ভূমিকা
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে ‘ডেটা ফর ডেভেলপমেন্ট’ (ডিফরডি) নীতি ভারতের (সভাপতিত্বের) মেয়াদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।[১] তাঁর বিবৃতি জি২০ বালি লিডারস ডিক্লেয়ারেশনে প্রতিধ্বনিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রপ্রধানরা সর্বসম্মতভাবে ‘অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং সামাজিক মঙ্গল’ প্রচারের কাজে উন্নয়নের জন্য তথ্যের ভূমিকা পুনর্ব্যক্ত করেন।[২]
ডিফরডি-র গুরুত্ব এবং আরও বিস্তৃতভাবে একটি তথ্যচালিত সংস্কৃতি গড়ে তোলার বিষয়টি, তখন থেকেই বারংবার অগ্রণী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের দ্বারা প্রতিধ্বনিত হয়েছে, যখন থেকে ভারতের জি২০ শেরপা কীভাবে তথ্যচালিত প্রশাসন দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির রূপান্তর ঘটাতে সাহায্য করে, সে বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বক্তব্য পেশ করেন এবং ভারতীয় ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের দ্বারা একই কথা পুনর্ব্যক্ত হয়।[৩]ডিফরডি-র ব্যবহার একটি অভিনব পদ্ধতি না হলেও অংশীদাররা দ্রুত বুঝতে পেরেছেন যে, নতুন প্রযুক্তিগুলি তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং এমনভাবে প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়, যা আগে সম্ভব ছিল না। তাই এটি যথাযথ যে, ভারতীয় সভাপতিত্বের অধীনে জি২০-র ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম পার্শ্ব বৈঠকে কীভাবে একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ডিফরডি অভিযোজন ২০৩০ সালের কর্মসূচি অর্জনের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে পারে, তা অন্বেষণ করার চেষ্টা করেছিল। স্পষ্টতই, তথ্যের শক্তিতে আগ্রহের একটি নতুন তরঙ্গ উঠে এসেছে এবং আমাদের সামনে এক নতুন সময় উপস্থিত।
এই যুগমানসিকতা তৈরি করা হয়েছে কয়েক বছর ধরেই। ২০১৯ সালের জাপানি জি২০ সভাপতিত্বের পর থেকে জনপরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজকে উন্নত করতে সৃজনশীলভাবে তথ্যের ব্যবহারের উপর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তী সভাপতিত্বে সকলেই দাবি করেছেন যে, ডিজিটালকরণের মাধ্যমে উত্পাদিত তথ্যের ক্রমবর্ধমান সম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহার সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতির ফলাফলকে ব্যাপকভাবে সশক্ত করতে পারে। এর পাশাপাশি জি২০ দেশগুলি দ্বারা ধারাবাহিকভাবে জোর দেওয়া হয়েছে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের জন্য প্রযুক্তিগুলির উন্নতির প্রয়োজনীয়তার উপরে। এ বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস এবং অন্য উদীয়মান প্রযুক্তিগুলি সম্ভাব্য পরিসরগুলিকে বিস্তৃত করে চলেছে৷
একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল শক্তিকেন্দ্র হিসাবে ভারতের অবস্থান এটিকে ডিফরডি সংক্রান্ত আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর করে তোলে। প্রকৃত পক্ষে তথ্যচালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, যেখানে একটি ‘ডিজিটালি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সমাজ এবং জ্ঞানমূলক অর্থনীতি’ গড়ে তোলা এবং ‘চাহিদা অনুযায়ী প্রশাসন ও পরিষেবাগুলি’ পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চালানো করছে।[৪]
ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব চলাকালীন ২০২২-২৩ সময়কালটি বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য উল্লেখযোগ্য তথ্য উদ্যোগের প্রবর্তনের সাক্ষী ছিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০২২ সালের মে মাসে নীতি আয়োগ ন্যাশনাল ডেটা অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স প্ল্যাটফর্মের (এসডিএপি) সূচনা করে এবং সরকারি তথ্যের লভ্যতা ও ব্যবহারকে উন্নত করার জন্য এটিকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।[৫] এনডিএপি হল একটি ভোক্তাবান্ধব ওয়েব প্ল্যাটফর্ম, যা ভারতের বিশাল পরিসংখ্যানগত পরিকাঠামো জুড়ে ডেটাসেটগুলিকে একত্রিত এবং উপস্থা্পিত করে। এটি সরকারি ডেটাসেটগুলিকে সহজেই লব্ধ করে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কঠোর গুণমানকে বাস্তবায়িত করে, ভারতীয় তথ্যের পরিসর জুড়ে আন্তঃকার্যকারিতাকে সক্ষম করে এবং ব্যবহারকারীদের বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনার জন্য সহায়ক সরঞ্জাম সরবরাহ করে তথ্য প্রদানের গণতন্ত্রীকরণ করে।[৬]
একই মাসে ভারত সরকার একটি খসড়া ন্যাশনাল ডেটা গভর্ন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি (এনডিজিএফপি) প্রকাশ করে, যার লক্ষ্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে অ-ব্যক্তিগত এবং বেনামি তথ্য দেশের উদ্ভাবনমূলক বাস্তুতন্ত্রে উপলব্ধ করার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করা।[৭]এক বার এনডিজিএফপি চূড়ান্ত হয়ে গেলে সরকার ভারতের গবেষণা, স্টার্টআপ এবং এআই সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরিকাঠামোর অধীনে সংগৃহীত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ বেনামি ডেটাসেটগুলি ভাগ করে নিতে চায়।[৮] ডাটাবেসটিকে সংস্থাগুলি তাদের এআই মডেলগুলিকে প্রশিক্ষিত করার জন্য ব্যবহার করতে পারে এবং আশা করা যায় যে, তথ্যের এই সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ভাণ্ডারের ব্যবহার উদ্ভাবনকে উত্সাহিত করবে, সমস্ত স্তরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে এবং ডিজিটাল প্রশাসন সংক্রান্ত একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
নিঃসন্দেহে ২০২২ সালের ভারতের সর্বাধিক প্রতীক্ষিত তথ্য সম্পর্কিত ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে অন্যতম হল নভেম্বর মাসে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিলের প্রবর্তন। ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের জন্য তথ্যের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন বিলটি ব্যক্তির অধিকার ও ব্যবসায়িক স্বার্থের মধ্যে একটি সংবেদনশীল ভারসাম্য স্থাপন করে, যা আইনত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে সক্ষম। বিলটি ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারের পূর্বাভাস না দিলেও এটিতে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, সংস্থাগুলি ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্মতি চাওয়ার পরেই বা এই ধরনের সম্মতি লাভের পরেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ শুরু করতে পারে। বেশ কিছু অন্য ধারা ব্যক্তিদের অধিকারকে যথেষ্ট প্রসারিত করে এবং তাঁদের আরও সিদ্ধান্তমূলক স্বায়ত্তশাসন ও তথ্যের উপর আগের চেয়ে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।[৯]
তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি এবং ডিফরডি-র প্রতি তার প্রতিশ্রুতি বিশ্ব মঞ্চে প্রশংসিত হচ্ছে। ২০২২ সালের ব্রিকস ফোরাম স্থিতিশীল উন্নয়ন সংক্রান্ত বিগ ডেটা বিষয়ে পাঁচটি বৈশ্বিক শক্তিকে স্থিতিশীল উন্নয়নের কাজে বিগ ডেটাকে একটি সাধনী হিসেবে কাজে লাগাতে আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে এবং দেশগুলির মধ্যে যে তথ্যকেন্দ্রিক আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধি অপরিহার্য, সে বিষয়ে মঞ্চটিকে রাজি করাতে ভারতীয় কণ্ঠস্বর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।[১০] উন্নয়নকেন্দ্রিক তথ্য জেনারেশনের জন্য ড্রোন স্থাপনে দেশটির দক্ষতা বিশ্ব অর্থনৈতিক মঞ্চকে এই অনুমান করতে পরিচালিত করেছে যে, ড্রোন এবং তারা যে তথ্য অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করছে তা ভারতের জিডিপি-কে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এবং আগামী বছরগুলিতে প্রায় ৫ লক্ষ চাকরি তৈরি করতে পারে।[১১] রাষ্ট্রপুঞ্জ ভারতের তথ্যভিত্তিক এসডিজি ইন্ডিয়া ইনডেক্স এবং ড্যাশবোর্ডকে ‘ভারতের এসডিজি পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’ এবং ‘স্থিতিশীলতা, স্থিতিস্থাপকতা এবং অংশীদারিত্বের বার্তা প্রচারের জন্য একটি প্রচারমূলক সাধনী’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷[১২]
সর্বোপরি ভারত ভূ-স্থানিক প্রযুক্তির ব্যবহার অথবা পৃথিবী সংক্রান্ত প্রযুক্তিচালিত তথ্যের সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ, রূপদান ও ভাবনায় তার ব্যবহারের নিরিখে দ্রুত একটি নেতা হিসেবে উঠে আসছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইউএন ওয়ার্ল্ড জিওস্প্যাশিয়াল ইনফরমেশন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তি এবং উন্নয়নের নেপথ্যের চালিকাশক্তি’ এবং তিনি আরও বলেন যে, কীভাবে এটি উন্নয়নের একটি মুখ্য প্রেরণা হয়ে উঠেছে।[১৩] এক মাস পরে ভারত তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জাতীয় ভূ-স্থানিক নীতির সূচনা করে, যার মধ্যে একটি ২০৩৫ সালের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।[১৪]
‘মাইক্রো ডেটা’ বা সাব স্টেট লেভেল তথ্যের কৌশলগত ব্যবহার – তা ব্যক্তি, পরিবার, গ্রাম, শহর বা জেলাগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত – নিম্ন উন্নয়ন পদ্ধতির কেন্দ্রবিন্দুতেই নিহিত। এটি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজ সংস্থাগুলিকে (সিএসও) এক দিকে সম্প্রদায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগগুলির মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজে ব্রতী করতে পারে এবং অন্য দিকে সরকারের ম্যাক্রো দৃষ্টিভঙ্গি এবং ডিফরডি প্রচারের পদক্ষেপের প্রচারে কাজে লাগাতে পারে। প্রকৃতপক্ষে তাদের বাস্তবিক উপস্থিতি সম্প্রদায় স্তরের অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হতে, স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সূক্ষ্ম বোঝাপড়া এবং ব্যবস্থাপনার ভারসাম্যের সঙ্গে সিএসওগুলিকে প্রশাসনিক সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে ডিফরডি প্রকল্পগুলি চালানোর জন্য এমন এক অনন্য জায়গা করে দিতে পারে বা প্রশাসনিক কাজকে সহায়তা জোগাতে পারে।
যা প্রায়শই সিএসও-র ডিফরডি হস্তক্ষেপগুলিকে অসাধারণ এবং অনন্য রকমের চ্যালেঞ্জিং করে তোলে তা হল প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের বেগ, যার সঙ্গে তারা লড়াই চালাচ্ছা। ক্লাউজ শোয়্যাব ‘দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশন’-এ উল্লেখ করেছেন, ‘পূর্ববর্তী শিল্প বিপ্লবের বিপরীতে এটি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে বিকশিত হচ্ছে। এটি এই […] বাস্তবতার ফলাফল যে, প্রযুক্তি নতুন এবং আরও সক্ষমতর প্রযুক্তির জন্ম দেবে।’[১৫] শোয়্যাব পরিবর্তনের গতি এবং সুযোগকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান সামঞ্জস্যের কারণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনন্য। এবং অনেকগুলি বিভিন্ন শৃঙ্খলা ও আবিষ্কারের সমন্বয়ও বটে।’[১৬] তার পরে এটি হল সেই পরিবেশ যেখানে সিএসও এবং অন্য প্রতিটি উন্নয়নমূলক শক্তিকে অবশ্যই একটি বদল আনার চেষ্টা করতে হবে।
তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের ডিফরডি কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, অন্তর্দৃষ্টি বিকশিত করতে তার প্রক্রিয়াকরণ, কর্মের মাধ্যমের অন্তর্দৃষ্টির বাস্তবায়ন এবং একটি সামাজিক প্রভাব তৈরি করার জন্য ভারতে সিএসও দ্বারা গৃহীত আটটি পদক্ষেপকে মাইক্রো ম্যাটারস খতিয়ে দেখে। তাদের কর্মপদ্ধতি সরকার কর্তৃক বর্ণিত নানা অগ্রাধিকারকে প্রতিফলিত করে এবং এটি ডিফরডি নীতির উদাহরণ যা ভারত জি২০-র সভাপতি হিসাবে প্রচার করতে আগ্রহী।
ভারতে প্রসারিত আটটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যে আটটি শিক্ষা উঠে আসে, তা নিম্নরূপ:
১. লিগ্যাসি তথ্যভাণ্ডার এবং জ্ঞান ব্যবহার করে প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের সমন্বয়
কাজে পরিণত করার যোগ্য অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরার জন্য সংগৃহীত তথ্যের উপর মনোনিবেশ করা প্রয়োজন হলেও বিস্তৃত, বিবেচনাধীন সমস্যাটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিগুলি প্রায়শই তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে তথ্য তৈরির একটি দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ সেকেন্ডারি সোর্স, লিগ্যাসি তথ্যভাণ্ডার, এমনকি মনোনিবেশকারী গোষ্ঠী আলোচনা বা অংশীদারদের সাক্ষাৎকারের প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ডিজিটাল গ্রিন-এর কিসান ডায়েরি এন্টারপ্রাইজ (কেডিই) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কৃষক উৎপাদনকারী সংস্থার সদস্যদের (এফপিও) এবং তাঁরা যে ফসল চাষ করেন সে সম্পর্কে প্রাথমিক বিবরণ সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র যখন এই তথ্যগুলি এফপিও প্রোফাইল, ফসল কাটার ধরন, চাষাবাদের অনুশীলন এবং রাজ্যের কৃষি বিভাগ, জীবিকা মিশন ও প্রথম সারিদের কর্মীদের কাছ থেকে সংগৃহীত বাজারের প্রবণতা সম্পর্কে তথ্যের একটি বৃহৎ অংশের সঙ্গে একত্র হয়, তখনই এফপিও উত্পাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কেডিই-এর কৌশলগুলি বিভিন্ন স্তরে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
২. ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কাছে রিয়েল-টাইম তথ্য এবং প্রবণতা পৌঁছে দেওয়া
এমনকি তথ্যভিত্তিক অন্তর্দৃষ্টিগুলি প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রীয় স্তরের সম্পাদনকে আকার দেয়। যখন বাস্তবসম্মত তথ্যের বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য উপলব্ধ করা হয়, তখন তা নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং কোর্স পরিমার্জনকেও সক্ষম করে। ড্যাশবোর্ড এবং অন্য ই-মঞ্চগুলিকে ক্রমবর্ধমানভাবে তথ্য ট্র্যাক এবং প্রদর্শন করতে, প্রবণতা শনাক্ত করতে এবং চিত্তাকর্ষক ফলাফলের সঙ্গে অস্থিরতাকে বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে অ্যালায়েন্স ফর সেভিং মাদারস অ্যান্ড নিউ বর্নস (আসমান) প্রকল্পের অধীনে কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে মাতৃত্ব এবং নবজাতকের যত্ন সম্পর্কিত কার্যকারিতা সূচকগুলি নিরীক্ষণ করার জন্য একটি ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করছেন। এটি তাঁদের প্রয়োজনের সময় দ্রুত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে এবং মা ও নবজাতকের যত্নের গুণমান উন্নত করে। আগামী দিনে ড্যাশবোর্ডের নির্মাণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতার উপর তাদের প্রভাবের কারণে ডিফরডি প্রকল্পগুলির একটি মূল উপাদান হয়ে উঠতে হবে।
