Published on Jan 14, 2025 Updated 0 Hours ago
মলদ্বীপ: মুইজ্জুর দ্বিতীয় ‘সফল’ ভারত সফর থেকে প্রত্যাশা

Image Source: Getty

দ্বিতীয় বারের মতো মলদ্বীপ সরকার দাবি করেছে যে, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর এই বছরের ভারত সফর সফলছিল। জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর দিল্লি থেকে ফিরে মুইজ্জু নিজেও তেমনটাই বলেছিলেন। এটি অবশ্য জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাঁচিন সফরের পরে মুইজ্জুর চাঞ্চল্যকর বিতর্কিত সংবাদ সম্মেলনের একেবারে বিপরীতই। কারণ সে সময়ে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।

পাঁচ দিনের ভারত সফর থেকে ফেরার সময় যে কোনও প্রকার প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচতে মুইজ্জু সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে গিয়েছিলেন। আর এই সব কিছুই আসলে নয়াদিল্লির সফর আদৌ কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মুইজ্জুর এ হেন ব্যবহার বিরোধী মলডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি) পূর্বসূরি ইব্রাহিম সোলিহের তরফে এই প্রশ্নই উস্কে দিয়েছে, মলদ্বীপের ক্ষমতাসীন প্রশাসন এখন কেন ভারতের সঙ্গে সেই একই চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে চুক্তিকে ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় তারা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে তুলে ধরেছিল?

পাঁচ দিনের ভারত সফর থেকে ফেরার সময় যে কোনও প্রকার প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচতে মুইজ্জু সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে গিয়েছিলেন। আর এই সব কিছুই আসলে নয়াদিল্লির সফর আদৌ কতটা সফল হয়েছে, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সোলিহ বলেছিলেন যে, মুইজ্জু নিরাপত্তা সম্পর্কিত কিছু বিষয়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবস্থানকে সমর্থন করেছিলেন এবং তাঁর নির্বাচনী পরাজয়ের  নেপথ্যে তিনি এমন অভ্যন্তরীণ কারণ দর্শিয়েছেন, যেগুলি ভারত বা অন্য কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়… এ এমন এক ঘটনা, যা খুব কমই স্বীকৃতি পেয়েছে। যাই হোক, মুইজ্জুর পরামর্শদাতা জেলে বন্দি’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন প্রত্যাশামাফিক আক্রমণ হেনেছেন এবং দাবি করেছিলেন যে, প্রেসিডেন্টের সফরের সময় নয়াদিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলি ভারতীয় সেনার উপস্থিতির দিকে চালিত করবে’।

কোনও বিদেশিবাহিনী নয়

ভারতে থাকাকালীন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার কারণে মুইজ্জু জোর দিয়েছিলেন যে, দেশের স্বাধীনতা গুরুত্ব অপরিসীম এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, মলদ্বীপে কোনও বিদেশি সেনা মোতায়েন থাকবে না। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আশা করতে পারে যে, পরিস্থিতি আগের মতোই থাকবে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটবে না।’

সমালোচনার জবাবে, ১৯৭৮ থেকে ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের পুত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মামুন মুইজ্জুর মলদ্বীপ ফার্স্টনীতির সমর্থন করেন এবং ঘোষণা করেন যে, দেশটি তার সামরিক কার্যকলাপের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের রাশ নিজেদের হাতে রাখবে এবং কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মলডিভস ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে এবং মলদ্বীপের জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোন আপস করা হবে না।

একই পথে হেঁটে ঘাসান মলদ্বীপ এমএনডিএফ-এর সক্ষমতা জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে হাইড্রোগ্রাফির ক্ষেত্রে – যা মুইজ্জুর দিল্লি সফরের সময় ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা-সম্পর্কিত চুক্তিগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এই বছরের জুন মাসে বিদ্যমান যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক গবেষণাকে প্রসারিত না করার মুইজ্জুর আগেকার সিদ্ধান্তের পরে উভয় পক্ষ মলদ্বীপের কর্মীদের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা প্রদানে সহায়তা করার জন্য ভারতের সাহায্যের বিষয়টিতে সম্মত করেছে।

এই বছরের জুন মাসে বিদ্যমান যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক গবেষণাকে প্রসারিত না করার মুইজ্জুর আগেকার সিদ্ধান্তের পরে উভয় পক্ষ মলদ্বীপের কর্মীদের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা প্রদানে সহায়তা করার জন্য ভারতের সাহায্যের বিষয়টিতে সম্মত করেছে।

