Author : Abhishek Sharma

Published on Dec 09, 2024 Updated 0 Hours ago

ইউরোপ যখন ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা চাহিদার মুখোমুখি হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া একটি প্রধান সরবরাহকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নিজেকে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে

কে-ডিফেন্স কূটনীতি: দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইউরোপের গুরুত্ব

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সরকারের গ্লোবাল পিভটাল স্টেট (জিপিএস) উদ্যোগের অংশ হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়া তার নিকটবর্তী প্রতিবেশের বাইরের দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। এই দৃশ্যকল্পের লক্ষ্য অর্থনীতি ও প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রদুটিতে কোরিয়ার সংযোগ সর্বাধিক করা। এই পরিবর্তনটি প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের উপস্থাপনায় প্রদর্শিত হয়েছিল, যা তার কৌশলগত কল্পনায় দূরবর্তী অঞ্চলগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিল। এই পরিবর্তনের সময় একটি উন্নয়নশীল বাজার এবং একটি কৌশলগত খেলোয়াড় হিসাবে ইউরোপ কোরিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র হয়েছে — প্রথমটি একটি রপ্তানিমুখী মডেলের উপর নির্ভরতার কারণে এবং পরেরটি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবের কারণে। যাই হোক, গভীর ও বিস্তৃত সম্পর্কগুলির মধ্যে, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এখন উভয় অংশীদারের জন্য একটি কৌশলগত ক্ষেত্র হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে।


দৃশ্যকল্পের লক্ষ্য অর্থনীতি ও প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রদুটিতে কোরিয়ার সংযোগ সর্বাধিক করা।



দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও ইউরোপীয় চাহিদা

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পটভূমিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেমনটি সারণি ১-এ দেখানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুটি কারণ এই পরিবর্তনে অবদান রেখেছে: সরবরাহ-‌চাহিদা বক্ররেখার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্প-‌বাস্তুতন্ত্রের অক্ষমতা, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাশ্রয়ী মূল্যে ও দ্রুত গতিতে এই চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী ছিল; যাই হোক, তার প্রতিরক্ষা শিল্প-‌বাস্তুতন্ত্র সমস্ত দেশের চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম হওয়ায়, দক্ষিণ কোরিয়া সেই শূন্যতা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এইভাবে ক্রমবর্ধমান চাহিদা-‌সরবরাহ ব্যবধান পূরণ করে দেশটি একটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়।

সারণি ১: ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ব্যয় এবং এই অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি

বর্ষ

ইউরোপে সামরিক ব্যয় (বিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয়ে ইউরোপের অংশ (শতাংশে)

মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলিতে সামরিক ব্যয় (বিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা রপ্তানি (মার্কিন ডলারে)

পশ্চিম ইউরোপ

মধ্য ইউরোপ

পূর্ব ইউরোপ

২০১৯

৩৫৬

১৯

২৫১

৩১.৫ 

৭৪

২.৯৭

২০২০

৩৭৮

১৯ 

২৭৩

৩৩.৬

৭১.৭

৩.০৮

২০২১

৪১৮

২০

৩০৫

৩৬.৬

৭৩.৩

৭.২৫

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ-পরবর্তী, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

২০২২

৪৮০

২১

৩৪৫*

১৩৫

১৭.৩

২০২৩

৫৮৮

২৪

৪০৭*

১৮১

১৪

সূত্র: সিপরি ট্রেন্ডস ইন ওয়র্ল্ড এক্সপেন্ডিচার রিপোর্ট ২০১৯,২০২০,২০২১, ২০২২, ২০২৩ এবং স্ট্যাটিস্টা থেকে লেখক দ্বারা তৈরি।

 

*পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য ২০২২ ও ২০২৩ সালের ডেটা একত্রিত করা হয়েছে

