-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনের সম্পৃক্ততার কৌশলটি বিনিময়ের ভিত্তিতে কাজ করে বলে মনে হলেও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তার উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত।
ভারত ও চিনের মধ্যে প্রাধান্যের প্রতিযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে ভারত মহাসাগর দ্রুত আবির্ভূত হচ্ছে। এই অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের কারণে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় স্বার্থ নিহিত। ভারত মহাসাগরে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাগত গতিশীলতা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের উপর স্বাভাবিক ভাবেই প্রভাব ফেলে। অন্য দিকে চিন বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার লক্ষ্যে বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার সামুদ্রিক পরিসর জুড়ে নিজের স্বার্থ ও উপস্থিতি প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।
এই অঞ্চলে নিজের প্রভাব বিস্তারের চিনা কৌশলের একাধিক প্রেক্ষিত বিদ্যমান, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বলপূর্বক সম্পৃক্ততা। তবে মজার বিষয় হল, ভারত মহাসাগর নিয়ে চিনের প্রকাশ্য দৃষ্টিভঙ্গি সূক্ষ্ম এবং সুশৃঙ্খল। দক্ষিণ চিন সাগরের বিপরীতে চিন ভারত মহাসাগরে তার নৌ উপস্থিতি বৃদ্ধি করেনি। বরং এই অঞ্চলের প্রতি চিনের দৃষ্টিভঙ্গি স্থির থেকেছে। তা হল ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার মাধ্যমে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা, একটি বিকল্প আঞ্চলিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শুরু করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং এই অঞ্চলে গবেষণা জাহাজ প্রেরণের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ভাবে নিজের সামুদ্রিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করা।
চিনের সম্পৃক্ততা কৌশলটি বিনিময়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে হলেও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি এই অঞ্চলে একটি প্রধান সামুদ্রিক নিরাপত্তা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার স্বার্থ ও উদ্দেশ্য দ্বারা চালিত বলে মনে হচ্ছে।
এই ঘটনাপ্রবাহ স্বাভাবিক ভাবেই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের প্রতি ভারতের নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই বর্ধিত নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় ভারত আঞ্চলিক সঙ্কটের ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী ও উন্নয়নমূলক অংশীদার হিসেবে ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর করার চেষ্টা করেছে। ভারত মহাসাগরে সামগ্রিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য এই অঞ্চলে ভারতের প্রচেষ্টায় দ্বিপাক্ষিক, ক্ষুদ্রতর ও আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক স্তরে সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততাও জড়িত রয়েছে। এর ফলে ভারত মহাসাগরে প্রাধান্য অর্জনের জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা স্পষ্টতই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বন্দর অবকাঠামোর জন্য প্রতিযোগিতা, বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রস্তুতিতে সহায়তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে চলছে। চিনের সম্পৃক্ততা কৌশলটি বিনিময়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে হলেও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি এই অঞ্চলে একটি প্রধান সামুদ্রিক নিরাপত্তা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার স্বার্থ ও উদ্দেশ্য দ্বারা চালিত বলে মনে হচ্ছে। এই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং সামুদ্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য - যা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে - ভারত এমন একটি কৌশল গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে, যা এই অঞ্চলে অংশীদার হওয়ার প্রাণবন্ত মনোভাবকেই দর্শায়। এর পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অবস্থান এবং প্রকাশ্য আঞ্চলিক পরিচয় কী ভাবে ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনশীল হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে, তার উপরেও জোর দেয়।
ভারত মহাসাগর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
চিরাচরিত ভাবে ভারত মহাসাগর বিশ্বব্যবস্থা গঠনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি ছিল। তবে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়কালে এই অঞ্চলের বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতা হ্রাস পায় এবং সম্ভবত এই অঞ্চলে কোনও প্রকাশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ার কারণে এমনটা ঘটে। এর পাশাপাশি, এই অঞ্চলে কোনও বড় সংঘাত বা চ্যালেঞ্জ দেখা যায়নি বলে মনে হয়, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এই অঞ্চলে পড়েনি। এই কারণে, ভারত মহাসাগরকে দীর্ঘকাল ধরে একটি অবহেলিত মহাসাগর বলেই বিবেচনা করা হত।
