Published on Oct 03, 2025 Updated 0 Hours ago

মনে করা হচ্ছে যে, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ওষুধ উৎপাদন ফের মার্কিন উপকূলে ফিরে যাবে, যা বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি করবে

শুল্ক-ব্যবস্থার মাঝে পথ খুঁজে নেওয়া: ওষুধের সুরক্ষা এবং উদ্ভাবনের রক্ষা

জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উপর সম্ভাব্য শুল্কনীতিগুলির সঙ্গে ভূ-রাজনীতি জড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বার আমদানিকৃত ওষুধের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করায় ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছে। আপাতত বিশ্বের ঔষধালয়’ (দ্য ফার্মাসি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড) রক্ষা করা গেলেও তা নিতান্তই স্বল্পস্থায়ী হতে পারে।

কৃষি ভারতের রুশ তেল আমদানি নিয়ে মতবিরোধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা টানাপড়েন সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় আমদানির উপর শুল্ক ২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করার পর গস্ট মাসে নির্ধারিত আলোচনা বাতিল করা হয়েছিল ভারতের তরফে রুশ তেল ক্রয়ের অব্যাহত শাস্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের হার দ্বিগুণ করে। আরও উদ্বেগজনক হল, ট্রাম্প ওষুধক্ষেত্র-নির্দিষ্ট শুল্কের ধারণাটি উত্থাপন করেছিলেন, যা পরবর্তী ১৮ মাসে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এমনকি সামান্য ২৫ শতাংশ শুল্কও মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ে বার্ষিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি যোগ করবে এবং মার্কিন ওষুধের দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

কোভিড-১৯ অতিমারি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বাধার ঝুঁকিগুলিকে স্পষ্ট করেছে। যদি সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয়, তা হলে তা উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করবে, গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলকে অস্থিতিশীল করবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে শুল্ক

ট্রাম্প প্রশাসন ক্রমবর্ধমান ভাবে বৃহত্তর বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য অর্জনের জন্য শুল্ককে পছন্দের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করছে।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের অধীনে ওষুধ আমদানির ধারা ২৩২ পর্যালোচনা শুরু করে - যা ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে। ফলে নির্দিষ্ট পণ্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে কি না, তা মূল্যায়ন করা যাবে। ইস্পাত অ্যালুমিনিয়ামের জন্য ধারা ২৩২-এর অতীত ব্যবহার উৎপাদনশীলতা হ্রাস বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতির একটি সতর্কতামূলক আখ্যানের কথাই বলে। ভারত ইতিমধ্যেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নিজের বক্তব্য জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যুক্তি দিচ্ছে যে, ইস্পাত অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্ক সুরক্ষার লঙ্ঘন এবং প্রয়োজনে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা আরোপের অধিকার ভারতে রয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক হল, ট্রাম্প ওষুধক্ষেত্র-নির্দিষ্ট শুল্কের ধারণাটি উত্থাপন করেছিলেন, যা পরবর্তী ১৮ মাসে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বের কারণে ওষুধকে দীর্ঘ দিন ধরে শুল্ক নীতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ওয়াশিংটন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য এবং জাপান থেকে ওষুধ আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করেছে। এই শুল্কের ভাগ্য স্পষ্ট নয় কারণ ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন যে ১৮ মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে ওষুধ-খাতের উপর নির্দিষ্ট শুল্ক বৃদ্ধি করা হবে এবং তা ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এটি মার্কিন মুলুকের মাটিতে উৎপাদন ফিরিয়ে আনতে উৎসাহিত করে, যা মার্কিন ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কেন ফার্মা ট্যারিফ বা ওষুধ ক্ষেত্রের শুল্ক সংক্রান্ত লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়েছে?

ওষুধক্ষেত্রে শুল্কের নেপথ্যের যুক্তিটি স্পষ্ট: আমদানি আরও ব্যয়বহুল করা, দেশীয় প্রতিস্থাপনকে উৎসাহিত করা এবং মার্কিন-ভিত্তিক উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। তবে এই পদ্ধতিটি আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সূক্ষ্মতাগুলিকে আড়াল করে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম ওষুধ বাজার এবং শুধুমাত্র ২০২৪ সালে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ওষুধ আমদানি করেছিল। দশটি প্রেসক্রিপশনের মধ্যে প্রায় ন’টিতেই জেনেরিক ওষুধের কথা লেখা থাকে। তবুও এগুলি ওষুধ ব্যয়ের মাত্র এক-পঞ্চমাংশের জন্য দায়ী। খরচের আসল চালিকাশক্তি ব্র্যান্ডভিত্তিক, পেটেন্ট বা স্বত্ব সুরক্ষিত পণ্য। তাই ভারত থেকে জেনেরিক-সহ ওষুধ পণ্যের উপর শুল্ক লক্ষ্যমাত্রা হারাচ্ছে, যার ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