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউরোপে প্রতিরক্ষা রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধিতে প্রতিফলিত হয়েছে। বৃদ্ধির এই বড় অংশটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা, যেমন হানওয়ার অ্যারোস্পেস ও হুন্ডাই রোটেম কোং, দখল করেছিল, যারা ইউরোপ থেকে বিশাল অর্ডার পেয়েছে। পূর্ব ইউরোপের (ইউক্রেন) ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ দক্ষিণ কোরিয়াকে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলের বাইরে একটি নতুন বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছে। একটি নতুন অঞ্চলে প্রবেশ করা দক্ষিণ কোরিয়াকে উপকৃত করেছে কৌশলগত প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব তৈরি করা এবং সমমনস্ক দেশগুলিকে সমর্থন করার মাধ্যমে। উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইউরোপীয় দেশগুলিকে সমর্থন করার পাশাপাশি, দক্ষিণ কোরিয়া কৌশলগতভাবে ন্যাটো ও তার মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
যাকে 'রাষ্ট্রপুঞ্জ সনদের নীতির লঙ্ঘন' হিসাবে দেখে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাকে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা সিওল বোঝে। এটি যে উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে সেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমমনস্ক দেশগুলির পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য একটি সক্রিয়তাও বটে।



একটি নতুন অঞ্চলে প্রবেশ করা দক্ষিণ কোরিয়াকে উপকৃত করেছে কৌশলগত প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব তৈরি করা এবং সমমনস্ক দেশগুলিকে সমর্থন করার মাধ্যমে।



ইউরোপের মধ্যে কোরিয়ার অস্ত্রাগার
 
সংঘাতের নৈকট্য এবং  ট্যাঙ্ক ও আর্টিলারির মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ইউরোপের মধ্যে পূর্ব ইউরোপীয় অঞ্চলটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির জন্য একটি অনুকূল গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও এস্তোনিয়ার মতো পূর্ব ইউরোপের দেশগুলিতে কোরিয়ার অস্ত্রের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখা গিয়েছে। অনুমান অনুযায়ী, কোরিয়া গত বছর পোল্যান্ডে ১৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করেছে, যা সারণি ২-এ দেখানো হয়েছে। এই একক চুক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সম্ভাব্য ক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে, এবং তার আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। প্রতিরক্ষা অস্ত্রের এই বিশাল চালানের কারণে, উদাহরণস্বরূপ, পোল্যান্ড দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তার অংশীদারি আরও শক্তিশালী করেছে, এবং আরও প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে। কোরিয়া এখন এশিয়ায় পোল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী, এবং
পারমাণবিক শক্তি, ব্যাটারি ও পরিকাঠামোর মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে তা সম্প্রসারিত করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য রাখে। সাউথ কোরিয়ান ডেলির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে পোলিশ মন্ত্রী বলেছিলেন যে, তাঁরা 'পোল্যান্ডের নিবৃত্তিমূলক প্রতিরোধ এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, বিশেষত আধুনিকীকরণ, সহ-উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষেবা ও মেরামতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়াকে’‌ দেখেন। প্রতিরক্ষা রপ্তানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও, এটি একটি সহজ কাজ ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়া অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছে যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। পোল্যান্ডে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন কোরিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, কারণ নতুন প্রশাসন প্রতিরক্ষা চুক্তি রদ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। রপ্তানি অর্থ ছিল আরেকটি বিষয় যা কোরিয়ার সংস্থাগুলির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে, নিবিড় কূটনৈতিক আলোচনা এবং সরকারের সমর্থনের পরে, সমস্যাগুলির সমাধান হয়েছিল।


সারণি ২: ইউরোপীয় দেশগুলিতে দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানি

ক্রমিক সংখ্যা 

বিভিন্ন দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ধরন

1.

পোল্যান্ড

১,০০০ কে২/‌কে২পিএল ট্যাঙ্ক, ৬৭২ কে৯/‌কে৯পিএল স্বয়ংচালিত হাউইৎজার, ৪৮ এফএ-৫০/এফএ-৫০পিএল হালকা যুদ্ধ প্রশিক্ষণ বিমান, ২৮৮ কে২৩৯ চুনমু রকেট লঞ্চার

2.

রোমানিয়া

৫৪কে-৯ স্বয়ংচালিত হাউইৎজার এবং ১৩৬ কে-১০ আরমারড অ্যামিউনিশন রিসাপ্লাই ভেহিকল

3.