তবে যুক্তিসঙ্গত ভাবে, একবিংশ শতাব্দীর সূচনা থেকে এর ধারণা পরিবর্তিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ভারত মহাসাগরের ক্রমবর্ধমান তাৎপর্যের নেপথ্যে রয়েছে তিনটি কারণ। প্রথমত, একবিংশ শতাব্দীর সূচনা বিশ্ব ব্যবস্থার ক্রমাগত পরিবর্তনকে চিহ্নিত করেছে। এই অঞ্চলে নতুন অর্থনীতি বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভারত ও চিনের উত্থানের ফলে এই অঞ্চল জুড়ে বাণিজ্য শৃঙ্খলের বিস্তার ঘটেছে। দ্বিতীয়ত, বিশেষ করে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুতার ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ এই অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত এসএলওসি (সি লাইন অফ কমিউনিকেশন) সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যার ফলে এই অঞ্চলে সামগ্রিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ক্রমবর্ধমান হয়েছে। তৃতীয়ত, মহাসাগরের মানচিত্রাঙ্কনের একটি নতুন কাঠামো হিসাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের উত্থান ভারত মহাসাগরকে কৌশলগত আলোচনায় তুলে এনেছে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূগোল ক্রমশ বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের জন্য একটি নতুন ভিত্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এর ফলে ভারত মহাসাগরে পরিবর্তনশীল কৌশলগত ও নিরাপত্তা গতিশীলতা বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনের জন্য ক্রমবর্ধমান তাৎপর্য ও প্রভাব ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত মহাসাগরে চিনের অগ্রগতি
ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর আগ্রাসন সীমিত থেকেছে, যা দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে পিএলএএন-এর (পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি) অব্যাহত আগ্রাসন এবং যুদ্ধবাজির একটি উল্লেখযোগ্য বৈপরীত্যকে দর্শায়। তবে ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর অগ্রগতিকে খাটো করে দেখা উচিত নয়। দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলের বিপরীতে - যেখানে চিনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি প্রকাশ্যে রয়ে গিয়েছে - ভারত মহাসাগরে চিন দীর্ঘ কৌশল গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণে চিনের ব্যাপক বিনিয়োগ ভারতকে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত দুর্বলতার বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে।
ভারত মহাসাগরে চিনের উপস্থিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি স্পষ্টতই ভূমিকা পালন করছে। প্রথমত, ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলির সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির একটি মূল চালিকাশক্তি। এই অঞ্চলে তার রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে অঞ্চলটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ ও সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তা চিন্তাভাবনাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণে চিনের ব্যাপক বিনিয়োগ ভারতকে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত দুর্বলতার বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে অব্যাহত উত্তেজনার দরুন - এমনকি সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে - সমুদ্রসীমাও সম্ভবত চিনা আগ্রাসনের একটি নতুন সীমান্ত হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এই লক্ষ্যে ভারত মহাসাগরের তীরে কৌশলগত বন্দর অবকাঠামোর শৃঙ্খল তৈরির চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে এসএলওসি-র নিয়ন্ত্রণ লাভের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা ভারতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, চিন ক্রমবর্ধমান ভাবে ভারত মহাসাগরে তার গবেষণা জাহাজ পাঠাচ্ছে। এই জাহাজগুলি শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি মলদ্বীপেও নোঙর করেছে। ভারত মহাসাগরের জলে এই জাহাজগুলির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি জলের তলদেশে নজরদারি বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় প্রযুক্তির ব্যবহারের দ্রুত বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, জলের তলদেশ নিয়ে সচেতনতা দ্রুত সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে। তাই চিনা গবেষণা জাহাজগুলি ভারতের জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান সন্দেহ উস্কে দিয়েছে। তৃতীয়ত, চিন ২০২২ সাল থেকেই চিন-ভারত মহাসাগর ফোরাম শুরু করে আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে, যা সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলিতে আঞ্চলিক গতিশীলতা গঠনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে দর্শায়। ভারত মহাসাগরের সামগ্রিক শৃঙ্খলা গঠনে ভারতের ভূমিকা বিবেচনা করে এই মঞ্চে ভারতের অনুপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য।