৩. উদীয়মান প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি
উদীয়মান এবং বিঘ্নিত প্রযুক্তির জাতীয় উন্নয়নের জন্য বৃহৎ সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি ও এআই তাদের মধ্যে অন্যতম। দেশটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তার জাতীয় ভূ-স্থানীয় নীতির সূচনা করে; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য খসড়া জাতীয় কৌশল স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি, স্মার্ট শহর এবং পরিবহণে এআই-এর প্রয়োগ খতিয়ে দেখে।[১৭] এবং ২০২৩ সালের ইউনিয়ন বাজেটে ‘এআই-কে ভারতের কাজে ব্যবহার করার জন্য’ বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।[১৮] ভারতীয় ডিফরডি উদ্যোগের একটি নতুন প্রজন্ম শক্তিশালী ফলাফলের পাশাপাশি উদীয়মান প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে। অসমের বন্যাপ্রবণ কাছাড় জেলায় দুর্যোগের প্রস্তুতিমূলক কাজের অংশ হিসাবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো এবং গণব্যবস্থা জিও-ট্যাগ করেছে, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সম্প্রদায়ের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়া বা সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এবং তুলা চাষিদের জন্য ওয়াধওয়ানি এআই-এর অ্যাপ কটনএস কৃষকদের দ্বারা আপলোড করা তুলার কীটপতঙ্গের ছবি এবং অন্যান্য বিবরণ বিশ্লেষণ করতে এআই ব্যবহার করে এবং তাদের জন্য তাত্ক্ষণিক কৃষি পরামর্শ প্রদান করে।
৪. ডিফরডি হস্তক্ষেপের নকশায় আনুষঙ্গিক পরিষেবার অন্তর্ভুক্তি
ডিফরডি প্রকল্পগুলি লক্ষ্যযুক্ত আনুষঙ্গিক পরিষেবাগুলি সূচনা করে বাস্তুতন্ত্রকে সশক্ত করার সুযোগ করে দেয়। পদ্ধতিগত সংবেদনশীলতা এবং অংশীদারদের ক্ষমতানির্মাণের মতো এই পরিষেবাগুলিকে হস্তক্ষেপের মূল নকশার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অনুদীপ ফাউন্ডেশনের তথ্যচালিত প্রচেষ্টা নারীদের ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়ন করার জন্য সংগঠনটির অংশীদার এবং ফিল্ড কর্মীদের তথ্যের হাইজিন এবং সাইবার জালিয়াতি সম্পর্কে সংবেদনশীল করে তোলার একটি উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। মাইন্ডসপার্ক এডটেক প্ল্যাটফর্ম তথ্য ব্যবহার করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ফলাফলকে বৃদ্ধি করার পাশাপাশি নির্মাতারা অভিভাবকদের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা প্রচারও চালায়। একই ভাবে আসমান অ্যাপের অন্তর্ভুক্ত ই-প্রশিক্ষণ সরঞ্জামগুলি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে স্ব-গতিসম্পন্ন শিক্ষাকে উৎসাহিত করে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং রোগীর যত্নের জন্য আরও সময় প্রদান করার অনুমতি দেয়।
৫. তথ্য গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে বিশ্বাস গড়ে তোলা