প্রায় অর্ধেক মার্কিন জেনেরিক ওষুধ ভারতীয় নির্মাতাদের কাছ থেকে আসে। এমনকি ১০-১৫ শতাংশেরও বেশি শুল্ক ‘একেবারে চুলচেরা লাভের বিনিময়ে’ কাজ চালিয়ে যাওয়া ভারতীয় সংস্থাগুলিকে চাপে ফেলবে। কিছু সংস্থা সম্পূর্ণরূপে বাজার থেকে বেরিয়ে যাবে এবং বাকি সংস্থারা টিকে থাকার জন্য মানের সঙ্গে আপস করতে পারে। দু’ধরনের পরিস্থিতিতেই ওষুধের ঘাটতি মার্কিন রোগীদের জন্য উচ্চ ব্যয় দেখা দেয়, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে  ঝুঁকির মুখে ফেলে।

সরবরাহ শৃঙ্খলের ভঙ্গুরতা

আর কটি ঝুঁকি হল ভারতের ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য চিনের উপর নির্ভরতা। ভারতের সক্রিয় ওষুধ উপাদানের (এপিআই) প্রায় ৭০ শতাংশ চিনা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে আমদানি করা হয়।

মুনাফা হ্রাস পাওয়ার দরুন ভারতীয় সংস্থাগুলি শুধু মাত্র টিকে থাকার জন্য সস্তা চিনা এপিআই এবং প্রাথমিক উপকরণ (কেএসএম) কিনতে বাধ্য হবে, যা চিনের উপর ভারতের নির্ভরতাকে আরও গভীর করবে।

নয়াদিল্লি দেশীয় এপিআই উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এবং চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে উৎপাদন-সংযুক্ত প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমীকরণ পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অগ্রগতি অসম এবং চিন এখনও আধিপত্য বিস্তার করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত শুল্কের দরুন এই সমস্যাটি হ্রাস পাবে, এ হেন সম্ভাবনা কম। বরং চিনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা বাড়তে পারে। মুনাফা হ্রাস পাওয়ার দরুন ভারতীয় সংস্থাগুলি শুধু মাত্র টিকে থাকার জন্য সস্তা চিনা এপিআই এবং প্রাথমিক উপকরণ (কেএসএম) কিনতে বাধ্য হবে, যা চিনের উপর ভারতের নির্ভরতাকে আরও গভীর করবে।

অনশোরিং সংক্রান্ত মরীচিকা

মনে করা হচ্ছে যে, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ওষুধ উৎপাদন ফের মার্কিন উপকূলেই ফিরে যাবে, যা বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি করবে।

বিদ্যমান উৎপাদন ক্ষমতা সম্প্রসারণ বা নতুন নির্মাণের জন্য যথেষ্ট সময়, উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক অনুমোদন এবং অত্যন্ত দক্ষ কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন হবে। বেশির ভাগ অনুমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা স্থাপনের আগে কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ বছরের সময়সীমা নির্দেশ করে। শুল্ক সম্ভবত উচ্চ মুনাফা সম্পন্ন নির্মাতাদের পরিবর্তন করতে রাজি করবে; সামান্য লাভের অঙ্ক থাকার দরুন জেনেরিক ওষুধ বিশ্বব্যাপী বণ্টন করা হবে। সুতরাং, স্বল্পমেয়াদে শুল্ক আরোপের ফলে মার্কিন ভোক্তাদের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পাবে।

ঝুঁকির মুখে উদ্ভাবন

ওয়াশিংটনে আর কটি বড় নীতিগত পরিবর্তনের পাশাপাশি শুল্ক বিতর্কও উন্মোচিত হচ্ছে: ‘প্রিয়পাত্র দেশে’র জন্য ওষুধের মূল্য নির্ধারণ মডেল প্রবর্তন। ২০২৫ সালের মে মাসে স্বাক্ষরিত এই নির্বাহী আদেশ – ‘ডেলিভারিং মোস্ট-ফেভারড নেশন (এমএফএন) প্রেসক্রিপশন ড্রাগ প্রাইসিং টু আমেরিকান পেশেন্টস’ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ওষুধের দামকে কিছু ওইসিডি অর্থনীতিতে সর্বনিম্ন মূল্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে। নির্বাচিত ওষুধ সংস্থাগুলি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছে যেখানে এমএফএন-এর অধীনে মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা রয়েছে।

মূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে শুল্ক একত্রিত হলে, সেই উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্রকে সীমিত করার ঝুঁকি রয়েছে, যা একসময় আমেরিকাকে জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা করে তুলেছিল।