চিনের চ্যালেঞ্জের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া
চিনের চ্যালেঞ্জের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া বহুমুখী এবং ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ফলে সৃষ্ট সূক্ষ্ম ঝুঁকির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিকশিত হতে দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে তিনটি মূল প্রচেষ্টা স্পষ্ট। নয়াদিল্লি এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রস্তুতিতে নেতা হিসেবে তার ভূমিকা ক্রমবর্ধমান ভাবে তুলে ধরেছে এবং একই সঙ্গে চিনের কর্মকাণ্ডে স্পষ্টতই পৃষ্ঠপোষণামূলক গতিশীলতাকে আরও শক্তিশালী না করার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল বা পছন্দের নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে ভারত এইচএডিআর (মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ) কার্যক্রম, সামুদ্রিক ক্ষেত্র সচেতনতা এবং উন্নয়নমূলক সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত মহাসাগরে ভারতের জন্য একটি সংশোধিত কৌশলগত কাঠামো – ‘মহাসাগর’ (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা এবং বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক এবং সামগ্রিক অগ্রগতি) প্রকাশ করেছেন। দ্বিতীয়ত, ভারত এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টা জোরদার করার চেষ্টা করেছে। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় পরিচয়কে এই অঞ্চলে সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাবি করে ভারত চিনকে ভারত মহাসাগরীয় বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন করার অব্যাহত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। কারণ বেজিং ভৌগোলিক ভাবে এই অঞ্চলে অবস্থিত নয়। ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম, আইএফসি-আইওআর-এর (ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার - ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন) মাধ্যমে সহযোগিতা, কোয়াড ও কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের মতো অন্যান্য উদ্যোগ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ভারতের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রদর্শন করে। মজার বিষয় হল, ভারতও ভারত মহাসাগরে সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে। আগে নয়াদিল্লি এই অঞ্চলে প্রধান শক্তিগুলির সম্পৃক্ততা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করলেও কোয়াডের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক মহড়ার অবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি ভারত মহাসাগরে প্রধান শক্তিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান সদিচ্ছাকে দর্শায়। তৃতীয়ত, ভারত নৌ সম্পদের স্থানীয় উন্নয়নে বিনিয়োগের পাশাপাশি নৌ আধুনিকীকরণের মাধ্যমে তার সামুদ্রিক শক্তিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টাও শুরু করেছে। নৌবাহিনীর বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজ বরাত দেওয়ার বিষয়টি দর্শায় যে, ভারত মহাসাগরে এখন নয়াদিল্লির জন্য শক্তি বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার।
ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরীয় পরিচয়কে এই অঞ্চলে সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাবি করে ভারত চিনকে ভারত মহাসাগরীয় বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন করার অব্যাহত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। কারণ বেজিং ভৌগোলিক ভাবে এই অঞ্চলে অবস্থিত নয়।
ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে ভারতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলি গতিশীল। ভারত মহাসাগরে চিনের সামুদ্রিক সম্প্রসারণ কেবল ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা হুমকিই তৈরি করেনি, বরং এই অঞ্চলে সামুদ্রিক শৃঙ্খলা পরিবর্তনের লক্ষ্যেও ভূমিকা পালন করছে। ভারতের কৌশলগত স্বার্থ, উদ্দেশ্য ও বাধ্যবাধকতাগুলি মূলত ভারত মহাসাগরের উপর নির্ভরশীল। তাই এই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা অঞ্চলটিতে প্রাধান্য বিস্তারের জন্য প্রতিযোগিতার জন্ম দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ।
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Professor Harsh V. Pant is Vice President – Studies and Foreign Policy at Observer Research Foundation, New Delhi. He is a Professor of International Relations ...
Read More +
Sayantan Haldar is an Associate Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. At ORF, Sayantan’s work is focused on Maritime Studies. He is interested in questions of ...
Read More +