তারা কতটা ভালভাবে তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখে এবং একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে, তার উপর ডিফরডি প্রকল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সাফল্য নির্ভর করবে।[১৯] মাইক্রো ম্যাটারসের জন্য সাক্ষাত্কার নেওয়া বেশ কয়েকটি সংস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে, এ বিষয়ে একটি দৃঢ় ধারণা রয়েছে যে, সরকার তথ্যের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অভিভাবক। এর ফলস্বরূপ সরকারি সংস্থাগুলি দ্বারা তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাগুলি নাগরিকদের মধ্যে উচ্চতর আস্থার সঞ্চার করে। এটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য তাদের আওতায় থাকা কোনও তথ্যে সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য এটির প্রয়োজন দ্বিগুণ করে তোলে।
এই বিষয়টি তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন পদ্ধতির প্রদর্শনও বটে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ডিজিটাল গ্রিন-এর কেডিই উদ্যোগ অবহিত সম্মতির নীতি অনুসরণ করে এবং যখন কৃষকদের স্পষ্ট সম্মতি পাওয়া যায় তখনই তাঁদের তথ্য কেডিই অ্যাপে আপলোড করা হয় ও সেই সংক্রান্ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ গৃহীত হয়। কাছাড়ে স্থানীয় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) সমস্ত ব্যক্তিগত সমীক্ষার তথ্য সংরক্ষণ করে এবং বিশ্বস্ত অংশীদারদের সঙ্গে শুধুমাত্র বেনামি তথ্য শেয়ার করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে। এবং ওয়াধওয়ানি এআই তার কটনএস অ্যাপের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্যের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করে এবং অংশীদারদের সঙ্গে কঠোর অ-প্রকাশ চুক্তির মাধ্যমে তথ্য সম্মতির জন্য চাপ দেয়।
৬. ধারণা থেকে পরিমাপযোগ্যতা এবং প্রতিলিপিযোগ্যতার পূর্বধারণা
প্রযুক্তিসক্ষম ডিফরডি প্রকল্পগুলির পরিমাপ এবং পুনরুত্পাদন করার একটি অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে। তাই শুরু থেকেই পরিমাপের ফলাফলগুলির ধারণা করা বুদ্ধিমানের কাজ। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গিয়েছে। পিএটিএইচ-এর সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কর্মসূচি মুম্বইতে যক্ষ্মা (টিবি) রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সার জন্য তথ্যকেন্দ্রিক উদ্যোগ হিসাবে শুরু হয়েছিল। এর ডিজিটাল মনোভাব সরকারকে দেশব্যাপী তার মডেলটির পরিমাপযোগ্যতায় সাহায্য করে। বর্তমানে স্থানীয় ও জাতীয় স্তর থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগুলি পিএটিএইচ-টিকে সর্বভারতীয় স্তরে যক্ষ্মা প্রতিক্রিয়া সশক্ত করতে সাহায্য করছে, একটি বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা মডেলকে পরিমার্জন করছে, যাতে সেটিকে স্বাস্থ্য প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের দেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনে বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্পের পরিচালনা করছে। একই ভাবে লখনউতে শুরু হওয়া মাইন্ডসপার্ক কর্মসূচির সহজাত পরিমাপযোগ্যতা এবং অনুপ্রেরণামূলক ফলাফল নীতি আয়োগকে উত্তর প্রদেশের অন্যান্য অংশে এটির অনুকরণ করতে প্ররোচিত করেছে।
৭. সংযোগ এবং লব্ধতা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প সমাধান প্রদান
দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলি্র লব্ধতার অভাব দেশের কিছু অংশে, বিশেষ করে গ্রামীণ কেন্দ্রস্থলে ডিফরডি কর্মসূচিকে বিপর্যস্ত করে চলেছে৷ এ হেন পরিস্থিতিতে বিকল্প সমাধান প্রদান করতে হবে, যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে। অনুদীপ ফাউন্ডেশন তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো ব্যবহার করে এবং যেখানে সংযোগ স্থাপন প্রতিবন্ধকতা, সেখানে তারা ব্যক্তিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে। বিক্ষিপ্ত সংযোগ এবং স্ক্রিন পড়ার চ্যালেঞ্জ মাইন্ডসপার্ক টিমকে মোবাইল অডিও ক্লিপ এবং এসএমএসভিত্তিক প্রশ্ন তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে, যার উত্তর লিখে শিক্ষার্থীরা উত্তর দিতে পারেন। আসমান প্রকল্পটি নিরবচ্ছিন্ন লব্ধতাকে সুনিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সিম কার্ড দিয়েছে এবং এর অ্যাপের একটি অফলাইন সংস্করণ তৈরি করেছে, যাতে তথ্য সংগ্রহের কাজটি অবিরামভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
৮. সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করা এবং বহু অংশীদারিত্বের পদ্ধতি অবলম্বন করা
ডিফরডি প্রকল্পগুলি প্রায় সব সময়ই তীব্রভাবে সহযোগিতামূলক এবং অংশীদারিত্ব অবশ্যই বিভিন্ন স্তরে এবং একাধিক অংশীদারিত্ব গোষ্ঠীর মধ্যে গড়ে তোলা উচিত। মাল্টিস্টেকহোল্ডারিজম বা বহুঅংশীদারিত্ববাদ পরিমাপ এবং সাফল্যের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অসমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ, কাছাড় ডিডিএমএ, অন্যান্য সিএসও, কমিউনিটি রিসোর্স অ্যান্ড ফেসিলিটেশন সেন্টার এবং ইন্টার-এজেন্সি গ্রুপের (অঞ্চলটিতে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী এমন অংশীদারদের একটি ভিন্নধর্মী গোষ্ঠী) সঙ্গে স্থিতিশীল সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। পিএটিএইচ-এর যক্ষ্মা কর্মসূচির জন্যও শহর থেকে রাজ্য সর্ব স্তরে সরকার, বেসরকারি খাত এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে একগুচ্ছ অংশীদারিত্বের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই নিবন্ধে বর্ণিত সব পদক্ষেপই অন্যান্য প্রেক্ষিতেও প্রতিলিপিযোগ্য৷ একটি নির্দিষ্ট সংস্থার দ্বারা ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং এর কাজ থেকে গৃহীত শিক্ষাগুলি অন্য ক্ষেত্রে বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে কাজে লাগানো যেতে পারে।
জি২০ সভাপতি হিসাবে ভারতের মেয়াদে ডিফরডি-র কেস স্টাডিকে শ্রেণিবদ্ধ করার কাজটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ গোষ্ঠীটির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো এর সভাপতিত্ব যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো চারটি উন্নয়নশীল দেশ দ্বারা অনুষ্ঠিত হবে। জি২০-র মধ্যে এবং তার পরেও অনেকের কাছে ভারত ইতিমধ্যেই গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হিসাবে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ডিফরডি পদ্ধতিকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত সময় হতে পারে না। মাইক্রো ম্যাটারস এ দিকে একটি পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করতে পারে এবং নীতিনির্ধারক ও অনুশীলনকারীদের একই সঙ্গে দিশা দেখাতে পারে।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জন্য এটি উন্নয়ন এবং প্রশাসনব্যবস্থার রূপান্তর সংক্রান্ত সিরিজের তৃতীয় নিবন্ধ। প্রথম দু’টি নিবন্ধে সম্প্রদায় স্তরে নারীচালিত পরিবর্তনের আখ্যানের উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান নিবন্ধটি ব্যক্তিদের পরিবর্তে সংস্থার হস্তক্ষেপ অন্বেষণ করে একটি পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে। প্রকাশকরা ব্যস্ততা ও কর্মের প্রগতিশীল মডেলগুলিতে গবেষণার প্রচার চালিয়ে যাবেন এবং ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব উদযাপনকারী মঞ্চ তৈরি করবেন। উদ্ভাবন এবং বিজয়ের এই আখ্যানগুলিকে সর্বাধিক সম্ভাব্য শ্রোতাদের কাছে আনা জরুরি এবং প্রকাশকরা তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও।