এই একই মনোভাব উথুরু থিলাফালহু (ইউটিএফ) দ্বীপে ভারত-অর্থায়নকৃত উপকূলরক্ষী বন্দরের বিষয়টিতে – যা অতীতে মাথাব্যথার কারণ ছিল -  মলদ্বীপ সরকারের অব্যাহত স্বার্থতেও প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগে, মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং পূর্বসূরি প্রোগ্রেসিভ পার্টি অফ মলডিভস (পিপিএম) এই একই বিষয়ের বিরোধিতা করে, দাবি করেছিল যে, টিকে একটি ভারতীয় নৌ-ঘাঁটি হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বিপুল সংখ্যক ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মী ইতিমধ্যেই সেখানে সক্রিয় রয়েছে। এই বিষয়ে মুইজ্জুর দিল্লি চুক্তি সোলিহ-র দীর্ঘদিনের দাবিকে সমর্থন করে, যেখানে বলা হয়েছিল যে, এটি একটি ভারত-অর্থায়িত প্রকল্প, যা শুধু মাত্র এমএনডিএফ কোস্ট গার্ডের বিশেষ সুবিধার্থেই বানানো হয়েছে।

মলদ্বীপের বিমানচালকদের ভূমিকা

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে মলদ্বীপের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউটিএফ বিষয়টি সাড়া জাগাতে সমর্থ হয়েছিল, বিশেষ করে স্থানীয় সাংবাদিক আহমেদ আজান প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই নৌকায় করে দ্বীপটি পরিদর্শন করার নানাবিধ দাবি করেন। যদিও তাঁর প্রকাশিত ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে বিশেষ কিছু প্রমাণ মেলেনি। মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন পিএনসি-র একজন এমপি আজান দাবি করেছিলেন যে, মলদ্বীপের পার্লামেন্টের ‘২৪১ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিসোলিহ শাসনামলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সমস্ত চুক্তি যেন তদন্ত করে। কিছু দিন পরে তিনি আবার সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।

মুইজ্জুর সাম্প্রতিক ভারত সফরের পরে আজান একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই প্রশ্ন তুলে ধরেছেন যে, কেন প্রশিক্ষিত এমএনডিএফ পাইলটদের ভারতের তরফে উপহার দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান চালাতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফ্টটিকে আগে মলদ্বীপের বিশাল সমুদ্রের নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এগুলিকে এমএনডিএফ দ্বারা স্বীকৃতি ও নজরদারির অধীন বিশেষ মিশনের জন্য ভারতীয় পাইলটরা চালাতেন। ভারত যবে থেকে মুইজ্জুর কথা মতো সামরিক পাইলট প্রযুক্তিবিদদের প্রতিস্থাপিত করেছে – যেমনটা মুইজ্জু তাঁর নির্বাচনের আগে পরে চেয়েছেন – ডর্নিয়ারে ভারতের তরফে উপহার স্বরূপ দুটি হেলিকপ্টারের সংযোজন ঘটেছে, যা মেডিক্যাল ইভ্যাকুয়েশনের (চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বহন করার) কাজে ব্যবহার করা হয়।

ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফ্টটিকে আগে মলদ্বীপের বিশাল সমুদ্রের নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এগুলিকে এমএনডিএফ দ্বারা স্বীকৃতি ও নজরদারির অধীন বিশেষ মিশনের জন্য ভারতীয় পাইলটরা চালাতেন।

মলদ্বীপ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরবর্তী পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে। কারণ সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সোলিহ সরকার কর্তৃক স্থানান্তরিত হাইকোর্টের আপিল প্রত্যাহার করেছে। এমনটা তারা করে একটি আরটিআই জিজ্ঞাস্যের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াস্বরূপ এবং এ বিষয়ে তথ্য কমিশনারের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েও তারা এমনটা করে। এর ফলে মুইজ্জু স্তাবকরা আরটিআই প্রশ্নের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে নীতিগত ভাবে সম্মত হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারগুলি জাতীয় নিরাপত্তা’র কারণ দর্শিয়ে এত দিন অস্বীকার করে এসেছেবর্তমানে প্রধান আলোচনার বিষয় হল এ বিষয়ে সরকারের তরফে গণমাধ্যমকে কী জানানো হবে।

উত্তরাধিকার সমস্যা

মুইজ্জুর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সময় দুই পক্ষ একটি ভিশন স্টেটমেন্ট-এ সম্মত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিস্তৃত অর্থনৈতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি যেমনটা আশা করা হচ্ছিল, এই পরিস্থিতিতে ভিশন স্টেটমেন্টে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তানিয়ে একটি পৃথক অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি দুই দেশের মধ্যে এ হেন প্রথম কোনও চুক্তি। এর আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কা প্রায় একচেটিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর মনোযোগ দিয়ে একই ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। ভারত-বান্ধব এমডিপি-সহ মুইজ্জুর সমালোচকরা দ্বিপাক্ষিক পরিসরে এই ইতিবাচক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ক্ষুব্ধ এবং এর নেপথ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা নির্বাচনী হিসেব-নিকেশ।