এস্তোনিয়া

১২ কে-৯ চালিত আর্টিলারি সিস্টেম

 সূত্র: লেখকের তৈরি

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা রপ্তানি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের ভিত্তিতে সফল হয়েছে: বিশ্বমানের কর্মক্ষমতা, যুদ্ধ-পরীক্ষিত পণ্য, এবং সাশ্রয়ী দাম। যাই হোক, এই সাফল্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলিতে সীমাবদ্ধ, যেমন পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায়, আর মধ্য ইউরোপে কিছু নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিপরীতভাবে, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো বিদ্যমান প্রতিরক্ষা শিল্পের হেভিওয়েটদের উপস্থিতির কারণে
পশ্চিম ইউরোপ দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একটি কঠিন বাজার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।


ইউরোপ-দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক বৃদ্ধি করা

গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার লক্ষ্য কৌশলগতভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা উৎপাদন সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করা, এবং তার ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক নির্ভরতা তৈরি করা। যদিও অর্থনৈতিক যুক্তি তার কৌশলগত চিন্তাধারার অংশ, সিওল বুঝতে পারছে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ রাখতে সমমনস্ক অংশীদারদের সমর্থন প্রয়োজন। এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের সঙ্গে দেশটি নিজেকে একটি বিশ্বস্ত প্রতিরক্ষা অংশীদার ও সরবরাহকারী এবং একটি বিশ্বব্যাপী কৌশলগত খেলোয়াড় হিসাবে তুলে ধরেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের মতো তার কৌশলগত অংশীদারদের দৃষ্টিতে তার অবস্থানকে উন্নত করছে। ইউরোপের প্রতি তার সমর্থনের বিনিময়ে, কোরিয়াও শক্তিশালী সমর্থন পেয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় ও ইউরোপীয়
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আলোচনায় ইইউ হাই রেপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখার জন্য ইইউ-এর প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে জোরদার সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।


জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রপুঞ্জ কমান্ড (ইউএন-সি)-‌এর অষ্টাদশ সদস্য হয়ে যোগদান করেছে। 

একই সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়া ন্যাটো  এবং জার্মানি, নেদারল্যান্ডস , ফ্রান্সের মতো অন্য ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্ক গভীর করছে। সম্প্রতি, জার্মানি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রপুঞ্জ কমান্ড (ইউএন-সি)-‌এর অষ্টাদশ সদস্য হয়ে যোগদান করেছে। জার্মান বিদেশ দফতরের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এটি 'কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি সংকেত পাঠাচ্ছে', এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ-সি-তে যোগদানের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি জোরদার করছে।


এই বছর দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ ১০ অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যেখানে ২০০০ সালে তার অবস্থান ছিল ৩১তম। এটি তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্প-‌বাস্তুতন্ত্রের সম্ভাব্য ক্ষমতা ও প্রাণবন্ততা প্রদর্শন করে। এই ঘটনাটি তার মিত্র ও অংশীদারদের প্রয়োজনীয় অবকাশ প্রদান করে, বিশেষ করে বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে জড়িত হওয়া এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্প-‌বাস্তুতন্ত্রের দুর্বলতার সময়ে। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা উৎপাদন উপকৃত হবে কারণ এটি বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা উৎপাদন সরবরাহ শৃঙ্খলে আরও নিবিষ্ট হবে। দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বের শীর্ষ চারটি অস্ত্র রপ্তানিকারীর মধ্যে একটি করে তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট ইউনের
ভবিষ্যতদৃষ্টি এই যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। ক্রমবর্ধমান অস্ত্র রপ্তানির সঙ্গে সিওল নিজেকে একটি নামী ও বিশ্বস্ত প্রতিরক্ষা অংশীদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রসারিত করেছে, এবং এর অনন্য কে-ডিফেন্স ব্র্যান্ড তৈরি করেছে।



অভিষেক শর্মা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন গবেষণা সহকারী

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Abhishek Sharma

Abhishek Sharma

Abhishek Sharma is a Research Assistant with ORF’s Strategic Studies Programme. His research focuses on the Indo-Pacific regional security and geopolitical developments with a special ...

Read More +