা বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য ভারতের যৌথ উদ্যোগও বাতিলের পথেই বলা চলে।
সরকার এসওই-র বেসরকারিকরণের বিষয়েও পিছু হটেছে, যেখানে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সরকার সামপুর ও আদানির প্রকল্পগুলির পাশাপাশি শুল্ক নিয়েও আলোচনা করছে। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একেডি-র পোষণমূলক মনোভাবকে এমন একটি নীতি হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে যা চিনের পক্ষে বা ভারতের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। বিআরআই প্রকল্পের ‘ছোটই সুন্দর’ পর্যায়ের জন্য চিনের অনুদান ও বিনিয়োগ এবং তামিল প্রদেশে আরও বেশি করে চিনের প্রবেশ করার ক্ষমতা দিল্লির উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
একেডি-র সাম্প্রতিক সফর ভারতের জন্য কিছু স্পষ্টতা ও উদ্বেগ… দুই-ই প্রদান করে। অনুদান ও বিনিয়োগের আকারে প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকায় ভারত চিনের প্রবেশ ও চাপ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বিগ্ন। ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাসের মধ্যেই একেডি সরকারের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। নতুন প্রশাসনকে তার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং ভারত ও চিনের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় দ্য মর্নিং-এ।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with the Strategic Studies Programme’s Neighbourhood Studies Initiative. He focuses on strategic and security-related developments in the South Asian ...
Read More +