– জয়শ্রী বি, অনির্বাণ শর্মা, বনিতা শর্মা, এবং শোভা সুরি
[১] ‘ডেটা ফর ডেভেলপমেন্ট’ উইল বি ইন্টিগ্রাল পার্ট অফ ওভারঅল থিম অফ ইন্ডিয়া’জ জি২০ প্রেসিডেন্সি: পিএম মোদী’, আউটলুক, নভেম্বর ১৬, ২০২২
[২] দ্য হোয়াইট হাউস, ‘জি২০ বালি লিডারস ডিক্লেয়ারেশন’, নভেম্বর ১৫-১৬, ২০২২
[৩] সমীর সরণ এবং অনির্বাণ শর্মা, ‘ইন্ডিয়া উইল প্রায়োরিটাইজ ডেটা ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাট জি২০’, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
[৪] কমন সার্ভিস সেন্টারস স্কিম, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড আইটি, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া
[৫] গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ‘নীতি আয়োগ লঞ্চেস দ্য ন্যাশনাল ডেটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকস প্ল্যাটফর্ম’, মে ১৩, ২০২২
[৬] ন্যাশনাল ডেটা অ্যান্ড অ্যানালিটিকস প্ল্যাটফর্ম
[৭] গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ‘ন্যাশনাল ডেটা গভর্ন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি’, জুলাই ২৭, ২০২২
[৮] ‘উইল কালেক্ট ‘ইউনিফর্ম অ্যান্ড হারমোনাইজড’ অ্যানোনিমাইজড ডেটাসেটস: রাজীব চন্দ্রশেখর’, দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
[৯] ‘চারণ্য লক্ষ্মীকুমারন, ‘ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশান বিল: হোয়াট রাইটস ডাজ ইট গিভ ইন্ডিভিজুয়ালস?’, দি ইকনমিক টাইমস, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
[১০] ব্রিকস ফোরাম অন বিগ ডেটা সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট
[১১] ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম, ‘ড্রোনস টু ক্রিয়েট ১০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপি বুস্ট অ্যান্ড মিলিয়নস অব জবস ইন ইন্ডিয়া সেজ নিউ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম রিপোর্ট’, অক্টোবর ১৮, ২০২২
[১২] ইউনাইটেড নেশনস, ‘এসডিজি ইন্ডিয়া ইনডেক্স অ্যান্ড ড্যাশবোর্ড’, ২০২০-২১
[১৩] প্রাইম মিনিস্টারস অফিস, ‘পিএম অ্যাড্রেসেস ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড জিওস্প্যাশিয়াল ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস’, অক্টোবর ১১, ২০২২
[১৪] প্রিয়ালি প্রকাশ, ‘অল অ্যাবাউট দ্য ন্যাশনাল জিওস্প্যাশিয়াল পলিসি ২০২২’, দ্য হিন্দু, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
[১৫] ক্লজ শোয়্যাব, দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশন (জেনেভা: ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম, ২০১৬), পৃষ্ঠা ৮
[১৬] দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশন, পৃষ্ঠা ১৫
[১৭] নীতি আয়োগ, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, জুন ২০১৮
[১৮] ড্যানি ডি’ক্রুজ, ‘মেক এআই ওয়ার্ক ফর ইন্ডিয়া: ইউনিয়ন বাজেট ২০২৩ ইন্ট্রোডিউসেস বিগ প্ল্যানস ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’, বিজনেস টুডে, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
[১৯] সুপ্রিম কোর্ট অবজার্ভার, ‘ফান্ডামেন্টাল রাইট টু প্রাইভেসি’
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.