তবে মূল্য নিয়ন্ত্রণ সরাসরি রাজস্ব হ্রাস করবে, যার ফলে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের সুযোগ কম থাকবে। চিন তার বায়োফার্মা উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্বরান্বিত করছে। ওয়াশিংটন পরবর্তী প্রজন্মের থেরাপির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব বেজিংয়ের কাছে হস্তান্তরের ঝুঁকি নিচ্ছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য একটি কৌশলগত ধাক্কা। মূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে শুল্ক একত্রিত হলে, সেই উদ্ভাবনী বাস্তুতন্ত্রকে সীমিত করার ঝুঁকি রয়েছে, যা একসময় আমেরিকাকে জীবন বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা করে তুলেছিল।

শিল্প প্রতিক্রিয়া

অনিশ্চয়তা আচরণকে আকার দেয়। ফলে মার্কিন হাসপাতালগুলি ক্রমশ ঘাটতির মধ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজু করছে। সর্বোপরি, ফার্মা জায়ান্ট - এলি লিলি এবং জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে শুরু করে রশ, তাকেদা এবং সানোফি - তাদের মার্কিন উপস্থিতি সম্প্রসারণের জন্য বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতীয় সংস্থাগুলিও চুপ করে বসে নেই। জাইডাস লাইফসায়েন্সেস, সিনজিন এবং সান ফার্মা সকলেই পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধিগ্রহণ করেছে।

এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবসম্মত এবং সংস্থার পোর্টফোলিও উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে বৈচিত্র্যময় করার পাশাপাশিই ভারতের নতুন ওষুধের গবেষণা ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলি এ কথাও দর্শায় যে, আনুষ্ঠানিক ভাবে শুল্ক আরোপ করার আগেই ইতিমধ্যেই কতটা ব্যাঘাতমূলক শুল্ক-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সহযোগিতা: এগিয়ে যাওয়া

যদি ওয়াশিংটন সত্যিই নিরাপদ সরবরাহ শৃঙ্খল চায়, তা হলে তাদের শাস্তির পরিবর্তে প্রণোদনার উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। কর বিরতি ভর্তুকি ওষুধের দাম না বাড়িয়ে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে পারে। ভারতের মতো বিশ্বস্ত অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক চুক্তি খরচ নিয়ন্ত্রণে রেখে সরবরাহ শৃঙ্খলে অতিরিক্ত চাপ নিশ্চিত করতে পারে। ইউরোপেরও ভূমিকা রয়েছে: ওষুধের মূল্য আরও স্থিতিশীল করে ইউরোপ এ বার মার্কিন রাজস্বের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে পারে, যা প্রথমে মার্কিন সুরক্ষাবাদকে চালিত করে।

বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি

শুল্ক হুমকি অর্থনৈতিক বিরোধের চাইতেও আরও বেশি কিছু। এটি বিশ্বব্যাপী পরিণতি-সহ একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা চ্যালেঞ্জও বটে

ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ দ্বিগুণ: বিদেশে সুরক্ষাবাদী নীতি থেকে তার রফতানিকারকদের রক্ষা করা এবং এপিআই নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করা। ‘বিশ্বের ওষুধপ্রস্তুতকারক’ হিসেবে ভারতকে তার নিজস্ব স্থিতিস্থাপকতায় বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে, যেমনটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তুলে ধরেছিলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পছন্দটি আরও স্পষ্ট: এমন সুরক্ষাবাদ অনুসরণ করা, যা খরচ বাড়ায় এবং উদ্ভাবনকে ধীর করে দেয়। ফলে এই খাতে নেতৃত্ব চিনের হাতে তুলে দেয় অথবা আরও স্থিতিস্থাপক, সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অংশীদারদের সঙ্গে মিলে কাজ করে।

যদি ভারত আমেরিকা উদ্ভাবন, উৎপাদন অংশীদারিত্ব সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষার ক্ষেত্রে অভিন্ন ভিত্তি খুঁজে পেতে পারে, তা হলে ফলাফল হবে একটি শক্তিশালী, আরও টেকসই ওষুধ ব্যবস্থা, যা সর্বত্র রোগীদের উপকার করবে।

তাই উপসংহারটি স্পষ্ট। দীর্ঘমেয়াদে শুল্ক রোগের বিরুদ্ধে, নির্ভরতার বিরুদ্ধে এবং উদ্ভাবনের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে বৃহত্তর যুদ্ধে হেরে যাবে। এবং সেই ক্ষতির জন্য সর্বত্র রোগীদেরকেই মূল্য চোকাতে হবে।

 


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় বায়োস্পেক্ট্রামইন্ডিয়া-তে।


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.