ভিশন স্টেটমেন্ট মুইজ্জুর সফরের সময় স্বাক্ষরিত আনুষঙ্গিক চুক্তিগুলি ৩০ বিলিয়ন টাকা বিনিময়ের পাশাপাশি ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিময়ের সুযোগ প্রদান করবে এমন এক সময়, যখন মলদ্বীপের অর্থনীতি অভূতপূর্ব সঙ্কটের সম্মুখীন। ২০১৬ সাল থেকে মলদ্বীপ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) কারেন্সি-সোয়্যাপ প্রোগ্রামের অধীনে সার্ক-এর সহযোগী দেশগুলিকে সাহায্য করার প্রকল্পের আওতায় ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করেছে। মার্চ মাস থেকে ভারত বাজেট সহায়তার অংশ হিসাবে দু’দফায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করেছে, যা মুইজ্জু সরকারের সর্বগ্রাসী ঋণ সঙ্কট মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।

২০১৬ সাল থেকে মলদ্বীপ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) কারেন্সি-সোয়্যাপ প্রোগ্রামের অধীনে সার্ক-এর সহযোগী দেশগুলিকে সাহায্য করার প্রকল্পের আওতায় ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করেছে।

আর্থিক ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ সহযোগিতার অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের রুপে পরিষেবার ব্যবহারও চালু করেছিলেন, যে বিষয়ে আগস্ট মাসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মলদ্বীপ সফরের সময় সম্মত হয়েছিলেন। এই ব্যবস্থা মলদ্বীপকে বৈদেশিক মুদ্রার সমস্যা কমাতে এবং মলদ্বীপবাসীকে ভারতীয় টাকার সঙ্গে জড়িত লেনদেনে বিনিময়মূলক কমিশন বাঁচাতে সাহায্য করবে। উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে যে, বিদ্যমান ‘হাই-ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট’ (এইচআইডিসি) প্রকল্পগুলির জন্য ভারতীয় তহবিলের পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসম্পন্ন তিন দ্বীপের সমন্বয়ে থিলাফুশি সমুদ্র-সেতু প্রকল্পের কাজও অব্যাহত থাকবে।

নীরব কূটনীতি

উপসংহারে, ভারতের নীরব কূটনীতির ফল পাওয়া গিয়েছে। মুইজ্জু বেঙ্গালুরুতে অন্যান্য মলদ্বীপবাসীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক থাকা আমাদের দেশের স্বার্থের জন্য সর্বোত্তম এবং ঘটনাপ্রবাহ এমন ভাবেই এগিয়ে চলেছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’

তাঁর দিক থেকে মুইজ্জু অভ্যন্তরীণ চাপের সামনে নতি স্বীকার না করে কথা মতো কাজ করতে চান। এ হেন চাপের মুখে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘন ঘন নতি স্বীকার করা শুধু মাত্র গত বছর তাঁর নির্বাচনী পরাজয়ের কারণই হয়নি, বরং একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করেছিল।

ভারত ও চিনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য মুইজ্জুর ক্ষমতা - এমন দুটি দেশ যাদের ছাড়া মলদ্বীপ প্রায় অচল - গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মুইজ্জুর দ্বিতীয় সফলভারত সফরের এক সপ্তাহ পরে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্র মলদ্বীপ এয়ারপোর্টস কোম্পানি লিমিটেড-এর (এমএসিএল) চিনের বেজিং আর্বান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ-এর (বিইউসিজি) সঙ্গে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মধ্যে প্রথমটি হল মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম রানওয়ের কাজ বিলম্বিত করা। দ্বিতীয় প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল মনো-রেলের আকারে দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিজোন অথরিটি (আইএফজেডএ) –মলদ্বীপে এসইজেড গড়ে তোলার সঙ্গে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে - দ্বারা অর্থায়ন করা রেলওয়ে চালু করা

আগামী দিনে জানা যাবে, মুইজ্জু সরকার কী ভাবে উন্নয়ন তহবিলের নিরিখে ভারত ও চিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়। এর অর্থ শুধু মাত্র ভারতের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করাই নয়, বরং একই সঙ্গে প্রেসিডেন্টের জানুয়ারি মাসে চিন সফরের সময় চিনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলির বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করা, যা ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল।

 


এন সত্য মূর্তি চেন্নাইভিত্তিক বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.